নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

দেশে প্রতিবছর ১৫ হাজারের বেশি নারী স্তন ক্যানসারে আক্রান্ত হচ্ছেন, যাঁদের বড় একটি অংশ কম বয়সী। এ জন্য এটি রোধে পরিবার থেকে সচেতনতার কার্যক্রম চালাতে হবে। একই সঙ্গে স্কুল-কলেজ পর্যায় থেকে শিক্ষার্থীদের মাঝে সচেতনতা বাড়াতে হবে। প্রয়োজনে পাঠ্যক্রমে এ বিষয়টি যুক্ত করতে হবে বলেও মনে করছেন ক্যানসার চিকিৎসক ও বিশেষজ্ঞরা।
আজ শনিবার দুপুর ১২টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া মিলনায়তনে বাংলাদেশ স্তন ক্যানসার সচেতনতা ফোরাম আয়োজিত ‘স্তন ক্যানসার সচেতনতায় চাই সামাজিক আন্দোলন’ শীর্ষক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন বক্তারা।
ফোরামের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ২০১৩ সালে স্তন ক্যানসার সচেতনতা ফোরাম গঠন ও এর উদ্যোগে প্রতিবছর ১০ অক্টোবর বাংলাদেশে স্তন ক্যানসার সচেতনতা দিবস পালিত হয়ে আসছে। গোলাপি সড়ক শোভাযাত্রা, সচেতনতা ও ফ্রি স্ক্রিনিংসহ নানা কার্যক্রমের মাধ্যমে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে এই দিবস পালন করা হয়। এ বছর এই দিবস উদ্যাপিত হবে দশমবারের মতো। একযোগে ৬৪ জেলায় ও বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষদের সম্পৃক্ত করে একটি সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলার চেষ্টা চলছে বলেও ফোরামের পক্ষ থেকে জানানো হয়।
ফোরামের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান সমন্বয়কারী জাতীয় ক্যানসার গবেষণা ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের অধ্যাপক ডা. মো. হাবিবুল্লাহ তালুকদার রাসকিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ডা. ছয়েফ উদ্দিন আহমেদ ও জাতীয় ক্যানসার গবেষণা ইনস্টিটিউটের পরিচালক ডা. স্বপন কুমার বন্দ্যোপাধ্যায়।
হাবিবুল্লাহ তালুকদার রাসকিন বলেন, গত বছর ঢাকায় সাড়ে ৫০০ নারীর স্ক্রিনিং হয়েছে। ঢাকার বাইরে অন্তত ৩০টি জেলায় সচেতনতা কার্যক্রম চালানো হয়েছে। এবার ৬৪টি জেলায় করার ইচ্ছা। সরকারি হিসেবে স্তন ক্যানসার সচেতনতা দিবস ঘোষণা করতে হবে। সবার সঙ্গে আলোচনা করে প্রয়োজনে জাতীয় কমিটি গঠন করা হবে। ক্যানসার চিকিৎসায় সারা দেশের আরও আটটি মেডিকেল কলেজে ব্যবস্থা হয়েছে। প্রান্তিক অঞ্চলের মানুষের মাঝে সচেতনতা বাড়ানোর কাজ চলছে। এই রোগের বেশির ভাগ রোগীই প্রান্তিকের। সচেতনতার অভাবে শেষ সময়ে গিয়ে চিকিৎসা নেন। একই সঙ্গে পাঠ্যক্রমে এটির সচেতনতায় যুক্ত করতে হবে। তাহলে শুরুতেই সচেতন হলে প্রতিরোধ করতে পারবে।
অনুষ্ঠানে প্যানেল আলোচক হিসেবে বক্তব্য দেন সোসাইটি ফর হেলথ প্রমোশন লিংকসের সভাপতি ডা. হালিদা হানুম আক্তার। তিনি বলেন, নারীর কোনো একটি অঙ্গ তার মৃত্যুর কারণ হতে পারে। স্তন ক্যানসার এ ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় সমস্যা। তাই এটি নিয়ে সচেতন ও প্রতিরোধ পরিবার থেকে শুরু করতে হবে। বিশেষ করে নারীকেই সচেতন হতে হবে। মা জানলে মেয়ে সুস্থ থাকবে। শুধু নারী নয়, পুরুষদেরও এ বিষয়ে সচেতন করতে হবে। তাদের বোঝাতে হবে যে, এই রোগ শুধু নারীর না, ওই পরিবারের জন্য বড় বোঝা এবং ভোগান্তি। প্রটেক্টিভ হেলথের ব্যাপারে আমাদের জোর দিতে হবে। এ জন্য প্রান্তিক পর্যায়ে সচেতন করতে হবে। গণমাধ্যম এ ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা রাখতে পারে।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপউপাচার্য অধ্যাপক ডা. ছয়েফ উদ্দিন আহমেদ বলেন, স্তন ক্যানসারে এক সময়ে ২২ হাজার নারী আক্রান্ত হতো, বিনা চিকিৎসায় মারা যেত ৭০ ভাগ। সচেতনতা বাড়াতে বর্তমানে সেটি কমেছে। শুরু থেকে আমরা সব ধরনের রোগেরই চিকিৎসা দিতে চেয়েছি। সরকারের সহযোগিতায় ৯২ জন নারী চিকিৎসককে সার্জারি চিকিৎসায় নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এখন জেলা পর্যায়েও স্তন ক্যানসারের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। স্তন ক্যানসারের সার্জিক্যাল অপারেশনের জন্য যাতে কাউকে অন্য কোনো দেশে না যেতে হয় সেই চেষ্টা চলছে। তবে আমাদের গ্রামাঞ্চলে সচেতনতা বাড়াতে হবে। আমাদের মায়েদের যদি সচেতন করতে পারি, তাহলে মেয়েসহ পরিবারের অন্য সদস্যরাও সচেতন হবে।
ডা. ছয়েফ উদ্দিন বলেন, ক্যানসার বিশেষ করে স্তন ক্যানসারের রোগী গ্রামে-গঞ্জে খুঁজে চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে। বিদেশের থেকে আমাদের দেশীয় চিকিৎসা অনেকটা ভালো। সরকারের কাছে আবেদন, ১০ অক্টোবরকে সচেতনতা দিবস ঘোষণা করতে হবে। সবার উদ্যোগে কিংবা সঠিক চিকিৎসার মাধ্যমে এ দেশ একদিন ক্যানসার মুক্ত হবে এটাই আশা করছি।
হেলথ রিপোর্টার্স ফোরামের সাধারণ সম্পাদক মাঈনুল হাসান সোহেল বলেন, দেশে ক্যানসার চিকিৎসা অত্যন্ত ব্যয়বহুল। প্রতিবছর ১৫ হাজারের বেশি শনাক্ত ও আট হাজার রোগীর মৃত্যু হচ্ছে, যা চিকিৎসা নিতে আসছেন তাদের বেশির ভাগই শেষ পর্যায়ে। তবে যেহেতু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা খুব বেশি নয়, তাই সচেতনতার পাশাপাশি সরকারিভাবে বিনামূল্যে চিকিৎসার ব্যবস্থা থাকা উচিত। আমি বিশ্বাস করি, সরকারের সেই সক্ষমতা আছে। চাইলেই পারা সম্ভব।
ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম হাসিব বলেন, দীর্ঘদিন ধরে সচেতনতা চললেও এটি কতটা সম্ভব হয়েছে সেই গবেষণা নেই। দেশে বর্তমানে ধারণার ওপর নির্ভর করে রোগীর সংখ্যা বলা হচ্ছে ৷ অনেক বছর ধরে কোন পরিসংখ্যান নেই। বর্তমানে একটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেও ডায়াগনস্টিকের ব্যবস্থা নেই। বিকেন্দ্রীকরণ না থাকায় কোনোটাই ঠিকমতো হচ্ছে না।
জাতীয় ক্যানসার গবেষণা ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক ডা. স্বপন কুমার বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, সারা দেশে যদি একটি প্রাণঘাতী রোগ থাকে তার প্রধান পুরুষদের ফুসফুস ক্যানসার, নারীদের স্তন ক্যানসার। দেশের সব জেলা সদর হাসপাতালে স্ক্রিনিংয়ের ব্যবস্থা আছে। তবে ছোট বেলা থেকেই যদি ছেলে-মেয়েদের সচেতন করা যায়, তাহলে অনেক বেশি কাজে দেবে। স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের সচেতনতায় কাজ করতে হবে। দ্বিতীয়ত, কমিউনিটি ক্লিনিক ও ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কর্মীরা যদি বাড়ি বাড়ি গিয়ে খোঁজ নেয়, তাহলে অনেকটা এগোবে। তাহলে ডাটাটা তুলে আনা সম্ভব।
স্বপন কুমার বলেন, নারীদের স্তন, ওরাল ও সার্ভাইক্যালের ক্যানসার হয়ে থাকে। এগুলো নিয়ে বিশেষ করে স্তন ক্যানসার নিয়ে সচেতনতামূলক নাটক তৈরির কাজ চলছে, যাতে দ্রুত সচেতন ও শনাক্ত করা যায়। আগে সচেতন না হওয়ায় শেষ পর্যায়ে এসে চিকিৎসা নিতে আসত। তখন ব্যয় বেড়ে যায়। প্রবাসীদের পাঠানো অর্থ সেটাতে ব্যয় হয়। তবে ১০ অক্টোবরকে দিবস ঘোষণা হোক বা না হোক, বছরের পুরো সময় এটি নিয়ে কাজ করতে হবে।

দেশে প্রতিবছর ১৫ হাজারের বেশি নারী স্তন ক্যানসারে আক্রান্ত হচ্ছেন, যাঁদের বড় একটি অংশ কম বয়সী। এ জন্য এটি রোধে পরিবার থেকে সচেতনতার কার্যক্রম চালাতে হবে। একই সঙ্গে স্কুল-কলেজ পর্যায় থেকে শিক্ষার্থীদের মাঝে সচেতনতা বাড়াতে হবে। প্রয়োজনে পাঠ্যক্রমে এ বিষয়টি যুক্ত করতে হবে বলেও মনে করছেন ক্যানসার চিকিৎসক ও বিশেষজ্ঞরা।
আজ শনিবার দুপুর ১২টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া মিলনায়তনে বাংলাদেশ স্তন ক্যানসার সচেতনতা ফোরাম আয়োজিত ‘স্তন ক্যানসার সচেতনতায় চাই সামাজিক আন্দোলন’ শীর্ষক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন বক্তারা।
ফোরামের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ২০১৩ সালে স্তন ক্যানসার সচেতনতা ফোরাম গঠন ও এর উদ্যোগে প্রতিবছর ১০ অক্টোবর বাংলাদেশে স্তন ক্যানসার সচেতনতা দিবস পালিত হয়ে আসছে। গোলাপি সড়ক শোভাযাত্রা, সচেতনতা ও ফ্রি স্ক্রিনিংসহ নানা কার্যক্রমের মাধ্যমে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে এই দিবস পালন করা হয়। এ বছর এই দিবস উদ্যাপিত হবে দশমবারের মতো। একযোগে ৬৪ জেলায় ও বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষদের সম্পৃক্ত করে একটি সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলার চেষ্টা চলছে বলেও ফোরামের পক্ষ থেকে জানানো হয়।
ফোরামের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান সমন্বয়কারী জাতীয় ক্যানসার গবেষণা ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের অধ্যাপক ডা. মো. হাবিবুল্লাহ তালুকদার রাসকিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ডা. ছয়েফ উদ্দিন আহমেদ ও জাতীয় ক্যানসার গবেষণা ইনস্টিটিউটের পরিচালক ডা. স্বপন কুমার বন্দ্যোপাধ্যায়।
হাবিবুল্লাহ তালুকদার রাসকিন বলেন, গত বছর ঢাকায় সাড়ে ৫০০ নারীর স্ক্রিনিং হয়েছে। ঢাকার বাইরে অন্তত ৩০টি জেলায় সচেতনতা কার্যক্রম চালানো হয়েছে। এবার ৬৪টি জেলায় করার ইচ্ছা। সরকারি হিসেবে স্তন ক্যানসার সচেতনতা দিবস ঘোষণা করতে হবে। সবার সঙ্গে আলোচনা করে প্রয়োজনে জাতীয় কমিটি গঠন করা হবে। ক্যানসার চিকিৎসায় সারা দেশের আরও আটটি মেডিকেল কলেজে ব্যবস্থা হয়েছে। প্রান্তিক অঞ্চলের মানুষের মাঝে সচেতনতা বাড়ানোর কাজ চলছে। এই রোগের বেশির ভাগ রোগীই প্রান্তিকের। সচেতনতার অভাবে শেষ সময়ে গিয়ে চিকিৎসা নেন। একই সঙ্গে পাঠ্যক্রমে এটির সচেতনতায় যুক্ত করতে হবে। তাহলে শুরুতেই সচেতন হলে প্রতিরোধ করতে পারবে।
অনুষ্ঠানে প্যানেল আলোচক হিসেবে বক্তব্য দেন সোসাইটি ফর হেলথ প্রমোশন লিংকসের সভাপতি ডা. হালিদা হানুম আক্তার। তিনি বলেন, নারীর কোনো একটি অঙ্গ তার মৃত্যুর কারণ হতে পারে। স্তন ক্যানসার এ ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় সমস্যা। তাই এটি নিয়ে সচেতন ও প্রতিরোধ পরিবার থেকে শুরু করতে হবে। বিশেষ করে নারীকেই সচেতন হতে হবে। মা জানলে মেয়ে সুস্থ থাকবে। শুধু নারী নয়, পুরুষদেরও এ বিষয়ে সচেতন করতে হবে। তাদের বোঝাতে হবে যে, এই রোগ শুধু নারীর না, ওই পরিবারের জন্য বড় বোঝা এবং ভোগান্তি। প্রটেক্টিভ হেলথের ব্যাপারে আমাদের জোর দিতে হবে। এ জন্য প্রান্তিক পর্যায়ে সচেতন করতে হবে। গণমাধ্যম এ ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা রাখতে পারে।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপউপাচার্য অধ্যাপক ডা. ছয়েফ উদ্দিন আহমেদ বলেন, স্তন ক্যানসারে এক সময়ে ২২ হাজার নারী আক্রান্ত হতো, বিনা চিকিৎসায় মারা যেত ৭০ ভাগ। সচেতনতা বাড়াতে বর্তমানে সেটি কমেছে। শুরু থেকে আমরা সব ধরনের রোগেরই চিকিৎসা দিতে চেয়েছি। সরকারের সহযোগিতায় ৯২ জন নারী চিকিৎসককে সার্জারি চিকিৎসায় নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এখন জেলা পর্যায়েও স্তন ক্যানসারের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। স্তন ক্যানসারের সার্জিক্যাল অপারেশনের জন্য যাতে কাউকে অন্য কোনো দেশে না যেতে হয় সেই চেষ্টা চলছে। তবে আমাদের গ্রামাঞ্চলে সচেতনতা বাড়াতে হবে। আমাদের মায়েদের যদি সচেতন করতে পারি, তাহলে মেয়েসহ পরিবারের অন্য সদস্যরাও সচেতন হবে।
ডা. ছয়েফ উদ্দিন বলেন, ক্যানসার বিশেষ করে স্তন ক্যানসারের রোগী গ্রামে-গঞ্জে খুঁজে চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে। বিদেশের থেকে আমাদের দেশীয় চিকিৎসা অনেকটা ভালো। সরকারের কাছে আবেদন, ১০ অক্টোবরকে সচেতনতা দিবস ঘোষণা করতে হবে। সবার উদ্যোগে কিংবা সঠিক চিকিৎসার মাধ্যমে এ দেশ একদিন ক্যানসার মুক্ত হবে এটাই আশা করছি।
হেলথ রিপোর্টার্স ফোরামের সাধারণ সম্পাদক মাঈনুল হাসান সোহেল বলেন, দেশে ক্যানসার চিকিৎসা অত্যন্ত ব্যয়বহুল। প্রতিবছর ১৫ হাজারের বেশি শনাক্ত ও আট হাজার রোগীর মৃত্যু হচ্ছে, যা চিকিৎসা নিতে আসছেন তাদের বেশির ভাগই শেষ পর্যায়ে। তবে যেহেতু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা খুব বেশি নয়, তাই সচেতনতার পাশাপাশি সরকারিভাবে বিনামূল্যে চিকিৎসার ব্যবস্থা থাকা উচিত। আমি বিশ্বাস করি, সরকারের সেই সক্ষমতা আছে। চাইলেই পারা সম্ভব।
ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম হাসিব বলেন, দীর্ঘদিন ধরে সচেতনতা চললেও এটি কতটা সম্ভব হয়েছে সেই গবেষণা নেই। দেশে বর্তমানে ধারণার ওপর নির্ভর করে রোগীর সংখ্যা বলা হচ্ছে ৷ অনেক বছর ধরে কোন পরিসংখ্যান নেই। বর্তমানে একটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেও ডায়াগনস্টিকের ব্যবস্থা নেই। বিকেন্দ্রীকরণ না থাকায় কোনোটাই ঠিকমতো হচ্ছে না।
জাতীয় ক্যানসার গবেষণা ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক ডা. স্বপন কুমার বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, সারা দেশে যদি একটি প্রাণঘাতী রোগ থাকে তার প্রধান পুরুষদের ফুসফুস ক্যানসার, নারীদের স্তন ক্যানসার। দেশের সব জেলা সদর হাসপাতালে স্ক্রিনিংয়ের ব্যবস্থা আছে। তবে ছোট বেলা থেকেই যদি ছেলে-মেয়েদের সচেতন করা যায়, তাহলে অনেক বেশি কাজে দেবে। স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের সচেতনতায় কাজ করতে হবে। দ্বিতীয়ত, কমিউনিটি ক্লিনিক ও ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কর্মীরা যদি বাড়ি বাড়ি গিয়ে খোঁজ নেয়, তাহলে অনেকটা এগোবে। তাহলে ডাটাটা তুলে আনা সম্ভব।
স্বপন কুমার বলেন, নারীদের স্তন, ওরাল ও সার্ভাইক্যালের ক্যানসার হয়ে থাকে। এগুলো নিয়ে বিশেষ করে স্তন ক্যানসার নিয়ে সচেতনতামূলক নাটক তৈরির কাজ চলছে, যাতে দ্রুত সচেতন ও শনাক্ত করা যায়। আগে সচেতন না হওয়ায় শেষ পর্যায়ে এসে চিকিৎসা নিতে আসত। তখন ব্যয় বেড়ে যায়। প্রবাসীদের পাঠানো অর্থ সেটাতে ব্যয় হয়। তবে ১০ অক্টোবরকে দিবস ঘোষণা হোক বা না হোক, বছরের পুরো সময় এটি নিয়ে কাজ করতে হবে।

দেশের সরকারি ও বেসরকারি মেডিকেল এবং ডেন্টাল কলেজে ব্যাচেলর অব মেডিসিন অ্যান্ড ব্যাচেলর অব সার্জারি (এমবিবিএস) ও ব্যাচেলর অব ডেন্টাল সার্জারি (বিডিএস) ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়েছে। পাসের হার ৬৬ দশমিক ৫৭ শতাংশ। ভর্তি পরীক্ষায় সর্বোচ্চ প্রাপ্ত নম্বর ৯১ দশমিক ২৫।
৬ ঘণ্টা আগে
ডিসেম্বর মানেই হাড়কাঁপানো শীত। আর শীত মানেই খাবারের উৎসব। খেজুরের রস, পিঠা পায়েসের কমতি হয় না এ ঋতুতে। কনকনে ঠান্ডার বিপক্ষে যুদ্ধে আমাদের প্রধান হাতিয়ার খাবার। তবে সঠিক খাবার বাছাই করা না গেলে হিতে বিপরীত হতে পারে।
২ দিন আগে
চিকিৎসাবিজ্ঞানে সব বন্ধ্যত্বের ৩০ থেকে ৪০ শতাংশের জন্য পুরুষের সমস্যা দায়ী। এ ছাড়া পুরুষের বীর্যে শুক্রাণুর সংখ্যা কমে গেলে, শুক্রাণুর গতি কম থাকলে কিংবা একেবারেই শুক্রাণু না পাওয়া গেলে এবং স্বামী-স্ত্রী নিয়মিত সহবাসের পরও যদি এক বছরের মধ্যে গর্ভধারণ না হয়, তাহলে সেটিকে বলা হয় পুরুষ বন্ধ্যত্ব।
২ দিন আগে
শীতকাল মানেই শুষ্ক, ঠান্ডা আবহাওয়া এবং তার সঙ্গে রোগজীবাণুর সহজ সংক্রমণ। এ সময় প্রধানত ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়াজনিত শ্বাসতন্ত্রের রোগগুলো দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। ঠান্ডা আবহাওয়ার কারণে আমাদের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা কিছুটা দুর্বল হয় এবং বদ্ধ জায়গায় মানুষ কাছাকাছি থাকায় রোগ সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ে।
২ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

দেশের সরকারি ও বেসরকারি মেডিকেল এবং ডেন্টাল কলেজে ব্যাচেলর অব মেডিসিন অ্যান্ড ব্যাচেলর অব সার্জারি (এমবিবিএস) ও ব্যাচেলর অব ডেন্টাল সার্জারি (বিডিএস) ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়েছে। পাসের হার ৬৬ দশমিক ৫৭ শতাংশ। ভর্তি পরীক্ষায় সর্বোচ্চ প্রাপ্ত নম্বর ৯১ দশমিক ২৫।
আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) বিকেলে এ ফলাফল স্বাস্থ্যশিক্ষা অধিদপ্তর প্রকাশ করে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়।
মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ভর্তি পরীক্ষায় পাস করা পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৮১ হাজার ৬৪২ জন। তাঁদের মধ্যে পুরুষ পরীক্ষার্থী ৩১ হাজার ১২৮ জন এবং নারী পরীক্ষার্থী ৫০ হাজার ৫১৪ জন। ভর্তি পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বর এবং এসএসসি বা সমমান ও এইচএসসি বা সমমান পরীক্ষায় প্রাপ্ত জিপিএ হতে নম্বর যোগ করে অর্জিত স্কোরের ভিত্তিতে মেধা ও পছন্দক্রম অনুযায়ী ৫ হাজার ৬৪৫ জন প্রার্থীকে প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত করা হয়েছে।
স্বাস্থ্যশিক্ষা অধিদপ্তর বলছে, সরকারি ৩৭টি মেডিকেল কলেজ, ঢাকা ডেন্টাল কলেজ, আটটি মেডিকেল কলেজ ডেন্টাল ইউনিটসমূহের ৫ হাজার ৬৪৫টি আসনের জন্য নির্বাচিত নারী পরীক্ষার্থী ৩ হাজার ৬০৩ জন ও পুরুষ পরীক্ষার্থী ২ হাজার ৪২ জন।
গত শুক্রবার সকাল ১০টা থেকে বেলা ১১টা ১৫ মিনিট পর্যন্ত দেশের ১৭টি কেন্দ্র ও ৪৯টি ভেন্যুতে ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষের এমবিবিএস ও বিডিএস কোর্সের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। সরকারি মেডিকেল ও ডেন্টাল কলেজগুলোতে আসনসংখ্যা ৫ হাজার ৬৪৫টি; যার মধ্যে এমবিবিএসের ৫ হাজার ১০০ ও বিডিএসের ৫৪৫টি।
বেসরকারি মেডিকেল ও ডেন্টাল কলেজগুলোতে আসনসংখ্যা ৭ হাজার ৩৬১টি; যার মধ্যে এমবিসিএসের ৬ হাজার ১ ও বিডিএসের ১ হাজার ৩৬০টি। মোট ১৩ হাজার ৬টি আসনের বিপরীতে এ বছর মোট আবেদনকারী ১ লাখ ২২ হাজার ৬৩২ জন। ভর্তি পরীক্ষায় ১ লাখ ২০ হাজার ৪৪০ জন শিক্ষার্থী অংশ নিয়েছিল।

দেশের সরকারি ও বেসরকারি মেডিকেল এবং ডেন্টাল কলেজে ব্যাচেলর অব মেডিসিন অ্যান্ড ব্যাচেলর অব সার্জারি (এমবিবিএস) ও ব্যাচেলর অব ডেন্টাল সার্জারি (বিডিএস) ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়েছে। পাসের হার ৬৬ দশমিক ৫৭ শতাংশ। ভর্তি পরীক্ষায় সর্বোচ্চ প্রাপ্ত নম্বর ৯১ দশমিক ২৫।
আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) বিকেলে এ ফলাফল স্বাস্থ্যশিক্ষা অধিদপ্তর প্রকাশ করে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়।
মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ভর্তি পরীক্ষায় পাস করা পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৮১ হাজার ৬৪২ জন। তাঁদের মধ্যে পুরুষ পরীক্ষার্থী ৩১ হাজার ১২৮ জন এবং নারী পরীক্ষার্থী ৫০ হাজার ৫১৪ জন। ভর্তি পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বর এবং এসএসসি বা সমমান ও এইচএসসি বা সমমান পরীক্ষায় প্রাপ্ত জিপিএ হতে নম্বর যোগ করে অর্জিত স্কোরের ভিত্তিতে মেধা ও পছন্দক্রম অনুযায়ী ৫ হাজার ৬৪৫ জন প্রার্থীকে প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত করা হয়েছে।
স্বাস্থ্যশিক্ষা অধিদপ্তর বলছে, সরকারি ৩৭টি মেডিকেল কলেজ, ঢাকা ডেন্টাল কলেজ, আটটি মেডিকেল কলেজ ডেন্টাল ইউনিটসমূহের ৫ হাজার ৬৪৫টি আসনের জন্য নির্বাচিত নারী পরীক্ষার্থী ৩ হাজার ৬০৩ জন ও পুরুষ পরীক্ষার্থী ২ হাজার ৪২ জন।
গত শুক্রবার সকাল ১০টা থেকে বেলা ১১টা ১৫ মিনিট পর্যন্ত দেশের ১৭টি কেন্দ্র ও ৪৯টি ভেন্যুতে ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষের এমবিবিএস ও বিডিএস কোর্সের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। সরকারি মেডিকেল ও ডেন্টাল কলেজগুলোতে আসনসংখ্যা ৫ হাজার ৬৪৫টি; যার মধ্যে এমবিবিএসের ৫ হাজার ১০০ ও বিডিএসের ৫৪৫টি।
বেসরকারি মেডিকেল ও ডেন্টাল কলেজগুলোতে আসনসংখ্যা ৭ হাজার ৩৬১টি; যার মধ্যে এমবিসিএসের ৬ হাজার ১ ও বিডিএসের ১ হাজার ৩৬০টি। মোট ১৩ হাজার ৬টি আসনের বিপরীতে এ বছর মোট আবেদনকারী ১ লাখ ২২ হাজার ৬৩২ জন। ভর্তি পরীক্ষায় ১ লাখ ২০ হাজার ৪৪০ জন শিক্ষার্থী অংশ নিয়েছিল।

দেশে প্রতিবছর ১৫ হাজারের বেশি নারী স্তন ক্যানসারে আক্রান্ত হচ্ছেন, যাদের বড় একটি অংশ কম বয়সী। এ জন্য এটি রোধে পরিবার থেকে সচেতনতার কার্যক্রম চালাতে হবে। একই সঙ্গে স্কুল-কলেজ পর্যায় থেকে শিক্ষার্থীদের মাঝে সচেতনতা বাড়াতে হবে। প্রয়োজনে পাঠ্যক্রমে এ বিষয়টি যুক্ত করতে হবে বলেও মনে করছেন ক্যানসার চিকিৎসক
০২ জুলাই ২০২২
ডিসেম্বর মানেই হাড়কাঁপানো শীত। আর শীত মানেই খাবারের উৎসব। খেজুরের রস, পিঠা পায়েসের কমতি হয় না এ ঋতুতে। কনকনে ঠান্ডার বিপক্ষে যুদ্ধে আমাদের প্রধান হাতিয়ার খাবার। তবে সঠিক খাবার বাছাই করা না গেলে হিতে বিপরীত হতে পারে।
২ দিন আগে
চিকিৎসাবিজ্ঞানে সব বন্ধ্যত্বের ৩০ থেকে ৪০ শতাংশের জন্য পুরুষের সমস্যা দায়ী। এ ছাড়া পুরুষের বীর্যে শুক্রাণুর সংখ্যা কমে গেলে, শুক্রাণুর গতি কম থাকলে কিংবা একেবারেই শুক্রাণু না পাওয়া গেলে এবং স্বামী-স্ত্রী নিয়মিত সহবাসের পরও যদি এক বছরের মধ্যে গর্ভধারণ না হয়, তাহলে সেটিকে বলা হয় পুরুষ বন্ধ্যত্ব।
২ দিন আগে
শীতকাল মানেই শুষ্ক, ঠান্ডা আবহাওয়া এবং তার সঙ্গে রোগজীবাণুর সহজ সংক্রমণ। এ সময় প্রধানত ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়াজনিত শ্বাসতন্ত্রের রোগগুলো দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। ঠান্ডা আবহাওয়ার কারণে আমাদের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা কিছুটা দুর্বল হয় এবং বদ্ধ জায়গায় মানুষ কাছাকাছি থাকায় রোগ সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ে।
২ দিন আগেমো. ইকবাল হোসেন

ডিসেম্বর মানেই হাড়কাঁপানো শীত। আর শীত মানেই খাবারের উৎসব। খেজুরের রস, পিঠা পায়েসের কমতি হয় না এ ঋতুতে। কনকনে ঠান্ডার বিপক্ষে যুদ্ধে আমাদের প্রধান হাতিয়ার খাবার। তবে সঠিক খাবার বাছাই করা না গেলে হিতে বিপরীত হতে পারে।
মানুষের শরীরের গঠন অন্যান্য প্রাণীর চেয়ে কিছুটা ভিন্ন। পৃথিবীর বেশির ভাগ প্রাণীর চেয়ে মানুষের খাদ্যাভ্যাস ভিন্ন। আমাদের শরীরের প্রতিটি অঙ্গপ্রত্যঙ্গের জন্য আলাদা পুষ্টির প্রয়োজন হয়। যেমন চোখের যত্নে ভিটামিন এ, ত্বকের যত্নে ভিটামিন বি, হাড়ের যত্নে ভিটামিন ডি ইত্যাদি। এসব চাহিদা পূরণ করে খাবার খেলে শরীরে সুখের হরমোনের নিঃসরণ বেড়ে যায় এবং আমাদের সুখানুভূতি হয়, মন শান্ত থাকে।
মন ভালো রাখার অন্যতম হরমোন ডোপামিন। এটি নিঃসরণে খাবারের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা আছে। আমাদের অন্ত্রে ভালো ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা যত বাড়বে, ডোপামিনের নিঃসরণও তত বাড়বে। তাই অন্ত্রের ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা বাড়াতে গুড ফ্যাট বা ভালো চর্বিসমৃদ্ধ, গাঁজানো এবং আঁশসমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে।
সে ক্ষেত্রে চমৎকার খাবার হতে পারে শীতকালীন বিভিন্ন শাকসবজি। শিমের বিচি, মটরশুঁটি, বরবটিসহ অন্যান্য শাকসবজি ভালো ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা বাড়াতে চমৎকার কাজ করে। এ ছাড়া সামুদ্রিক মাছ, মাছের তেল, অলিভ অয়েল, টক দই ইত্যাদি খাবারও পর্যাপ্ত খেতে হবে। আঁশের উৎস হিসেবে লালশাক, পালংশাক, সবুজ শাক খেতে হবে। ভাজাপোড়া, প্রক্রিয়াজাত খাবার এবং ডুবোতেলে ভাজা খাবার যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলতে হবে।
আমাদের মন ভালো রাখার আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ হরমোন হচ্ছে সেরোটোনিন। ৯০ শতাংশ সেরোটোনিন উৎপন্ন হয় অন্ত্রের এন্টেরোক্রমাফিন কোষের এন্টেরিক নার্ভাস সিস্টেম থেকে। এ জন্য অন্ত্রের স্বাস্থ্য ভালো রাখা বেশি জরুরি। অন্ত্রের পেশি নড়াচড়ায় সেরোটোনিন সাহায্য করে। মাত্র ১ শতাংশ সেরোটোনিন মস্তিষ্কে নিঃসৃত হয়। এই ১ শতাংশ সেরোটোনিন মুড, ঘুম, স্মৃতি, ক্ষুধা, মন ভালো থাকা ইত্যাদির ওপর প্রভাব বিস্তার করে। ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, আয়রন এবং আঁশসমৃদ্ধ খাবার, ভিটামিন বি-১২ এবং ভিটামিন ডি সেরোটোনিনের নিঃসরণ বাড়ায়। খাবারের পাশাপাশি রাতে ভালো ঘুম সেরোটোনিনের নিঃসরণ বাড়িয়ে দেয়। সে ক্ষেত্রে পরিমিত রেডমিট, ব্রকলি, বাঁধাকপি, শিম, গাজরসহ সব ধরনের শীতকালীন সবজি এবং শীতের মিষ্টি রোদ দারুণ কাজ করে।
এ ছাড়া অ্যান্টি-ইনফ্লামেটরি গুণসমৃদ্ধ খাবার, যেমন দারুচিনি, লবঙ্গ, হলুদ, ফ্ল্যাক্স সিড, চিয়া সিড খাদ্যতালিকায় যোগ করতে হবে।
শীতে শরীরে ব্যথার প্রকোপ কিছুটা হলেও বেড়ে যায়। তবে এন্ডোরফিন নামক হরমোন প্রাকৃতিকভাবে ব্যথা উপশম করে। শারীরিক বা মানসিকভাবে আহত হলে এন্ডোরফিন সক্রিয় হয়ে আমাদের ব্যথা নিরাময় করে। অতিরিক্ত ওজন, বিষণ্নতা, উচ্চ রক্তচাপ এন্ডোরফিনের নিঃসরণ কমিয়ে দেয়। তবে কিছু খাবার আছে; যেগুলো খেলে এন্ডোরফিন হরমোনের নিঃসরণ বাড়ে। ভিটামিন সি-সমৃদ্ধ খাবারগুলো শরীরে ভিটামিন সি-এর চাহিদা পূরণের পাশাপাশি এন্ডোরফিন নিঃসরণে সহযোগিতা করে। তাই শীতে মন ভালো রাখতে পর্যাপ্ত পাতিলেবু, মোসাম্বি, পেয়ারা, কলা, জাম্বুরা ও কমলা খেতে হবে।
এর পাশাপাশি টমেটো, কাঁচা মরিচ, ক্যাপসিকাম ও পালংশাক শরীরের প্রয়োজনীয় ভিটামিন সি-এর জোগান দিতে পারে; সঙ্গে মেটায় আঁশ, পটাশিয়াম ও ম্যাগনেশিয়ামের ঘাটতিও।
এ ছাড়া শীতকালীন প্রায় সব শাকসবজি অ্যান্টি-অক্সিডেন্টে ভরপুর এবং ক্যানসার প্রতিরোধী গুণসমৃদ্ধ। এগুলো যদি নিয়মিত খাওয়া যায়, তাহলে শরীরে বাড়ে রোগ প্রতিরোধক্ষমতা। শীতকালীন পালংশাক, গাজর, টমেটো, বিটরুট, ক্যাপসিকাম, ব্রকলি হয়ে উঠতে পারে সুস্থ থাকার অন্যতম হাতিয়ার। শীতকালীন সবজি ভালো কোলেস্টেরল বাড়িয়ে দিতে এবং খারাপ কোলেস্টেরল কমাতে অত্যন্ত উপযোগী। তাই শীতকালে সুস্থতার অন্যতম চাবিকাঠি হতে পারে এসব সবজি।
আমাদের শরীরের অবহেলিত অঙ্গ ক্ষুদ্রান্ত্র। আমরা বিভিন্ন রকমের অস্বাস্থ্যকর খাবার খাই। সেসবের প্রভাব পড়ে ক্ষুদ্রান্ত্রের ওপর। এসব অস্বাস্থ্যকর খাবারের ফলে আমাদের ক্ষুদ্রান্ত্রের ভালো ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা কমতে থাকে।
ফলে গ্যাসের সমস্যা, ফ্যাটি লিভার, কোলেস্টেরল, কোষ্ঠকাঠিন্য বা কিডনি সমস্যার ঝুঁকি বাড়ে। আবার বিভিন্ন ধরনের ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হিসেবেও কমে যায় এসব ভালো ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা। তাই সুস্থ থাকতে এবং মন ভালো রাখতে শীতকাল হতে পারে আপনার জীবনের সেরা সময়।
খাবার খাওয়ার পাশাপাশি আরও কিছু বিষয় বিবেচনায় রাখতে হবে—
পুষ্টিবিদ ও জ্যেষ্ঠ পুষ্টি কর্মকর্তা, চট্টগ্রাম ডায়াবেটিক জেনারেল হাসপাতাল

ডিসেম্বর মানেই হাড়কাঁপানো শীত। আর শীত মানেই খাবারের উৎসব। খেজুরের রস, পিঠা পায়েসের কমতি হয় না এ ঋতুতে। কনকনে ঠান্ডার বিপক্ষে যুদ্ধে আমাদের প্রধান হাতিয়ার খাবার। তবে সঠিক খাবার বাছাই করা না গেলে হিতে বিপরীত হতে পারে।
মানুষের শরীরের গঠন অন্যান্য প্রাণীর চেয়ে কিছুটা ভিন্ন। পৃথিবীর বেশির ভাগ প্রাণীর চেয়ে মানুষের খাদ্যাভ্যাস ভিন্ন। আমাদের শরীরের প্রতিটি অঙ্গপ্রত্যঙ্গের জন্য আলাদা পুষ্টির প্রয়োজন হয়। যেমন চোখের যত্নে ভিটামিন এ, ত্বকের যত্নে ভিটামিন বি, হাড়ের যত্নে ভিটামিন ডি ইত্যাদি। এসব চাহিদা পূরণ করে খাবার খেলে শরীরে সুখের হরমোনের নিঃসরণ বেড়ে যায় এবং আমাদের সুখানুভূতি হয়, মন শান্ত থাকে।
মন ভালো রাখার অন্যতম হরমোন ডোপামিন। এটি নিঃসরণে খাবারের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা আছে। আমাদের অন্ত্রে ভালো ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা যত বাড়বে, ডোপামিনের নিঃসরণও তত বাড়বে। তাই অন্ত্রের ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা বাড়াতে গুড ফ্যাট বা ভালো চর্বিসমৃদ্ধ, গাঁজানো এবং আঁশসমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে।
সে ক্ষেত্রে চমৎকার খাবার হতে পারে শীতকালীন বিভিন্ন শাকসবজি। শিমের বিচি, মটরশুঁটি, বরবটিসহ অন্যান্য শাকসবজি ভালো ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা বাড়াতে চমৎকার কাজ করে। এ ছাড়া সামুদ্রিক মাছ, মাছের তেল, অলিভ অয়েল, টক দই ইত্যাদি খাবারও পর্যাপ্ত খেতে হবে। আঁশের উৎস হিসেবে লালশাক, পালংশাক, সবুজ শাক খেতে হবে। ভাজাপোড়া, প্রক্রিয়াজাত খাবার এবং ডুবোতেলে ভাজা খাবার যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলতে হবে।
আমাদের মন ভালো রাখার আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ হরমোন হচ্ছে সেরোটোনিন। ৯০ শতাংশ সেরোটোনিন উৎপন্ন হয় অন্ত্রের এন্টেরোক্রমাফিন কোষের এন্টেরিক নার্ভাস সিস্টেম থেকে। এ জন্য অন্ত্রের স্বাস্থ্য ভালো রাখা বেশি জরুরি। অন্ত্রের পেশি নড়াচড়ায় সেরোটোনিন সাহায্য করে। মাত্র ১ শতাংশ সেরোটোনিন মস্তিষ্কে নিঃসৃত হয়। এই ১ শতাংশ সেরোটোনিন মুড, ঘুম, স্মৃতি, ক্ষুধা, মন ভালো থাকা ইত্যাদির ওপর প্রভাব বিস্তার করে। ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, আয়রন এবং আঁশসমৃদ্ধ খাবার, ভিটামিন বি-১২ এবং ভিটামিন ডি সেরোটোনিনের নিঃসরণ বাড়ায়। খাবারের পাশাপাশি রাতে ভালো ঘুম সেরোটোনিনের নিঃসরণ বাড়িয়ে দেয়। সে ক্ষেত্রে পরিমিত রেডমিট, ব্রকলি, বাঁধাকপি, শিম, গাজরসহ সব ধরনের শীতকালীন সবজি এবং শীতের মিষ্টি রোদ দারুণ কাজ করে।
এ ছাড়া অ্যান্টি-ইনফ্লামেটরি গুণসমৃদ্ধ খাবার, যেমন দারুচিনি, লবঙ্গ, হলুদ, ফ্ল্যাক্স সিড, চিয়া সিড খাদ্যতালিকায় যোগ করতে হবে।
শীতে শরীরে ব্যথার প্রকোপ কিছুটা হলেও বেড়ে যায়। তবে এন্ডোরফিন নামক হরমোন প্রাকৃতিকভাবে ব্যথা উপশম করে। শারীরিক বা মানসিকভাবে আহত হলে এন্ডোরফিন সক্রিয় হয়ে আমাদের ব্যথা নিরাময় করে। অতিরিক্ত ওজন, বিষণ্নতা, উচ্চ রক্তচাপ এন্ডোরফিনের নিঃসরণ কমিয়ে দেয়। তবে কিছু খাবার আছে; যেগুলো খেলে এন্ডোরফিন হরমোনের নিঃসরণ বাড়ে। ভিটামিন সি-সমৃদ্ধ খাবারগুলো শরীরে ভিটামিন সি-এর চাহিদা পূরণের পাশাপাশি এন্ডোরফিন নিঃসরণে সহযোগিতা করে। তাই শীতে মন ভালো রাখতে পর্যাপ্ত পাতিলেবু, মোসাম্বি, পেয়ারা, কলা, জাম্বুরা ও কমলা খেতে হবে।
এর পাশাপাশি টমেটো, কাঁচা মরিচ, ক্যাপসিকাম ও পালংশাক শরীরের প্রয়োজনীয় ভিটামিন সি-এর জোগান দিতে পারে; সঙ্গে মেটায় আঁশ, পটাশিয়াম ও ম্যাগনেশিয়ামের ঘাটতিও।
এ ছাড়া শীতকালীন প্রায় সব শাকসবজি অ্যান্টি-অক্সিডেন্টে ভরপুর এবং ক্যানসার প্রতিরোধী গুণসমৃদ্ধ। এগুলো যদি নিয়মিত খাওয়া যায়, তাহলে শরীরে বাড়ে রোগ প্রতিরোধক্ষমতা। শীতকালীন পালংশাক, গাজর, টমেটো, বিটরুট, ক্যাপসিকাম, ব্রকলি হয়ে উঠতে পারে সুস্থ থাকার অন্যতম হাতিয়ার। শীতকালীন সবজি ভালো কোলেস্টেরল বাড়িয়ে দিতে এবং খারাপ কোলেস্টেরল কমাতে অত্যন্ত উপযোগী। তাই শীতকালে সুস্থতার অন্যতম চাবিকাঠি হতে পারে এসব সবজি।
আমাদের শরীরের অবহেলিত অঙ্গ ক্ষুদ্রান্ত্র। আমরা বিভিন্ন রকমের অস্বাস্থ্যকর খাবার খাই। সেসবের প্রভাব পড়ে ক্ষুদ্রান্ত্রের ওপর। এসব অস্বাস্থ্যকর খাবারের ফলে আমাদের ক্ষুদ্রান্ত্রের ভালো ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা কমতে থাকে।
ফলে গ্যাসের সমস্যা, ফ্যাটি লিভার, কোলেস্টেরল, কোষ্ঠকাঠিন্য বা কিডনি সমস্যার ঝুঁকি বাড়ে। আবার বিভিন্ন ধরনের ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হিসেবেও কমে যায় এসব ভালো ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা। তাই সুস্থ থাকতে এবং মন ভালো রাখতে শীতকাল হতে পারে আপনার জীবনের সেরা সময়।
খাবার খাওয়ার পাশাপাশি আরও কিছু বিষয় বিবেচনায় রাখতে হবে—
পুষ্টিবিদ ও জ্যেষ্ঠ পুষ্টি কর্মকর্তা, চট্টগ্রাম ডায়াবেটিক জেনারেল হাসপাতাল

দেশে প্রতিবছর ১৫ হাজারের বেশি নারী স্তন ক্যানসারে আক্রান্ত হচ্ছেন, যাদের বড় একটি অংশ কম বয়সী। এ জন্য এটি রোধে পরিবার থেকে সচেতনতার কার্যক্রম চালাতে হবে। একই সঙ্গে স্কুল-কলেজ পর্যায় থেকে শিক্ষার্থীদের মাঝে সচেতনতা বাড়াতে হবে। প্রয়োজনে পাঠ্যক্রমে এ বিষয়টি যুক্ত করতে হবে বলেও মনে করছেন ক্যানসার চিকিৎসক
০২ জুলাই ২০২২
দেশের সরকারি ও বেসরকারি মেডিকেল এবং ডেন্টাল কলেজে ব্যাচেলর অব মেডিসিন অ্যান্ড ব্যাচেলর অব সার্জারি (এমবিবিএস) ও ব্যাচেলর অব ডেন্টাল সার্জারি (বিডিএস) ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়েছে। পাসের হার ৬৬ দশমিক ৫৭ শতাংশ। ভর্তি পরীক্ষায় সর্বোচ্চ প্রাপ্ত নম্বর ৯১ দশমিক ২৫।
৬ ঘণ্টা আগে
চিকিৎসাবিজ্ঞানে সব বন্ধ্যত্বের ৩০ থেকে ৪০ শতাংশের জন্য পুরুষের সমস্যা দায়ী। এ ছাড়া পুরুষের বীর্যে শুক্রাণুর সংখ্যা কমে গেলে, শুক্রাণুর গতি কম থাকলে কিংবা একেবারেই শুক্রাণু না পাওয়া গেলে এবং স্বামী-স্ত্রী নিয়মিত সহবাসের পরও যদি এক বছরের মধ্যে গর্ভধারণ না হয়, তাহলে সেটিকে বলা হয় পুরুষ বন্ধ্যত্ব।
২ দিন আগে
শীতকাল মানেই শুষ্ক, ঠান্ডা আবহাওয়া এবং তার সঙ্গে রোগজীবাণুর সহজ সংক্রমণ। এ সময় প্রধানত ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়াজনিত শ্বাসতন্ত্রের রোগগুলো দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। ঠান্ডা আবহাওয়ার কারণে আমাদের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা কিছুটা দুর্বল হয় এবং বদ্ধ জায়গায় মানুষ কাছাকাছি থাকায় রোগ সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ে।
২ দিন আগেডা. অবন্তি ঘোষ

চিকিৎসাবিজ্ঞানে সব বন্ধ্যত্বের ৩০ থেকে ৪০ শতাংশের জন্য পুরুষের সমস্যা দায়ী। এ ছাড়া পুরুষের বীর্যে শুক্রাণুর সংখ্যা কমে গেলে, শুক্রাণুর গতি কম থাকলে কিংবা একেবারেই শুক্রাণু না পাওয়া গেলে এবং স্বামী-স্ত্রী নিয়মিত সহবাসের পরও যদি এক বছরের মধ্যে গর্ভধারণ না হয়, তাহলে সেটিকে বলা হয় পুরুষ বন্ধ্যত্ব।
বীর্য পরীক্ষার পর শুক্রাণুর সংখ্যা, গতি, আকৃতি, পরিমাণ ইত্যাদি
দেখা হয়।
চিকিৎসা নির্ভর করে সমস্যা কেমন এবং কোন স্তরে রয়েছে, তার ওপর। সাধারণভাবে চিকিৎসা কয়েকটি ধাপে করা হয়।
শুক্রাণুর সংখ্যা ও গতি উন্নত করতে কিছু পুষ্টি উপাদান এবং ভিটামিন দেওয়া হয়, যেমন:
ওষুধ শুরুর পর রোগীকে তিন মাস পর্যবেক্ষণে রাখা হয়। কারণ, নতুন শুক্রাণু তৈরিতে প্রায় ৭৫ দিন লাগে।
ওষুধে উন্নতি হলে স্বামী-স্ত্রী স্বাভাবিক পদ্ধতিতে গর্ভধারণের চেষ্টা করতে পারেন। প্রয়োজনে স্ত্রীকে ডিম্বাণু উৎপাদন বাড়ানোর ওষুধ দেওয়া হয়।
ভেরিকোসিল কিংবা শুক্রনালির ব্লকেজ থাকলে সার্জারির প্রয়োজন হতে পারে।
যাঁদের বীর্যে একেবারেই শুক্রাণু পাওয়া যায় না, যাকে অ্যাজোস্পার্মিয়া বলা হয়, তাঁদের ক্ষেত্রে অণ্ডকোষ থেকে সরাসরি শুক্রাণু সংগ্রহ করে আইসিএসআই করাই সবচেয়ে কার্যকর।
গাইনি, প্রসূতি ও বন্ধ্যাত্ব রোগ বিশেষজ্ঞ, আলোক হেলথকেয়ার, মিরপুর-১০

চিকিৎসাবিজ্ঞানে সব বন্ধ্যত্বের ৩০ থেকে ৪০ শতাংশের জন্য পুরুষের সমস্যা দায়ী। এ ছাড়া পুরুষের বীর্যে শুক্রাণুর সংখ্যা কমে গেলে, শুক্রাণুর গতি কম থাকলে কিংবা একেবারেই শুক্রাণু না পাওয়া গেলে এবং স্বামী-স্ত্রী নিয়মিত সহবাসের পরও যদি এক বছরের মধ্যে গর্ভধারণ না হয়, তাহলে সেটিকে বলা হয় পুরুষ বন্ধ্যত্ব।
বীর্য পরীক্ষার পর শুক্রাণুর সংখ্যা, গতি, আকৃতি, পরিমাণ ইত্যাদি
দেখা হয়।
চিকিৎসা নির্ভর করে সমস্যা কেমন এবং কোন স্তরে রয়েছে, তার ওপর। সাধারণভাবে চিকিৎসা কয়েকটি ধাপে করা হয়।
শুক্রাণুর সংখ্যা ও গতি উন্নত করতে কিছু পুষ্টি উপাদান এবং ভিটামিন দেওয়া হয়, যেমন:
ওষুধ শুরুর পর রোগীকে তিন মাস পর্যবেক্ষণে রাখা হয়। কারণ, নতুন শুক্রাণু তৈরিতে প্রায় ৭৫ দিন লাগে।
ওষুধে উন্নতি হলে স্বামী-স্ত্রী স্বাভাবিক পদ্ধতিতে গর্ভধারণের চেষ্টা করতে পারেন। প্রয়োজনে স্ত্রীকে ডিম্বাণু উৎপাদন বাড়ানোর ওষুধ দেওয়া হয়।
ভেরিকোসিল কিংবা শুক্রনালির ব্লকেজ থাকলে সার্জারির প্রয়োজন হতে পারে।
যাঁদের বীর্যে একেবারেই শুক্রাণু পাওয়া যায় না, যাকে অ্যাজোস্পার্মিয়া বলা হয়, তাঁদের ক্ষেত্রে অণ্ডকোষ থেকে সরাসরি শুক্রাণু সংগ্রহ করে আইসিএসআই করাই সবচেয়ে কার্যকর।
গাইনি, প্রসূতি ও বন্ধ্যাত্ব রোগ বিশেষজ্ঞ, আলোক হেলথকেয়ার, মিরপুর-১০

দেশে প্রতিবছর ১৫ হাজারের বেশি নারী স্তন ক্যানসারে আক্রান্ত হচ্ছেন, যাদের বড় একটি অংশ কম বয়সী। এ জন্য এটি রোধে পরিবার থেকে সচেতনতার কার্যক্রম চালাতে হবে। একই সঙ্গে স্কুল-কলেজ পর্যায় থেকে শিক্ষার্থীদের মাঝে সচেতনতা বাড়াতে হবে। প্রয়োজনে পাঠ্যক্রমে এ বিষয়টি যুক্ত করতে হবে বলেও মনে করছেন ক্যানসার চিকিৎসক
০২ জুলাই ২০২২
দেশের সরকারি ও বেসরকারি মেডিকেল এবং ডেন্টাল কলেজে ব্যাচেলর অব মেডিসিন অ্যান্ড ব্যাচেলর অব সার্জারি (এমবিবিএস) ও ব্যাচেলর অব ডেন্টাল সার্জারি (বিডিএস) ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়েছে। পাসের হার ৬৬ দশমিক ৫৭ শতাংশ। ভর্তি পরীক্ষায় সর্বোচ্চ প্রাপ্ত নম্বর ৯১ দশমিক ২৫।
৬ ঘণ্টা আগে
ডিসেম্বর মানেই হাড়কাঁপানো শীত। আর শীত মানেই খাবারের উৎসব। খেজুরের রস, পিঠা পায়েসের কমতি হয় না এ ঋতুতে। কনকনে ঠান্ডার বিপক্ষে যুদ্ধে আমাদের প্রধান হাতিয়ার খাবার। তবে সঠিক খাবার বাছাই করা না গেলে হিতে বিপরীত হতে পারে।
২ দিন আগে
শীতকাল মানেই শুষ্ক, ঠান্ডা আবহাওয়া এবং তার সঙ্গে রোগজীবাণুর সহজ সংক্রমণ। এ সময় প্রধানত ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়াজনিত শ্বাসতন্ত্রের রোগগুলো দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। ঠান্ডা আবহাওয়ার কারণে আমাদের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা কিছুটা দুর্বল হয় এবং বদ্ধ জায়গায় মানুষ কাছাকাছি থাকায় রোগ সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ে।
২ দিন আগেডা. কাকলী হালদার

শীতকাল মানেই শুষ্ক, ঠান্ডা আবহাওয়া এবং তার সঙ্গে রোগজীবাণুর সহজ সংক্রমণ। এ সময় প্রধানত ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়াজনিত শ্বাসতন্ত্রের রোগগুলো দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। ঠান্ডা আবহাওয়ার কারণে আমাদের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা কিছুটা দুর্বল হয় এবং বদ্ধ জায়গায় মানুষ কাছাকাছি থাকায় রোগ সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ে।
সাধারণ সর্দি-কাশি: রাইনোভাইরাস দিয়ে সংক্রমণ হলে হাঁচি, নাক দিয়ে পানি পড়া এবং হালকা গলাব্যথা পর্যন্ত হতে পারে।
ইনফ্লুয়েঞ্জা: ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসের সংক্রমণ হলে সাধারণ সর্দির চেয়ে গুরুতর সমস্যা দেখা যায়। এর লক্ষণগুলোর মধ্যে রয়েছে উচ্চ জ্বর, শরীর ও পেশিতে প্রচণ্ড ব্যথা, ক্লান্তি এবং গাঢ় কাশি।
রেসপিরেটরি সিনসিশিয়াল ভাইরাস বা আরএসভি: এটি শিশুদের মধ্যে ব্রঙ্কিওলাইটিসের মতো গুরুতর শ্বাসতন্ত্রের সংক্রমণ ঘটায়।
এ ধরনের রোগ নিউমোনিয়া অথবা স্ট্রেপটোকক্কাসজনিত গলাব্যথার মতো কিছু ক্ষেত্রে গুরুতর ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণের দিকে মোড় নিতে পারে, যা অ্যান্টিবায়োটিকের মাধ্যমে চিকিৎসার প্রয়োজন হয়।
সংক্রমণ এড়াতে এবং রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়াতে কিছু সহজ পদক্ষেপ নেওয়া যেতে পারে। যেমন—
ব্যক্তিগত পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিত করা: নিয়মিত সাবান ও পানি দিয়ে খাওয়ার আগে, টয়লেট ব্যবহারের পরে, হাঁচি-কাশি দেওয়ার পরে, অপরিচ্ছন্ন কিছু স্পর্শ করার পর হাত ধোয়া জরুরি। হাঁচি-কাশির সময় রুমাল বা টিস্যু ব্যবহার করা এবং ব্যবহৃত টিস্যু নির্দিষ্ট স্থানে ফেলা উচিত।
পুষ্টিকর খাবার খাওয়া এবং পানি পান করা: পর্যাপ্ত ভিটামিন ‘সি’সমৃদ্ধ ফল; যেমন লেবু, কমলা, আমলকী ইত্যাদি এবং শাকসবজি খেয়ে রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়াতে হবে। পানিশূন্যতা এড়াতে হালকা গরম পানি পান করুন।
উষ্ণতা বজায় রাখা: কান, মাথা ও গলা ঢেকে গরম জামাকাপড় পরুন। ঘর উষ্ণ রাখুন এবং সরাসরি ঠান্ডা বাতাস এড়িয়ে চলুন।
ভিড় এড়িয়ে চলা: অসুস্থতা চলাকালে যেকোনো ভিড় অথবা জনসমাগমপূর্ণ স্থানে যাওয়া থেকে বিরত থাকুন।
টিকা নেওয়া: শিশু, বয়স্ক বা দীর্ঘমেয়াদি রোগীদের মতো ঝুঁকিপূর্ণ মানুষ চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ইনফ্লুয়েঞ্জা এবং নিউমোনিয়ার টিকা নিতে পারেন।
সহকারী অধ্যাপক, মাইক্রোবায়োলজি বিভাগ, ঢাকা মেডিকেল কলেজ।

শীতকাল মানেই শুষ্ক, ঠান্ডা আবহাওয়া এবং তার সঙ্গে রোগজীবাণুর সহজ সংক্রমণ। এ সময় প্রধানত ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়াজনিত শ্বাসতন্ত্রের রোগগুলো দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। ঠান্ডা আবহাওয়ার কারণে আমাদের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা কিছুটা দুর্বল হয় এবং বদ্ধ জায়গায় মানুষ কাছাকাছি থাকায় রোগ সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ে।
সাধারণ সর্দি-কাশি: রাইনোভাইরাস দিয়ে সংক্রমণ হলে হাঁচি, নাক দিয়ে পানি পড়া এবং হালকা গলাব্যথা পর্যন্ত হতে পারে।
ইনফ্লুয়েঞ্জা: ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসের সংক্রমণ হলে সাধারণ সর্দির চেয়ে গুরুতর সমস্যা দেখা যায়। এর লক্ষণগুলোর মধ্যে রয়েছে উচ্চ জ্বর, শরীর ও পেশিতে প্রচণ্ড ব্যথা, ক্লান্তি এবং গাঢ় কাশি।
রেসপিরেটরি সিনসিশিয়াল ভাইরাস বা আরএসভি: এটি শিশুদের মধ্যে ব্রঙ্কিওলাইটিসের মতো গুরুতর শ্বাসতন্ত্রের সংক্রমণ ঘটায়।
এ ধরনের রোগ নিউমোনিয়া অথবা স্ট্রেপটোকক্কাসজনিত গলাব্যথার মতো কিছু ক্ষেত্রে গুরুতর ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণের দিকে মোড় নিতে পারে, যা অ্যান্টিবায়োটিকের মাধ্যমে চিকিৎসার প্রয়োজন হয়।
সংক্রমণ এড়াতে এবং রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়াতে কিছু সহজ পদক্ষেপ নেওয়া যেতে পারে। যেমন—
ব্যক্তিগত পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিত করা: নিয়মিত সাবান ও পানি দিয়ে খাওয়ার আগে, টয়লেট ব্যবহারের পরে, হাঁচি-কাশি দেওয়ার পরে, অপরিচ্ছন্ন কিছু স্পর্শ করার পর হাত ধোয়া জরুরি। হাঁচি-কাশির সময় রুমাল বা টিস্যু ব্যবহার করা এবং ব্যবহৃত টিস্যু নির্দিষ্ট স্থানে ফেলা উচিত।
পুষ্টিকর খাবার খাওয়া এবং পানি পান করা: পর্যাপ্ত ভিটামিন ‘সি’সমৃদ্ধ ফল; যেমন লেবু, কমলা, আমলকী ইত্যাদি এবং শাকসবজি খেয়ে রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়াতে হবে। পানিশূন্যতা এড়াতে হালকা গরম পানি পান করুন।
উষ্ণতা বজায় রাখা: কান, মাথা ও গলা ঢেকে গরম জামাকাপড় পরুন। ঘর উষ্ণ রাখুন এবং সরাসরি ঠান্ডা বাতাস এড়িয়ে চলুন।
ভিড় এড়িয়ে চলা: অসুস্থতা চলাকালে যেকোনো ভিড় অথবা জনসমাগমপূর্ণ স্থানে যাওয়া থেকে বিরত থাকুন।
টিকা নেওয়া: শিশু, বয়স্ক বা দীর্ঘমেয়াদি রোগীদের মতো ঝুঁকিপূর্ণ মানুষ চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ইনফ্লুয়েঞ্জা এবং নিউমোনিয়ার টিকা নিতে পারেন।
সহকারী অধ্যাপক, মাইক্রোবায়োলজি বিভাগ, ঢাকা মেডিকেল কলেজ।

দেশে প্রতিবছর ১৫ হাজারের বেশি নারী স্তন ক্যানসারে আক্রান্ত হচ্ছেন, যাদের বড় একটি অংশ কম বয়সী। এ জন্য এটি রোধে পরিবার থেকে সচেতনতার কার্যক্রম চালাতে হবে। একই সঙ্গে স্কুল-কলেজ পর্যায় থেকে শিক্ষার্থীদের মাঝে সচেতনতা বাড়াতে হবে। প্রয়োজনে পাঠ্যক্রমে এ বিষয়টি যুক্ত করতে হবে বলেও মনে করছেন ক্যানসার চিকিৎসক
০২ জুলাই ২০২২
দেশের সরকারি ও বেসরকারি মেডিকেল এবং ডেন্টাল কলেজে ব্যাচেলর অব মেডিসিন অ্যান্ড ব্যাচেলর অব সার্জারি (এমবিবিএস) ও ব্যাচেলর অব ডেন্টাল সার্জারি (বিডিএস) ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়েছে। পাসের হার ৬৬ দশমিক ৫৭ শতাংশ। ভর্তি পরীক্ষায় সর্বোচ্চ প্রাপ্ত নম্বর ৯১ দশমিক ২৫।
৬ ঘণ্টা আগে
ডিসেম্বর মানেই হাড়কাঁপানো শীত। আর শীত মানেই খাবারের উৎসব। খেজুরের রস, পিঠা পায়েসের কমতি হয় না এ ঋতুতে। কনকনে ঠান্ডার বিপক্ষে যুদ্ধে আমাদের প্রধান হাতিয়ার খাবার। তবে সঠিক খাবার বাছাই করা না গেলে হিতে বিপরীত হতে পারে।
২ দিন আগে
চিকিৎসাবিজ্ঞানে সব বন্ধ্যত্বের ৩০ থেকে ৪০ শতাংশের জন্য পুরুষের সমস্যা দায়ী। এ ছাড়া পুরুষের বীর্যে শুক্রাণুর সংখ্যা কমে গেলে, শুক্রাণুর গতি কম থাকলে কিংবা একেবারেই শুক্রাণু না পাওয়া গেলে এবং স্বামী-স্ত্রী নিয়মিত সহবাসের পরও যদি এক বছরের মধ্যে গর্ভধারণ না হয়, তাহলে সেটিকে বলা হয় পুরুষ বন্ধ্যত্ব।
২ দিন আগে