বিশেষ প্রতিনিধি, ঢাকা
বাংলাদেশের ৯৭ শতাংশ মানুষ সপ্তাহে অন্তত একবার প্রক্রিয়াজাত প্যাকেটকৃত খাবার গ্রহণ করেন। এসব খাবারে রয়েছে প্রয়োজনের তুলনায় অনেক বেশি লবণ।
আজ রোববার ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউটের মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত ‘প্রক্রিয়াজাত প্যাকেটকৃত খাবারে লবণ নিয়ন্ত্রণ’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন।
ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশ এবং রিসলভ টু সেইভ লাইভস (আরটিএসএল) এর সহযোগিতায় এই মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন হাসপাতালের রেজিস্ট্রার (ক্লিনিক্যাল রিসার্চ) ডা. শেখ মো. মাহবুবুস সোবহান। তিনি বলেন, এক হাজার ৩৯৭ ধরনের প্রক্রিয়াজাত প্যাকেটকৃত খাবার দেশের বাজারে পাওয়া গেছে। এর মধ্যে ১০৫ ধরনের প্রক্রিয়াজাত প্যাকেটকৃত খাবার ল্যাবে পরীক্ষা করে দেখা গেছে, ৬২ শতাংশ প্রক্রিয়াজাত প্যাকেটকৃত খাবারে অধিক মাত্রায় লবণ রয়েছে। এর মধ্যে ৩৫.২ শতাংশ খাবারে অত্যধিক এবং ২৬.৭ শতাংশ খাবারে বেশি লবণ রয়েছে। আর ৩৮.১ শতাংশ প্রক্রিয়াজাত প্যাকেটকৃত খাবারে সঠিক মাত্রায় লবণ রয়েছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পুষ্টি ও খাদ্য বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক নাজমা শাহীন বলেন, প্রক্রিয়াজাত প্যাকেটকৃত খাবারে অতিরিক্ত লবণ থাকে। তারপরও সাধারণ মানুষ এটি গ্রহণ করছে। এর কারণ সচেতনতার অভাব। তাই ভোক্তাদের সচেতন করতে হবে। এ জন্য প্রক্রিয়াজাত প্যাকেটকৃত খাবারের ‘ফ্রন্ট অব প্যাক লেবেলিং’ অর্থাৎ সামনের দিকে পণ্যের খাদ্য উপাদানের তথ্য থাকতে হবে।
মতবিনিময় সভায় জাতীয় ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) এএইচএম সফিকুজ্জামান বলেন, খাদ্যে লবণ ব্যবহারের পরিমাণ নিয়ে এই মুহূর্তে কোনো আইন নেই। তাই সাধারণ মানুষকে অতিরিক্ত লবণ গ্রহণের ক্ষতিকর দিকসমূহ জানাতে হবে।
সভার সভাপতির বক্তব্যে ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশনের যুগ্ম মহাসচিব অধ্যাপক ফজিলা-তুন-নেসা মালিক বলেন, প্রক্রিয়াজাত প্যাকেটকৃত খাবারে লবণের সঠিক ব্যবহারের জন্য সরকারকে পদক্ষেপ নিতে হবে। সর্বোচ্চ কী পরিমাণ লবণ ব্যবহার করা যাবে, সেটি নির্ধারণ করে দেওয়া। প্যাকেটের সামনে লেবেল ঠিক পরিমান উল্লেখ করা। খাবারে অতিরিক্ত লবণ ব্যবহারের ক্ষতিকর দিক নিয়ে সচেতনতামূলক প্রচার-প্রচারণা চালানো।
মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন—গ্লোবাল হেলথ অ্যাডভোকেসি ইনকিউবেটরের কান্ট্রি লিড-বাংলাদেশ মুহাম্মদ রুহুল কুদ্দুস, হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার (অব.) অধ্যাপক ডা. ইউনুছুর রহমান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পুষ্টি ও খাদ্য বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক খালেদা ইসলাম, বাংলাদেশ ফুড সেফটি অথোরিটি’র সদস্য অধ্যাপক ড. আব্দুল আলীম, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ন্যাশনাল প্রফেশনাল অফিসার (নিউট্রিশন) ফারিয়া শবনব ও ন্যাশনাল প্রফেশনাল অফিসার (এনসিডি) ডা. ফারজানা আক্তার ডরিন, জাতীয় পুষ্টিসেবার প্রোগ্রাম ম্যানেজার ডা. ফাতেমা আক্তার প্রমুখ।
বাংলাদেশের ৯৭ শতাংশ মানুষ সপ্তাহে অন্তত একবার প্রক্রিয়াজাত প্যাকেটকৃত খাবার গ্রহণ করেন। এসব খাবারে রয়েছে প্রয়োজনের তুলনায় অনেক বেশি লবণ।
আজ রোববার ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউটের মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত ‘প্রক্রিয়াজাত প্যাকেটকৃত খাবারে লবণ নিয়ন্ত্রণ’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন।
ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশ এবং রিসলভ টু সেইভ লাইভস (আরটিএসএল) এর সহযোগিতায় এই মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন হাসপাতালের রেজিস্ট্রার (ক্লিনিক্যাল রিসার্চ) ডা. শেখ মো. মাহবুবুস সোবহান। তিনি বলেন, এক হাজার ৩৯৭ ধরনের প্রক্রিয়াজাত প্যাকেটকৃত খাবার দেশের বাজারে পাওয়া গেছে। এর মধ্যে ১০৫ ধরনের প্রক্রিয়াজাত প্যাকেটকৃত খাবার ল্যাবে পরীক্ষা করে দেখা গেছে, ৬২ শতাংশ প্রক্রিয়াজাত প্যাকেটকৃত খাবারে অধিক মাত্রায় লবণ রয়েছে। এর মধ্যে ৩৫.২ শতাংশ খাবারে অত্যধিক এবং ২৬.৭ শতাংশ খাবারে বেশি লবণ রয়েছে। আর ৩৮.১ শতাংশ প্রক্রিয়াজাত প্যাকেটকৃত খাবারে সঠিক মাত্রায় লবণ রয়েছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পুষ্টি ও খাদ্য বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক নাজমা শাহীন বলেন, প্রক্রিয়াজাত প্যাকেটকৃত খাবারে অতিরিক্ত লবণ থাকে। তারপরও সাধারণ মানুষ এটি গ্রহণ করছে। এর কারণ সচেতনতার অভাব। তাই ভোক্তাদের সচেতন করতে হবে। এ জন্য প্রক্রিয়াজাত প্যাকেটকৃত খাবারের ‘ফ্রন্ট অব প্যাক লেবেলিং’ অর্থাৎ সামনের দিকে পণ্যের খাদ্য উপাদানের তথ্য থাকতে হবে।
মতবিনিময় সভায় জাতীয় ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) এএইচএম সফিকুজ্জামান বলেন, খাদ্যে লবণ ব্যবহারের পরিমাণ নিয়ে এই মুহূর্তে কোনো আইন নেই। তাই সাধারণ মানুষকে অতিরিক্ত লবণ গ্রহণের ক্ষতিকর দিকসমূহ জানাতে হবে।
সভার সভাপতির বক্তব্যে ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশনের যুগ্ম মহাসচিব অধ্যাপক ফজিলা-তুন-নেসা মালিক বলেন, প্রক্রিয়াজাত প্যাকেটকৃত খাবারে লবণের সঠিক ব্যবহারের জন্য সরকারকে পদক্ষেপ নিতে হবে। সর্বোচ্চ কী পরিমাণ লবণ ব্যবহার করা যাবে, সেটি নির্ধারণ করে দেওয়া। প্যাকেটের সামনে লেবেল ঠিক পরিমান উল্লেখ করা। খাবারে অতিরিক্ত লবণ ব্যবহারের ক্ষতিকর দিক নিয়ে সচেতনতামূলক প্রচার-প্রচারণা চালানো।
মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন—গ্লোবাল হেলথ অ্যাডভোকেসি ইনকিউবেটরের কান্ট্রি লিড-বাংলাদেশ মুহাম্মদ রুহুল কুদ্দুস, হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার (অব.) অধ্যাপক ডা. ইউনুছুর রহমান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পুষ্টি ও খাদ্য বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক খালেদা ইসলাম, বাংলাদেশ ফুড সেফটি অথোরিটি’র সদস্য অধ্যাপক ড. আব্দুল আলীম, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ন্যাশনাল প্রফেশনাল অফিসার (নিউট্রিশন) ফারিয়া শবনব ও ন্যাশনাল প্রফেশনাল অফিসার (এনসিডি) ডা. ফারজানা আক্তার ডরিন, জাতীয় পুষ্টিসেবার প্রোগ্রাম ম্যানেজার ডা. ফাতেমা আক্তার প্রমুখ।
সুস্থভাবে জীবনযাপন করার জন্য দেহের পুষ্টির চাহিদা মেটাতে হয়। সাধারণত পুষ্টির কথা ভাবলে মনে করি সবটুকুই আমার খাদ্য থেকেই অর্জন করি। তবে এই ধারণাটি ভুল বললেন বিজ্ঞানীরা। নতুন গবেষণায় বলা যায়, মানুষ কিছু পুষ্টি বায়ু থেকেও শোষণ করতে পারে!
৩ দিন আগেবিশ্বজুড়ে কোটি কোটি মানুষকে প্রভাবিত করে উচ্চ রক্তচাপ বা হাইপারটেনশন। হৃদরোগ, স্ট্রোক, কিডনির ক্ষতি এবং দৃষ্টি শক্তিসহ বেশ কিছু গুরুতর স্বাস্থ্য সমস্যার প্রধান ঝুঁকির কারণ এটি। এই ধরনের ঝুঁকি কমানোর জন্য স্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রা ও বিভিন্ন ধরনের ওষুধ সেবনের পরামর্শ দেন চিকিৎসকেরা। তবে সম্প্রতি যুক্তরাষ
৪ দিন আগেডেঙ্গু ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও ১ হাজার ৩৮৯ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। এ নিয়ে চলতি বছরে আজ রোববার পর্যন্ত এ রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হলো ৭৯ হাজার ৯৮৪ জন। মারা গেছে আরও আটজন।
৫ দিন আগেএমন সময়ে এই গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশিত হলো, যখন ইংল্যান্ডে একটি লক্ষ্যভিত্তিক ফুসফুস স্বাস্থ্য পরীক্ষা কর্মসূচি চালু করা হয়েছে। এই কর্মসূচির লক্ষ্য ২০২৫ সালের মার্চের মধ্যে সম্ভাব্য ৪০ শতাংশ ব্যক্তিকে স্ক্রিনিং করা এবং ২০৩০ সালের মধ্যে সবাইকে এর আওতায় আনা।
৬ দিন আগে