অধ্যাপক ডা. সানজিদা শাহরিয়া
‘অফিসে গিয়ে এক মুহূর্ত মনে হয় শ্বাস নিতে পারি না। আমার এক সহকর্মী ভদ্রমহিলা যেন আমাদের বসকে পরিচালনা করে। মজার ব্যাপার হলো আগের বসও তাঁর খুব কাছের মানুষ ছিলেন; আবার নতুন বসকেও নাকে দড়ি দিয়ে ঘুরায়। এখন এমন এক অবস্থা করেছে যে এর অনুমতি ছাড়া আমরা কেউ বসের রুমে ঢুকতে পারি না। বিশ্বাস করা যায়? ডিপার্টমেন্টের এমন কেউ নেই যাঁর বিরুদ্ধে সে কথা বলে না, একজনের কথা আরেকজনকে নিজের মত করে লাগায়।’
আমার চেম্বারে কাউন্সেলিং নিতে আসা কর্মজীবী নারীটি এভাবেই বলে গেলেন। খানিকক্ষণ নিঃশ্বাস নিয়ে আবার বলতে শুরু করলেন, ‘ ভদ্রমহিলা আপনার সামনে এমনভাবে আপনাকে জড়িয়ে ধরে ছবি তুলবেন যেন আপনার জন্য তার প্রাণ কাঁদতে কাঁদতে শেষ। অথচ মূল লক্ষ্য হচ্ছে আপনাকে কন্ট্রোল করা। এইজন্য যদি আপনার নামে কুৎসা রটাতে হয় সে কুৎসা রটাবেন, যদি আপনাকে অপদস্থ করতে হয় আপনাকে অপদস্থ করবেন। প্রত্যেকের সাথে ব্যক্তিগত সম্পর্ক রাখবেন। সেই সম্পর্ক নানান ভাঁজের। ইনিয়ে বিনিয়ে সত্য-মিথ্যা মিলিয়ে এমন ভাবে তথ্য উপস্থাপন করবেন যেখানে সবাই মনে করবে আপনারই দোষ। বিশেষ করে ডিপার্টমেন্টে প্রত্যেকের ব্যক্তিগত ব্যাপার নিয়ে গুজগুজ ফুসফুস করবে, সমালোচনা করা যেন এর মজ্জাগত। আপনি টেরই পাবেন না কখন দোষী হয়ে গেছেন অপরের চোখে।’
তাঁর বর্ণনায় বোঝা গেল, তাঁর সহকর্মী নারীটিযে পরিমাণ অসম্মান এবং অবজ্ঞা তাঁকে করেন, তাতে তাঁর নিজের কাজ চালিয়ে যাওয়া প্রায় দুর্বিসহ হয়ে উঠছে। চাকরিটা যদি ছেড়ে দিতে পারতেন তবেই যেন রেহাই পেতেন। কিন্তু তার পরিস্থিতি হয়ত চাকরি ছেড়ে দেওয়ার মতোও নয়।
এবার আসা যাক মূল কথায়, যাঁকে নিয়ে অভিযোগ, সেই অভিযুক্ত নারী সম্ভবত 'কুইন বি সিনড্রোমে ' ভুগছেন। ১৯৭৩ সালে ক্যারল অ্যান টাভ্রিস একজন আমেরিকান, সামাজিক মনোবিজ্ঞানী, নারীবাদী; তাঁর দুই সহযোগী সহ সর্বপ্রথম মনস্তত্ত্বে এই তত্ত্ব উপস্থাপন করেন। একটি মৌচাকে রানী মৌমাছি যেমন অন্য কোন নারী মৌমাছিকে বেঁচে থাকতে দেয় না, মৌচাকের সম্পূর্ণ অধিকার নিজের উপর নিয়ে নেয়, ঠিক সেরকম কুইন বি তে আক্রান্ত ব্যক্তি নিজেকে ছাপিয়ে অন্য কাউকে উঠতে দেন না।
কুইন বি কারা
‘কুইন বি’ উপাধি নারীদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য, যাঁরা পুরুষ-শাসিত ক্ষেত্রে সাফল্য অর্জন করে। এ ধরনের নারীরা কর্মক্ষেত্রে নিজেদেরকে উপরে প্রতিস্থাপন করেন এবং সাধারণত অন্য নারী কোনভাবেই উপরে উঠুক সেটা সহ্য করতে পারেন না। ব্রিটিশ সাইকোলজি সোসাইটির মতে, যে প্রতিষ্ঠানের অবচেতন সংস্কৃতি– পুরুষ প্রাধান্য নির্ভর, সেসব জায়গায় 'কুইন বি সিনড্রোমে' আক্রান্ত, ক্ষমতালোভী শীর্ষ পদে যেতে আগ্রহী নারীদের দেখা যায়। এরা অহংকারী, আত্নকেন্দ্রিক, ম্যানিপুলাটিভ, দুর্বিনীত, অগভীর মানসিকতা সম্পন্ন, সহকর্মীদেরকে ভয় দিয়ে অবদমন করে।
এ ধরনের নারীরা কর্মক্ষেত্রে নিজেদের একটি গ্রুপ তৈরি করেন, সেই গ্রুপে সবাইকে প্রবেশাধিকার দেয় না এবং নিজেকে অন্যদের থেকে বিচ্ছিন্ন করে রাখেন উচ্চতর মানুষ হিসেবে। মজার ব্যাপার হচ্ছে কর্মক্ষেত্রে জুনিয়ররা কুইন বি এর আচরণ অবমাননাকর হিসেবে বুঝতে পারলেও প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কৃতির অসম্যতার কারণে উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা কিন্তু সেটা বুঝতে পারেন না। কর্মকর্তারা অন্ধের মতো তোষামোদকারী কুইন বি এর উপরে আস্থা রাখেন। কিন্তু উর্ধ্বতনদের গদি চলে গেলে কুইন বি তখন তাঁদের বিন্দুমাত্র পাত্তা দেয় না। ফলে শীর্ষস্থানীয় পদে যারা অধিষ্ঠিত তাদের সচেতন হওয়া প্রয়োজন।
গবেষণায় দেখা গেছে, যেসব নারীরা (সবাই নন) যখন ক্ষমতাসীন অবস্থায় পৌঁছাচ্ছেন তখন অধীনস্থ নারী সহকর্মীদের সাথে তারা পুরুষদের তুলনায় অধিক প্রতিকূল এবং বৈষম্যমূলক আচরণ করছেন। ফলে যিনি কুইন বি তার প্রকৃতপক্ষে অন্যদের সাথে আন্ত সম্পর্কের বন্ধন দুর্বল। যদিও মুখে মুখে সবাই তাকে তোয়াজ করে।
কুইন বি এর আচরণের উদ্দেশ্য কী?
এ ধরনের আচরণের প্রধান উদ্দেশ্য হচ্ছে, তাঁরা তাদের অধীনস্থ নারী কর্মচারীদের থেকে নিজেদেরকে সামাজিকভাবে অধিক গুরুত্বপূর্ণ এবং আলাদা প্রমাণ করা। ফলে তাদের মধ্যে যে একটি শক্তিশালী পৌরষ চেতনা আছে অধীনস্ত নারীদের অবদমন করে তারা সেটা প্রমাণ করতে চান অবচেতনভাবে।
শুধু তাই নয় কুইন বি নিজেও কিন্তু সব সময় ভয়ে ভয়ে থাকেন যে এই বুঝি কেউ তার সাফল্য কেড়ে নিয়ে গেল। ফলে কুইন বি নিজে সব সময় তটস্থ থাকেন, চেষ্টা করেন অন্যদের টেক্কা দিয়ে নিজের আধিপত্য বজায় রাখতে। এর পরিণতি স্বরূপ যদি দলে নতুন কোন নারী সদস্য গ্রুপে যুক্ত হন তবে কুইন বি উঠে পড়ে লাগেন নতুন আগত সদস্যকে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য। সদ্য আগত নতুন নারী সদস্যটিকে নিয়ে নানাবিধ গুজব, অপপ্রচার, মিথ্যে কথা বলা কোন কিছুতেই কুইন বি কুন্ঠিত হয় না। ধরা পড়ে গেলে এমন একটা ভাব দেখান যেন, ‘আমি তো বুঝতে পারিনি’, অথবা ‘আমি তো কিছু জানি না।’
লক্ষণ ও উপসর্গ
কুইন বি’র বৈশিষ্ট্য়
সমাজতত্ত্ব বলে, কুইন বি একজন নারী যিনি একটি দলকে নিয়ন্ত্রণ করেন তাঁর পছন্দের অবস্থানে থেকে। মনে রাখা প্রয়োজন, এই নিয়ন্ত্রণ তিনি করছেন, সম্পূর্ন নিজের ক্ষমতার লোভে, ক্ষমতালিপ্সা থেকে। তিনি নিজের লাভ ছাড়া একটি কাজও করবেন না। এরা প্রধানত ভয় দিয়ে অন্যকে নিয়ন্ত্রণ করেন।
কর্মক্ষেত্রে কুইন বি ও সতর্কতা
যেভাবে কুইন বি সিনড্রোমে আক্রান্ত থেকে বাঁচবেন
প্রথমেই নিজের চোখে আয়না ধরুন যখন দেখছেন একজন মানুষ আপনার প্রতি সহমর্মিতার হাত বাড়াচ্ছে না। প্রশ্ন করুন কেন হাত বাড়াচ্ছে না? আপনার নির্দিষ্ট কোন আচরণটির জন্য হাত বাড়াচ্ছে না?
লেখক: চিকিৎসক, কাউন্সিলর, সাইকোথেরাপি প্র্যাকটিশনার, ফিনিক্স ওয়েলনেস সেন্টার, বাংলাদেশ।
‘অফিসে গিয়ে এক মুহূর্ত মনে হয় শ্বাস নিতে পারি না। আমার এক সহকর্মী ভদ্রমহিলা যেন আমাদের বসকে পরিচালনা করে। মজার ব্যাপার হলো আগের বসও তাঁর খুব কাছের মানুষ ছিলেন; আবার নতুন বসকেও নাকে দড়ি দিয়ে ঘুরায়। এখন এমন এক অবস্থা করেছে যে এর অনুমতি ছাড়া আমরা কেউ বসের রুমে ঢুকতে পারি না। বিশ্বাস করা যায়? ডিপার্টমেন্টের এমন কেউ নেই যাঁর বিরুদ্ধে সে কথা বলে না, একজনের কথা আরেকজনকে নিজের মত করে লাগায়।’
আমার চেম্বারে কাউন্সেলিং নিতে আসা কর্মজীবী নারীটি এভাবেই বলে গেলেন। খানিকক্ষণ নিঃশ্বাস নিয়ে আবার বলতে শুরু করলেন, ‘ ভদ্রমহিলা আপনার সামনে এমনভাবে আপনাকে জড়িয়ে ধরে ছবি তুলবেন যেন আপনার জন্য তার প্রাণ কাঁদতে কাঁদতে শেষ। অথচ মূল লক্ষ্য হচ্ছে আপনাকে কন্ট্রোল করা। এইজন্য যদি আপনার নামে কুৎসা রটাতে হয় সে কুৎসা রটাবেন, যদি আপনাকে অপদস্থ করতে হয় আপনাকে অপদস্থ করবেন। প্রত্যেকের সাথে ব্যক্তিগত সম্পর্ক রাখবেন। সেই সম্পর্ক নানান ভাঁজের। ইনিয়ে বিনিয়ে সত্য-মিথ্যা মিলিয়ে এমন ভাবে তথ্য উপস্থাপন করবেন যেখানে সবাই মনে করবে আপনারই দোষ। বিশেষ করে ডিপার্টমেন্টে প্রত্যেকের ব্যক্তিগত ব্যাপার নিয়ে গুজগুজ ফুসফুস করবে, সমালোচনা করা যেন এর মজ্জাগত। আপনি টেরই পাবেন না কখন দোষী হয়ে গেছেন অপরের চোখে।’
তাঁর বর্ণনায় বোঝা গেল, তাঁর সহকর্মী নারীটিযে পরিমাণ অসম্মান এবং অবজ্ঞা তাঁকে করেন, তাতে তাঁর নিজের কাজ চালিয়ে যাওয়া প্রায় দুর্বিসহ হয়ে উঠছে। চাকরিটা যদি ছেড়ে দিতে পারতেন তবেই যেন রেহাই পেতেন। কিন্তু তার পরিস্থিতি হয়ত চাকরি ছেড়ে দেওয়ার মতোও নয়।
এবার আসা যাক মূল কথায়, যাঁকে নিয়ে অভিযোগ, সেই অভিযুক্ত নারী সম্ভবত 'কুইন বি সিনড্রোমে ' ভুগছেন। ১৯৭৩ সালে ক্যারল অ্যান টাভ্রিস একজন আমেরিকান, সামাজিক মনোবিজ্ঞানী, নারীবাদী; তাঁর দুই সহযোগী সহ সর্বপ্রথম মনস্তত্ত্বে এই তত্ত্ব উপস্থাপন করেন। একটি মৌচাকে রানী মৌমাছি যেমন অন্য কোন নারী মৌমাছিকে বেঁচে থাকতে দেয় না, মৌচাকের সম্পূর্ণ অধিকার নিজের উপর নিয়ে নেয়, ঠিক সেরকম কুইন বি তে আক্রান্ত ব্যক্তি নিজেকে ছাপিয়ে অন্য কাউকে উঠতে দেন না।
কুইন বি কারা
‘কুইন বি’ উপাধি নারীদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য, যাঁরা পুরুষ-শাসিত ক্ষেত্রে সাফল্য অর্জন করে। এ ধরনের নারীরা কর্মক্ষেত্রে নিজেদেরকে উপরে প্রতিস্থাপন করেন এবং সাধারণত অন্য নারী কোনভাবেই উপরে উঠুক সেটা সহ্য করতে পারেন না। ব্রিটিশ সাইকোলজি সোসাইটির মতে, যে প্রতিষ্ঠানের অবচেতন সংস্কৃতি– পুরুষ প্রাধান্য নির্ভর, সেসব জায়গায় 'কুইন বি সিনড্রোমে' আক্রান্ত, ক্ষমতালোভী শীর্ষ পদে যেতে আগ্রহী নারীদের দেখা যায়। এরা অহংকারী, আত্নকেন্দ্রিক, ম্যানিপুলাটিভ, দুর্বিনীত, অগভীর মানসিকতা সম্পন্ন, সহকর্মীদেরকে ভয় দিয়ে অবদমন করে।
এ ধরনের নারীরা কর্মক্ষেত্রে নিজেদের একটি গ্রুপ তৈরি করেন, সেই গ্রুপে সবাইকে প্রবেশাধিকার দেয় না এবং নিজেকে অন্যদের থেকে বিচ্ছিন্ন করে রাখেন উচ্চতর মানুষ হিসেবে। মজার ব্যাপার হচ্ছে কর্মক্ষেত্রে জুনিয়ররা কুইন বি এর আচরণ অবমাননাকর হিসেবে বুঝতে পারলেও প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কৃতির অসম্যতার কারণে উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা কিন্তু সেটা বুঝতে পারেন না। কর্মকর্তারা অন্ধের মতো তোষামোদকারী কুইন বি এর উপরে আস্থা রাখেন। কিন্তু উর্ধ্বতনদের গদি চলে গেলে কুইন বি তখন তাঁদের বিন্দুমাত্র পাত্তা দেয় না। ফলে শীর্ষস্থানীয় পদে যারা অধিষ্ঠিত তাদের সচেতন হওয়া প্রয়োজন।
গবেষণায় দেখা গেছে, যেসব নারীরা (সবাই নন) যখন ক্ষমতাসীন অবস্থায় পৌঁছাচ্ছেন তখন অধীনস্থ নারী সহকর্মীদের সাথে তারা পুরুষদের তুলনায় অধিক প্রতিকূল এবং বৈষম্যমূলক আচরণ করছেন। ফলে যিনি কুইন বি তার প্রকৃতপক্ষে অন্যদের সাথে আন্ত সম্পর্কের বন্ধন দুর্বল। যদিও মুখে মুখে সবাই তাকে তোয়াজ করে।
কুইন বি এর আচরণের উদ্দেশ্য কী?
এ ধরনের আচরণের প্রধান উদ্দেশ্য হচ্ছে, তাঁরা তাদের অধীনস্থ নারী কর্মচারীদের থেকে নিজেদেরকে সামাজিকভাবে অধিক গুরুত্বপূর্ণ এবং আলাদা প্রমাণ করা। ফলে তাদের মধ্যে যে একটি শক্তিশালী পৌরষ চেতনা আছে অধীনস্ত নারীদের অবদমন করে তারা সেটা প্রমাণ করতে চান অবচেতনভাবে।
শুধু তাই নয় কুইন বি নিজেও কিন্তু সব সময় ভয়ে ভয়ে থাকেন যে এই বুঝি কেউ তার সাফল্য কেড়ে নিয়ে গেল। ফলে কুইন বি নিজে সব সময় তটস্থ থাকেন, চেষ্টা করেন অন্যদের টেক্কা দিয়ে নিজের আধিপত্য বজায় রাখতে। এর পরিণতি স্বরূপ যদি দলে নতুন কোন নারী সদস্য গ্রুপে যুক্ত হন তবে কুইন বি উঠে পড়ে লাগেন নতুন আগত সদস্যকে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য। সদ্য আগত নতুন নারী সদস্যটিকে নিয়ে নানাবিধ গুজব, অপপ্রচার, মিথ্যে কথা বলা কোন কিছুতেই কুইন বি কুন্ঠিত হয় না। ধরা পড়ে গেলে এমন একটা ভাব দেখান যেন, ‘আমি তো বুঝতে পারিনি’, অথবা ‘আমি তো কিছু জানি না।’
লক্ষণ ও উপসর্গ
কুইন বি’র বৈশিষ্ট্য়
সমাজতত্ত্ব বলে, কুইন বি একজন নারী যিনি একটি দলকে নিয়ন্ত্রণ করেন তাঁর পছন্দের অবস্থানে থেকে। মনে রাখা প্রয়োজন, এই নিয়ন্ত্রণ তিনি করছেন, সম্পূর্ন নিজের ক্ষমতার লোভে, ক্ষমতালিপ্সা থেকে। তিনি নিজের লাভ ছাড়া একটি কাজও করবেন না। এরা প্রধানত ভয় দিয়ে অন্যকে নিয়ন্ত্রণ করেন।
কর্মক্ষেত্রে কুইন বি ও সতর্কতা
যেভাবে কুইন বি সিনড্রোমে আক্রান্ত থেকে বাঁচবেন
প্রথমেই নিজের চোখে আয়না ধরুন যখন দেখছেন একজন মানুষ আপনার প্রতি সহমর্মিতার হাত বাড়াচ্ছে না। প্রশ্ন করুন কেন হাত বাড়াচ্ছে না? আপনার নির্দিষ্ট কোন আচরণটির জন্য হাত বাড়াচ্ছে না?
লেখক: চিকিৎসক, কাউন্সিলর, সাইকোথেরাপি প্র্যাকটিশনার, ফিনিক্স ওয়েলনেস সেন্টার, বাংলাদেশ।
সুস্থভাবে জীবনযাপন করার জন্য দেহের পুষ্টির চাহিদা মেটাতে হয়। সাধারণত পুষ্টির কথা ভাবলে মনে করি সবটুকুই আমার খাদ্য থেকেই অর্জন করি। তবে এই ধারণাটি ভুল বললেন বিজ্ঞানীরা। নতুন গবেষণায় বলা যায়, মানুষ কিছু পুষ্টি বায়ু থেকেও শোষণ করতে পারে!
৩ দিন আগেবিশ্বজুড়ে কোটি কোটি মানুষকে প্রভাবিত করে উচ্চ রক্তচাপ বা হাইপারটেনশন। হৃদরোগ, স্ট্রোক, কিডনির ক্ষতি এবং দৃষ্টি শক্তিসহ বেশ কিছু গুরুতর স্বাস্থ্য সমস্যার প্রধান ঝুঁকির কারণ এটি। এই ধরনের ঝুঁকি কমানোর জন্য স্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রা ও বিভিন্ন ধরনের ওষুধ সেবনের পরামর্শ দেন চিকিৎসকেরা। তবে সম্প্রতি যুক্তরাষ
৪ দিন আগেডেঙ্গু ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও ১ হাজার ৩৮৯ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। এ নিয়ে চলতি বছরে আজ রোববার পর্যন্ত এ রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হলো ৭৯ হাজার ৯৮৪ জন। মারা গেছে আরও আটজন।
৫ দিন আগেএমন সময়ে এই গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশিত হলো, যখন ইংল্যান্ডে একটি লক্ষ্যভিত্তিক ফুসফুস স্বাস্থ্য পরীক্ষা কর্মসূচি চালু করা হয়েছে। এই কর্মসূচির লক্ষ্য ২০২৫ সালের মার্চের মধ্যে সম্ভাব্য ৪০ শতাংশ ব্যক্তিকে স্ক্রিনিং করা এবং ২০৩০ সালের মধ্যে সবাইকে এর আওতায় আনা।
৬ দিন আগে