লিনা আকতার
সুষম খাদ্য চোখের সাধারণ সুস্থতা ও বিভিন্ন ধরনের সমস্যার ঝুঁকি কমাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তবে সুষম খাদ্যের পাশাপাশি অ্যান্টি-অক্সিজেনসমৃদ্ধ খাবার নিয়মিত খেলে তা চোখ ভালো রাখতে বিশেষ উপকার করবে।
চোখ ভালো রাখতে যা খাবেন
» ভিটামিন এ: এই ভিটামিনের অভাবে রাতকানা রোগ হয়। তাই ভিটামিন এ-সমৃদ্ধ খাবার, যেমন ডিম, গরু ও খাসির কলিজা, ঘি, মাখন, দুধ ও দই ইত্যাদি খেতে হবে। এগুলোয় প্রচুর ভিটামিন এ এবং জিংক রয়েছে।
» ভিটামিন সি: এটি চোখের রক্ত চলাচল, সংক্রমণ, কোষ নষ্ট হওয়া এবং প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে। এ জন্য লেবু, আমড়া, আমলকী, কাঁচা মরিচ, আঙুর ইত্যাদি ভিটামিন সি-সমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে।
» গাঢ় পাতাযুক্ত সবুজ শাকসবজি: এগুলো ভিটামিন সি ও ই-সমৃদ্ধ। এ ছাড়া এগুলোয় ক্যারোটিনয়েড, লুটেইন ও জেক্রানথিন রয়েছে। এই উপাদানগুলোতে আছে ভিটামিন এ। চোখের ছানি এবং এএমডির ঝুঁকি কমায় এগুলো। চোখ চুলকানো ও শুকনো চোখে আলসার না হতে ভূমিকা পালন করে পালংশাক।
» বিভিন্ন ফল ও শাকসবজি: বিভিন্ন ফল ও শাকসবজি, যেমন গাজর, মিষ্টিআলু, পেঁপে, আম, এপ্রিকটস ইত্যাদি ফলে বিটাক্যারোটিন বেশি থাকে। এটি ভিটামিন এ-এর একটি সমৃদ্ধ রূপ, যা রাতের দৃষ্টিশক্তি উন্নত করে, চোখের যেকোনো সংক্রমণ থেকে রক্ষা করে। এ ছাড়া এটি রেটিনা রক্ষা করার জন্য ক্ষতিকর নীল ও অতিবেগুনি রশ্মি শোষণ করতে সাহায্য করে।
» ওমেগা৩ ফ্যাটি অ্যাসিড: রেটিনা যাতে সঠিকভাবে কাজ করতে পারে, সে জন্য ওমেগা৩ ফ্যাটি অ্যাসিড প্রয়োজন। চোখের গ্লুকোমা ও শুকিয়ে যাওয়া রোধ করতে সাহায্য করে এটি। এ জন্য ওমেগা৩ ফ্যাটি অ্যাসিডযুক্ত খাবার, যেমন ইলিশ, পাঙাশ, টুনা, রুই, স্যামন মাছ ইত্যাদি নিয়মিত খাদ্যতালিকায় রাখতে হবে।
» বাদাম ও বীজ: বিভিন্ন প্রকার বাদাম ও বীজে থাকে ভিটামিন ই। এটি চোখের ম্যাকুলাকে খারাপ হওয়ার হাত থেকে রক্ষা করে। এ ছাড়া চোখে ছানি হওয়া থেকে রক্ষা করে এটি।
» চর্বিহীন মাছ, মাংস: এসব খাবারে ভালো পরিমাণে জিংক থাকে। এটি লিভার থেকে চোখের রেটিনায় ভিটামিন এ পৌঁছে দিতে সহায়তা করে। জিংক চোখের মেলানিন গঠন করে। যাঁরা নিরামিষ খাবার গ্রহণ করেন, তাঁরা লেগুম ও মটরশুঁটি-জাতীয় খাবার খেতে পারেন। এগুলোর মধ্যে আছে মসুর ডাল, রাজমা, ছোলা ইত্যাদি। এগুলো চোখের দৃষ্টি তীক্ষ্ণ রাখতে সাহায্য করে।
» পানি: চোখের স্বাস্থ্যের জন্য পর্যাপ্ত পানি পান করা জরুরি। পানি শুষ্ক চোখের উপসর্গ কমাতে সাহায্য করে।
লিনা আকতার, পুষ্টিবিদ, রায়হান হেলথ কেয়ার, হসপিটাল অ্যান্ড রিসার্চ সেন্টার
সুষম খাদ্য চোখের সাধারণ সুস্থতা ও বিভিন্ন ধরনের সমস্যার ঝুঁকি কমাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তবে সুষম খাদ্যের পাশাপাশি অ্যান্টি-অক্সিজেনসমৃদ্ধ খাবার নিয়মিত খেলে তা চোখ ভালো রাখতে বিশেষ উপকার করবে।
চোখ ভালো রাখতে যা খাবেন
» ভিটামিন এ: এই ভিটামিনের অভাবে রাতকানা রোগ হয়। তাই ভিটামিন এ-সমৃদ্ধ খাবার, যেমন ডিম, গরু ও খাসির কলিজা, ঘি, মাখন, দুধ ও দই ইত্যাদি খেতে হবে। এগুলোয় প্রচুর ভিটামিন এ এবং জিংক রয়েছে।
» ভিটামিন সি: এটি চোখের রক্ত চলাচল, সংক্রমণ, কোষ নষ্ট হওয়া এবং প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে। এ জন্য লেবু, আমড়া, আমলকী, কাঁচা মরিচ, আঙুর ইত্যাদি ভিটামিন সি-সমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে।
» গাঢ় পাতাযুক্ত সবুজ শাকসবজি: এগুলো ভিটামিন সি ও ই-সমৃদ্ধ। এ ছাড়া এগুলোয় ক্যারোটিনয়েড, লুটেইন ও জেক্রানথিন রয়েছে। এই উপাদানগুলোতে আছে ভিটামিন এ। চোখের ছানি এবং এএমডির ঝুঁকি কমায় এগুলো। চোখ চুলকানো ও শুকনো চোখে আলসার না হতে ভূমিকা পালন করে পালংশাক।
» বিভিন্ন ফল ও শাকসবজি: বিভিন্ন ফল ও শাকসবজি, যেমন গাজর, মিষ্টিআলু, পেঁপে, আম, এপ্রিকটস ইত্যাদি ফলে বিটাক্যারোটিন বেশি থাকে। এটি ভিটামিন এ-এর একটি সমৃদ্ধ রূপ, যা রাতের দৃষ্টিশক্তি উন্নত করে, চোখের যেকোনো সংক্রমণ থেকে রক্ষা করে। এ ছাড়া এটি রেটিনা রক্ষা করার জন্য ক্ষতিকর নীল ও অতিবেগুনি রশ্মি শোষণ করতে সাহায্য করে।
» ওমেগা৩ ফ্যাটি অ্যাসিড: রেটিনা যাতে সঠিকভাবে কাজ করতে পারে, সে জন্য ওমেগা৩ ফ্যাটি অ্যাসিড প্রয়োজন। চোখের গ্লুকোমা ও শুকিয়ে যাওয়া রোধ করতে সাহায্য করে এটি। এ জন্য ওমেগা৩ ফ্যাটি অ্যাসিডযুক্ত খাবার, যেমন ইলিশ, পাঙাশ, টুনা, রুই, স্যামন মাছ ইত্যাদি নিয়মিত খাদ্যতালিকায় রাখতে হবে।
» বাদাম ও বীজ: বিভিন্ন প্রকার বাদাম ও বীজে থাকে ভিটামিন ই। এটি চোখের ম্যাকুলাকে খারাপ হওয়ার হাত থেকে রক্ষা করে। এ ছাড়া চোখে ছানি হওয়া থেকে রক্ষা করে এটি।
» চর্বিহীন মাছ, মাংস: এসব খাবারে ভালো পরিমাণে জিংক থাকে। এটি লিভার থেকে চোখের রেটিনায় ভিটামিন এ পৌঁছে দিতে সহায়তা করে। জিংক চোখের মেলানিন গঠন করে। যাঁরা নিরামিষ খাবার গ্রহণ করেন, তাঁরা লেগুম ও মটরশুঁটি-জাতীয় খাবার খেতে পারেন। এগুলোর মধ্যে আছে মসুর ডাল, রাজমা, ছোলা ইত্যাদি। এগুলো চোখের দৃষ্টি তীক্ষ্ণ রাখতে সাহায্য করে।
» পানি: চোখের স্বাস্থ্যের জন্য পর্যাপ্ত পানি পান করা জরুরি। পানি শুষ্ক চোখের উপসর্গ কমাতে সাহায্য করে।
লিনা আকতার, পুষ্টিবিদ, রায়হান হেলথ কেয়ার, হসপিটাল অ্যান্ড রিসার্চ সেন্টার
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ঘণ্টার পর ঘণ্টা স্ক্রলিং করার এই অভ্যাসটিকে বলা হয় ‘ডুমস্ক্রলিং’। এটি দিয়ে মূলত মানুষের নেতিবাচক খবর খোঁজা এবং পড়ে দেখার একটি প্রবণতাকে বোঝানো হয়। ফলে ডুমস্ক্রলিং মানুষের মন খারাপের কারণ হতে পারে। কিন্তু ঠিক কীভাবে এটি মানুষের মন খারাপের কারণ হয়, সেই বিষয়টি উদ্ঘাটন করেছেন বিজ
৯ ঘণ্টা আগেসুস্থভাবে জীবনযাপন করার জন্য দেহের পুষ্টির চাহিদা মেটাতে হয়। সাধারণত পুষ্টির কথা ভাবলে মনে করি সবটুকুই আমার খাদ্য থেকেই অর্জন করি। তবে এই ধারণাটি ভুল বললেন বিজ্ঞানীরা। নতুন গবেষণায় বলা যায়, মানুষ কিছু পুষ্টি বায়ু থেকেও শোষণ করতে পারে!
৪ দিন আগেবিশ্বজুড়ে কোটি কোটি মানুষকে প্রভাবিত করে উচ্চ রক্তচাপ বা হাইপারটেনশন। হৃদরোগ, স্ট্রোক, কিডনির ক্ষতি এবং দৃষ্টি শক্তিসহ বেশ কিছু গুরুতর স্বাস্থ্য সমস্যার প্রধান ঝুঁকির কারণ এটি। এই ধরনের ঝুঁকি কমানোর জন্য স্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রা ও বিভিন্ন ধরনের ওষুধ সেবনের পরামর্শ দেন চিকিৎসকেরা। তবে সম্প্রতি যুক্তরাষ
৫ দিন আগেডেঙ্গু ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও ১ হাজার ৩৮৯ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। এ নিয়ে চলতি বছরে আজ রোববার পর্যন্ত এ রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হলো ৭৯ হাজার ৯৮৪ জন। মারা গেছে আরও আটজন।
৫ দিন আগে