ডা. মোহাম্মদ তানভীর জালাল
রক্তবমি ও কালো পায়খানার কারণ
বেশ কয়েকটি কারণে পরিপাকতন্ত্রের রক্তক্ষরণ হয়। এর মধ্যে রয়েছে-
পাকস্থলীর আলসারজনিত প্রথম দুটি কারণই সাধারণত রক্তবমি ও কালো পায়খানার জন্য বেশি দায়ী।
উপসর্গ
নির্ণয় পদ্ধতি
অধিকাংশ ক্ষেত্রে পরিপাকতন্ত্রের ওপরের অংশ এনডোসকপি পরীক্ষার মাধ্যমে রক্তবমি ও কালো পায়খানার কারণ নির্ণয় করা সম্ভব। এছাড়া এই পদ্ধতিতে রক্তক্ষরণের স্থান নির্ণয় করা হয়। শতকরা ৮০ ভাগ ক্ষেত্রে রক্তক্ষরণ কোনো চিকিৎসা ছাড়াই ভালো হয়ে যায়। বাকি ২০ ভাগ চিকিৎসা ছাড়া ভালো হয় না, এমনকি মৃত্যুর ঝুঁকিও থাকে। অনেক ক্ষেত্রে রোগ ও রোগীর বৈশিষ্ট্য বিশ্লেষণ করে অনুমান করা যায় যে পুনরক্তক্ষরণ বা মারাত্মক কিছু ঘটার আশঙ্কা কতটুকু। গবেষণায় দেখা যায়, বয়স্ক রোগী বিশেষ করে যাঁদের অন্য কোনো বড় ধরনের রোগ আছে এবং রক্তক্ষরণের জন্য যাঁরা ৫ ব্যাগের বেশি রক্ত গ্রহণ করেছেন, এ রোগে তাঁদের মৃত্যুর আশঙ্কা বেশি। এ ছাড়া পাকস্থলীর ক্ষতের বৈশিষ্ট্যের ওপর পুনরক্তক্ষরণ ও মৃত্যুর ঘটনাও ঘটতে পারে।
কখন চিকিৎসকের শরণাপন্ন হবেন
রক্তবমি ও কালো পায়খানা হলে অবহেলা করবেন না। এ ধরনের রোগীকে জরুরিভাবে হাসপাতালে পরিপাকতন্ত্র, কোলোরেক্টাল ও লিভার বিশেষজ্ঞের অধীনে ভর্তি করতে হবে। অবহেলার কারণে অনেক রোগী এ রোগে মৃত্যুমুখে পতিত হয়ে থাকে। বিশ্বের উন্নত দেশেও শতকরা ৫ থেকে ১০ ভাগ রোগী পাকস্থলীর রক্তক্ষরণজনিত কারণে মারা যায়। নিজে নিজে ব্যথার ওষুধ খাওয়ার ফলে আমাদের দেশে এ রোগের হার মারাত্মক হারে বাড়ছে। তাই নিজে থেকে ওষুধ নয়, যেকোনো অসুখ হলেই চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ওষুধ খেলে এ রোগ থেকে মুক্ত থাকা সম্ভব।
লেখক: সহযোগী অধ্যাপক, কোলোরেক্টাল সার্জারি বিভাগ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা।
চেম্বার: ১৯ গ্রিন রোড, এ. কে. কমপ্লেক্স লিফট-৪, ঢাকা।
রক্তবমি ও কালো পায়খানার কারণ
বেশ কয়েকটি কারণে পরিপাকতন্ত্রের রক্তক্ষরণ হয়। এর মধ্যে রয়েছে-
পাকস্থলীর আলসারজনিত প্রথম দুটি কারণই সাধারণত রক্তবমি ও কালো পায়খানার জন্য বেশি দায়ী।
উপসর্গ
নির্ণয় পদ্ধতি
অধিকাংশ ক্ষেত্রে পরিপাকতন্ত্রের ওপরের অংশ এনডোসকপি পরীক্ষার মাধ্যমে রক্তবমি ও কালো পায়খানার কারণ নির্ণয় করা সম্ভব। এছাড়া এই পদ্ধতিতে রক্তক্ষরণের স্থান নির্ণয় করা হয়। শতকরা ৮০ ভাগ ক্ষেত্রে রক্তক্ষরণ কোনো চিকিৎসা ছাড়াই ভালো হয়ে যায়। বাকি ২০ ভাগ চিকিৎসা ছাড়া ভালো হয় না, এমনকি মৃত্যুর ঝুঁকিও থাকে। অনেক ক্ষেত্রে রোগ ও রোগীর বৈশিষ্ট্য বিশ্লেষণ করে অনুমান করা যায় যে পুনরক্তক্ষরণ বা মারাত্মক কিছু ঘটার আশঙ্কা কতটুকু। গবেষণায় দেখা যায়, বয়স্ক রোগী বিশেষ করে যাঁদের অন্য কোনো বড় ধরনের রোগ আছে এবং রক্তক্ষরণের জন্য যাঁরা ৫ ব্যাগের বেশি রক্ত গ্রহণ করেছেন, এ রোগে তাঁদের মৃত্যুর আশঙ্কা বেশি। এ ছাড়া পাকস্থলীর ক্ষতের বৈশিষ্ট্যের ওপর পুনরক্তক্ষরণ ও মৃত্যুর ঘটনাও ঘটতে পারে।
কখন চিকিৎসকের শরণাপন্ন হবেন
রক্তবমি ও কালো পায়খানা হলে অবহেলা করবেন না। এ ধরনের রোগীকে জরুরিভাবে হাসপাতালে পরিপাকতন্ত্র, কোলোরেক্টাল ও লিভার বিশেষজ্ঞের অধীনে ভর্তি করতে হবে। অবহেলার কারণে অনেক রোগী এ রোগে মৃত্যুমুখে পতিত হয়ে থাকে। বিশ্বের উন্নত দেশেও শতকরা ৫ থেকে ১০ ভাগ রোগী পাকস্থলীর রক্তক্ষরণজনিত কারণে মারা যায়। নিজে নিজে ব্যথার ওষুধ খাওয়ার ফলে আমাদের দেশে এ রোগের হার মারাত্মক হারে বাড়ছে। তাই নিজে থেকে ওষুধ নয়, যেকোনো অসুখ হলেই চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ওষুধ খেলে এ রোগ থেকে মুক্ত থাকা সম্ভব।
লেখক: সহযোগী অধ্যাপক, কোলোরেক্টাল সার্জারি বিভাগ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা।
চেম্বার: ১৯ গ্রিন রোড, এ. কে. কমপ্লেক্স লিফট-৪, ঢাকা।
রোগে-শোকে মানুষকে প্রতিনিয়ত কিছু না কিছু ওষুধ খেতে হয়। নিত্যপণ্যের এই ঊর্ধ্বগতির বাজারে যেখানে সাধারণ মানুষের তিনবেলা আহারের জোগান দেওয়াই কষ্টকর, সেখানে জীবন রক্ষার জন্য দ্বিগুণ-তিনগুণ দামে ওধুষ কিনতে গিয়ে জীবন আরও ওষ্ঠাগত। দেশে এখন নিম্নআয়ের ৪০ শতাংশ মানুষের মোট আয়ের ২০ শতাংশ খরচ হচ্ছে ওষুধ কিনতেই।
১৮ ঘণ্টা আগেদেশে মানসম্মত স্বাস্থ্যসেবা না থাকায় ও ডাক্তারের ওপর আস্থা না থাকায় বিদেশে চিকিৎসা নিতে প্রতিবছর দেশের মানুষ ৪ বিলিয়ন ডলার খরচ করছে। স্বাস্থ্যেসেবার উন্নয়ন না হলে এর পরিমাণ দিন দিন আরও বাড়বে।
১৯ ঘণ্টা আগেআমাদের দেশে শীত উপভোগ্য মৌসুম। কিন্তু অনেকের ঠান্ডা, কাশি, জ্বর, গলাব্যথা, অ্যালার্জির মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে। আবার শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা যাদের আছে, তাদের এই মৌসুমে কষ্ট বেড়ে যায়।
১ দিন আগেত্বক অভ্যন্তরীণ অঙ্গের সংক্রমণ এবং যেকোনো ক্ষতি থেকে সুরক্ষা দেয়। তাই এর যত্নে বিশেষ মনোযোগী হওয়া প্রয়োজন। শীতকালে ত্বক শুষ্ক ও টানটান হলে দুশ্চিন্তা করবেন না। চুলকানি হলেও চিন্তার কোনো কারণ নেই। শীতের শুষ্ক আবহাওয়া ত্বকের প্রতিরক্ষামূলক তেল কমিয়ে দেয়।
১ দিন আগে