ড. আজহারুল ইসলাম
আপনার চাহিদা এবং জোগানের মধ্যে যদি ফারাক অনুভব করেন, তখন আপনি যে অনুভূতিটি বোধ করেন, সেটাই মানসিক চাপ। সকালবেলা অফিসে যেতে হবে; কিন্তু কোনো গাড়ি পাচ্ছেন না। এ অবস্থায় আপনার মধ্যে যে অনুভূতি তৈরি হবে, সেটিই মানসিক চাপ। এ ধরনের চাপ সাধারণত মানসিক স্থিরতা নষ্ট করে। এই চাপ মৃদু থেকে মারাত্মক আকার ধারণ করতে পারে।
করোনাকালে সামাজিক মেলামেশা, আড্ডা, ঘোরাঘুরি খুবই সীমিত হয়ে পড়েছে। অর্থাৎ, মানসিক প্রশান্তির জন্য যে চাহিদা, তার জোগান একেবারেই কমে গেছে। ফলে অনেকের মতো আপনিও ফেসবুক বা সামগ্রিকভাবে ইন্টারনেট ব্যবহার করেই হয়তো সেই চাহিদা মেটানোর চেষ্টা করছেন। ডিজিটাল মাধ্যম দিয়ে মানসিক প্রশান্তি খোঁজার এই চেষ্টা আপনাকে ইন্টারনেট আসক্তির দিকে নিয়ে যেতে পারে। ফেসবুক বা ইন্টারনেট আসক্তি আপনার মানসিক চাপ কমানোর পরিবর্তে বাড়িয়ে তুলতে পারে।
নিউজফিডে ক্রমাগত কোভিড ও মৃত্যুসংক্রান্ত খবর ভেসে আসার ফলে আপনার মন বিষণ্ণ হয়ে উঠবে, বিরক্তি আর ক্লান্তি লাগবে। এই বিষণ্ণতা কাটাতে আপনি আবার ইন্টারনেটেরই দ্বারস্থ হবেন। ফেসবুক বাদ দিয়ে হয়তো ইউটিউবে ঘণ্টার পর ঘণ্টা এমন কিছু দেখছেন, যা আপনার জন্য একেবারেই অপ্রয়োজনীয়। ইন্টারনেটকেন্দ্রিক নতুন আসক্তির কনটেন্ট হলো ওয়েব সিরিজ।
দায় আপনারও
তবে ঘরবন্দী অবস্থায় আপনার মধ্যে অতিরিক্ত মানসিক চাপ তৈরির পুরো দায় ফেসবুকের একার নয়। ব্যবহারকারী হিসেবে আপনি নিজেও দায়ী। ফেসবুক বা অন্য যেকোনো বাহ্যিক বিষয়বস্তু আপনাকে আকর্ষণ করতে পারে। কিন্তু সে আকর্ষণে কতটা সাড়া দেবেন, দিনশেষে সেটা আপনার নিজের সিদ্ধান্ত।
আসক্তি বুঝবেন কীভাবে
আপনি যদি বুঝতে পারেন, ইন্টারনেট বা ফেসবুক ব্যবহার আপনার ঘুম, কাজ এবং সামাজিক সম্পর্কে বিরূপ প্রতিক্রিয়া ফেলছে, তাহলে আপনি ইন্টারনেট আসক্তিতে ভুগছেন। আপনাকে এই আসক্তি থেকে বের হওয়ার উপায় জানতে হবে এবং সে অনুযায়ী কাজ করতে হবে।
আসক্তি দূর করতে
শুরুটা হতে পারে নিজের শরীর ও মন গোছানোর মাধ্যমে। একটু সময় নিয়ে ভাবুন, আপনার শরীর কেমন যাচ্ছে, মনই-বা কী বলছে। আসক্তি নিরাময়ের মূল লক্ষ্যই থাকে আসক্ত ব্যক্তির নেতিবাচক জায়গায় ইতিবাচক আসক্তি তৈরি করা। যেমন, আপনার ফেসবুক আসক্তিকে আপনি ফেসবুকভিত্তিক শেখা বা ব্যবসার কাজে রূপান্তর করতে পারেন। অনেকেই বইপড়া, বাগান করা, পশু-পাখি লালন-পালন করা, ব্যায়াম বা খেলাধুলাসহ নানা রকম কাজ করে নেতিবাচক আসক্তিকে ইতিবাচকে পরিণত করেন। আপনার বয়স এবং পারিপার্শ্বিক অবস্থা বিবেচনা করে কোন ইতিবাচক আসক্তি তৈরি করা যায়, সেটা বের করাই হবে প্রথম কাজ। প্রয়োজনে একজন পেশাদার মনোবিজ্ঞানী
বা মনোচিকিৎসকের সহায়তাও নিতে পারেন।
লেখক: সহকারী অধ্যাপক কাউন্সেলিং সাইকোলজিস্ট এডুকেশনাল অ্যান্ড কাউন্সেলিং সাইকোলজি বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
আপনার চাহিদা এবং জোগানের মধ্যে যদি ফারাক অনুভব করেন, তখন আপনি যে অনুভূতিটি বোধ করেন, সেটাই মানসিক চাপ। সকালবেলা অফিসে যেতে হবে; কিন্তু কোনো গাড়ি পাচ্ছেন না। এ অবস্থায় আপনার মধ্যে যে অনুভূতি তৈরি হবে, সেটিই মানসিক চাপ। এ ধরনের চাপ সাধারণত মানসিক স্থিরতা নষ্ট করে। এই চাপ মৃদু থেকে মারাত্মক আকার ধারণ করতে পারে।
করোনাকালে সামাজিক মেলামেশা, আড্ডা, ঘোরাঘুরি খুবই সীমিত হয়ে পড়েছে। অর্থাৎ, মানসিক প্রশান্তির জন্য যে চাহিদা, তার জোগান একেবারেই কমে গেছে। ফলে অনেকের মতো আপনিও ফেসবুক বা সামগ্রিকভাবে ইন্টারনেট ব্যবহার করেই হয়তো সেই চাহিদা মেটানোর চেষ্টা করছেন। ডিজিটাল মাধ্যম দিয়ে মানসিক প্রশান্তি খোঁজার এই চেষ্টা আপনাকে ইন্টারনেট আসক্তির দিকে নিয়ে যেতে পারে। ফেসবুক বা ইন্টারনেট আসক্তি আপনার মানসিক চাপ কমানোর পরিবর্তে বাড়িয়ে তুলতে পারে।
নিউজফিডে ক্রমাগত কোভিড ও মৃত্যুসংক্রান্ত খবর ভেসে আসার ফলে আপনার মন বিষণ্ণ হয়ে উঠবে, বিরক্তি আর ক্লান্তি লাগবে। এই বিষণ্ণতা কাটাতে আপনি আবার ইন্টারনেটেরই দ্বারস্থ হবেন। ফেসবুক বাদ দিয়ে হয়তো ইউটিউবে ঘণ্টার পর ঘণ্টা এমন কিছু দেখছেন, যা আপনার জন্য একেবারেই অপ্রয়োজনীয়। ইন্টারনেটকেন্দ্রিক নতুন আসক্তির কনটেন্ট হলো ওয়েব সিরিজ।
দায় আপনারও
তবে ঘরবন্দী অবস্থায় আপনার মধ্যে অতিরিক্ত মানসিক চাপ তৈরির পুরো দায় ফেসবুকের একার নয়। ব্যবহারকারী হিসেবে আপনি নিজেও দায়ী। ফেসবুক বা অন্য যেকোনো বাহ্যিক বিষয়বস্তু আপনাকে আকর্ষণ করতে পারে। কিন্তু সে আকর্ষণে কতটা সাড়া দেবেন, দিনশেষে সেটা আপনার নিজের সিদ্ধান্ত।
আসক্তি বুঝবেন কীভাবে
আপনি যদি বুঝতে পারেন, ইন্টারনেট বা ফেসবুক ব্যবহার আপনার ঘুম, কাজ এবং সামাজিক সম্পর্কে বিরূপ প্রতিক্রিয়া ফেলছে, তাহলে আপনি ইন্টারনেট আসক্তিতে ভুগছেন। আপনাকে এই আসক্তি থেকে বের হওয়ার উপায় জানতে হবে এবং সে অনুযায়ী কাজ করতে হবে।
আসক্তি দূর করতে
শুরুটা হতে পারে নিজের শরীর ও মন গোছানোর মাধ্যমে। একটু সময় নিয়ে ভাবুন, আপনার শরীর কেমন যাচ্ছে, মনই-বা কী বলছে। আসক্তি নিরাময়ের মূল লক্ষ্যই থাকে আসক্ত ব্যক্তির নেতিবাচক জায়গায় ইতিবাচক আসক্তি তৈরি করা। যেমন, আপনার ফেসবুক আসক্তিকে আপনি ফেসবুকভিত্তিক শেখা বা ব্যবসার কাজে রূপান্তর করতে পারেন। অনেকেই বইপড়া, বাগান করা, পশু-পাখি লালন-পালন করা, ব্যায়াম বা খেলাধুলাসহ নানা রকম কাজ করে নেতিবাচক আসক্তিকে ইতিবাচকে পরিণত করেন। আপনার বয়স এবং পারিপার্শ্বিক অবস্থা বিবেচনা করে কোন ইতিবাচক আসক্তি তৈরি করা যায়, সেটা বের করাই হবে প্রথম কাজ। প্রয়োজনে একজন পেশাদার মনোবিজ্ঞানী
বা মনোচিকিৎসকের সহায়তাও নিতে পারেন।
লেখক: সহকারী অধ্যাপক কাউন্সেলিং সাইকোলজিস্ট এডুকেশনাল অ্যান্ড কাউন্সেলিং সাইকোলজি বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
উন্নত দেশগুলো, এমনকি উন্নয়নশীল দেশগুলোতেও টাইফয়েড এখন খুব কম দেখা যায়। কিন্তু প্রাচীন এই রোগের ফলে আধুনিক বিশ্ব তো বটেই, দুনিয়াজুড়ে বেশ বিপজ্জনক হয়ে উঠছে আবারও। হাজার বছর ধরে মানুষের প্রাণ হন্তারক হিসেবে ‘খুনির’ কাজ করে এসেছে এর জীবাণু। সাম্প্রতিক এক গবেষণা দেখিয়েছে, টাইফয়েডের জন্য দায়ী
৩ দিন আগেআমাদের অনেকের প্রায় অনেক সময় নাক খোঁটানোর অভ্যাস আছে। আপাতদৃষ্টে বিষয়টি খুব সাধারণ মনে হলেও গবেষকেরা বলছেন, নাক খোঁটানোর বিষয়টি মোটেও নিরাপদ নয়। ২০২২ সালে বিজ্ঞানবিষয়ক জার্নাল নেচারে প্রকাশিত এক গবেষণায় নাক খোঁটার সঙ্গে স্মৃতিভ্রংশ বা ডিমেনশিয়ার ঝুঁকির ক্ষীণ কিন্তু সম্ভাব্য যোগসূত্রের কথা বলা হয়েছে।
৩ দিন আগেদীর্ঘদিন ধরে নারীদেহের এক প্রত্যঙ্গকে ‘অপ্রয়োজনীয়’ বলে মনে করা হতো। তবে নতুন এক গবেষণায় জানা যায়, এই প্রত্যঙ্গটিই নারীর ডিম্বাশয়ের বিকাশ ও প্রজনন ক্ষমতার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
৩ দিন আগেনানা কারণে ঘুম নেই, মেজাজ খিটখিটে, অতিরিক্ত রাগ আর কোনো কিছুতেই প্রশান্তি নেই। এসব কারণে ইদানীং মানসিক সমস্যার প্রকোপ দেখা যাচ্ছে। মানসিক সমস্যা মানুষেরই হয়। বিশেষ করে যুবসমাজ এ সমস্যায় ভুগছে মারাত্মকভাবে। যে কারণেই হোক না কেন, মানসিক সমস্যা রোগী নিজে বুঝতে পারে না। তাকে বলাও যায় না...
৫ দিন আগে