ফিচার ডেস্ক
কফি অনেকে নিয়ম করে পান করেন। কিন্তু কতটুকু পরিমাণ কফি শরীরের জন্য ভালো। সিএনএনের স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ড. লীনা ওয়েন কফির স্বাস্থ্য উপকারিতা, আদর্শ পরিমাণ এবং কফি খাওয়ার সময় সতর্কতা সম্পর্কে বিস্তারিত পরামর্শ দিয়েছেন।
কফির স্বাস্থ্য উপকারিতা
সম্প্রতি গবেষণায় দেখা গেছে, পরিমিত কফি খেলে অনেক গুরুতর রোগের ঝুঁকি কমে যেতে পারে। এগুলোর মধ্যে রয়েছে হৃদ্রোগ, স্ট্রোক, ডায়াবেটিস, কয়েক ধরনের ক্যানসার এবং ডিমেনশিয়া।
কফিতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও অ্যান্টিইনফ্ল্যামেটরি গুণ প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে। এ ছাড়া কফি শরীরের ইনসুলিন ব্যবহারে সহায়তা করে। ফলে রক্তে চিনির পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে থাকে এবং ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমে। এর পাশাপাশি কফি মানুষের মনোযোগ বাড়াতে সাহায্য করে এবং শরীর সজাগ রাখে।
কতটুকু কফি পান করা উচিত
সাধারণত দিনে দুই থেকে চার কাপ কফি পান স্বাস্থ্যকর। ব্রিটিশ এক গবেষণায় দেখা গেছে, যাঁরা দিনে তিন কাপ কফি পান করেন, তাঁদের কার্ডিওমেটাবলিক রোগের ঝুঁকি ৪৮ শতাংশ কমে যায়। অন্য এক গবেষণায় বলা হয়েছে, যাঁরা দিনে দুই থেকে তিন কাপ কফি পান করেন, তাঁদের মধ্যে দ্রুত মৃত্যুর হার কমেছে। তবে এটি ব্যক্তির শারীরিক অবস্থার ওপর নির্ভর করে।
অতিরিক্ত কফি খেলে কী হতে পারে
কফির উপকারিতা থাকলেও অতিরিক্ত কফি পান শরীরের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। বেশি কফি খেলে হার্টের অস্বাভাবিক কাঁপুনি, উদ্বেগ, অস্থিরতা এবং ঘুমের সমস্যার মতো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দেয় দিতে পারে। মার্কিন খাদ্য ও ওষুধ প্রশাসন বিভাগ জানিয়েছে, সাধারণত দিনে ৪০০ মিলিগ্রাম ক্যাফেইন গ্রহণ অধিকাংশ মানুষের জন্য নিরাপদ। এটি প্রায় ৪ কাপ কফির সমান। তবে যদি কারও ঘুমের সমস্যা থাকে, তাদের কফি পানের পরিমাণ কমানো উচিত।
ক্যাফেইন গ্রহণে সতর্কতা
ক্যাফেইন শুধু কফিতেই থাকে না, এটি অন্যান্য পানীয়র মধ্যেও রয়েছে। এক কাপ এসপ্রেসোতে ৬০ থেকে ৭০ মিলিগ্রাম ক্যাফেইন থাকে, ব্ল্যাক টিতে থাকে ৪০ থেকে ৫০ মিলিগ্রাম এবং কখনো কখনো ৯০ মিলিগ্রাম ক্যাফেইনও থাকতে পারে।
এনার্জি ড্রিংকসে আরও বেশি ক্যাফেইন থাকে। একটি ১২ আউন্স এনার্জি ড্রিংকসে ২০০ থেকে ৩০০ মিলিগ্রাম ক্যাফেইন থাকতে পারে।
ফলে কেবল কফির পরিমাণ নয়, অন্যান্য পানীয়তে কতটা ক্যাফেইন রয়েছে, তা বুঝে পান করা জরুরি। বিশেষ করে সোডা এবং এনার্জি ড্রিংকসে প্রচুর চিনি ও অন্যান্য ক্ষতিকর উপাদান থাকে। সেগুলো শরীরের জন্য ক্ষতির কারণ হতে পারে।
যাঁদের ক্যাফেইন গ্রহণে সতর্ক থাকা উচিত
» কোনোভাবেই ১২ বছরের নিচে শিশুদের ক্যাফেইন গ্রহণ করা ঠিক নয়।
» ১২ থেকে ১৮ বছর বয়সী তরুণ-তরুণীদের দিনে ১০০ মিলিগ্রামের বেশি ক্যাফেইন গ্রহণ করা যাবে না।
» গর্ভবতী নারীদের সাধারণত ২০০ মিলিগ্রামের নিচে ক্যাফেইন নিরাপদ।
» হৃদ্রোগসহ অন্যান্য শারীরিক সমস্যা থাকলে ক্যাফেইন গ্রহণ সীমিত বা বন্ধ করা উচিত।
» যাঁদের ঘুমের সমস্যা আছে, তাঁদের সকালে কফি পান করা থেকে বিরত থাকা উচিত।
সবকিছুর মতো কফি পানেও পরিমাণ জরুরি। দিনে দুই-তিন কাপ কফি পান উপকারী। কফির স্বাস্থ্য উপকারিতা উপভোগ করতে চাইলে পরিমিত এবং সঠিক সময়ে কফি পানের অভ্যাস করতে হবে। যাঁদের কফি ছাড়া দিন চলে না, বিশেষ সমস্যা ছাড়া তাঁরা নিয়মিত কফি পান করতে পারবেন।
সূত্র: সিএনএন হেলথ
কফি অনেকে নিয়ম করে পান করেন। কিন্তু কতটুকু পরিমাণ কফি শরীরের জন্য ভালো। সিএনএনের স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ড. লীনা ওয়েন কফির স্বাস্থ্য উপকারিতা, আদর্শ পরিমাণ এবং কফি খাওয়ার সময় সতর্কতা সম্পর্কে বিস্তারিত পরামর্শ দিয়েছেন।
কফির স্বাস্থ্য উপকারিতা
সম্প্রতি গবেষণায় দেখা গেছে, পরিমিত কফি খেলে অনেক গুরুতর রোগের ঝুঁকি কমে যেতে পারে। এগুলোর মধ্যে রয়েছে হৃদ্রোগ, স্ট্রোক, ডায়াবেটিস, কয়েক ধরনের ক্যানসার এবং ডিমেনশিয়া।
কফিতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও অ্যান্টিইনফ্ল্যামেটরি গুণ প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে। এ ছাড়া কফি শরীরের ইনসুলিন ব্যবহারে সহায়তা করে। ফলে রক্তে চিনির পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে থাকে এবং ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমে। এর পাশাপাশি কফি মানুষের মনোযোগ বাড়াতে সাহায্য করে এবং শরীর সজাগ রাখে।
কতটুকু কফি পান করা উচিত
সাধারণত দিনে দুই থেকে চার কাপ কফি পান স্বাস্থ্যকর। ব্রিটিশ এক গবেষণায় দেখা গেছে, যাঁরা দিনে তিন কাপ কফি পান করেন, তাঁদের কার্ডিওমেটাবলিক রোগের ঝুঁকি ৪৮ শতাংশ কমে যায়। অন্য এক গবেষণায় বলা হয়েছে, যাঁরা দিনে দুই থেকে তিন কাপ কফি পান করেন, তাঁদের মধ্যে দ্রুত মৃত্যুর হার কমেছে। তবে এটি ব্যক্তির শারীরিক অবস্থার ওপর নির্ভর করে।
অতিরিক্ত কফি খেলে কী হতে পারে
কফির উপকারিতা থাকলেও অতিরিক্ত কফি পান শরীরের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। বেশি কফি খেলে হার্টের অস্বাভাবিক কাঁপুনি, উদ্বেগ, অস্থিরতা এবং ঘুমের সমস্যার মতো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দেয় দিতে পারে। মার্কিন খাদ্য ও ওষুধ প্রশাসন বিভাগ জানিয়েছে, সাধারণত দিনে ৪০০ মিলিগ্রাম ক্যাফেইন গ্রহণ অধিকাংশ মানুষের জন্য নিরাপদ। এটি প্রায় ৪ কাপ কফির সমান। তবে যদি কারও ঘুমের সমস্যা থাকে, তাদের কফি পানের পরিমাণ কমানো উচিত।
ক্যাফেইন গ্রহণে সতর্কতা
ক্যাফেইন শুধু কফিতেই থাকে না, এটি অন্যান্য পানীয়র মধ্যেও রয়েছে। এক কাপ এসপ্রেসোতে ৬০ থেকে ৭০ মিলিগ্রাম ক্যাফেইন থাকে, ব্ল্যাক টিতে থাকে ৪০ থেকে ৫০ মিলিগ্রাম এবং কখনো কখনো ৯০ মিলিগ্রাম ক্যাফেইনও থাকতে পারে।
এনার্জি ড্রিংকসে আরও বেশি ক্যাফেইন থাকে। একটি ১২ আউন্স এনার্জি ড্রিংকসে ২০০ থেকে ৩০০ মিলিগ্রাম ক্যাফেইন থাকতে পারে।
ফলে কেবল কফির পরিমাণ নয়, অন্যান্য পানীয়তে কতটা ক্যাফেইন রয়েছে, তা বুঝে পান করা জরুরি। বিশেষ করে সোডা এবং এনার্জি ড্রিংকসে প্রচুর চিনি ও অন্যান্য ক্ষতিকর উপাদান থাকে। সেগুলো শরীরের জন্য ক্ষতির কারণ হতে পারে।
যাঁদের ক্যাফেইন গ্রহণে সতর্ক থাকা উচিত
» কোনোভাবেই ১২ বছরের নিচে শিশুদের ক্যাফেইন গ্রহণ করা ঠিক নয়।
» ১২ থেকে ১৮ বছর বয়সী তরুণ-তরুণীদের দিনে ১০০ মিলিগ্রামের বেশি ক্যাফেইন গ্রহণ করা যাবে না।
» গর্ভবতী নারীদের সাধারণত ২০০ মিলিগ্রামের নিচে ক্যাফেইন নিরাপদ।
» হৃদ্রোগসহ অন্যান্য শারীরিক সমস্যা থাকলে ক্যাফেইন গ্রহণ সীমিত বা বন্ধ করা উচিত।
» যাঁদের ঘুমের সমস্যা আছে, তাঁদের সকালে কফি পান করা থেকে বিরত থাকা উচিত।
সবকিছুর মতো কফি পানেও পরিমাণ জরুরি। দিনে দুই-তিন কাপ কফি পান উপকারী। কফির স্বাস্থ্য উপকারিতা উপভোগ করতে চাইলে পরিমিত এবং সঠিক সময়ে কফি পানের অভ্যাস করতে হবে। যাঁদের কফি ছাড়া দিন চলে না, বিশেষ সমস্যা ছাড়া তাঁরা নিয়মিত কফি পান করতে পারবেন।
সূত্র: সিএনএন হেলথ
টোয়েন্টি থ্রি অ্যান্ড মি জিন পরীক্ষার জনপ্রিয় মার্কিন প্রতিষ্ঠান। এই প্রতিষ্ঠানটি সাধারণত বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে নমুনা সংগ্রহের মাধ্যম মানুষের ডিএনএ বা জিন পরীক্ষা করে। সেই তথ্য গ্রাহককে সরবরাহ করার পাশাপাশি কাছে সংগ্রহ করে রাখে। সম্প্রতি এই প্রতিষ্ঠানটিকে দেউলিয়া ঘোষণা করেছে যুক্তরাষ্ট্রের একটি আদালত।
২ দিন আগেহার্ট অ্যাটাক বা মায়োকার্ডিয়াল ইনফার্কশন হলো এমন একটি অবস্থা, যেখানে হৃৎপিণ্ডের কোনো অংশে রক্ত সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়। এটি মারাত্মক হতে পারে, তবে কিছু সতর্কতা অনুসরণ করলে ঝুঁকি কমানো সম্ভব।
৪ দিন আগেআমাদের দেশের প্রায় ৮০ শতাংশ ডায়াবেটিস রোগী রোজা রাখেন। কিন্তু ডায়াবেটিস রোগীদের মধ্যে যাঁরা চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া রোজা রাখেন, তাঁরা কিছু জটিলতার সম্মুখীন হন; বিশেষ করে রক্তে সুগারের স্বল্পতা বা আধিক্য, ডায়াবেটিক কিটো অ্যাসিডোসিস, পানিশূন্যতা বা ডিহাইড্রেশনে ভোগেন এই রোগে আক্রান্ত মানুষ।
৪ দিন আগেপুরো রমজান মাস আমাদের ঐতিহ্য অনুযায়ী বেশ কিছু অস্বাস্থ্যকর খাবার আমরা খেয়ে থাকি। তাই এ সময় আমাদের পরিপাকতন্ত্র বেশ নাজুক থাকে। বিশেষ করে যাদের হৃৎপিণ্ডের অসুখ আছে, তাদের জন্য ঈদের দিনগুলোতে অতিরিক্ত সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।
৪ দিন আগে