আফ্রিকার দেশ সুদানের রাজধানী খার্তুমের প্রেসিডেন্ট প্রাসাদ পুনরায় দখলে নিয়েছে সেনাবাহিনী। এটি র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস (আরএসএফ) প্যারামিলিটারি বাহিনীর শেষ সুরক্ষিত ঘাঁটি ছিল। প্রায় দুই বছর ধরে চলা যুদ্ধের পর এই সাফল্য সেনাবাহিনীর জন্য একটি বড় প্রতীকী বিজয়। তবে যুদ্ধের সমাপ্তি এখনো দূরে। কারণ, আরএসএফ সুদানের পশ্চিম দারফুর অঞ্চলসহ অন্যান্য এলাকায় তাদের নিয়ন্ত্রণ বজায় রেখেছে।
আজ শুক্রবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, সেনাবাহিনীর সদস্যরা প্রাসাদের ভেতরে অবস্থান করছেন এবং রমজানের ২১তম দিন পালন করছেন। একজন সুদানি সেনা কর্মকর্তা ভিডিওতে প্রাসাদ দখলের ঘোষণা দেন। প্রাসাদটি আংশিক ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে এবং সৈন্যরা ভাঙা টাইলসের ওপর দিয়ে হেঁটে যাচ্ছেন।
বার্তা সংস্থা এপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সুদানের তথ্যমন্ত্রী খালেদ আল-আইস সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি পোস্টে প্রাসাদ পুনর্দখলের ঘোষণা দেন। তিনি লিখেছেন, ‘আজ পতাকা উড়ছে, প্রাসাদ ফিরে এসেছে এবং বিজয় সম্পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত আমাদের যাত্রা অব্যাহত থাকবে।’
প্রেসিডেন্ট প্রাসাদ সুদানের সরকারি সদর দপ্তর ছিল। যুদ্ধ শুরুর আগে থেকেই এটি দেশের প্রতীক হিসেবে বিবেচিত হতো। প্রাসাদটি নীল নদের তীরে অবস্থিত এবং সুদানের ব্যাংক নোট ও ডাকটিকিটে এর ছবি দেখা যায়। প্রাসাদ পুনর্দখল সেনাবাহিনীর জন্য একটি বড় কৌশলগত সাফল্য।
সুদানের সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল আবদেল-ফাত্তাহ আল-বুরহানের নেতৃত্বে গত কয়েক মাসে ধীরে ধীরে অগ্রগতি অর্জন করেছে। আরএসএফের নেতা জেনারেল মোহাম্মদ হামদান দাগালোর বাহিনীকে মূলত রাজধানী খার্তুম থেকে বিতাড়িত করা হয়েছে। তবে রাজধানীতে এখনো থেমে থেমে গুলির আওয়াজ শোনা যাচ্ছে, যা যুদ্ধের কারণে নাকি বিজয় উদ্যাপনের অংশ, তা স্পষ্ট নয়।
আরএসএফ-সমর্থিত রাজনীতিবিদ সুলাইমান সানদাল প্রাসাদে তাঁদের পতন স্বীকার করেছেন এবং এটিকে ইতিহাসের ‘উত্থান-পতনের’ অংশ বলে অভিহিত করেছেন। পরবর্তী সময়ে আরএসএফের একটি বিবৃতিতে বলা হয়, তাদের বাহিনী এখনো প্রেসিডেন্টের এলাকার আশপাশে সাহসিকতার সঙ্গে লড়াই করছে।
এদিকে ইউনিসেফ সতর্ক করেছে, এই যুদ্ধ বিশ্বের সবচেয়ে বড় মানবিক সংকট তৈরি করেছে। সম্প্রতি খার্তুমের উপকণ্ঠে আল-বশির হাসপাতালে অপুষ্টিতে ভোগা শিশুদের জন্য পাঠানো খাদ্যসহায়তা লুটের ঘটনায় ইউনিসেফ ক্ষোভ প্রকাশ করেছে।
সুদানের এই চলমান যুদ্ধে এখন পর্যন্ত ২৮ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছে। লক্ষাধিক মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে এবং দেশের কিছু অংশে দুর্ভিক্ষ দেখা দিয়েছে। তবে অনেকের ধারণা, মৃতের সংখ্যা আরও অনেক বেশি হতে পারে।
প্রেসিডেন্ট প্রাসাদ ব্রিটিশ উপনিবেশকালে সুদানের ক্ষমতার কেন্দ্রবিন্দু ছিল। ১৯৫৬ সালে সুদানের স্বাধীনতার পর এই প্রাসাদেই প্রথম জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। এটি সুদানের প্রেসিডেন্ট ও অন্যান্য শীর্ষ কর্মকর্তার প্রধান কার্যালয় হিসেবেও ব্যবহৃত হতো।
২০১৯ সালে দীর্ঘদিনের স্বৈরশাসক ওমর আল-বশিরের পতনের পর থেকে সুদান অস্থিতিশীল অবস্থায় রয়েছে। ২০২১ সালে বুরহান ও দাগালোর নেতৃত্বে একটি সামরিক অভ্যুত্থানের পর গণতান্ত্রিক উত্তরণ ব্যাহত হয়। ২০২৩ সালে আরএসএফ ও সুদানের সেনাবাহিনীর মধ্যে যুদ্ধ শুরু হয়।
যুদ্ধ শুরুর পর থেকে সুদানের সেনাবাহিনী ও আরএসএফ উভয়ই মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগের মুখে পড়েছে। সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসন আরএসএফকে গণহত্যার অভিযোগে অভিযুক্ত করেছে।
আফ্রিকার দেশ সুদানের রাজধানী খার্তুমের প্রেসিডেন্ট প্রাসাদ পুনরায় দখলে নিয়েছে সেনাবাহিনী। এটি র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস (আরএসএফ) প্যারামিলিটারি বাহিনীর শেষ সুরক্ষিত ঘাঁটি ছিল। প্রায় দুই বছর ধরে চলা যুদ্ধের পর এই সাফল্য সেনাবাহিনীর জন্য একটি বড় প্রতীকী বিজয়। তবে যুদ্ধের সমাপ্তি এখনো দূরে। কারণ, আরএসএফ সুদানের পশ্চিম দারফুর অঞ্চলসহ অন্যান্য এলাকায় তাদের নিয়ন্ত্রণ বজায় রেখেছে।
আজ শুক্রবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, সেনাবাহিনীর সদস্যরা প্রাসাদের ভেতরে অবস্থান করছেন এবং রমজানের ২১তম দিন পালন করছেন। একজন সুদানি সেনা কর্মকর্তা ভিডিওতে প্রাসাদ দখলের ঘোষণা দেন। প্রাসাদটি আংশিক ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে এবং সৈন্যরা ভাঙা টাইলসের ওপর দিয়ে হেঁটে যাচ্ছেন।
বার্তা সংস্থা এপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সুদানের তথ্যমন্ত্রী খালেদ আল-আইস সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি পোস্টে প্রাসাদ পুনর্দখলের ঘোষণা দেন। তিনি লিখেছেন, ‘আজ পতাকা উড়ছে, প্রাসাদ ফিরে এসেছে এবং বিজয় সম্পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত আমাদের যাত্রা অব্যাহত থাকবে।’
প্রেসিডেন্ট প্রাসাদ সুদানের সরকারি সদর দপ্তর ছিল। যুদ্ধ শুরুর আগে থেকেই এটি দেশের প্রতীক হিসেবে বিবেচিত হতো। প্রাসাদটি নীল নদের তীরে অবস্থিত এবং সুদানের ব্যাংক নোট ও ডাকটিকিটে এর ছবি দেখা যায়। প্রাসাদ পুনর্দখল সেনাবাহিনীর জন্য একটি বড় কৌশলগত সাফল্য।
সুদানের সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল আবদেল-ফাত্তাহ আল-বুরহানের নেতৃত্বে গত কয়েক মাসে ধীরে ধীরে অগ্রগতি অর্জন করেছে। আরএসএফের নেতা জেনারেল মোহাম্মদ হামদান দাগালোর বাহিনীকে মূলত রাজধানী খার্তুম থেকে বিতাড়িত করা হয়েছে। তবে রাজধানীতে এখনো থেমে থেমে গুলির আওয়াজ শোনা যাচ্ছে, যা যুদ্ধের কারণে নাকি বিজয় উদ্যাপনের অংশ, তা স্পষ্ট নয়।
আরএসএফ-সমর্থিত রাজনীতিবিদ সুলাইমান সানদাল প্রাসাদে তাঁদের পতন স্বীকার করেছেন এবং এটিকে ইতিহাসের ‘উত্থান-পতনের’ অংশ বলে অভিহিত করেছেন। পরবর্তী সময়ে আরএসএফের একটি বিবৃতিতে বলা হয়, তাদের বাহিনী এখনো প্রেসিডেন্টের এলাকার আশপাশে সাহসিকতার সঙ্গে লড়াই করছে।
এদিকে ইউনিসেফ সতর্ক করেছে, এই যুদ্ধ বিশ্বের সবচেয়ে বড় মানবিক সংকট তৈরি করেছে। সম্প্রতি খার্তুমের উপকণ্ঠে আল-বশির হাসপাতালে অপুষ্টিতে ভোগা শিশুদের জন্য পাঠানো খাদ্যসহায়তা লুটের ঘটনায় ইউনিসেফ ক্ষোভ প্রকাশ করেছে।
সুদানের এই চলমান যুদ্ধে এখন পর্যন্ত ২৮ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছে। লক্ষাধিক মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে এবং দেশের কিছু অংশে দুর্ভিক্ষ দেখা দিয়েছে। তবে অনেকের ধারণা, মৃতের সংখ্যা আরও অনেক বেশি হতে পারে।
প্রেসিডেন্ট প্রাসাদ ব্রিটিশ উপনিবেশকালে সুদানের ক্ষমতার কেন্দ্রবিন্দু ছিল। ১৯৫৬ সালে সুদানের স্বাধীনতার পর এই প্রাসাদেই প্রথম জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। এটি সুদানের প্রেসিডেন্ট ও অন্যান্য শীর্ষ কর্মকর্তার প্রধান কার্যালয় হিসেবেও ব্যবহৃত হতো।
২০১৯ সালে দীর্ঘদিনের স্বৈরশাসক ওমর আল-বশিরের পতনের পর থেকে সুদান অস্থিতিশীল অবস্থায় রয়েছে। ২০২১ সালে বুরহান ও দাগালোর নেতৃত্বে একটি সামরিক অভ্যুত্থানের পর গণতান্ত্রিক উত্তরণ ব্যাহত হয়। ২০২৩ সালে আরএসএফ ও সুদানের সেনাবাহিনীর মধ্যে যুদ্ধ শুরু হয়।
যুদ্ধ শুরুর পর থেকে সুদানের সেনাবাহিনী ও আরএসএফ উভয়ই মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগের মুখে পড়েছে। সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসন আরএসএফকে গণহত্যার অভিযোগে অভিযুক্ত করেছে।
পেহেলাগাম হামলার পর দুই প্রতিবেশী দেশ ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে উত্তপ্ত পরিস্থিতি বিরাজ করছে। ভারত এ হামলার জন্য পাকিস্তানকে দায়ী করে তাদের বিরুদ্ধে একাধিক কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছে। প্রায় সাড়ে ছয় দশকের সিন্ধু জলচুক্তি বাতিল করেছে ভারত। আজ আবার পাকিস্তানও কিছু পাল্টা পদক্ষেপ নিয়েছে। এর মধ্যে একটি রয়েছে...
৪৩ মিনিট আগেচলে যাও! চলে যাও! চলে যাও! টেলিগ্রাম ভিডিওতে উচ্চকিত কণ্ঠে চলছে এই স্লোগান। কখনো বা সুরে সুরে। বার্তা খুবই স্পষ্ট। আর তা হচ্ছে, ‘হামাসের সবাই হটো।’ হামাস, গাজা, ইসরায়েল, বিক্ষোভ, স্লোগান, মধ্যপ্রাচ্য, রয়টার্স, ফিলিস্তিনি,
১ ঘণ্টা আগেরাশিয়া ইউক্রেনের উদ্দেশ্যে ৭০টি ক্ষেপণাস্ত্র এবং ১৪৫টি ড্রোন নিক্ষেপ করেছে। এগুলোর বেশির ভাগই কিয়েভকে লক্ষ্য করে ছোড়া হয়েছিল। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলেনস্কি জানান, যুক্তরাষ্ট্রের ওপর চাপ সৃষ্টি করতেই এই হামলা চালানো হয়েছে।
২ ঘণ্টা আগেবাণিজ্যযুদ্ধ সমাধানে আলোচনায় বসতে চাইলে যুক্তরাষ্ট্রকে আগে চীনা পণ্যের ওপর থেকে আরোপিত শুল্ক বাতিল করতে হবে। বিশ্বব্যাপী চলমান বাণিজ্যযুদ্ধ সমাধানে যুক্তরাষ্ট্রকে এমন প্রস্তাব দিয়েছে বেইজিং। চীন বলেছে, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প যদি এ সমস্যার সমাধান করতে চান, তবে অবশ্যই আগে আরোপিত শুল্ক বাতিল করবেন।
২ ঘণ্টা আগে