পরমাণু শক্তিতে চীনের চেয়ে ১৫ বছর পিছিয়ে যুক্তরাষ্ট্র 

অনলাইন ডেস্ক
আপডেট : ১৭ জুন ২০২৪, ১৫: ৫৭
Thumbnail image

উচ্চ প্রযুক্তির পারমাণবিক শক্তি অর্জনের ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্র চীনের চেয়ে ১৫ বছর পিছিয়ে আছে। মূলত চীনের রাষ্ট্রায়ত্ত সম্মিলিত প্রচেষ্টা ও অর্থায়নের কারণেই যুক্তরাষ্ট্র পিছিয়ে। আজ সোমবার প্রত্যাশিত ওয়াশিংটনভিত্তিক থিংক ট্যাংক ইনফরমেশন টেকনোলজি অ্যান্ড ইনোভেশন ফাউন্ডেশন প্রকাশিত এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে। 

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চীনে ২৭টি পারমাণবিক চুল্লি নির্মাণাধীন রয়েছে, যেগুলোর গড় নির্মাণকাল প্রায় সাত বছর। অন্যান্য দেশের তুলনায় এটি অনেক দ্রুত। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, ‘সময়ের সঙ্গে সঙ্গে চীনের আরও আধুনিক পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের দ্রুত নির্মাণ, উল্লেখযোগ্য অর্থনীতি এবং শেখার মাধ্যমে করণীয় নির্ধারণ প্রক্রিয়া চীনকে এই খাতে ক্রমবর্ধমান উদ্ভাবনী সুবিধা দেবে।’ 

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেই বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে বেশি পরিমাণ পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র আছে এবং জো বাইডেনের প্রশাসন মনে করে, জলবায়ু পরিবর্তন রোধে নির্গমনমুক্ত বিদ্যুৎ বা শক্তির উৎস খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু কয়েক বিলিয়ন ডলার ব্যয়ে নির্মিত দুটি পাওয়ার প্ল্যান্ট চালু হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের জর্জিয়া অঙ্গরাজ্যে। ২০২৩ ও ২০২৪ সালে চালু হওয়া এ দুটি বিদ্যুৎকেন্দ্রের পর আর কোনো পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র চালু হয়নি দেশটিতে, বাজেটের অভাবে। 

মূলত চীনের রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ব্যাংকগুলো সহজ শর্তে দেওয়া ঋণই দেশটির এই খাতকে এগিয়ে দিয়েছে অনেকটাই। চীনের ব্যাংকগুলো যেখানে মাত্র ১ দশমিক ৪ শতাংশ সুদে ঋণ দেয়, সেখানে পশ্চিমা দেশগুলোতে এ ধরনের প্রকল্পে অর্থায়নের ক্ষেত্রে ব্যাংক ঋণে সুদের হার কয়েক গুণ বেশি। 

গত বছরের ডিসেম্বরে চীন শিদাও উপসাগরের উপকূলে বিশ্বের প্রথম চতুর্থ প্রজন্মের ‘গ্যাস কুলড’ পারমাণবিক চুল্লি স্থাপন করে। চীনা কর্তৃপক্ষের দাবি, এই চুল্লিতে ২ হাজার ২০০টি এমন ধরনের নতুন উপকরণ ব্যবহার করা হয়েছে; যা আগে কখনোই ব্যবহার করা হয়নি। এ ছাড়া, এই চুল্লির ৯৩ দশমিক ৪ শতাংশ যন্ত্রাংশ বা অন্যান্য উপকরণ এসেছে চীন থেকেই। বাইরে থেকে আমদানি করা হয়নি বললেই চলে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত