ইউরোপ-আমেরিকায় আতঙ্ক ছড়াচ্ছে মাঙ্কিপক্স

অনলাইন ডেস্ক
আপডেট : ২১ মে ২০২২, ১৬: ০৪
Thumbnail image

সম্প্রতি ইউরোপ ও আমেরিকার বেশ কয়েকটি দেশে দেখা দিয়েছে মাঙ্কিপক্স নামের এক ধরনের বিপজ্জনক বসন্ত রোগের। যুক্তরাষ্ট্রের সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন-সিডিসির বসন্তের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা গেছে।

এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন-সিডিসি বলেছে, এই বসন্ত রোগ জনস্বাস্থ্যের জন্য এখনই তেমন কোনো হুমকির সৃষ্টি করেনি। এ বছরের শুরুতেই যুক্তরাষ্ট্রে প্রথম ধরা পড়ে এই বসন্ত রোগ। পরে যুক্তরাজ্যের ৭ জনসহ ইউরোপের পর্তুগাল ও স্পেনেও এই রোগ ধরা পড়ে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিবেশী দেশ কানাডায় এখন পর্যন্ত ১৩ জন রোগী শনাক্ত হয়েছে।

মাঙ্কি পক্স খুবই বিরল এবং মৃদু সংক্রামক ধরনের ভাইরাস কেন্দ্রিক রোগ। সিডিসির তথ্য অনুসারে ১৯৭০ সালে সর্বপ্রথম এই রোগ শনাক্ত হয়। মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত হলে, গায়ে র‍্যাশ হয়। তবে এই র‍্যাশের শুরু হয় মুখ থেকে। যুক্তরাজ্যের ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিসের তথ্য অনুসারে মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত কোনো প্রাণী মানুষকে কামড়ালে মানুষের এই রোগ হতে পারে কিংবা আক্রান্ত কোন ব্যক্তি বা প্রাণীর রক্ত, লালা, থুথু স্পর্শ করলে। এ ছাড়া, ইঁদুর, বাদুড়, চিকাসহ নানা ধরনের প্রাণীর মাধ্যমেও এই রোগ ছাড়াতে পারে। এমনকি রোগে আক্রান্ত ছিল এমন কোনো প্রাণীর মাংস যদি ঠিকভাবে সেদ্ধ না করে খাওয়া হয় তাহলেও এই রোগে আক্রান্ত হতে পারেন।

তবে এই রোগ মানুষের মধ্যে ছড়ানোর হার খুবই কম। মানুষের মধ্যে এই রোগ ছড়ানোর প্রধান মাধ্যম হলো—আক্রান্ত ব্যক্তির কাপড়, বিছানার চাদর, তোয়ালে তার ব্যবহার করা কোনো তৈজসপত্র ইত্যাদির সরাসরি স্পর্শে আসলে।

আক্রান্ত হওয়ার ৫ থেকে ২১ দিনের মধ্যে এই রোগের লক্ষণগুলো প্রকাশ পেতে পারে। লক্ষণগুলোর মধ্যে রয়েছে—জ্বর, মাথাব্যথা, পেশিতে টান পড়া ও ব্যথা হওয়া, পিঠ ব্যথা, গিঁট ফুলে যাওয়া, শরীর কাঁপা এবং অবসাদ। একই সঙ্গে, ৫ দিন পর থেকেই র‍্যাশ দেখা যেতে পারে শরীরে।

এই রোগে মৃত্যুর হার খুবই কম। আফ্রিকার প্রত্যন্ত অঞ্চল যেখানে চিকিৎসা সেবা সীমিত সেখানেও আক্রান্ত প্রতি ১০ জনের মধ্যে মারা যাওয়ার সংখ্যা ১ জন বলে জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। তবে এই রোগের তেমন কোনো নির্দিষ্ট চিকিৎসা এখনো পাওয়া যায়নি। তবে এই রোগে আক্রান্তদের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে থাকা উচিত যাতে অন্য কারও মাঝে ছড়াতে না পারে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত