ফজলুল বারী, অস্ট্রেলিয়া থেকে
আগামী শনিবার (১৪ অক্টোবর) অস্ট্রেলিয়ায় আদিবাসীদের পক্ষে বিপক্ষে গণভোট অনুষ্ঠিত হবে। ২ কোটি ২৬ লাখ মানুষের মহাদেশে গণভোটে ভোটারদের মতামত চাওয়া হবে। সংসদে আদিবাসী ও দ্বীপবাসীদের কণ্ঠ প্রতিষ্ঠায় একটি সাংবিধানিক কাঠামো গঠনে সংবিধান সংশোধনে তাঁরা রাজি আছেন কিনা।
কিন্তু এই গণভোটকে কেন্দ্র করে অস্ট্রেলিয়াবাসীর বড় অংশের ভেতরের বর্ণবাদী স্বরূপটি প্রকাশ পেয়ে যাওয়ার কথা উঠেছে! জনমত জরিপে দেখা গেছে সিংহভাগ অস্ট্রেলিয়ান ভোটার আদিবাসীদের বিশেষ সাংবিধানিক সুযোগ দেওয়ার বিপক্ষে। অর্থাৎ এমন একটি উদ্যোগ ভোটের মাঠ পাস করাতে ব্যর্থ হয়ে হেরে যেতে পারে এ দেশের ক্ষমতাসীন দল লেবার পার্টি।
বিরোধী দল লিবারেল ন্যাশনাল কোয়ালিশন অবশ্য শুরু থেকেই এই গণভোটের বিরোধিতা করে আসছে। গণভোটে ‘না’ ভোটের প্রচারণা চালাচ্ছে বিরোধী দল। তাদের বক্তব্য এমন একটি উদ্যোগ জাতিকে বিভক্ত করবে। তারা আদিবাসীদের আরও সুবিধা দিতে চান। তবে তা সংসদে নয়। স্থানীয় পর্যায়ে।
গণভোটের শুরুতে বিরোধী দল বলেছিল, ভোটে যদি তারা হেরেও যায় তবে আগামীতে তারা ক্ষমতায় গেলে আদিবাসীদের বিশেষ সুযোগ বাতিল প্রশ্নে তারা আরেকটা গণভোটের ব্যবস্থা করবে। লিবারেল ন্যাশনাল কোয়ালিশনকে অস্ট্রেলিয়ার রক্ষণশীল সাদাদের জোট মনে করা হয়।
উল্লেখ্য, ৬০ হাজার বছরেরও আগে থেকে আদিবাসী ও দ্বীপবাসীরা অস্ট্রেলিয়া মহাদেশে বসবাস করে আসছেন। ক্যাপ্টেন কুকের নেতৃত্বে অস্ট্রেলিয়া আবিষ্কারের আগে পৃথিবী এই মহাদেশের কথা জানত না। ক্যাপ্টেন কুকের যুগ থেকে এখানে জারি হয় ব্রিটিশ শাসন। সাদাদের দাপট। আদিবাসী আর দ্বীপবাসীরা হয়ে পড়েন নিজভূমে পরবাসী! ব্রিটিশরা ভারতীয় উপমহাদেশের রাজবন্দীদের আন্দামান নিকোবার দ্বীপপুঞ্জে দ্বীপান্তর করায়। আর তাদের জেলখানার দাগি আসামিদের অস্ট্রেলিয়ায় জেলখানায় স্থানান্তর করে। আজকের সাদা অস্ট্রেলিয়ানদের বেশির ভাগ তাঁদেরই বংশধর।
আধুনিক অস্ট্রেলিয়ায় চাকরিসহ নানা ক্ষেত্রে আদিবাসী দ্বীপবাসীদের নানা সুবিধা দিলেও তাদের দাবি সাংবিধানিক ভয়েস প্রতিষ্ঠায় রাজি নয়। আদিবাসীদের সবচেয়ে বড় বার্ষিক সমাবেশ উলুরু স্টেটমেন্টের মাধ্যমে এই দাবিটি তারা করে আসছে।
২০০৭ সালে কেবিন রাড সরকারের আমলে পূর্ব পুরুষের আদিবাসী নির্যাতনের জন্য সংসদে আনুষ্ঠানিক দুঃখ ও ক্ষমা প্রার্থনা করে বলা হয় ‘উই আর সরি’। এক সময় আদিবাসী জনসংখ্যা সংকুচিত করতে তাদের নতুন জন্ম নেওয়া বাচ্চাদের চুরি করে নিয়েও সাদাদের বাড়িতে তাদের বড় করা হতো। কালো এই অধ্যায়ের নাম স্টোলেন জেনারেশন। উই আর সরি’তে স্টোলেন জেলারেশনের কাছে ক্ষমা চাওয়া হয়েছিল।
কিন্তু আদিবাসীরা চান বিশেষ সাংবিধানিক মর্যাদা। কিন্তু আভাস মিলছে মুখে বড় বড় কথা বললেও এখনো অস্ট্রেলিয়ানদের অতটা উদার হয়ে ওঠেননি।
উল্লেখ্য, অস্ট্রেলিয়ায় ভোট দেওয়া বাধ্যতামূলক। যৌক্তিক কারণ ছাড়া ভোট না দিলে জরিমানা হয়। এ দেশে শনিবার দেখে ছুটির দিনে ভোট হয়। কিন্তু শনিবারও অনেকের কাজ থাকে। এর জন্য পোস্টাল ব্যালটে ভোট, আগাম ভোট কেন্দ্রের মাধ্যমে ভোট নেবার ব্যবস্থা করা হয়। এর মাঝে ৪ মিলিয়ন তথা ৮০ লাখ লোক আগাম ভোট দিয়ে ফেলেছেন। পোস্টাল ব্যালটে ভোটের আবেদন করে ফরম নিয়েছেন অনেক মানুষ। ঢাকার অস্ট্রেলিয়ান হাইকমিশনের মতো বিদেশে থাকা ভোটারদের ভোট ডাকযোগে আসবে।
ক্ষমতাসীন দল লেবার পার্টি গত নির্বাচনের সময় আদিবাসী ভয়েস প্রতিষ্ঠার এমন একটি কাঠামো তৈরির প্রতিশ্রুতি দেয়। যে কাঠামো অথবা কমিটি দেশের আদিবাসী ও দ্বীপবাসীদের দাবি বক্তব্য সরাসরি সংসদ শুনবে ও ব্যবস্থা নেবে। এর জন্য অস্ট্রেলিয়ার সংবিধান সংশোধন প্রয়োজন। এর জন্যই এই গণভোট।
কিন্তু বিরোধী দল লিবারেল ন্যাশনাল কোয়ালিশন এমন প্রস্তাবের বিরোধিতা করে আসছে। গণভোটে তারা না ভোট দেবে। তাদের বক্তব্য এতে জাতি বিভক্ত হবে। আদিবাসীদের তারা জাতীয় সংসদের মাধ্যমে নয়, স্থানীয় ভাবে সুবিধা দেওয়ার পক্ষে।
গণভোটে অস্ট্রেলিয়ান ভোটারদের জিজ্ঞাসা করবে যে একটি আদিবাসী এবং টরেস স্ট্রেট আইল্যান্ডার ভয়েস প্রতিষ্ঠা করে অস্ট্রেলিয়ার প্রথম জনগণের স্বীকৃতি অন্তর্ভুক্ত করার জন্য সংবিধান পরিবর্তন করা উচিত কিনা। ভয়েসের জন্য কলগুলি প্রাথমিকভাবে উলুরু স্টেটমেন্ট ফ্রম দ্য হার্টের মাধ্যমে অস্ট্রেলিয়ান জনগণের সঙ্গে ভাগ করা হয়েছিল।
অস্ট্রেলিয়ার প্রথম জনগণ হিসেবে আদিবাসী এবং টরেস স্ট্রেট দ্বীপবাসীদের স্বীকৃতিতে: আদিবাসী এবং টরেস স্ট্রেইট আইল্যান্ডার ভয়েস নামে একটি বডি থাকবে; আদিবাসী এবং টরেস স্ট্রেইট আইল্যান্ডার ভয়েস আদিবাসী এবং টরেস স্ট্রেইট দ্বীপবাসীদের সঙ্গে সম্পর্কিত বিষয়ে সংসদ এবং কমনওয়েলথের নির্বাহী সরকারের কাছে প্রতিনিধিত্ব করতে পারে; সংসদের, এই সংবিধানের সাপেক্ষে, আদিবাসী এবং টরেস স্ট্রেইট আইল্যান্ডার ভয়েস এর গঠন, কার্যাবলি, ক্ষমতা এবং পদ্ধতি সহ সম্পর্কিত বিষয়ে আইন প্রণয়নের ক্ষমতা থাকবে।
উল্লেখ্য, অস্ট্রেলিয়ারও গণভোটের ইতিহাস ভালো নয়। ১৯০১ সালে এ দেশে সংসদীয় শাসন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯০১ সাল থেকে অস্ট্রেলিয়ায় মোট ৪৪টি দেশব্যাপী গণভোট হয়েছে। এর মধ্যে সফল হয়েছে মাত্র আটটি।
হৃদয় থেকে উলুরু বিবৃতিটির ভয়েসকে সাংবিধানিকভাবে অন্তর্ভুক্ত করার আহ্বান জানায়। এটি করার জন্য একটি গণভোট প্রয়োজন। কিন্তু ১৯৭৭ সাল থেকে অস্ট্রেলিয়ার সংবিধান পরিবর্তনের একটি গণভোট সফল হয়নি। প্রধান রাজনৈতিক দলগুলির দ্বিদলীয় সমর্থন ব্যাপকভাবে সাফল্যের পূর্বশর্ত হিসাবে বিবেচিত হয়।
বৃহস্পতিবার প্রকাশিত ইউগভ-এর চূড়ান্ত জরিপ অনুসারে, ১৪ অক্টোবর ভোটের দিন আগে দুই দিনেরও কম সময় বাকি আছে, যারা এই প্রস্তাবের বিরোধিতা করেছিল তারা ৫৬% থেকে ৩৮% পর্যন্ত’ হ্যাঁ’ শিবিরকে এগিয়ে নিয়ে গেছে। জরিপ করা প্রায় ৬% সিদ্ধান্তহীন ছিল। ইউগভ জরিপের জন্য ১৫১৯ জন ভোটারদের ভোট দিয়েছে।
চূড়ান্ত জরিপ একটি ব্যাপক ‘না’ জয়ের ইঙ্গিত দেয়—যেখানে প্রায় ১০ জন ভোটারের মধ্যে ছয়জন ‘না’ ভোট দিতে চান!
জনমত জরিপের বিশদ বিশ্লেষণ ইঙ্গিত করে যে ‘হ্যাঁ’ অনেকগুলি অভ্যন্তরীণ মেট্রোপলিটন আসন ছাড়া অন্য কোথাও জিতবে। ‘হ্যাঁ’ তরুণদের মধ্যে এগিয়ে আছে, যখন বয়স্ক ভোটাররা বহুলাংশে ‘না’-এর পক্ষে।
গণভোটের প্রতি সমর্থন, ভোটাররা ১৯৯৯ সালের প্রজাতন্ত্র হওয়ার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করার পর থেকে প্রথম, গত কয়েক মাস ধরে হ্রাস পেয়েছে। সমর্থকেরা যুক্তি দেন যে ভয়েস আদিবাসী অস্ট্রেলিয়ানদের জন্য অগ্রগতি আনবে, যখন কিছু বিরোধীরা বলে যে সংবিধানে একটি দলকে অন্তর্ভুক্ত করা বিভক্ত হবে।
আদিবাসী ভয়েস বিষয়ে সাংবিধানিক পরিবর্তনের জন্য দেশব্যাপী এবং ছয়টি রাজ্যের মধ্যে অন্তত চারটিতে সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটের প্রয়োজন।
আগামী শনিবার (১৪ অক্টোবর) অস্ট্রেলিয়ায় আদিবাসীদের পক্ষে বিপক্ষে গণভোট অনুষ্ঠিত হবে। ২ কোটি ২৬ লাখ মানুষের মহাদেশে গণভোটে ভোটারদের মতামত চাওয়া হবে। সংসদে আদিবাসী ও দ্বীপবাসীদের কণ্ঠ প্রতিষ্ঠায় একটি সাংবিধানিক কাঠামো গঠনে সংবিধান সংশোধনে তাঁরা রাজি আছেন কিনা।
কিন্তু এই গণভোটকে কেন্দ্র করে অস্ট্রেলিয়াবাসীর বড় অংশের ভেতরের বর্ণবাদী স্বরূপটি প্রকাশ পেয়ে যাওয়ার কথা উঠেছে! জনমত জরিপে দেখা গেছে সিংহভাগ অস্ট্রেলিয়ান ভোটার আদিবাসীদের বিশেষ সাংবিধানিক সুযোগ দেওয়ার বিপক্ষে। অর্থাৎ এমন একটি উদ্যোগ ভোটের মাঠ পাস করাতে ব্যর্থ হয়ে হেরে যেতে পারে এ দেশের ক্ষমতাসীন দল লেবার পার্টি।
বিরোধী দল লিবারেল ন্যাশনাল কোয়ালিশন অবশ্য শুরু থেকেই এই গণভোটের বিরোধিতা করে আসছে। গণভোটে ‘না’ ভোটের প্রচারণা চালাচ্ছে বিরোধী দল। তাদের বক্তব্য এমন একটি উদ্যোগ জাতিকে বিভক্ত করবে। তারা আদিবাসীদের আরও সুবিধা দিতে চান। তবে তা সংসদে নয়। স্থানীয় পর্যায়ে।
গণভোটের শুরুতে বিরোধী দল বলেছিল, ভোটে যদি তারা হেরেও যায় তবে আগামীতে তারা ক্ষমতায় গেলে আদিবাসীদের বিশেষ সুযোগ বাতিল প্রশ্নে তারা আরেকটা গণভোটের ব্যবস্থা করবে। লিবারেল ন্যাশনাল কোয়ালিশনকে অস্ট্রেলিয়ার রক্ষণশীল সাদাদের জোট মনে করা হয়।
উল্লেখ্য, ৬০ হাজার বছরেরও আগে থেকে আদিবাসী ও দ্বীপবাসীরা অস্ট্রেলিয়া মহাদেশে বসবাস করে আসছেন। ক্যাপ্টেন কুকের নেতৃত্বে অস্ট্রেলিয়া আবিষ্কারের আগে পৃথিবী এই মহাদেশের কথা জানত না। ক্যাপ্টেন কুকের যুগ থেকে এখানে জারি হয় ব্রিটিশ শাসন। সাদাদের দাপট। আদিবাসী আর দ্বীপবাসীরা হয়ে পড়েন নিজভূমে পরবাসী! ব্রিটিশরা ভারতীয় উপমহাদেশের রাজবন্দীদের আন্দামান নিকোবার দ্বীপপুঞ্জে দ্বীপান্তর করায়। আর তাদের জেলখানার দাগি আসামিদের অস্ট্রেলিয়ায় জেলখানায় স্থানান্তর করে। আজকের সাদা অস্ট্রেলিয়ানদের বেশির ভাগ তাঁদেরই বংশধর।
আধুনিক অস্ট্রেলিয়ায় চাকরিসহ নানা ক্ষেত্রে আদিবাসী দ্বীপবাসীদের নানা সুবিধা দিলেও তাদের দাবি সাংবিধানিক ভয়েস প্রতিষ্ঠায় রাজি নয়। আদিবাসীদের সবচেয়ে বড় বার্ষিক সমাবেশ উলুরু স্টেটমেন্টের মাধ্যমে এই দাবিটি তারা করে আসছে।
২০০৭ সালে কেবিন রাড সরকারের আমলে পূর্ব পুরুষের আদিবাসী নির্যাতনের জন্য সংসদে আনুষ্ঠানিক দুঃখ ও ক্ষমা প্রার্থনা করে বলা হয় ‘উই আর সরি’। এক সময় আদিবাসী জনসংখ্যা সংকুচিত করতে তাদের নতুন জন্ম নেওয়া বাচ্চাদের চুরি করে নিয়েও সাদাদের বাড়িতে তাদের বড় করা হতো। কালো এই অধ্যায়ের নাম স্টোলেন জেনারেশন। উই আর সরি’তে স্টোলেন জেলারেশনের কাছে ক্ষমা চাওয়া হয়েছিল।
কিন্তু আদিবাসীরা চান বিশেষ সাংবিধানিক মর্যাদা। কিন্তু আভাস মিলছে মুখে বড় বড় কথা বললেও এখনো অস্ট্রেলিয়ানদের অতটা উদার হয়ে ওঠেননি।
উল্লেখ্য, অস্ট্রেলিয়ায় ভোট দেওয়া বাধ্যতামূলক। যৌক্তিক কারণ ছাড়া ভোট না দিলে জরিমানা হয়। এ দেশে শনিবার দেখে ছুটির দিনে ভোট হয়। কিন্তু শনিবারও অনেকের কাজ থাকে। এর জন্য পোস্টাল ব্যালটে ভোট, আগাম ভোট কেন্দ্রের মাধ্যমে ভোট নেবার ব্যবস্থা করা হয়। এর মাঝে ৪ মিলিয়ন তথা ৮০ লাখ লোক আগাম ভোট দিয়ে ফেলেছেন। পোস্টাল ব্যালটে ভোটের আবেদন করে ফরম নিয়েছেন অনেক মানুষ। ঢাকার অস্ট্রেলিয়ান হাইকমিশনের মতো বিদেশে থাকা ভোটারদের ভোট ডাকযোগে আসবে।
ক্ষমতাসীন দল লেবার পার্টি গত নির্বাচনের সময় আদিবাসী ভয়েস প্রতিষ্ঠার এমন একটি কাঠামো তৈরির প্রতিশ্রুতি দেয়। যে কাঠামো অথবা কমিটি দেশের আদিবাসী ও দ্বীপবাসীদের দাবি বক্তব্য সরাসরি সংসদ শুনবে ও ব্যবস্থা নেবে। এর জন্য অস্ট্রেলিয়ার সংবিধান সংশোধন প্রয়োজন। এর জন্যই এই গণভোট।
কিন্তু বিরোধী দল লিবারেল ন্যাশনাল কোয়ালিশন এমন প্রস্তাবের বিরোধিতা করে আসছে। গণভোটে তারা না ভোট দেবে। তাদের বক্তব্য এতে জাতি বিভক্ত হবে। আদিবাসীদের তারা জাতীয় সংসদের মাধ্যমে নয়, স্থানীয় ভাবে সুবিধা দেওয়ার পক্ষে।
গণভোটে অস্ট্রেলিয়ান ভোটারদের জিজ্ঞাসা করবে যে একটি আদিবাসী এবং টরেস স্ট্রেট আইল্যান্ডার ভয়েস প্রতিষ্ঠা করে অস্ট্রেলিয়ার প্রথম জনগণের স্বীকৃতি অন্তর্ভুক্ত করার জন্য সংবিধান পরিবর্তন করা উচিত কিনা। ভয়েসের জন্য কলগুলি প্রাথমিকভাবে উলুরু স্টেটমেন্ট ফ্রম দ্য হার্টের মাধ্যমে অস্ট্রেলিয়ান জনগণের সঙ্গে ভাগ করা হয়েছিল।
অস্ট্রেলিয়ার প্রথম জনগণ হিসেবে আদিবাসী এবং টরেস স্ট্রেট দ্বীপবাসীদের স্বীকৃতিতে: আদিবাসী এবং টরেস স্ট্রেইট আইল্যান্ডার ভয়েস নামে একটি বডি থাকবে; আদিবাসী এবং টরেস স্ট্রেইট আইল্যান্ডার ভয়েস আদিবাসী এবং টরেস স্ট্রেইট দ্বীপবাসীদের সঙ্গে সম্পর্কিত বিষয়ে সংসদ এবং কমনওয়েলথের নির্বাহী সরকারের কাছে প্রতিনিধিত্ব করতে পারে; সংসদের, এই সংবিধানের সাপেক্ষে, আদিবাসী এবং টরেস স্ট্রেইট আইল্যান্ডার ভয়েস এর গঠন, কার্যাবলি, ক্ষমতা এবং পদ্ধতি সহ সম্পর্কিত বিষয়ে আইন প্রণয়নের ক্ষমতা থাকবে।
উল্লেখ্য, অস্ট্রেলিয়ারও গণভোটের ইতিহাস ভালো নয়। ১৯০১ সালে এ দেশে সংসদীয় শাসন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯০১ সাল থেকে অস্ট্রেলিয়ায় মোট ৪৪টি দেশব্যাপী গণভোট হয়েছে। এর মধ্যে সফল হয়েছে মাত্র আটটি।
হৃদয় থেকে উলুরু বিবৃতিটির ভয়েসকে সাংবিধানিকভাবে অন্তর্ভুক্ত করার আহ্বান জানায়। এটি করার জন্য একটি গণভোট প্রয়োজন। কিন্তু ১৯৭৭ সাল থেকে অস্ট্রেলিয়ার সংবিধান পরিবর্তনের একটি গণভোট সফল হয়নি। প্রধান রাজনৈতিক দলগুলির দ্বিদলীয় সমর্থন ব্যাপকভাবে সাফল্যের পূর্বশর্ত হিসাবে বিবেচিত হয়।
বৃহস্পতিবার প্রকাশিত ইউগভ-এর চূড়ান্ত জরিপ অনুসারে, ১৪ অক্টোবর ভোটের দিন আগে দুই দিনেরও কম সময় বাকি আছে, যারা এই প্রস্তাবের বিরোধিতা করেছিল তারা ৫৬% থেকে ৩৮% পর্যন্ত’ হ্যাঁ’ শিবিরকে এগিয়ে নিয়ে গেছে। জরিপ করা প্রায় ৬% সিদ্ধান্তহীন ছিল। ইউগভ জরিপের জন্য ১৫১৯ জন ভোটারদের ভোট দিয়েছে।
চূড়ান্ত জরিপ একটি ব্যাপক ‘না’ জয়ের ইঙ্গিত দেয়—যেখানে প্রায় ১০ জন ভোটারের মধ্যে ছয়জন ‘না’ ভোট দিতে চান!
জনমত জরিপের বিশদ বিশ্লেষণ ইঙ্গিত করে যে ‘হ্যাঁ’ অনেকগুলি অভ্যন্তরীণ মেট্রোপলিটন আসন ছাড়া অন্য কোথাও জিতবে। ‘হ্যাঁ’ তরুণদের মধ্যে এগিয়ে আছে, যখন বয়স্ক ভোটাররা বহুলাংশে ‘না’-এর পক্ষে।
গণভোটের প্রতি সমর্থন, ভোটাররা ১৯৯৯ সালের প্রজাতন্ত্র হওয়ার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করার পর থেকে প্রথম, গত কয়েক মাস ধরে হ্রাস পেয়েছে। সমর্থকেরা যুক্তি দেন যে ভয়েস আদিবাসী অস্ট্রেলিয়ানদের জন্য অগ্রগতি আনবে, যখন কিছু বিরোধীরা বলে যে সংবিধানে একটি দলকে অন্তর্ভুক্ত করা বিভক্ত হবে।
আদিবাসী ভয়েস বিষয়ে সাংবিধানিক পরিবর্তনের জন্য দেশব্যাপী এবং ছয়টি রাজ্যের মধ্যে অন্তত চারটিতে সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটের প্রয়োজন।
আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি) ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু ও প্রাক্তন প্রতিরক্ষামন্ত্রী গ্যালান্তের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে, যা আইসিসির ইতিহাসে একটি বিরল পদক্ষেপ।
২ ঘণ্টা আগেযুক্তরাজ্যে অবস্থিত যুক্তরাষ্ট্রের তিনটি সামরিক ঘাঁটির ওপর রহস্যজনক ড্রোন দেখা গেছে বলে জানিয়েছেন পেন্টাগনের কর্মকর্তারা। কিছু কিছু মহল এমনটাও বলছেন, অজানা উড়ন্ত বস্তুগুলো (ইউএফও) বহির্জাগতিক বা এলিয়েন টাইপ কিছু হতে পারে। এই ঘাঁটিগুলো যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনী ব্যবহার করে। সামরিক ঘাঁটির কাছাকাছি এমন
২ ঘণ্টা আগেএকজনের বাড়ি ইউক্রেন, একজন যুক্তরাষ্ট্রের, জার্মানিরও আছেন একজন, অন্য দুজন সংযুক্ত আরব আমিরাত ও পাকিস্তানের। বাইকের হ্যান্ডেল ধরে শুধু রাস্তাই নয়, নিজেদের জীবনকেও নতুন করে আবিষ্কার করেছেন এই পাঁচ নারী।
৩ ঘণ্টা আগেদীর্ঘ ১৬ বছর ধরে খোঁজাখুঁজির পর জীবনে গুরুত্বপূর্ণ এক ঘটনার মুখোমুখি হলেন ডিডি বোসওয়েল নামে এক মার্কিন নারী। সম্প্রতি তিনি প্রথমবারের মতো নিজের বাবার সঙ্গে দেখা হওয়ার একটি আবেগঘন মুহূর্তের ভিডিও শেয়ার করেছেন।
৫ ঘণ্টা আগে