অনলাইন ডেস্ক
একজনের বাড়ি ইউক্রেন, একজন যুক্তরাষ্ট্রের, জার্মানিরও আছেন একজন, অন্য দুজন সংযুক্ত আরব আমিরাত ও পাকিস্তানের। বাইকের হ্যান্ডেল ধরে শুধু রাস্তাই নয়, নিজেদের জীবনকেও নতুন করে আবিষ্কার করেছেন এই পাঁচ নারী। জীবনের নানা চ্যালেঞ্জ পেরিয়ে বাইক চালানো তাঁদের জন্য হয়ে উঠেছে স্বাধীনতার প্রতীক।
রোববার খালিজ টাইমসে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাতে এসে এক হওয়া এই পাঁচ নারীকে নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। এই প্রতিবেদনে উঠে এসেছে নারীদের জীবনের নানা অভিজ্ঞতা এবং বাইকার হয়ে ওঠার গল্প।
নারীদের মধ্যে বর্তমানে ৩৪ বছর বয়সী সিসেলস্কা মাত্র ২২ বছর বয়সে বিবাহবিচ্ছেদের পর নতুন জীবনে পা বাড়িয়েছিলেন। কখনোই ভাবেননি, মোটরসাইকেলের একটি ইভেন্ট তাঁর জীবনকে পুরোপুরি বদলে দেবে। ইউক্রেনের চেরকাসি শহরে ওই ইভেন্ট অনুষ্ঠিত হয়েছিল। সেখানে এক দীর্ঘদেহী আয়োজকের মোটরসাইকেলের পেছনে বসে রাস্তার একপাশ দেখতে চেষ্টা করছিলেন তিনি। ঠিক তখনই তিনি উপলব্ধি করেন, জীবনের একটি আংশিক দৃশ্য তাঁর জন্য যথেষ্ট নয়। তিনি নিজের জীবনের নিয়ন্ত্রণ নিতে চান।
পরবর্তীতে চাকরির খোঁজে ২০১৩ সালে সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে পা রাখেন সিসেলস্কা। সেখানে একটি রেস্তোরাঁয় চাকরি শুরু করেন। রেস্তোরাঁর পাশেই ছিল একটি বাইকের গ্যারেজ। কাজ করতে করতে টাকা জমিয়ে ওই গ্যারেজ থেকে পরে তিনি একটি মোটরসাইকেল কিনে ফেলেন। সেই থেকেই রোমাঞ্চকর এক জীবন শুরু হয় সিসেলস্কার। ভ্রমণ হয়ে ওঠে তাঁর নেশা। একবার একা একাই তিনি দুবাই থেকে ওমানের সালালাহ পর্যন্ত ভ্রমণ করেছিলেন।
এদিকে ২০১৯ সালে নিজের পেশাগত জীবনে গুরুত্বপূর্ণ একটি বাঁক নেন মার্কিন শিক্ষিকা ক্যাটেরিনা। যুক্তরাষ্ট্রের ইলিনয় থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাতে গিয়েছিলেন তিনি। আমিরাতের সরকারি স্কুলে কয়েক বছর শিক্ষকতা করার পর ক্লান্তি চেপে বসেছিল তাঁর মধ্যে। তখনই তিনি নিজেকে আবিষ্কারের জন্য শিক্ষকতা থেকে চার বছরের জন্য একটি বিরতি নেন।
শৈশবে বাবার সঙ্গে একটি সবুজ মোটরসাইকেলে চড়ে বেড়ানোর অভিজ্ঞতা ছিল ক্যাটেরিনার। সেই স্মৃতিই তাঁকে পরিবর্তনের অনুপ্রেরণা দেয়। অফ-রোড অ্যাডভেঞ্চারের জন্য তিনি ‘কেটিএম-২৫০ এসএক্সএফ’ মডেলের একটি বাইক কিনে ফেলেন। যদিও পরে ইয়ামাহা ও সুজুকির দুটি বাইকও ব্যবহার করেছেন তিনি। বাইকে চড়ে তিনি উত্তর মেরু থেকে দক্ষিণ আমেরিকা পর্যন্ত ভ্রমণ করেছেন। তাঁর সবচেয়ে স্মরণীয় যাত্রাটি ছিল, কানাডার নর্থওয়েস্ট টেরিটোরিজ হাইওয়ে-১০ ধরে। এই রাস্তা ধরেই তিনি ইনুইট সম্প্রদায়ের সঙ্গে তাদের ঐতিহ্যবাহী খাবার খেয়েছিলেন।
এক সময় নারীদের আন্তর্জাতিক মোটরসাইকেল অ্যাসোসিয়েশন, আমিরাত শাখার নেতৃত্ব গ্রহণ করেন ক্যাটারিনা। তাঁর নেতৃত্বে সদস্য সংখ্যা পাঁচ থেকে বেড়ে ১২৭-এ পৌঁছায়।
কখনো কখনো যাত্রী থেকে চালক হওয়ার উদগ্র বাসনা সৃষ্টি হতে পারে। আমিরাতের মিলেনার ক্ষেত্রেও এমনটি ঘটেছিল। তিনি তাঁর স্বামীর সঙ্গে বাইকের পেছনের সিটে বসে ভ্রমণ করতেন। কিন্তু ২০১০ সালে তিনি নিজেই হার্লি ডেভিডসনের একটি বাইক কিনে ফেলেন এবং চালাতে শুরু করেন। এখন পর্যন্ত তিনি সাতটি দেশ ভ্রমণ করেছেন। আলপস পর্বতমালার দুর্গম পথ পাড়ি দিয়ে তিনি প্রমাণ করেছেন, সাহস আর ইচ্ছাশক্তি নারীদের যেকোনো সীমা অতিক্রম করতে সাহায্য করতে পারে।
জার্মানির নাগরিক কনস্টান্স মহামারির লকডাউনের সময় বাইক চালনার কৌশল রপ্ত করেন। দুবাইয়ে এসে তিনি মরুভূমির বালুকাময় পথে বাইক চালিয়ে আত্মবিশ্বাস অর্জন করেন। তাঁর মতে—বাইকিং শুধু গতির নয়। এটি একটি ধ্যানের মতো, যেখানে মনোযোগ ও স্থিরতা জীবনের মানে খুঁজে পেতে সাহায্য করে।
পাকিস্তানে জন্মগ্রহণ করা মাদিহা বেড়ে উঠেছেন যুক্তরাজ্যে। তবে কেনিয়ায় গিয়ে বাইক চালনার প্রতি আগ্রহী হয়ে ওঠেন তিনি। বাইক চালনা শিখতে গিয়ে তিনি তাঁর জীবনসঙ্গীকেও খুঁজে পান। বর্তমানে দুবাইয়ে বসবাস করে একজন বাইকার হিসেবে সুপরিচিত হয়ে উঠেছেন তিনি।
বাইক চালাতে ইচ্ছুক নারীদের উদ্দেশ্যে মিলেনা বলেন, ‘যদি বাইক চালানোর ইচ্ছা থাকে, তবে তা একবার চেষ্টা করুন। এটি আপনাকে নতুন দুনিয়া দেখাবে এবং অসাধারণ মানুষদের সঙ্গে পরিচিত করাবে।’
একজনের বাড়ি ইউক্রেন, একজন যুক্তরাষ্ট্রের, জার্মানিরও আছেন একজন, অন্য দুজন সংযুক্ত আরব আমিরাত ও পাকিস্তানের। বাইকের হ্যান্ডেল ধরে শুধু রাস্তাই নয়, নিজেদের জীবনকেও নতুন করে আবিষ্কার করেছেন এই পাঁচ নারী। জীবনের নানা চ্যালেঞ্জ পেরিয়ে বাইক চালানো তাঁদের জন্য হয়ে উঠেছে স্বাধীনতার প্রতীক।
রোববার খালিজ টাইমসে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাতে এসে এক হওয়া এই পাঁচ নারীকে নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। এই প্রতিবেদনে উঠে এসেছে নারীদের জীবনের নানা অভিজ্ঞতা এবং বাইকার হয়ে ওঠার গল্প।
নারীদের মধ্যে বর্তমানে ৩৪ বছর বয়সী সিসেলস্কা মাত্র ২২ বছর বয়সে বিবাহবিচ্ছেদের পর নতুন জীবনে পা বাড়িয়েছিলেন। কখনোই ভাবেননি, মোটরসাইকেলের একটি ইভেন্ট তাঁর জীবনকে পুরোপুরি বদলে দেবে। ইউক্রেনের চেরকাসি শহরে ওই ইভেন্ট অনুষ্ঠিত হয়েছিল। সেখানে এক দীর্ঘদেহী আয়োজকের মোটরসাইকেলের পেছনে বসে রাস্তার একপাশ দেখতে চেষ্টা করছিলেন তিনি। ঠিক তখনই তিনি উপলব্ধি করেন, জীবনের একটি আংশিক দৃশ্য তাঁর জন্য যথেষ্ট নয়। তিনি নিজের জীবনের নিয়ন্ত্রণ নিতে চান।
পরবর্তীতে চাকরির খোঁজে ২০১৩ সালে সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে পা রাখেন সিসেলস্কা। সেখানে একটি রেস্তোরাঁয় চাকরি শুরু করেন। রেস্তোরাঁর পাশেই ছিল একটি বাইকের গ্যারেজ। কাজ করতে করতে টাকা জমিয়ে ওই গ্যারেজ থেকে পরে তিনি একটি মোটরসাইকেল কিনে ফেলেন। সেই থেকেই রোমাঞ্চকর এক জীবন শুরু হয় সিসেলস্কার। ভ্রমণ হয়ে ওঠে তাঁর নেশা। একবার একা একাই তিনি দুবাই থেকে ওমানের সালালাহ পর্যন্ত ভ্রমণ করেছিলেন।
এদিকে ২০১৯ সালে নিজের পেশাগত জীবনে গুরুত্বপূর্ণ একটি বাঁক নেন মার্কিন শিক্ষিকা ক্যাটেরিনা। যুক্তরাষ্ট্রের ইলিনয় থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাতে গিয়েছিলেন তিনি। আমিরাতের সরকারি স্কুলে কয়েক বছর শিক্ষকতা করার পর ক্লান্তি চেপে বসেছিল তাঁর মধ্যে। তখনই তিনি নিজেকে আবিষ্কারের জন্য শিক্ষকতা থেকে চার বছরের জন্য একটি বিরতি নেন।
শৈশবে বাবার সঙ্গে একটি সবুজ মোটরসাইকেলে চড়ে বেড়ানোর অভিজ্ঞতা ছিল ক্যাটেরিনার। সেই স্মৃতিই তাঁকে পরিবর্তনের অনুপ্রেরণা দেয়। অফ-রোড অ্যাডভেঞ্চারের জন্য তিনি ‘কেটিএম-২৫০ এসএক্সএফ’ মডেলের একটি বাইক কিনে ফেলেন। যদিও পরে ইয়ামাহা ও সুজুকির দুটি বাইকও ব্যবহার করেছেন তিনি। বাইকে চড়ে তিনি উত্তর মেরু থেকে দক্ষিণ আমেরিকা পর্যন্ত ভ্রমণ করেছেন। তাঁর সবচেয়ে স্মরণীয় যাত্রাটি ছিল, কানাডার নর্থওয়েস্ট টেরিটোরিজ হাইওয়ে-১০ ধরে। এই রাস্তা ধরেই তিনি ইনুইট সম্প্রদায়ের সঙ্গে তাদের ঐতিহ্যবাহী খাবার খেয়েছিলেন।
এক সময় নারীদের আন্তর্জাতিক মোটরসাইকেল অ্যাসোসিয়েশন, আমিরাত শাখার নেতৃত্ব গ্রহণ করেন ক্যাটারিনা। তাঁর নেতৃত্বে সদস্য সংখ্যা পাঁচ থেকে বেড়ে ১২৭-এ পৌঁছায়।
কখনো কখনো যাত্রী থেকে চালক হওয়ার উদগ্র বাসনা সৃষ্টি হতে পারে। আমিরাতের মিলেনার ক্ষেত্রেও এমনটি ঘটেছিল। তিনি তাঁর স্বামীর সঙ্গে বাইকের পেছনের সিটে বসে ভ্রমণ করতেন। কিন্তু ২০১০ সালে তিনি নিজেই হার্লি ডেভিডসনের একটি বাইক কিনে ফেলেন এবং চালাতে শুরু করেন। এখন পর্যন্ত তিনি সাতটি দেশ ভ্রমণ করেছেন। আলপস পর্বতমালার দুর্গম পথ পাড়ি দিয়ে তিনি প্রমাণ করেছেন, সাহস আর ইচ্ছাশক্তি নারীদের যেকোনো সীমা অতিক্রম করতে সাহায্য করতে পারে।
জার্মানির নাগরিক কনস্টান্স মহামারির লকডাউনের সময় বাইক চালনার কৌশল রপ্ত করেন। দুবাইয়ে এসে তিনি মরুভূমির বালুকাময় পথে বাইক চালিয়ে আত্মবিশ্বাস অর্জন করেন। তাঁর মতে—বাইকিং শুধু গতির নয়। এটি একটি ধ্যানের মতো, যেখানে মনোযোগ ও স্থিরতা জীবনের মানে খুঁজে পেতে সাহায্য করে।
পাকিস্তানে জন্মগ্রহণ করা মাদিহা বেড়ে উঠেছেন যুক্তরাজ্যে। তবে কেনিয়ায় গিয়ে বাইক চালনার প্রতি আগ্রহী হয়ে ওঠেন তিনি। বাইক চালনা শিখতে গিয়ে তিনি তাঁর জীবনসঙ্গীকেও খুঁজে পান। বর্তমানে দুবাইয়ে বসবাস করে একজন বাইকার হিসেবে সুপরিচিত হয়ে উঠেছেন তিনি।
বাইক চালাতে ইচ্ছুক নারীদের উদ্দেশ্যে মিলেনা বলেন, ‘যদি বাইক চালানোর ইচ্ছা থাকে, তবে তা একবার চেষ্টা করুন। এটি আপনাকে নতুন দুনিয়া দেখাবে এবং অসাধারণ মানুষদের সঙ্গে পরিচিত করাবে।’
আগামী ২০ জানুয়ারি ৪৭তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিতে যাচ্ছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। রীতি মেনে মার্কিন প্রেসিডেন্টদের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান খোলা জায়গায় হয়। কিন্তু এবার তা হচ্ছে না, চার দেয়ালের ভেতর ও ছাদের নিচেই শপথ নিতে হচ্ছে ট্রাম্পকে। ওয়াশিংটনের ক্যাপিটল ভবনের রোটুন্ডা হলে শপথ অনুষ্ঠান হবে।
২১ মিনিট আগেটানা ১৫ মাস ধরে চলা গাজা যুদ্ধে আগামীকাল রোববার থেকে যুদ্ধবিরতি হতে যাচ্ছে। হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধবিরতি ও জিম্মি মুক্তি চুক্তি অনুযায়ী তিন ধাপে কার্যকর হবে এই যুদ্ধবিরতি। আজ শনিবার ইসরায়েলের মন্ত্রিসভায় চুক্তি অনুমোদিত হওয়ার পর ইসরায়েলের বিচার মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, চুক্তির প্রথম পর্যায়ে তাঁরা
১ ঘণ্টা আগেযুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলেসে বাতাসের তীব্রতা কমে দাবানল দুর্বল হয়ে আসায় স্বস্তি ফিরছে উপদ্রুত এলাকার বাসিন্দাদের মধ্যে। কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, অন্তত ২৪ হাজার একর এলাকায় ছড়িয়ে পড়া এই আগুনে কমপক্ষে ১২ হাজার অবকাঠামো ভস্মীভূত হয়েছে। সবশেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ২৭টি মরদেহের সন্ধান পেয়েছেন উদ্ধারকারীরা...
২ ঘণ্টা আগেটানা ১৫ মাস ধরে চলা গাজা যুদ্ধে অবশেষে কার্যকর যুদ্ধবিরতি হতে চলেছে। যুদ্ধবিরতি ও জিম্মি মুক্তি চুক্তি অনুমোদন করেছে ইসরায়েলের মন্ত্রিসভা। আজ শনিবার ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর কার্যালয়ের বরাতে বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ তথ্য জানিয়েছে।
৪ ঘণ্টা আগে