উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা: তেজস্ক্রিয়তার ঝুঁকিতে চীন-জাপানের লাখো মানুষ

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ : ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১১: ৩১
আপডেট : ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১১: ৫৪

উত্তর কোরিয়ার ভূগর্ভস্থ পারমাণবিক পরীক্ষার সাইট থেকে ভূগর্ভস্থ পানিতে তেজস্ক্রিয় পদার্থ ছড়িয়ে পড়ছে। এতে তেজস্ক্রিয় বিকিরণের ঝুঁকিতে পড়েছেন দক্ষিণ কোরিয়া, জাপান, চীন ও খোদ উত্তর কোরিয়ার হাজারো মানুষ। সিউলভিত্তিক মানবাধিকার গোষ্ঠী ট্রানজিশনাল জাস্টিস ওয়ার্কিং গ্রুপ আজ মঙ্গলবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে। 

যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়া সরকার জানিয়েছে, ২০১৬ ও ২০১৭ সালের দিকে উত্তর কোরিয়া তাদের হামগিয়ং প্রদেশের পুংগি-রি সাইটে অন্তত ছয়টি পারমাণবিক অস্ত্রের পরীক্ষা চালিয়েছে। এই সাইটের কাছাকাছি অন্তত আটটি শহরে তেজস্ক্রিয় পদার্থ ছড়িয়ে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে ট্রানজিশনাল জাস্টিস ওয়ার্কিং গ্রুপ। সংস্থাটি তাদের প্রতিবেদনে বলেছে, এসব অঞ্চলে প্রায় ১০ লাখ মানুষ বাস করে। তারা দৈনন্দিন প্রয়োজনে ভূগর্ভস্থ পানি ব্যবহার করে থাকে।

মানবাধিকার সংস্থাটি আরও জানিয়েছে, উত্তর কোরিয়া থেকে মৎস্য ও কৃষিজাত পণ্য যায় প্রতিবেশী দেশ দক্ষিণ কোরিয়া, চীন ও জাপানে। ফলে তারাও ঝুঁকিতে রয়েছে।

ট্রানজিশনাল জাস্টিস ওয়ার্কিং গ্রুপ ২০১৪ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এটি যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসের অর্থায়নের পরিচালিত একটি অলাভজনক প্রতিষ্ঠান। সংস্থাটিতে পরমাণু বিশেষজ্ঞ ও চিকিৎসকেরা রয়েছেন। তাঁরা প্রতিবেদনটি তৈরির সময় উন্মুক্ত উৎস, সরকারি নথি ও জাতিসংঘের প্রতিবেদনের তথ্য ব্যবহার করেছেন। 

ট্রানজিশনাল জাস্টিস ওয়ার্কিং গ্রুপের প্রধান হুবার্ট ইয়ং-হোয়ান লি বলেছেন, আমাদের সমীক্ষা প্রতিবেদনটি এ কারণে গুরুত্বপূর্ণ যে, উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক অস্ত্রের পরীক্ষা শুধু সেই দেশের জনগণকেই নয়, বরং প্রতিবেশী অন্যান্য দেশের জনগণের স্বাস্থ্যকেও ঝুঁকিতে ফেলে দিচ্ছে। 

এ ব্যাপারে জাতিসংঘে নিযুক্ত উত্তর কোরিয়ার কূটনৈতিক মিশনের কর্মকর্তাকে টেলিফোন করা হলে তিনি কোনো উত্তর দেননি বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। 

২০১৫ সালে দক্ষিণ কোরিয়ার খাদ্যনিরাপত্তা সংস্থা আমদানি করা হেজহগ মাশরুমগুলোতে স্বাভাবিক মাত্রার চেয়ে ৯ গুণ বেশি তেজস্ক্রিয় সিজিয়াম আইসোটোপ পেয়েছিল। মাশরুমগুলো চীনা পণ্য হিসেবে তাদের কাছে বিক্রি করা হলেও তাদের মূল উৎস ছিল উত্তর কোরিয়া। 

চীন ও জাপান তেজস্ক্রিয় বিকিরণের ব্যাপারে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। তবে খাদ্যে বিষক্রিয়ার ব্যাপারে কোনো তথ্য প্রকাশ করেনি। 

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত