Ajker Patrika

আফিম উৎপাদনে আফগানিস্তানকে ছাড়িয়ে বিশ্বসেরা মিয়ানমার

আপডেট : ১২ ডিসেম্বর ২০২৩, ১৫: ১৮
আফিম উৎপাদনে আফগানিস্তানকে ছাড়িয়ে বিশ্বসেরা মিয়ানমার

আফিম উৎপাদনে আফগানিস্তানকে ছাড়িয়ে বিশ্বসেরা দেশ এখন মিয়ানমার। জাতিসংঘের একটি প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদ সংস্থা বিবিসি।

জাতিসংঘের প্রতিবেদনে বলা হয়, শক্তিশালী মাদক হেরোইনের মূল উপাদান আফিমের উৎপাদন চলতি বছর ৩৬ শতাংশ বাড়িয়ে মিয়ানমার ১ হাজার ৮০ টনে উন্নীত করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। আর আফগানিস্তানে এ বছর ৩৩০ টন আফিম উৎপাদিত হবে বলে মনে করা হচ্ছে।

আফগানিস্তানে কমে গেছে আফিম উৎপাদন। গত বছর দেশটির ক্ষমতায় তালেবান আসার পর পপি চাষ ৯৫ শতাংশ কমিয়ে দেওয়া হয়। সেই সঙ্গে আফগানিস্তানের অস্থিতিশীল পরিস্থিতিকেও আফিম উৎপাদন হ্রাসের অন্যতম কারণ হিসেবে দেখানো হয়েছে।

জাতিসংঘের ড্রাগস অ্যান্ড ক্রাইম সংশ্লিষ্ট দপ্তরের (ইউএনওডিসি) প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২১ সালে সেনাবাহিনী ক্ষমতা দখলের পর থেকে মিয়ানমারের অর্থনীতি সংঘাত ও অস্থিতিশীলতার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

সেখানে বলা হয়, বৈধ অর্থনৈতিক সুযোগের সীমিত প্রাপ্যতা, বাজার ও রাষ্ট্রীয় কাঠামোতে প্রবেশের সীমিত সুযোগ, মুদ্রাস্ফীতি ও মুদ্রার মান কমে যাওয়ার ফলে সৃষ্ট আর্থিক বিপর্যয়ের মুখে আফিমসহ অন্যান্য অবৈধ পণ্যের উৎপাদনকে আকর্ষণীয় বিকল্প বা জীবিকা নির্বাহের মাধ্যম হিসেবে দেখা হচ্ছে।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, মিয়ানমারে ২০২২ সালের শেষ দিকে কৃষকেরা আরও বেশি পরিমাণে পপি চাষের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল বলে মনে করা হচ্ছে।

ফসল কাটার সময় তাজা ও শুকনো আফিমের গড় মূল্য বেঁড়ে প্রতি কেজিতে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ৩১৭ ও ৩৫৬ ডলার। এ ছাড়া, ২০২৩ সালে মিয়ানমারে পপি চাষের জমির পরিমাণ ১৮ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ১৬ হাজার ১৪০ একর।

মিয়ানমার, থাইল্যান্ড ও লাওসকে একত্রে বলা হয় গোল্ডেন ট্রায়াঙ্গেল। ঐতিহাসিকভাবে আফিম ও হেরোইন উৎপাদনের প্রধান উৎস এই এলাকা। এ ছাড়া, বিশ্বজুড়ে বিক্রি হওয়া বেশির ভাগ হেরোইনের উৎসই হচ্ছে মিয়ানমার ও আফগানিস্তান।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত