আবারও তাইওয়ানের আকাশে চীনা নজরদারি বেলুন

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ : ০৮ জানুয়ারি ২০২৪, ১১: ১২
আপডেট : ০৮ জানুয়ারি ২০২৪, ১২: ১০

আবারও তাইওয়ানের আকাশে তিনটি চীনা নজরদারি বেলুন শনাক্ত করা হয়েছে। চীনের বিরুদ্ধে তাইওয়ানের আকাশসীমায় বিমান চলাচলের নিরাপত্তা বিঘ্নিত করা এবং জনগণের বিরুদ্ধে মনস্তাত্ত্বিক যুদ্ধ চালানোর অভিযোগ জানানোর পরেও বেইজিং তা আমলে নিচ্ছে না বলে আজ সোমবার জানিয়েছে তাইওয়ানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। বার্তা সংস্থা রয়টার্স খবরটি দিয়েছে।

গত ২৪ ঘণ্টায় চীনের সামরিক কার্যকলাপের ওপর দেওয়া সর্বশেষ প্রতিবেদনে তাইওয়ানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, রোববার চীনের তিনটি নজরদারি বেলুন তাইওয়ান প্রণালির মধ্যরেখার ওপর দিয়ে উড়েছে। এর মধ্যে কেবল একটি বেলুন তাইওয়ানের দক্ষিণ-পূর্ব প্রান্ত দিয়ে দেশটি অতিক্রম করেছে। অদৃশ্য হওয়ার আগে বেলুনগুলো পূর্বদিকে যাচ্ছিল।

সোমবার ক্ষমতাসীন ডেমোক্রেটিক প্রগ্রেসিভ পার্টির (ডিপিপি) ভাইস প্রেসিডেন্ট প্রার্থী সিয়াও বি-খিম বলেছেন, চীনের উচিত তাইওয়ানকে হয়রানি বন্ধ করা। তাইওয়ানের জনগণের জীবনে হস্তক্ষেপ করে ভয় দেখানো এবং হুমকি দেওয়াকে আমরা স্বাগত জানাই না। শুধু এই সপ্তাহে নয়, আমরা আশা করি তাইওয়ানে শান্তি ও স্থিতিশীলতা দীর্ঘ সময়ের জন্য থাকবে।

রোববার সাংবাদিকদের কাছে তাইওয়ানের বৃহত্তম বিরোধী দল কুওমিনতাং (কেএমটি) এর ভাইস প্রেসিডেন্ট প্রার্থী জা শ-কং নির্বাচনের মাত্র এক সপ্তাহ আগে বিমান এবং যুদ্ধজাহাজ পাঠানো বন্ধ করতে চীনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, দয়া করে তাইওয়ানকে শান্তিতে থাকতে দিন এবং আমাদের নির্বাচনকে সুষ্ঠু হতে দিন।

তাইওয়ান প্রণালির মধ্যরেখা পূর্বে তাইওয়ান এবং চীনের মধ্যে একটি অনানুষ্ঠানিক সীমানা হিসেবে কাজ করেছিল। কিন্তু চীনা যুদ্ধজাহাজ এবং ড্রোনের পর এখন নজরদারি বেলুনও নিয়মিতভাবে তাইওয়ানের ওপর দিয়ে উড়ে যায়।

চীনের তাইওয়ান বিষয়ক দপ্তর গত সপ্তাহে আবারও বলেছে যে, এই মধ্যরেখার কোনো ‘অস্তিত্ব নেই’ এবং তাইওয়ানের ক্ষমতাসীন ডেমোক্রেটিক প্রগ্রেসিভ পার্টি (ডিপিপি) নির্বাচন ঘনিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে চীন ভূখণ্ড থেকে হুমকির কল্পিত আশঙ্কা করে সংঘাতের উদ্রেক করছে।

গত শনিবার তাইওয়ানের আকাশের ওপর নজরদারি বেলুন উড়িয়ে চীন মনস্তাত্ত্বিক যুদ্ধ চালাচ্ছে বলে অভিযোগ করেছিল তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। বিমান চলাচলের নিরাপত্তার ওপর চীন হুমকি তৈরি করছে বলেও বেইজিংয়ের নিন্দা জানিয়েছে তারা। মন্ত্রণালয় তাদের বিশ্লেষণের ভিত্তিতে বলেছে, তাইওয়ানের বিরুদ্ধে চীনের ‘গ্রে জোন’ কৌশলের অংশ হিসেবেই এসব বেলুন ওড়ানো হয়েছে। তাইওয়ানের মানুষের বিরুদ্ধে মনস্তাত্ত্বিক যুদ্ধ চালিয়ে তাদের মানসিকভাবে দুর্বল করে দেওয়ার প্রয়াস ছিল চীনের।

নজরদারিবৃত্তির জন্য চীনের বেলুন ব্যবহারের আশঙ্কা গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে এক বৈশ্বিক সমস্যা হয়ে উঠেছিল। তখন যুক্তরাষ্ট্র বলেছিল, তাদের আকাশ সীমানায় একটি চীনা নজরদারি বেলুন প্রবেশ করেছিল। চীন তখন বলেছিল, বেলুনটি ছিল বেসামরিক এবং সেটি দুর্ঘটনাক্রমে ভুল পথে চলে যায়।

তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় ও বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের অভিযোগ সম্পর্কে এখনো কোনো মন্তব্য করেনি বেইজিং। গত সপ্তাহে এক সংবাদ সম্মেলনে নজরদারি বেলুন নিয়ে মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছিল চীনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত