চীনে গুপ্তচরবৃত্তি চালিয়েছে যুক্তরাজ্য, দাবি বেইজিংয়ের

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ : ০৮ জানুয়ারি ২০২৪, ১৫: ০৩
আপডেট : ০৮ জানুয়ারি ২০২৪, ১৫: ১৯

চীনের অভ্যন্তরে গোয়েন্দা কার্যক্রম বা গুপ্তচরবৃত্তি চালিয়েছে যুক্তরাজ্য, এমন অভিযোগ করেছে চীন। ব্রিটিশ সিক্রেট ইন্টেলিজেন্স যা এমআই-৬ নামে পরিচিত ব্রিটিশ গোয়েন্দা সংস্থা বিদেশি নাগরিককে ব্যবহার করে চীনের অভ্যন্তরে গোয়েন্দা কার্যক্রম চালিয়েছে এমন প্রমাণ পেয়েছে চীনা গোয়েন্দা সংস্থাগুলো। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে। 

চীনের মিনিস্ট্রি অব স্টেট সিকিউরিটি গতকাল সোমবার চীনা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম উইচ্যাটে শেয়ার করা এক পোস্টে জানিয়েছে, ২০১৫ সালে এমআই-৬ হুয়াং নামে এক ব্যক্তির সঙ্গে ‘গোয়েন্দা তথ্য লেনদেনের’ কার্যকরী সম্পর্ক গড়ে তোলে। সেই ব্যক্তি একটি বৈদেশিক পরামর্শ প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করেন। সেই ব্যক্তি সহায়তায় যুক্তরাজ্য চীনের গোপন তথ্য হাতিয়ে নেওয়া চেষ্টা করেছে যুক্তরাজ্য। 

চীনের তরফ থেকে এমন এক সময়ে এই অভিযোগ এল যখন উভয় দেশই একে অপরের বিরুদ্ধে নিজ নিজ ভূখণ্ডে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগ নিয়ে কাদা-ছোড়াছুড়ি করছে। বিশ্লেষকদের আশঙ্কা, নতুন এই অভিযোগ চীন ও যুক্তরাজ্যের সম্পর্ককে আরও খারাপের দিকে ঠেলে দেবে। 

চীনের মিনিস্ট্রি অব স্টেট সিকিউরিটি এক বিবৃতিতে অভিযোগ করেছে, ২০১৫ সালের পর হুয়াং একাধিকবার চীনে এসেছেন। ব্রিটিশ গোয়েন্দারা তাঁকে চীনের সাধারণ নাগরিকের ছদ্মবেশে পাঠিয়ে চীনসংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহে ব্যবহার করেছে। এমনকি ব্রিটিশ সিক্রেট ইন্টেলিজেন্স হুয়াংকে ব্রিটেন এবং বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে নিয়ে বিভিন্ন ধরনের প্রশিক্ষণও দিয়েছে। এমনকি চীনে গুপ্তচরবৃত্তি পরিচালনার জন্য হুয়াংকে বিভিন্ন এসপিওনেজ যন্ত্রপাতিও সরবরাহ করেছে।

চীন সরকারের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘ব্যাপক সতর্কতার সঙ্গে তদন্তের পর রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা সংস্থাগুলো হুয়াংয়ের গুপ্তচরবৃত্তিমূলক কার্যকলাপে জড়িত থাকার প্রমাণ খুঁজে পেয়েছে এবং তাঁর বিরুদ্ধে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড পরিচালনার অভিযোগে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।’ চীন সরকার অবশ্য হুয়াং পরিচালিত বৈদেশিক পরামর্শক সংস্থার নাম উল্লেখ করেনি। 

এর আগে, ব্রিটিশ সরকার অভিযোগ করেছিল যে চীনা গোয়েন্দারা ব্রিটেনের বিভিন্ন স্পর্শকাতর পদের সঙ্গে জড়িত রাজনীতিবিদ, প্রতিরক্ষা কর্মকর্তা ও ব্যবসায়ীদের টার্গেট করে গুপ্তচরবৃত্তি চালিয়ে যাচ্ছে। এসব কাজ করতে চীনা গোয়েন্দারা অত্যাধুনিক বিভিন্ন পদ্ধতি ও যন্ত্রপাতির আশ্রয় নিচ্ছে। সম্প্রতি ব্রিটিশ পার্লামেন্টের এক গবেষককে চীনের গোয়েন্দা হিসেবে অভিযুক্ত করা হলে তিনি সেই অভিযোগ অস্বীকার করেন।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত