অনলাইন ডেস্ক
নিজেকে ইউরোপের একমাত্র স্বৈরশাসক ভাবতে রাজি নন বেলারুশের প্রেসিডেন্ট আলেকজান্ডার লুকাশেঙ্কো। নিজের নামের সঙ্গে ‘ইউরোপের শেষ স্বৈরশাসক’ উপমাটিকেও প্রত্যাখ্যান করেছেন তিনি।
এ বিষয়ে বলতে গিয়ে লুকাশেঙ্কো প্রথমেই নিজেকে স্বৈরশাসক নন বলে দাবি করেন। তিনি বলেন, ‘আমি স্বৈরশাসক যদি হইও, তবে ইউরোপের শেষ স্বৈরশাসক নই।’
৬৮ বছর বয়সী লুকাশেঙ্কো ১৯৯৪ সাল থেকে বেলারুশ শাসন করছেন। ২০১২ সালে রয়টার্সের সঙ্গে একটি সাক্ষাৎকারে ‘ইউরোপের শেষ স্বৈরশাসক’ তকমাটি পেয়েছিলেন তিনি।
বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে সেই রয়টার্সের পক্ষ থেকেই লুকাশেঙ্কোর কাছে জানতে চাওয়া হয়, ‘ইউরোপের শেষ স্বৈরশাসক’ হিসেবে তিনি যে তকমাটি পেয়েছিলেন, সে বিষয়ে তাঁর ভাবনা কী? আর এই বর্ণনা পেয়ে দেশ শাসন করতে গিয়ে তিনি কোনো সমস্যায় পড়েছিলেন কি না।
জবাবে লুকাশেঙ্কো দাবি করেন, যে প্রতিবেদক তাঁকে এমন প্রশ্ন করেছিলেন, তাঁর ক্ষমা চাওয়া উচিত।
বেলারুশের রাজধানী মিনস্কের ইনডিপেনডেন্স প্যালেসে বসে লুকাশেঙ্কো বলেন, ‘ময়লায় ভেসে যাওয়ার জন্য শক্তি দেওয়া হয় না। ক্ষমতায় থাকব কি থাকব না, তা আমি নিজে ঠিক করি না। জনগণই আমাকে এই উচ্চ আসন অর্পণ করেছে।’
জানা যায়, যাঁরা লুকাশেঙ্কোর বিরোধিতা করেন, তাঁদের বেশির ভাগই এখন দেশ ছেড়ে অন্য দেশে অবস্থান করছেন। বিরোধীদের অভিযোগ, শুধু নির্বাচনে কারচুপিই নয়, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের কাছে বেলারুশের সার্বভৌমত্ব সমর্পণ করে দিয়েছেন লুকাশেঙ্কো। তিনি পুতিনকে সব সময় ‘বড় ভাই’ হিসেবে উল্লেখ করেন।
লুকাশেঙ্কো ও তার সমর্থকেরা এসব অভিযোগ বরাবরই অস্বীকার করে আসছেন। তাঁরা দাবি করেন, ১৯৯১ সালে সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর আশান্ত বেলারুশকে বছরের পর বছর ধরে দক্ষ হাতে পরিচালনা করেছেন লুকাশেঙ্কো। এ জন্য দেশের বেশির ভাগ মানুষের সমর্থন পেয়ে আসছেন তিনি।
লুকাশেঙ্কো সাংবাদিকদের জানান, বর্তমানে তাঁর দেশে বন্দীর সংখ্যা ২২ হাজারেরও কম। অথচ তিনি যখন ক্ষমতায় এসেছিলেন সেই সময় ৫০ হাজারের বেশি বন্দী ছিল দেশটিতে।
এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমি সম্ভবত খুব শক্তিশালী স্বৈরশাসক নই।’
সংবাদ সম্মেলনের একপর্যায়ে লুকাশেঙ্কো জানান, দেশের ভাগ্য নিয়ে তিনি খুব বিচলিত ছিলেন এক সময়। এমনকি ক্ষমতা ছেড়ে বাকি জীবন কীভাবে কাটাবেন তা নিয়েও ভেবেছিলেন।
দেশ পরিচালনার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি না যে আমি অপরিহার্য। কিন্তু একজন নতুন লোক এসে যদি সবকিছু ধ্বংস করে দেয়, তখন কী হবে?’
সাড়ে তিন ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন লুকাশেঙ্কো। বৈঠক থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সময় প্রশ্নবানে জর্জরিত এই নেতা কিছুটা হাসি-ঠাট্টাও করেন। বেরিয়ে যাওয়ার সময় সাংবাদিকদের জানান, ফুটবল খেলে তিনি কিছুটা আঘাত পেয়েছেন। এ সময় সাংবাদিকদের নিজেদের যত্ন নেওয়ার পরামর্শও দেন তিনি।
হাসতে হাসতে সাংবাদিকদের বলেন, ‘এখানে আসেন। এখানে আসেন। ভয় পাবেন না। আপনার নিরাপত্তার সম্পূর্ণ গ্যারান্টি দিচ্ছি আমি। কেউ আপনাকে ছিনিয়ে নেবে না।’
নিজেকে ইউরোপের একমাত্র স্বৈরশাসক ভাবতে রাজি নন বেলারুশের প্রেসিডেন্ট আলেকজান্ডার লুকাশেঙ্কো। নিজের নামের সঙ্গে ‘ইউরোপের শেষ স্বৈরশাসক’ উপমাটিকেও প্রত্যাখ্যান করেছেন তিনি।
এ বিষয়ে বলতে গিয়ে লুকাশেঙ্কো প্রথমেই নিজেকে স্বৈরশাসক নন বলে দাবি করেন। তিনি বলেন, ‘আমি স্বৈরশাসক যদি হইও, তবে ইউরোপের শেষ স্বৈরশাসক নই।’
৬৮ বছর বয়সী লুকাশেঙ্কো ১৯৯৪ সাল থেকে বেলারুশ শাসন করছেন। ২০১২ সালে রয়টার্সের সঙ্গে একটি সাক্ষাৎকারে ‘ইউরোপের শেষ স্বৈরশাসক’ তকমাটি পেয়েছিলেন তিনি।
বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে সেই রয়টার্সের পক্ষ থেকেই লুকাশেঙ্কোর কাছে জানতে চাওয়া হয়, ‘ইউরোপের শেষ স্বৈরশাসক’ হিসেবে তিনি যে তকমাটি পেয়েছিলেন, সে বিষয়ে তাঁর ভাবনা কী? আর এই বর্ণনা পেয়ে দেশ শাসন করতে গিয়ে তিনি কোনো সমস্যায় পড়েছিলেন কি না।
জবাবে লুকাশেঙ্কো দাবি করেন, যে প্রতিবেদক তাঁকে এমন প্রশ্ন করেছিলেন, তাঁর ক্ষমা চাওয়া উচিত।
বেলারুশের রাজধানী মিনস্কের ইনডিপেনডেন্স প্যালেসে বসে লুকাশেঙ্কো বলেন, ‘ময়লায় ভেসে যাওয়ার জন্য শক্তি দেওয়া হয় না। ক্ষমতায় থাকব কি থাকব না, তা আমি নিজে ঠিক করি না। জনগণই আমাকে এই উচ্চ আসন অর্পণ করেছে।’
জানা যায়, যাঁরা লুকাশেঙ্কোর বিরোধিতা করেন, তাঁদের বেশির ভাগই এখন দেশ ছেড়ে অন্য দেশে অবস্থান করছেন। বিরোধীদের অভিযোগ, শুধু নির্বাচনে কারচুপিই নয়, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের কাছে বেলারুশের সার্বভৌমত্ব সমর্পণ করে দিয়েছেন লুকাশেঙ্কো। তিনি পুতিনকে সব সময় ‘বড় ভাই’ হিসেবে উল্লেখ করেন।
লুকাশেঙ্কো ও তার সমর্থকেরা এসব অভিযোগ বরাবরই অস্বীকার করে আসছেন। তাঁরা দাবি করেন, ১৯৯১ সালে সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর আশান্ত বেলারুশকে বছরের পর বছর ধরে দক্ষ হাতে পরিচালনা করেছেন লুকাশেঙ্কো। এ জন্য দেশের বেশির ভাগ মানুষের সমর্থন পেয়ে আসছেন তিনি।
লুকাশেঙ্কো সাংবাদিকদের জানান, বর্তমানে তাঁর দেশে বন্দীর সংখ্যা ২২ হাজারেরও কম। অথচ তিনি যখন ক্ষমতায় এসেছিলেন সেই সময় ৫০ হাজারের বেশি বন্দী ছিল দেশটিতে।
এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমি সম্ভবত খুব শক্তিশালী স্বৈরশাসক নই।’
সংবাদ সম্মেলনের একপর্যায়ে লুকাশেঙ্কো জানান, দেশের ভাগ্য নিয়ে তিনি খুব বিচলিত ছিলেন এক সময়। এমনকি ক্ষমতা ছেড়ে বাকি জীবন কীভাবে কাটাবেন তা নিয়েও ভেবেছিলেন।
দেশ পরিচালনার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি না যে আমি অপরিহার্য। কিন্তু একজন নতুন লোক এসে যদি সবকিছু ধ্বংস করে দেয়, তখন কী হবে?’
সাড়ে তিন ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন লুকাশেঙ্কো। বৈঠক থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সময় প্রশ্নবানে জর্জরিত এই নেতা কিছুটা হাসি-ঠাট্টাও করেন। বেরিয়ে যাওয়ার সময় সাংবাদিকদের জানান, ফুটবল খেলে তিনি কিছুটা আঘাত পেয়েছেন। এ সময় সাংবাদিকদের নিজেদের যত্ন নেওয়ার পরামর্শও দেন তিনি।
হাসতে হাসতে সাংবাদিকদের বলেন, ‘এখানে আসেন। এখানে আসেন। ভয় পাবেন না। আপনার নিরাপত্তার সম্পূর্ণ গ্যারান্টি দিচ্ছি আমি। কেউ আপনাকে ছিনিয়ে নেবে না।’
ইউক্রেন যুক্তরাষ্ট্রের দেওয়া ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে রাশিয়াতে হামলা চালানোর পর যুদ্ধের তীব্রতা বেড়েছে। এর মধ্যে রাশিয়া জানাল, পূর্ব ইউক্রেনের দোনেৎস্ক অঞ্চলের দালনে গ্রাম দখলে নিয়েছে তাদের সেনারা। অবশ্য রাশিয়ার গ্রাম দখলের বিষয়টি স্বীকার করেনি ইউক্রেনের জেনারেল স্টাফ।
১০ মিনিট আগেট্রাম্প প্রশাসনের অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে মনোনীত হওয়ার পরপরই যৌন কেলেঙ্কারিসহ নানা অভিযোগে সরে দাঁড়াতে হলো ম্যাট গেটজকে। কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই নতুন অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে পুরোনো মিত্র পাম বন্ডিকে বেছে নিলেন ট্রাম্প।
১ ঘণ্টা আগেকংগ্রেস ভবনের সব শৌচাগার, পোশাক পরিবর্তনের কক্ষ, লকার রুমগুলো নারী–পুরুষ অনুযায়ী ভাগ করা আছে। নারীদের জন্য নির্ধারিত পরিসরে শুধু নারীদের অধিকার থাকা উচিত বলেও মন্তব্য করেন লুইজিয়ানার এই রিপাবলিকান প্রতিনিধি।
৩ ঘণ্টা আগেপাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের স্ত্রী বুশরা বিবি দাবি করেছেন, ইমরান খানের সরকার পতনের পেছনে সৌদি আরবের ভূমিকা ছিল। কারাবন্দী ইমরান খানের স্ত্রী এক বিরল ভিডিও বার্তায় এই দাবি করেছেন। পাশাপাশি, তিনি ভিডিওতে আগামী ২৪ নভেম্বর ইসলামাবাদে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া বিক্ষোভ মিছিলে ইমরান খানের দল পাকিস
১৫ ঘণ্টা আগে