রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ: যুক্তরাষ্ট্রে পালাবদলের আগেই আরও সহায়তা চান জেলেনস্কি

অনলাইন ডেস্ক
Thumbnail image

জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে যোগ দিতে বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে রয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। সফরের অংশ হিসেবে গত বৃহস্পতিবার হোয়াইট হাউসে বিদায়ী মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে জেলেনস্কির সঙ্গে নিজের সর্বশেষ এ বৈঠকে রুশ আগ্রাসন মোকাবিলায় ইউক্রেনের জন্য আরও সহায়তার ঘোষণা দেন বাইডেন। 

সমালোচকেরা বলছেন, যুক্তরাষ্ট্রের আগামী নির্বাচনে সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ফের ক্ষমতায় এলে যেকোনো মূল্যে ইউক্রেনকে মস্কোর সঙ্গে একটি বোঝাপড়ায় বাধ্য করার চেষ্টা করবেন তিনি। এমন বাস্তবতায় ওয়াশিংটনে ক্ষমতার পালাবাদলের আগেই নিজ দেশের জন্য আরও মার্কিন সহায়তা নিশ্চিতের ওপর জোর দিচ্ছেন জেলেনস্কি। 

জার্মান সংবাদমাধ্যম ডয়চে ভেলে জানিয়েছে, সর্বশেষ এ বৈঠকে ইউক্রেনের জন্য বাড়তি ২৪০ কোটি ডলারের সামরিক সহায়তা অনুমোদনের কথা জানিয়েছেন জো বাইডেন। আগামী জানুয়ারিতে প্রেসিডেন্ট হিসেবে নিজের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে আরও ৫৫০ কোটি ডলারের সহায়তারও আশ্বাস দিয়েছেন তিনি। এরপর কে নতুন মার্কিন প্রশাসনের হাল ধরবেন, তা নিয়ে অনিশ্চয়তা সত্ত্বেও বাইডেন বলেন, ‘আমরা এখনো ইউক্রেনের সঙ্গে আছি, ভবিষ্যতেও থাকব।’ 

দৃশ্যত আসন্ন মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে চরম অনিশ্চয়তার মুখে পড়েছেন জেলেনস্কি। ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী ও বর্তমান ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস ভোটে জিতলে ইউক্রেনের জন্য মার্কিন সহায়তা অব্যাহত থাকবে—এমন আশ্বাস পেয়েছেন তিনি। তবে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প বিজয়ী হলে বিষয়টি বড় ধরনের ধাক্কা খাবে, এ নিয়ে সন্দেহের কোনো অবকাশ নেই। 

ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রয়োজনে ইউক্রেনীয় ভূখণ্ডের কিছু অংশে রাশিয়ার কর্তৃত্ব মেনে নিয়ে অগ্রসর হওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছেন। অন্যদিকে কমলা হ্যারিস ট্রাম্পের বিরুদ্ধে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের নীতির প্রতি সমর্থনের অভিযোগ এনেছেন। তাঁর মতে, ইউক্রেন ইস্যুতে ট্রাম্পের প্রস্তাব একেবারেই বিপজ্জনক। এটি কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য হতে পারে না। 

ডয়চে ভেলে জানিয়েছে, ইউক্রেনের জন্য যুক্তরাষ্ট্র তথা পশ্চিমা বিশ্বের সহায়তা যতটা সম্ভব ‘ট্রাম্প-প্রুফ’ করতে বাইডেন প্রশাসন আগামী মাসে জার্মানিতে এক উচ্চপর্যায়ের বৈঠকের পরিকল্পনা করছে। ৫০ টির বেশি দেশের সহায়তাকে সমন্বয়ের মাধ্যমে ন্যাটোর নেতৃত্বে রাশিয়ার হামলা মোকাবিলায় ভবিষ্যতেও ইউক্রেনকে সাহায্য করার পথ খোলা রাখার চেষ্টা করছেন বাইডেন। তবে তিনি জেলেনস্কির অনুরোধ মেনে রাশিয়ার গভীরে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার অনুমোদন দেবেন কি না, তা এখনো স্পষ্ট নয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত