যুক্তরাজ্য সরকারের মন্ত্রিসভায় টিউলিপ সিদ্দিক

অনলাইন ডেস্ক
আপডেট : ১০ জুলাই ২০২৪, ০০: ৪৫
Thumbnail image

যুক্তরাজ্যের নতুন সরকারের মন্ত্রিসভার সদস্য হলেন বঙ্গবন্ধুর নাতনি টিউলিপ সিদ্দিক। ব্রিটেনের মন্ত্রিসভায় প্রথম কোনো ব্রিটিশ-বাংলাদেশি মন্ত্রী হিসেবে নিযুক্ত হলেন তিনি। টিউলিপ লেবার পার্টির সরকারের ট্রেজারি বিভাগে দায়িত্ব পেয়েছেন।

যুক্তরাজ্য সরকারের ওয়েবসাইটে রাজার অনুমোদন প্রাপ্ত লেবার পার্টির মন্ত্রিসভায় টিউলিপ সিদ্দিকের পদ উল্লেখ করা হয়েছে: মহামান্যের ট্রেজারি বিভাগের পার্লামেন্টারি সেক্রেটারি (ট্রেজারি বিভাগের অর্থমন্ত্রী এবং নগর মন্ত্রী)।

যুক্তরাজ্যের সর্বশেষ সাধারণ নির্বাচনে টানা চতুর্থবারের মতো এমপি নির্বাচিত হয়েছেন টিউলিপ সিদ্দিক। এবার লেবার পার্টির নেতা কিয়ার স্টারমারের সরকারের মন্ত্রিসভায়ও জায়গা পেলেন তিনি। নগরমন্ত্রী হিসেবে টিউলিপ সিদ্দিক ব্রিটেনের আর্থিক পরিষেবা খাত তত্ত্বাবধানের দায়িত্ব পালন করবেন।

যুক্তরাজ্য সরকারে সিটি মিনিস্টার বা নগর মন্ত্রী হলো ট্রেজারি বিভাগের মধ্যম স্তরের মন্ত্রী পর্যায়ের পদ। এই পদে ব্রিটেনের আর্থিক সেবা খাত দেখাভালের দায়িত্ব দেওয়া হয়, এই খাতকে সাধারণত ‘দ্য সিটি’ বলে। এই পদ সাধারণত ট্রেজারি বিভাগের আরেকটি পদের সমন্বয়। বর্তমানে সেই পদের নাম ‘ইকোনমিক সেক্রেটারি টু দ্য ট্রেজারি’।

বিধি অনুযায়ী পার্লামেন্টারি সেক্রেটারিকে মন্ত্রী বলা যায় না। তিনি একজন বেতনভুক্ত কর্মকর্তা। নিম্নকক্ষে তিনি সংশ্লিষ্ট মন্ত্রীর মুখপাত্র হিসেবে কাজ করেন। তবে সরকারের অংশ হিসেবে কোনো বক্তব্য দিতে পারেন না।

বিরোধী দলে থাকার সময় টিউলিপ লেবার পার্টির ছায়া মন্ত্রিসভায় সিটি মিনিস্টারের দায়িত্ব পালন করেন। সদ্য সমাপ্ত নির্বাচনে লন্ডনের হ্যামস্টেড ও হাইগেট আসন থেকে ২৩ হাজার ৪৩২ ভোট পেয়ে টানা চতুর্থবারের মতো এমপি নির্বাচিত হন তিনি। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কনজারভেটিভ পার্টির ডন উইলিয়ামস পান মাত্র ৮ হাজার ৪৬২ ভোট। 

৪১ বছর বয়সী টিউলিপকে লেবার পার্টির নতুন প্রজন্মের সম্ভাবনাময় রাজনীতিবিদ হিসেবে দেখা হয়। ২০১৫ সালের নির্বাচনে প্রথমবার লেবার পার্টির মনোনয়ন পেয়ে এমপি নির্বাচিত হন টিউলিপ। 

সরকারের পক্ষ থেকে ঘোষণা এলে টিউলিপ সিদ্দিক কনজারভেটিভ পার্টির বিম আফোলামির স্থলাভিষিক্ত হবেন। 

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছোট কন্যা শেখ রেহানার মেয়ে টিউলিপ সিদ্দিক। ব্রিটেনের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতির অধ্যাপক ড. শফিক সিদ্দিক ও শেখ রেহানা দম্পতির তিন সন্তানের মধ্যে টিউলিপ দ্বিতীয়। ১৯৮২ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর লন্ডনে টিউলিপের জন্ম। 

ব্রিটেনের রয়্যাল সোসাইটি অব আর্টসের ফেলো টিউলিপ রেজোয়ানা সিদ্দিক ২০১৫ সালে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হ্যামস্টেড ও হাইগেট আসন থেকে প্রথমবার এমপি নির্বাচিত হন। টিউলিপ মাত্র ১৬ বছর বয়সে লেবার পার্টির সদস্য হয়ে ব্রিটেনের রাজনীতিতে নাম লেখান। এমপি নির্বাচিত হওয়ার আগে টিউলিপ ক্যামডেন কাউন্সিলের কাউন্সিলর নির্বাচিত হন। তিনি ক্যামডেন কাউন্সিলের প্রথম বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত নারী কাউন্সিলর।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত