অনলাইন ডেস্ক
ভ্লাদিমির পুতিনের কট্টর সমালোচক হিসেবে পরিচিত রাশিয়ার বিরোধীদলীয় নেতা অ্যালেক্সেই নাভালনির মৃত্যুতে রুশ সরকারের বিরুদ্ধে সমালোচনা ও অভিযোগের মাত্রা বেড়েই চলেছে। রুশ কর্তৃপক্ষকে হত্যাকারী হিসেবে অভিহিত করেছেন নাভালনির সমর্থকেরা। সেই সঙ্গে নাভালনির মরদেহ হস্তান্তরে অস্বীকৃতি জানানোর মাধ্যমে খুনের আলামত গোপন রাখার অভিযোগও উঠেছে রুশ সরকারের বিরুদ্ধে।
বার্তা সংস্থা এএফপি এক প্রতিবেদনে বলেছে, গত শুক্রবার নাভালনির মৃত্যুর পর গতকাল তার সমর্থকেরা বেশ কিছু ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে রুশ সরকারের বিরুদ্ধে এই গুরুতর অভিযোগ তুলেছেন। তাঁরা বলেন, নাভালনিকে কীভাবে মারা হয়েছে তা যেন প্রকাশ্যে আসতে না পারে, তা ঠেকাতেই এই বিরোধী নেতার মরদেহ তাঁর পরিবারের কাছে হস্তান্তরে অস্বীকৃতি জানিয়েছিল কারা কর্তৃপক্ষ।
গতকাল নাভালনির মা লুদমিলা ও তাঁর আইনজীবী গিয়ে পৌঁছান সাইবেরিয়ান প্রত্যন্ত অঞ্চল ইয়ামালো-নেনেতের কারাগারে, যেখানে বন্দী অবস্থায় মারা গেছেন নাভালনি। তাঁর মুখপাত্র কিরা ইয়ারমিশ বলেন, নাভালনির মরদেহের কাছে যেতে দেওয়া হয়নি তাঁর মা ও আইনজীবীকে।
নাভালনির দল টেলিগ্রামে এক পোস্টে বলেছে, ‘এটা পরিষ্কার যে, নাভালনিকে কীভাবে খুন করা হয়েছে তা লুকিয়ে রাখতে চায় খুনিরা। এ কারণেই তার পরিবারের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হয়নি। এমনকি মরদেহের কাছেও যেতে দেওয়া হয়নি তাঁর মাকে।’
কিরা ইয়ারমিশ বলেন, ‘তারা (রুশ কর্তৃপক্ষ) কোনোভাবেই চায় না যে, নাভালনিকে কীভাবে হত্যা করা হয়েছে তা সামনে আসুক।’
নাভালনির মৃত্যুর প্রতিবাদে গতকাল রাশিয়াজুড়ে হয়েছে বেশ কিছু বিক্ষোভ। পুলিশ এসব বিক্ষোভকে ছত্রভঙ্গ করেছে। রাশিয়ায় রাজনৈতিক দমন-পীড়ন পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা ওভিডি-ইনফো জানিয়েছে, নাভালনির মৃত্যুতে প্রতিবাদ করায় রাশিয়ার ৩৬টি শহরে ৪০০ জনেরও বেশি মানুষকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
নাভালনির প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে দেওয়া পুষ্পস্তবকগুলো রাতারাতি সরিয়ে ফেলা হয়েছে। পুলিশের উপস্থিতিতেই সব ফুল সরানো হয়েছে। মস্কোর একটি অস্থায়ী স্মৃতিসৌধে ফুলের মধ্যে রেখে যাওয়া একটি নোটে লেখা ছিল, ‘অ্যালেক্সেই নাভালনির মৃত্যুই সম্ভবত রাশিয়ার জন্য সবচেয়ে খারাপ ঘটনা।’
এদিকে, নাভালনির মৃত্যুতে পশ্চিমা বিশ্ব একযোগে পুতিন প্রশাসনকে দায়ী করলেও এখনো ক্রেমলিনের কাছ থেকে কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি। গতকাল মিউনিখে জি-৭ভুক্ত দেশগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠকে অ্যালেক্সেই নাভালনির মৃত্যুতে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন স্পষ্টভাবে এই মৃত্যুর জন্য পুতিনকে দোষারোপ করেছেন। তবে পুতিন এ ব্যাপারে কোনো প্রতিক্রিয়া দেখাননি।
রাজনৈতিক জীবনে নাভালনি পুতিনের কট্টর বিরোধী হিসেবে পরিচিত ছিলেন। বিশেষ করে রাশিয়ার দুর্নীতি ও শাসনব্যবস্থার কড়া সমালোচক ছিলেন তিনি। রাশিয়ায় তিনি কয়েক যুগ ধরেই বিদ্যমান সরকার ও শাসনব্যবস্থার বিরুদ্ধে কথা বলে আসছিলেন। দেশজুড়ে এ নিয়ে তিনি বিভিন্ন সময়ে আন্দোলন চালিয়েছেন।
রাশিয়ার এই নেতাকে ২০২১ সালের শুরুর দিকেই গ্রেপ্তার করা হয় ২০১৪ সালে করা একটি অর্থ আত্মসাৎ মামলায়। দ্রুতই বিচারের মাধ্যমে তাঁকে আড়াই বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। পরে আদালত অবমাননার অভিযোগে তাঁকে আরও ৯ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। ২০২১ সালের আগস্টে চরমপন্থার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে নাভালনিকে আরও ১৯ বছর কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
নাভালনির মৃত্যুর কয়েক ঘণ্টা পরেই তাঁর স্ত্রী ইউলিয়া নাভালনিয়া নাটকীয়ভাবে জার্মানিতে এক নিরাপত্তা সম্মেলনে উপস্থিত হন। এই সংবাদ সম্মেলনে আরও অনেক নেতা উপস্থিত ছিলেন। মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনেই নাভালনির মৃত্যুসংবাদ পান তাঁর স্ত্রী।
কান্না সংবরণ করে আবেগতাড়িত বক্তব্যে ইউলিয়া বলেন, ‘সে (অ্যালেক্সেই নাভালনি) এখানেই থাকতে পারত, এই সম্মেলনকক্ষে। রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় সূত্র থেকে যে খবর আমরা পেলাম, তা কীভাবে বিশ্বাস করব জানি না। কারণ, বহু বছর ধরেই আমরা পুতিন ও তার সরকারকে বিশ্বাস করতে পারি না। তারা সব সময় মিথ্যা বলে।’
ভ্লাদিমির পুতিনের কট্টর সমালোচক হিসেবে পরিচিত রাশিয়ার বিরোধীদলীয় নেতা অ্যালেক্সেই নাভালনির মৃত্যুতে রুশ সরকারের বিরুদ্ধে সমালোচনা ও অভিযোগের মাত্রা বেড়েই চলেছে। রুশ কর্তৃপক্ষকে হত্যাকারী হিসেবে অভিহিত করেছেন নাভালনির সমর্থকেরা। সেই সঙ্গে নাভালনির মরদেহ হস্তান্তরে অস্বীকৃতি জানানোর মাধ্যমে খুনের আলামত গোপন রাখার অভিযোগও উঠেছে রুশ সরকারের বিরুদ্ধে।
বার্তা সংস্থা এএফপি এক প্রতিবেদনে বলেছে, গত শুক্রবার নাভালনির মৃত্যুর পর গতকাল তার সমর্থকেরা বেশ কিছু ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে রুশ সরকারের বিরুদ্ধে এই গুরুতর অভিযোগ তুলেছেন। তাঁরা বলেন, নাভালনিকে কীভাবে মারা হয়েছে তা যেন প্রকাশ্যে আসতে না পারে, তা ঠেকাতেই এই বিরোধী নেতার মরদেহ তাঁর পরিবারের কাছে হস্তান্তরে অস্বীকৃতি জানিয়েছিল কারা কর্তৃপক্ষ।
গতকাল নাভালনির মা লুদমিলা ও তাঁর আইনজীবী গিয়ে পৌঁছান সাইবেরিয়ান প্রত্যন্ত অঞ্চল ইয়ামালো-নেনেতের কারাগারে, যেখানে বন্দী অবস্থায় মারা গেছেন নাভালনি। তাঁর মুখপাত্র কিরা ইয়ারমিশ বলেন, নাভালনির মরদেহের কাছে যেতে দেওয়া হয়নি তাঁর মা ও আইনজীবীকে।
নাভালনির দল টেলিগ্রামে এক পোস্টে বলেছে, ‘এটা পরিষ্কার যে, নাভালনিকে কীভাবে খুন করা হয়েছে তা লুকিয়ে রাখতে চায় খুনিরা। এ কারণেই তার পরিবারের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হয়নি। এমনকি মরদেহের কাছেও যেতে দেওয়া হয়নি তাঁর মাকে।’
কিরা ইয়ারমিশ বলেন, ‘তারা (রুশ কর্তৃপক্ষ) কোনোভাবেই চায় না যে, নাভালনিকে কীভাবে হত্যা করা হয়েছে তা সামনে আসুক।’
নাভালনির মৃত্যুর প্রতিবাদে গতকাল রাশিয়াজুড়ে হয়েছে বেশ কিছু বিক্ষোভ। পুলিশ এসব বিক্ষোভকে ছত্রভঙ্গ করেছে। রাশিয়ায় রাজনৈতিক দমন-পীড়ন পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা ওভিডি-ইনফো জানিয়েছে, নাভালনির মৃত্যুতে প্রতিবাদ করায় রাশিয়ার ৩৬টি শহরে ৪০০ জনেরও বেশি মানুষকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
নাভালনির প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে দেওয়া পুষ্পস্তবকগুলো রাতারাতি সরিয়ে ফেলা হয়েছে। পুলিশের উপস্থিতিতেই সব ফুল সরানো হয়েছে। মস্কোর একটি অস্থায়ী স্মৃতিসৌধে ফুলের মধ্যে রেখে যাওয়া একটি নোটে লেখা ছিল, ‘অ্যালেক্সেই নাভালনির মৃত্যুই সম্ভবত রাশিয়ার জন্য সবচেয়ে খারাপ ঘটনা।’
এদিকে, নাভালনির মৃত্যুতে পশ্চিমা বিশ্ব একযোগে পুতিন প্রশাসনকে দায়ী করলেও এখনো ক্রেমলিনের কাছ থেকে কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি। গতকাল মিউনিখে জি-৭ভুক্ত দেশগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠকে অ্যালেক্সেই নাভালনির মৃত্যুতে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন স্পষ্টভাবে এই মৃত্যুর জন্য পুতিনকে দোষারোপ করেছেন। তবে পুতিন এ ব্যাপারে কোনো প্রতিক্রিয়া দেখাননি।
রাজনৈতিক জীবনে নাভালনি পুতিনের কট্টর বিরোধী হিসেবে পরিচিত ছিলেন। বিশেষ করে রাশিয়ার দুর্নীতি ও শাসনব্যবস্থার কড়া সমালোচক ছিলেন তিনি। রাশিয়ায় তিনি কয়েক যুগ ধরেই বিদ্যমান সরকার ও শাসনব্যবস্থার বিরুদ্ধে কথা বলে আসছিলেন। দেশজুড়ে এ নিয়ে তিনি বিভিন্ন সময়ে আন্দোলন চালিয়েছেন।
রাশিয়ার এই নেতাকে ২০২১ সালের শুরুর দিকেই গ্রেপ্তার করা হয় ২০১৪ সালে করা একটি অর্থ আত্মসাৎ মামলায়। দ্রুতই বিচারের মাধ্যমে তাঁকে আড়াই বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। পরে আদালত অবমাননার অভিযোগে তাঁকে আরও ৯ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। ২০২১ সালের আগস্টে চরমপন্থার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে নাভালনিকে আরও ১৯ বছর কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
নাভালনির মৃত্যুর কয়েক ঘণ্টা পরেই তাঁর স্ত্রী ইউলিয়া নাভালনিয়া নাটকীয়ভাবে জার্মানিতে এক নিরাপত্তা সম্মেলনে উপস্থিত হন। এই সংবাদ সম্মেলনে আরও অনেক নেতা উপস্থিত ছিলেন। মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনেই নাভালনির মৃত্যুসংবাদ পান তাঁর স্ত্রী।
কান্না সংবরণ করে আবেগতাড়িত বক্তব্যে ইউলিয়া বলেন, ‘সে (অ্যালেক্সেই নাভালনি) এখানেই থাকতে পারত, এই সম্মেলনকক্ষে। রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় সূত্র থেকে যে খবর আমরা পেলাম, তা কীভাবে বিশ্বাস করব জানি না। কারণ, বহু বছর ধরেই আমরা পুতিন ও তার সরকারকে বিশ্বাস করতে পারি না। তারা সব সময় মিথ্যা বলে।’
আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি) ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু ও প্রাক্তন প্রতিরক্ষামন্ত্রী গ্যালান্তের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে, যা আইসিসির ইতিহাসে একটি বিরল পদক্ষেপ।
৭ ঘণ্টা আগেযুক্তরাজ্যে অবস্থিত যুক্তরাষ্ট্রের তিনটি সামরিক ঘাঁটির ওপর রহস্যজনক ড্রোন দেখা গেছে বলে জানিয়েছেন পেন্টাগনের কর্মকর্তারা। কিছু কিছু মহল এমনটাও বলছেন, অজানা উড়ন্ত বস্তুগুলো (ইউএফও) বহির্জাগতিক বা এলিয়েন টাইপ কিছু হতে পারে। এই ঘাঁটিগুলো যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনী ব্যবহার করে। সামরিক ঘাঁটির কাছাকাছি এমন
৭ ঘণ্টা আগেএকজনের বাড়ি ইউক্রেন, একজন যুক্তরাষ্ট্রের, জার্মানিরও আছেন একজন, অন্য দুজন সংযুক্ত আরব আমিরাত ও পাকিস্তানের। বাইকের হ্যান্ডেল ধরে শুধু রাস্তাই নয়, নিজেদের জীবনকেও নতুন করে আবিষ্কার করেছেন এই পাঁচ নারী।
৮ ঘণ্টা আগেদীর্ঘ ১৬ বছর ধরে খোঁজাখুঁজির পর জীবনে গুরুত্বপূর্ণ এক ঘটনার মুখোমুখি হলেন ডিডি বোসওয়েল নামে এক মার্কিন নারী। সম্প্রতি তিনি প্রথমবারের মতো নিজের বাবার সঙ্গে দেখা হওয়ার একটি আবেগঘন মুহূর্তের ভিডিও শেয়ার করেছেন।
১০ ঘণ্টা আগে