Ajker Patrika

দাবদাহে শিক্ষার্থীদের পানি পানের জন্য ঘণ্টা বাজিয়ে বিরতি দিচ্ছে কলকাতার স্কুলগুলো

দাবদাহে শিক্ষার্থীদের পানি পানের জন্য ঘণ্টা বাজিয়ে বিরতি দিচ্ছে কলকাতার স্কুলগুলো

তীব্র দাবদাহে শিক্ষার্থীদের জন্য কলকাতার বেশ কয়েকটি স্কুলে ‘ওয়াটার বেল’ বা পানি পানের জন্য ঘণ্টা বাজানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। নির্দিষ্ট সময় পরপর শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও কর্মচারীদের পানি পানের কথা মনে করিয়ে দিতে স্কুলগুলোতে গত মঙ্গলবার থেকে এ বিশেষ ঘণ্টার ব্যবস্থা করা হয়। 

সন্তোষপুর ঋষি অরবিন্দ বালিকা বিদ্যাপীঠের প্রধান শিক্ষিকা শ্রাবণী সেন ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়াকে বলেন, তাঁরা এই বিশেষ ঘণ্টার উদ্যোগটি নিয়েছেন এবং আশপাশের আরও ১০টি স্কুলকে একই ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সম্মত করেছেন। ওয়াটার বেলের উদ্যোগ নেওয়া স্কুলগুলো হলো—মডার্ন ল্যান্ড গার্লস স্কুল, যাদবপুর ঋষি অরবিন্দ বিদ্যাপীঠ, সন্তোষপুর শিক্ষায়তন, গারফা ডিএনএম গার্লস অ্যান্ড বয়েজ স্কুলস, চৌবাগা হাই স্কুল। 

এসব স্কুলে দিনে দুইবার ওয়াটার বেল বাজানো হয়। স্কুলের তৃতীয় ঘণ্টার পর একবার ও ষষ্ঠ ঘণ্টার পর একবার বেল বাজিয়ে সবাইকে পানি পানের কথা মনে করিয়ে দেওয়া হয়। 

সেন বলেন, ‘এই প্রচণ্ড গরমের সময় আমাদের সুস্থ থাকার জন্য প্রচুর পানি পান করতে হবে। শুধু শিশুদেরই নয়, কর্মচারীদেরও পর্যাপ্ত পানি পানের কথা মনে করাতে হবে।’ 

ইন্দুস ভ্যালি ওয়ার্ল্ড স্কুলে দুই ঘণ্টা পরপর ওয়াটার বেল বাজানো হয় বলে জানিয়েছেন স্কুলের পরিচালক অমৃতা প্রসাদ। তিনি বলেন, ‘আমরা সাত মাস আগেই এর প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেছি এবং এই ব্যবস্থাটি চালিয়ে যাচ্ছি।’ 

চিলড্রেন ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন ও যাদবপুর বিদ্যাপীঠও পানি পানের কথা স্মরণ করিয়ে বিশেষ ঘণ্টার ব্যবস্থা করেছে। চিলড্রেন ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের প্রধান শিক্ষিকা শর্বরী সেনগুপ্ত বলেন, ‘প্রতিদিন বেলা ১২টা ৩০ মিনিটে ও ৩টা ১০ মিনিটে দুইবার ঘণ্টা বাজে। আমরা প্রতিদিন সবার জন্য এক গ্লাস করে গ্লুকোজেরও ব্যবস্থা করেছি।’ 

জুলিয়েন ডে স্কুলের অধ্যক্ষ টেরেন্স জন বলেছেন, তাঁরা শিক্ষার্থীদের বোতলে পানি ভরার জন্য সময় করে দিচ্ছেন। তিনি বলেন, ‘আমরা শিক্ষকদের বলেছি, শিশুদের মাঝে মাঝে পানি পানের পরামর্শ দিতে। এ ছাড়া শিক্ষকদের ক্লাস নেওয়ার সময় পানির বোতল বহন করতে বলেছি, যাতে তাঁরা ক্লান্ত না হয়ে পড়েন। আমরা শিশু, অভিভাবকদের পাশাপাশি দর্শনার্থীদের জন্যও পর্যাপ্ত পানি রাখছি।’ 

ডিপিএস নিউটন স্কুলে শিক্ষার্থীদের জন্য স্কুলের প্রত্যেক তলায় গ্লুকোজ কাউন্টারের ব্যবস্থা করা হয়েছে এবং প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে দুটি করে বোতল আনার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে—একটি পানির জন্য এবং আরেকটি লেবু পানি, ডাবের পানি বা খাওয়ার স্যালাইনের জন্য।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত