প্রতিনিধি
কলকাতা: পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সঙ্গে কেন্দ্রীয় সরকারের সংঘাত বেড়েই চলছে। যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোয় এমন সংঘাতে অনেকেই আতঙ্কিত, টোল খেতে পারে ভারতের সাংবিধানিক ভিত্তি। গত এক মাসে দিল্লিতে নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন কেন্দ্র সরকারের সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের বিরোধ বারবার প্রকাশ্যে চলে এসেছে। গত ৭৪ বছরে যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোয় এমনটা হয়নি বলে অভিযোগ মমতার।
আবার দিল্লির প্রতিনিধি, রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর আজই পাল্টা আক্রমণ হেনেছেন মমতার সরকারের বিরুদ্ধে। রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল বিষয়টিকে বাংলার মানুষের অপমান হিসেবেই দেখছেন। অন্যদিকে, কেন্দ্রের শাসক দল বলছে, সাংবিধানিক রীতি-নীতি লঙ্ঘন করছেন মমতা।
পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভা ভোটে মমতার জয়ের পর থেকেই বিজেপি সঙ্গে তৃণমূলের সংঘাত বেড়েই চলেছে। যুযুধান দুই পক্ষের লড়াইতে সরকারি শাসনযন্ত্রকে ব্যবহার করার অভিযোগে সোচ্চার উভয় শিবিরই। সঙ্গে যুক্ত হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোয় আঘাতেরও পারস্পরিক অভিযোগ।
মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে মমতা তৃতীয়বার শপথ নেওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই দিল্লি বিশেষ দল পাঠায় রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি দেখতে। তাঁদের অভিযোগ, বিজেপি কর্মীরা মার খাচ্ছেন তৃণমূলের হাতে। রাজ্যপালের বিরুদ্ধেও অতি সক্রিয়তার অভিযোগ ওঠে। এরপর সংঘাত চরমে ওঠে রাজ্যের দুই মন্ত্রী-সহ ৪ হেভিওয়েট নেতার গ্রেপ্তারে।
এ ছাড়া করোনা মোকাবিলা নিয়ে কেন্দ্র-রাজ্য সংঘাত ছিলই। এমনকি, মমতার সরকারকে ফেলে দিয়ে রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসন জারির মামলাও হয়েছে সুপ্রিম কোর্টে। এরই মধ্যে শুরু হয় ইয়াস ঘূর্ণিঝড়। দুর্যোগ বিধ্বস্ত এলাকা পরিদর্শনে আসেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। কলকাতা থেকে প্রায় ১৪০ কিলোমিটার দূরে কলাইকুন্ডায় ভারতীয় বিমানবাহিনীর বিমানবন্দরে মমতা দেখা করেন তাঁর সঙ্গে। কিন্তু সৌজন্য সাক্ষাৎ করলেও পূর্ব নির্ধারিত বৈঠকের কথা বলে প্রধানমন্ত্রীর পর্যালোচনা বৈঠকে অংশ না নিয়ে তিনি দীঘায় চলে আসেন। শুরু হয় নতুন বিতর্ক।
পর্যালোচনা বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী বা মুখ্যসচিব যোগ না দেওয়ায় ফের সংঘাতে লিপ্ত হয় কেন্দ্র ও রাজ্য। প্রধানমন্ত্রী দিল্লি ফেরার পরই বদলি করা হয় রাজ্যের মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়কে। সাবেক সাংবাদিক ও ভারতীয় প্রশাসক আলাপনের চাকরির মেয়াদ সোমবারই শেষ হয়েছে। কিন্তু কোভিড মহামারি ও ঘূর্ণিঝড়ের কারণে রাজ্যের অনুরোধে তাঁর চাকরির মেয়াদ তিন মাস বৃদ্ধি করেছিল কেন্দ্রীয় সরকার। কিন্তু এরই মধ্যে বদলির আদেশ আসে। বলা হয়েছিল, সোমবারই দিল্লিতে যোগ দিতে। কিন্তু তিনি সেই নির্দেশ না মেনে সোমবারই চাকরি থেকে অবসর নেন। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর মুখ্য উপদেষ্টা হিসেবে তাঁকে নিয়োগ করেন মমতা। মমতার অভিযোগ, পশ্চিমবঙ্গে হারের প্রতিশোধ নিচ্ছে বিজেপি।
প্রতিহিংসা পরায়ণ বিজেপির হাতে দেশের যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো আক্রান্ত। গণতন্ত্র এখন স্বৈরতন্ত্রে পরিণত হয়েছে। তাই অ-বিজেপি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী, দেশের শীর্ষ নেতাদের পাশাপাশি আমলাদেরও প্রতিবাদে শামিল হওয়ার ডাক দেন মমতা। আলাপনের বদলির নির্দেশের কড়া সমালোচনা করেছেন কংগ্রেস ও বাম নেতারা। অবসরপ্রাপ্ত আমলাদের বড় অংশের অভিযোগ, সম্পূর্ণ বেআইনিভাবে আলাপনকে দিল্লি বদলি করা হয়েছে।
কিন্তু লড়াই এখনো চলছে। প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকে যোগ না দেওয়ায় দুর্যোগ মোকাবিলা আইনে শো-কজ করা হয়েছে আলাপনকে। সূত্রের খবর, সদ্য অবসরপ্রাপ্ত আলাপন জবাব দিচ্ছেন এই শো-কজের। তবে রাজ্যের আরেক সাবেক মুখ্যসচিব অর্ধেন্দু সেনের মতে, শো-কজের কোনো মূল্য নেই। হয়রানি ছাড়া কিছুই করতে পারবে না কেন্দ্র। আর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বলেছেন, বৈঠকের কোনো কথাই ছিল না। তিনি ও আলাপন গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে। তিন-তিনবার প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে অনুমতি নিয়েই তাঁরা দীঘার পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচিতে যান বলেও মন্তব্য করেছেন মমতা।
কেন্দ্র ও রাজ্যের বর্তমান সংঘাত অতীতের সমস্ত রেকর্ডকে ম্লান করে দিয়ে ভারতীয় যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোয় বড় ধরনের ফাটল ধরাতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষক অধ্যাপক বিশ্বনাথ চক্রবর্তী। তাঁর মতে, পশ্চিমবঙ্গে সর্বশক্তি নিয়োগ করেও হেরে যাওয়ার ফলে গোটা দেশের বিজেপির ভাবমূর্তি ধাক্কা খেয়েছে। সামনেই উত্তর প্রদেশে নির্বাচন সেখানেও এই হারের প্রভাব পড়তে পারে। তাই মমতাকে বেকায়দায় ফেলতে মরিয়া বিজেপি, এমনটাই ধারণা বিশ্বনাথের।
এদিকে, রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর আলাপন ইস্যুতেও টুইটারে রাজ্যের সমালোচনা করেছেন। তাঁর অভিযোগ, বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী থাকাতেই মুখ্যমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকে যাননি। এটা নাকি আগের দিনই মমতা তাঁকে ব্যক্তিগতভাবে জানিয়েছিলেন। আর মুখ্যমন্ত্রীর ব্যক্তিগত কথা ফাঁস করে দেওয়ায় রাজ্যপালকে বয়কটের কথা ভাবতে শুরু করেছে তৃণমূল।
গতকালই প্রধানমন্ত্রীকে লেখা চিঠিতে অবশ্য মমতা রাজ্যপালের অপ্রয়োজনীয় অনুপস্থিতি ও স্থানীয় বিধায়কের অবাঞ্ছিত উপস্থিতি নিয়ে নিজের আপত্তি প্রকাশ করেন। শুভেন্দু তাতে পাল্টা কটাক্ষ করেছেন, তাঁর কাছে হারটা হজম করতে পারছেন না মুখ্যমন্ত্রী। এর মধ্যেই আলাপনের প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকে যোগ না দেওয়াকেও কটাক্ষ করেছেন রাজ্যপাল। তবে তাঁর মন্তব্যকে গুরুত্ব দিচ্ছে না তৃণমূল।
অন্যদিকে, পশ্চিমবঙ্গে ভোটে হারার পর আরও বিপর্যস্ত বিজেপি। ভোটের আগে বিজেপিতে যোগ দিলেও বহু নেতা তৃণমূলে ফিরতে চান। এদের মধ্যে সাবেক ডেপুটি স্পিকার সোনালি গুহ, সাবেক বিধায়ক ও জাতীয় ফুটবলার দিব্যেন্দু বিশ্বাসও রয়েছেন। এরই মধ্যে বেসুরো গাইতে শুরু করেছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহসভাপতি মুকুল রায়ের ছেলে, সাবেক বিধায়ক শুভ্রাংশু রায়, সাবেক মন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ও। মুকুল রায় নিজে কী করবেন তা নিয়েও রয়েছে বিস্তর জল্পনা।
তৃণমূল মুখপাত্র কুনাল ঘোষের দাবি, দলবদলুরা ছাড়াও বিজেপির বহু বিধায়ক ও জাতীয় সংসদের সদস্য তৃণমূলে যোগ দিতে চান। তাঁদের নিয়ে দল শিগগিরই সিদ্ধান্ত নেবে।
উল্লেখ্য, ৫ জুন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তৃণমূলের জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে বৈঠক করবেন। সেখানে বিষয়টি আলোচনা হবে বলে দলীয় সূত্রের খবর।
বিজেপির ভাঙনকে অবশ্য গুরুত্ব দিতে নারাজ দলের রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তাঁর মতে, নীতি-আদর্শে না পোষালে কেউ চলে গেলে বিজেপির কিছু যায় আসে না। দলের কর্মীরাই বিজেপির সম্পদ বলেও দাবি করেন তিনি।
কলকাতা: পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সঙ্গে কেন্দ্রীয় সরকারের সংঘাত বেড়েই চলছে। যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোয় এমন সংঘাতে অনেকেই আতঙ্কিত, টোল খেতে পারে ভারতের সাংবিধানিক ভিত্তি। গত এক মাসে দিল্লিতে নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন কেন্দ্র সরকারের সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের বিরোধ বারবার প্রকাশ্যে চলে এসেছে। গত ৭৪ বছরে যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোয় এমনটা হয়নি বলে অভিযোগ মমতার।
আবার দিল্লির প্রতিনিধি, রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর আজই পাল্টা আক্রমণ হেনেছেন মমতার সরকারের বিরুদ্ধে। রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল বিষয়টিকে বাংলার মানুষের অপমান হিসেবেই দেখছেন। অন্যদিকে, কেন্দ্রের শাসক দল বলছে, সাংবিধানিক রীতি-নীতি লঙ্ঘন করছেন মমতা।
পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভা ভোটে মমতার জয়ের পর থেকেই বিজেপি সঙ্গে তৃণমূলের সংঘাত বেড়েই চলেছে। যুযুধান দুই পক্ষের লড়াইতে সরকারি শাসনযন্ত্রকে ব্যবহার করার অভিযোগে সোচ্চার উভয় শিবিরই। সঙ্গে যুক্ত হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোয় আঘাতেরও পারস্পরিক অভিযোগ।
মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে মমতা তৃতীয়বার শপথ নেওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই দিল্লি বিশেষ দল পাঠায় রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি দেখতে। তাঁদের অভিযোগ, বিজেপি কর্মীরা মার খাচ্ছেন তৃণমূলের হাতে। রাজ্যপালের বিরুদ্ধেও অতি সক্রিয়তার অভিযোগ ওঠে। এরপর সংঘাত চরমে ওঠে রাজ্যের দুই মন্ত্রী-সহ ৪ হেভিওয়েট নেতার গ্রেপ্তারে।
এ ছাড়া করোনা মোকাবিলা নিয়ে কেন্দ্র-রাজ্য সংঘাত ছিলই। এমনকি, মমতার সরকারকে ফেলে দিয়ে রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসন জারির মামলাও হয়েছে সুপ্রিম কোর্টে। এরই মধ্যে শুরু হয় ইয়াস ঘূর্ণিঝড়। দুর্যোগ বিধ্বস্ত এলাকা পরিদর্শনে আসেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। কলকাতা থেকে প্রায় ১৪০ কিলোমিটার দূরে কলাইকুন্ডায় ভারতীয় বিমানবাহিনীর বিমানবন্দরে মমতা দেখা করেন তাঁর সঙ্গে। কিন্তু সৌজন্য সাক্ষাৎ করলেও পূর্ব নির্ধারিত বৈঠকের কথা বলে প্রধানমন্ত্রীর পর্যালোচনা বৈঠকে অংশ না নিয়ে তিনি দীঘায় চলে আসেন। শুরু হয় নতুন বিতর্ক।
পর্যালোচনা বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী বা মুখ্যসচিব যোগ না দেওয়ায় ফের সংঘাতে লিপ্ত হয় কেন্দ্র ও রাজ্য। প্রধানমন্ত্রী দিল্লি ফেরার পরই বদলি করা হয় রাজ্যের মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়কে। সাবেক সাংবাদিক ও ভারতীয় প্রশাসক আলাপনের চাকরির মেয়াদ সোমবারই শেষ হয়েছে। কিন্তু কোভিড মহামারি ও ঘূর্ণিঝড়ের কারণে রাজ্যের অনুরোধে তাঁর চাকরির মেয়াদ তিন মাস বৃদ্ধি করেছিল কেন্দ্রীয় সরকার। কিন্তু এরই মধ্যে বদলির আদেশ আসে। বলা হয়েছিল, সোমবারই দিল্লিতে যোগ দিতে। কিন্তু তিনি সেই নির্দেশ না মেনে সোমবারই চাকরি থেকে অবসর নেন। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর মুখ্য উপদেষ্টা হিসেবে তাঁকে নিয়োগ করেন মমতা। মমতার অভিযোগ, পশ্চিমবঙ্গে হারের প্রতিশোধ নিচ্ছে বিজেপি।
প্রতিহিংসা পরায়ণ বিজেপির হাতে দেশের যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো আক্রান্ত। গণতন্ত্র এখন স্বৈরতন্ত্রে পরিণত হয়েছে। তাই অ-বিজেপি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী, দেশের শীর্ষ নেতাদের পাশাপাশি আমলাদেরও প্রতিবাদে শামিল হওয়ার ডাক দেন মমতা। আলাপনের বদলির নির্দেশের কড়া সমালোচনা করেছেন কংগ্রেস ও বাম নেতারা। অবসরপ্রাপ্ত আমলাদের বড় অংশের অভিযোগ, সম্পূর্ণ বেআইনিভাবে আলাপনকে দিল্লি বদলি করা হয়েছে।
কিন্তু লড়াই এখনো চলছে। প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকে যোগ না দেওয়ায় দুর্যোগ মোকাবিলা আইনে শো-কজ করা হয়েছে আলাপনকে। সূত্রের খবর, সদ্য অবসরপ্রাপ্ত আলাপন জবাব দিচ্ছেন এই শো-কজের। তবে রাজ্যের আরেক সাবেক মুখ্যসচিব অর্ধেন্দু সেনের মতে, শো-কজের কোনো মূল্য নেই। হয়রানি ছাড়া কিছুই করতে পারবে না কেন্দ্র। আর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বলেছেন, বৈঠকের কোনো কথাই ছিল না। তিনি ও আলাপন গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে। তিন-তিনবার প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে অনুমতি নিয়েই তাঁরা দীঘার পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচিতে যান বলেও মন্তব্য করেছেন মমতা।
কেন্দ্র ও রাজ্যের বর্তমান সংঘাত অতীতের সমস্ত রেকর্ডকে ম্লান করে দিয়ে ভারতীয় যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোয় বড় ধরনের ফাটল ধরাতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষক অধ্যাপক বিশ্বনাথ চক্রবর্তী। তাঁর মতে, পশ্চিমবঙ্গে সর্বশক্তি নিয়োগ করেও হেরে যাওয়ার ফলে গোটা দেশের বিজেপির ভাবমূর্তি ধাক্কা খেয়েছে। সামনেই উত্তর প্রদেশে নির্বাচন সেখানেও এই হারের প্রভাব পড়তে পারে। তাই মমতাকে বেকায়দায় ফেলতে মরিয়া বিজেপি, এমনটাই ধারণা বিশ্বনাথের।
এদিকে, রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর আলাপন ইস্যুতেও টুইটারে রাজ্যের সমালোচনা করেছেন। তাঁর অভিযোগ, বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী থাকাতেই মুখ্যমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকে যাননি। এটা নাকি আগের দিনই মমতা তাঁকে ব্যক্তিগতভাবে জানিয়েছিলেন। আর মুখ্যমন্ত্রীর ব্যক্তিগত কথা ফাঁস করে দেওয়ায় রাজ্যপালকে বয়কটের কথা ভাবতে শুরু করেছে তৃণমূল।
গতকালই প্রধানমন্ত্রীকে লেখা চিঠিতে অবশ্য মমতা রাজ্যপালের অপ্রয়োজনীয় অনুপস্থিতি ও স্থানীয় বিধায়কের অবাঞ্ছিত উপস্থিতি নিয়ে নিজের আপত্তি প্রকাশ করেন। শুভেন্দু তাতে পাল্টা কটাক্ষ করেছেন, তাঁর কাছে হারটা হজম করতে পারছেন না মুখ্যমন্ত্রী। এর মধ্যেই আলাপনের প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকে যোগ না দেওয়াকেও কটাক্ষ করেছেন রাজ্যপাল। তবে তাঁর মন্তব্যকে গুরুত্ব দিচ্ছে না তৃণমূল।
অন্যদিকে, পশ্চিমবঙ্গে ভোটে হারার পর আরও বিপর্যস্ত বিজেপি। ভোটের আগে বিজেপিতে যোগ দিলেও বহু নেতা তৃণমূলে ফিরতে চান। এদের মধ্যে সাবেক ডেপুটি স্পিকার সোনালি গুহ, সাবেক বিধায়ক ও জাতীয় ফুটবলার দিব্যেন্দু বিশ্বাসও রয়েছেন। এরই মধ্যে বেসুরো গাইতে শুরু করেছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহসভাপতি মুকুল রায়ের ছেলে, সাবেক বিধায়ক শুভ্রাংশু রায়, সাবেক মন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ও। মুকুল রায় নিজে কী করবেন তা নিয়েও রয়েছে বিস্তর জল্পনা।
তৃণমূল মুখপাত্র কুনাল ঘোষের দাবি, দলবদলুরা ছাড়াও বিজেপির বহু বিধায়ক ও জাতীয় সংসদের সদস্য তৃণমূলে যোগ দিতে চান। তাঁদের নিয়ে দল শিগগিরই সিদ্ধান্ত নেবে।
উল্লেখ্য, ৫ জুন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তৃণমূলের জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে বৈঠক করবেন। সেখানে বিষয়টি আলোচনা হবে বলে দলীয় সূত্রের খবর।
বিজেপির ভাঙনকে অবশ্য গুরুত্ব দিতে নারাজ দলের রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তাঁর মতে, নীতি-আদর্শে না পোষালে কেউ চলে গেলে বিজেপির কিছু যায় আসে না। দলের কর্মীরাই বিজেপির সম্পদ বলেও দাবি করেন তিনি।
আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি) ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু ও প্রাক্তন প্রতিরক্ষামন্ত্রী গ্যালান্তের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে, যা আইসিসির ইতিহাসে একটি বিরল পদক্ষেপ।
৯ ঘণ্টা আগেযুক্তরাজ্যে অবস্থিত যুক্তরাষ্ট্রের তিনটি সামরিক ঘাঁটির ওপর রহস্যজনক ড্রোন দেখা গেছে বলে জানিয়েছেন পেন্টাগনের কর্মকর্তারা। কিছু কিছু মহল এমনটাও বলছেন, অজানা উড়ন্ত বস্তুগুলো (ইউএফও) বহির্জাগতিক বা এলিয়েন টাইপ কিছু হতে পারে। এই ঘাঁটিগুলো যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনী ব্যবহার করে। সামরিক ঘাঁটির কাছাকাছি এমন
১০ ঘণ্টা আগেএকজনের বাড়ি ইউক্রেন, একজন যুক্তরাষ্ট্রের, জার্মানিরও আছেন একজন, অন্য দুজন সংযুক্ত আরব আমিরাত ও পাকিস্তানের। বাইকের হ্যান্ডেল ধরে শুধু রাস্তাই নয়, নিজেদের জীবনকেও নতুন করে আবিষ্কার করেছেন এই পাঁচ নারী।
১০ ঘণ্টা আগেদীর্ঘ ১৬ বছর ধরে খোঁজাখুঁজির পর জীবনে গুরুত্বপূর্ণ এক ঘটনার মুখোমুখি হলেন ডিডি বোসওয়েল নামে এক মার্কিন নারী। সম্প্রতি তিনি প্রথমবারের মতো নিজের বাবার সঙ্গে দেখা হওয়ার একটি আবেগঘন মুহূর্তের ভিডিও শেয়ার করেছেন।
১২ ঘণ্টা আগে