Ajker Patrika

ভারতে পাহাড়ধসে গুঁড়িয়ে গেল তিস্তা জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের একাংশ 

ভারতে পাহাড়ধসে গুঁড়িয়ে গেল তিস্তা জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের একাংশ 

ভারতের সিকিম রাজ্যে তিস্তা নদীর ওপর নির্মিত জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের একটি অংশ পাহাড়ধসের কারণে গুঁড়িয়ে গেছে। আজ মঙ্গলবার সকালে এই দুর্ঘটনা ঘটে। কেবল তাই নয়, এর ফলে সংশ্লিষ্ট বিদ্যুৎকেন্দ্রটির অন্যান্য স্টেশনগুলোও ঝুঁকির মুখে পড়েছে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

পাহাড় থেকে ধস নামার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। স্থানীয়রাই সেই ভিডিও শেয়ার করেছেন। জানা গেছে, মঙ্গলবার সকালে বালুতারে তিস্তা নদীর জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ওই পাওয়ার স্টেশনের ওপরের পাহাড় ধসে পড়ে। এর ফলে পাহাড় সংলগ্ন ন্যাশনাল হাইড্রোইলেকট্রিক পাওয়ার করপোরেশনের তিস্তা স্টেজ—৫ বাঁধের পাওয়ার স্টেশন ভেঙে যায়।

ভিডিও থেকে দেখা যায়, পাহাড়ের সামনের অংশ আচমকা কেঁপে ওঠে। এর পর গাছ-গাছালিসহ ধসে পড়ে পাহাড়ের একাংশ। পাদদেশে অবস্থিতি বিদ্যুৎকেন্দ্রের পুরোটা ঢেকে যায় ধুলোয়। পাওয়ার স্টেশনের বৈদ্যুতিক পিলারের বেশ কয়েকটি মুহূর্তের মধ্যেই ভেঙে পড়ে। ভিডিওতে স্থানীয়দের চিৎকার করতেও শোনা যায়।

আজ মঙ্গলবার সকাল ৭টা নাগাদ পাহাড়ের একটি অংশ ধসে পড়ে। ওই পাহাড়ের নিচ দিয়েই জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের একটি টানেল গড়ে তোলা হয়েছিল। এই ঘটনায় ১৭ থেকে ১৮টি বাড়িও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানা গেছে। যদিও ঘটনায় হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি। তারপরও ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে স্থানীয়দের মধ্যে।

গত কয়েক সপ্তাহ ধরে ওই ৫১০ মেগাওয়াট উৎপাদন সক্ষমতার জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রটির কাছাকাছি বেশ কয়েকবার পাহাড়ধসের ঘটনা ঘটেছে। ফলে ওই কেন্দ্রটির নিরাপত্তা নিয়ে আশঙ্কা বাড়ছিল। পর পর কয়েকটি ধসের ঘটনার পর নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা হিসেবে আগে থেকেই সেখানকার কর্মীদের সরিয়ে নেওয়া হয়েছিল।
 
এর আগে, ২০২৩ সালের অক্টোবর মাসে সিকিমে লোনাক হ্রদ ভেঙে যে দুর্যোগ নেমে এসেছিল তাতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল বালুতারে অবস্থিত তিস্তার এই বাঁধটি। চুংথাংয়ে অবস্থিত সিকিমের বৃহত্তম জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের বাঁধের অংশ ভেসে যায় পানির প্রবল তোড়ে। সেই থেকেই তিস্তা জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের ওই স্টেজ-৫ বাঁধটি অকার্যকর ছিল। সেই পরিস্থিতিতেই এই বিপর্যয় নেমে এল সিকিমে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত