Ajker Patrika

পশ্চিমবঙ্গে বাড়ছে রাজনৈতিক উত্তেজনা, পড়ছে লাশ 

কলকাতা প্রতিনিধি
পশ্চিমবঙ্গে বাড়ছে রাজনৈতিক উত্তেজনা, পড়ছে লাশ 

ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যে গ্রামাঞ্চলের পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে উত্তেজনা বাড়ছে। আজ শনিবার রাজ্যের দুই প্রান্তে শাসক ও বিরোধী দলের দুটি সভা শুরুর আগেই শুরু হয়েছে ব্যাপক হিংসা। তৃণমূল নেতার বাড়িতে হয়েছে বোমার বিস্ফোরণ, বিপরীতে ভাঙচুর চালানো হয়েছে বিজেপি নেতার সমাবেশস্থল। সব মিলিয়ে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে রাজ্যের রাজনীতি।

তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক ও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভাতিজা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমাবেশের আগের দিন অর্থাৎ শুক্রবার রাতে পূর্ব মেদিনীপুরের ভূপতি নগর থানার অর্জুন নগর বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে। বিস্ফোরণস্থল থেকে উদ্ধার হয় তৃণমূলের স্থানীয় এক নেতাসহ ৩ জনের লাশ। আবার দক্ষিণ ২৪ পরগনার ডায়মন্ড হারবারে বিরোধী দলীয় শুভেন্দু অধিকারীর অভিযোগ, তাঁর সভা বানচাল করতে শুক্রবার রাতে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতকারীরা বিজেপির মঞ্চ ভাঙচুর চালায়। অভিযোগ ও পাল্টা অভিযোগ ঘিরে উভয় শিবিরই বেশ উত্তপ্ত। 

বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর বাড়ি ‘শান্তিকুঞ্জের’ কাছে শনিবার দলীয় সভা থেকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যে অশান্তি সৃষ্টির জন্য বিজেপিকে দায়ী করেন। তাঁর অভিযোগ, ‘বিজেপির কারণেই শুক্রবার রাতে তৃণমূল বুথ সভাপতি রাজকুমার মান্নাসহ তিনজন খুন হন।’ উল্লেখ্য, বোমা বিস্ফোরণে রাজকুমারের ঝলসানো মরদেহ ঘটনাস্থল থেকে প্রায় দেড় কিলোমিটার দূরে ছিটকে যায়। আধ কিলোমিটার দূরে উদ্ধার হয় দেবকুমার মান্না ও বিশ্বজিৎ গায়েনের দেহ। 

তবে বিজেপির পাল্টা অভিযোগ, বোমা তৈরি করতে গিয়েই ওই তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। শুভেন্দুর অভিযোগ, ডায়মন্ড হারবারে সভা করতে হাইকোর্ট অনুমতি দিলেও শুক্রবার রাতে তৃণমূল সভামঞ্চ ভন্ডুল করার চেষ্টা করে। 

শুভেন্দুর অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে তৃণমূলের মুখপাত্র কুনাল ঘোষের কটাক্ষ, ‘অপদার্থদের কুনাট্য। ডেকোরেটরের যদি নিজেদের সমস্যা থাকে, তারা যদি কাজ না করে, তৃণমূল কী করবে?’ তবে আজ অভিষেকের সংসদীয় এলাকা ডায়মন্ড হারবারে দাঁড়িয়ে পঞ্চায়েত নির্বাচনে তৃণমূলের হিংসার বিরুদ্ধে বিজেপি সাধারণ মানুষকে সঙ্গে নিয়ে লড়াই চালাবে বলে দাবি করেন শুভেন্দু।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত