আসামের বাংলাভাষী মুসলিমদের রাজ্যের আদিবাসীর মর্যাদা পাওয়ার জন্য শর্ত জুড়ে দিলেন আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা। রাজ্যটির বাংলাভাষী মুসলমানরা ‘মিয়া’ নামে পরিচিত। তাদের উদ্দেশে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, দুইটির বেশি সন্তান নেওয়া এবং বহুবিবাহ বন্ধ করা উচিত তাদের। কারণ, এটা অসমিয়দের সংস্কৃতি নয়। তারা যদি আদিবাসী হতে চায় তবে তাদের বাল্যবিবাহ বন্ধ করতে হবে।
ভারতের গণমাধ্যম দ্য ইকোনমিক টাইমস এক প্রতিবেদনে খবরটি দিয়েছে।
শিক্ষার গুরুত্বের ওপর জোর দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা মুসলমানদের সন্তানদের মাদ্রাসার পরিবর্তে স্কুলে পাঠানোর আহ্বান জানান এবং ডাক্তার ও প্রকৌশলী হিসেবে ক্যারিয়ার গড়তে উৎসাহিত করেন। সাংস্কৃতিক আত্তীকরণের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে হিমন্ত বিশ্ব শর্মা বলেন, নির্দিষ্ট কিছু অভ্যাস ত্যাগ এবং অসমিয়া সংস্কৃতি গ্রহণের মাধ্যমে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে মুসলমানরা আদিবাসী হিসেবে বিবেচিত হতে পারে।
এ সময় বাংলাভাষী মুসলমান কর্তৃক ‘সাত্র’র (বৈষ্ণব মঠ) জমি দখলের বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে তাদের আদিবাসীর দাবিকে প্রশ্নবিদ্ধ করেন আসামের মুখ্যমন্ত্রী।
আসামের মোট জনসংখ্যার উল্লেখযোগ্যই হচ্ছে মুসলমান। ২০১১ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী, রাজ্যের মোট জনসংখ্যার ৩৪ শতাংশেরও বেশি মুসলমান। এই জনসংখ্যার মধ্যে দুটি স্বতন্ত্র জাতিসত্তা রয়েছে—বাংলাভাষী ও বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত অভিবাসী মুসলমান এবং অসমিয়াভাষী আদিবাসী মুসলমান।
মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা মুসলমানদের প্রতি বলেন, ‘যদি নিজেদের আসামের আদিবাসী বলতে চান তবে সন্তানদের মাদ্রাসার পরিবর্তে ডাক্তার-ইঞ্জিনিয়ার বানানোর জন্য পড়াশোনা করান।’ সে সঙ্গে, মেয়েদেরও স্কুলে পাঠাতে এবং পিতার সম্পত্তিতে তাদের অধিকার দেওয়ার জন্যও বলেন মুখ্যমন্ত্রী।
হিমন্ত বিশ্ব শর্মা বলেন, ‘এগুলোই তাদের (বাংলাভাষী মুসলমান) এবং রাজ্যের আদিবাসীদের মধ্যে পার্থক্য। তারা যদি এই অভ্যাসগুলো ছাড়তে পারে এবং অসমিয়াদের সংস্কৃতিকে গ্রহণ করতে পারে তবে এক সময়ে তারাও আদিবাসী হয়ে উঠতে পারবে।’
২০২২ সালে আসাম মন্ত্রিসভা প্রায় ৪০ লাখ অসমিয়াভাষী মুসলমানকে ‘আদিবাসী অসমিয়া মুসলমান’ হিসেবে স্বীকৃতি দেয়—যা তাদের অভিবাসী বাংলাভাষী মুসলমানদের থেকে আলাদা করে তোলে। দুটি গোষ্ঠীর মধ্যে ঐতিহাসিক ও সাংস্কৃতিক পার্থক্য স্পষ্ট করার জন্য এই পার্থক্য করা হয়েছিল।
আসামের মুসলিম জনসংখ্যার বড় অংশই বাংলাভাষী। রাজ্যটির মোট মুসলিম জনসংখ্যার মাত্র ৩৭ শতাংশ হচ্ছে অসমিয়াভাষী আদিবাসী মুসলমান। আর বাকি ৬৩ শতাংশই অভিবাসী বাংলাভাষী মুসলমান।
মন্ত্রিসভা অনুমোদিত ‘আদিবাসী’ অসমিয়া মুসলমানদের মধ্যে পাঁচটি দল রয়েছে—গোরিয়া, মোরিয়া, জোলাহ (শুধুমাত্র চা বাগানে বসবাসকারী), দেশি এবং সৈয়দ (কেবল অসমিয়াভাষী)।
আসামের বাংলাভাষী মুসলিমদের রাজ্যের আদিবাসীর মর্যাদা পাওয়ার জন্য শর্ত জুড়ে দিলেন আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা। রাজ্যটির বাংলাভাষী মুসলমানরা ‘মিয়া’ নামে পরিচিত। তাদের উদ্দেশে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, দুইটির বেশি সন্তান নেওয়া এবং বহুবিবাহ বন্ধ করা উচিত তাদের। কারণ, এটা অসমিয়দের সংস্কৃতি নয়। তারা যদি আদিবাসী হতে চায় তবে তাদের বাল্যবিবাহ বন্ধ করতে হবে।
ভারতের গণমাধ্যম দ্য ইকোনমিক টাইমস এক প্রতিবেদনে খবরটি দিয়েছে।
শিক্ষার গুরুত্বের ওপর জোর দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা মুসলমানদের সন্তানদের মাদ্রাসার পরিবর্তে স্কুলে পাঠানোর আহ্বান জানান এবং ডাক্তার ও প্রকৌশলী হিসেবে ক্যারিয়ার গড়তে উৎসাহিত করেন। সাংস্কৃতিক আত্তীকরণের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে হিমন্ত বিশ্ব শর্মা বলেন, নির্দিষ্ট কিছু অভ্যাস ত্যাগ এবং অসমিয়া সংস্কৃতি গ্রহণের মাধ্যমে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে মুসলমানরা আদিবাসী হিসেবে বিবেচিত হতে পারে।
এ সময় বাংলাভাষী মুসলমান কর্তৃক ‘সাত্র’র (বৈষ্ণব মঠ) জমি দখলের বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে তাদের আদিবাসীর দাবিকে প্রশ্নবিদ্ধ করেন আসামের মুখ্যমন্ত্রী।
আসামের মোট জনসংখ্যার উল্লেখযোগ্যই হচ্ছে মুসলমান। ২০১১ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী, রাজ্যের মোট জনসংখ্যার ৩৪ শতাংশেরও বেশি মুসলমান। এই জনসংখ্যার মধ্যে দুটি স্বতন্ত্র জাতিসত্তা রয়েছে—বাংলাভাষী ও বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত অভিবাসী মুসলমান এবং অসমিয়াভাষী আদিবাসী মুসলমান।
মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা মুসলমানদের প্রতি বলেন, ‘যদি নিজেদের আসামের আদিবাসী বলতে চান তবে সন্তানদের মাদ্রাসার পরিবর্তে ডাক্তার-ইঞ্জিনিয়ার বানানোর জন্য পড়াশোনা করান।’ সে সঙ্গে, মেয়েদেরও স্কুলে পাঠাতে এবং পিতার সম্পত্তিতে তাদের অধিকার দেওয়ার জন্যও বলেন মুখ্যমন্ত্রী।
হিমন্ত বিশ্ব শর্মা বলেন, ‘এগুলোই তাদের (বাংলাভাষী মুসলমান) এবং রাজ্যের আদিবাসীদের মধ্যে পার্থক্য। তারা যদি এই অভ্যাসগুলো ছাড়তে পারে এবং অসমিয়াদের সংস্কৃতিকে গ্রহণ করতে পারে তবে এক সময়ে তারাও আদিবাসী হয়ে উঠতে পারবে।’
২০২২ সালে আসাম মন্ত্রিসভা প্রায় ৪০ লাখ অসমিয়াভাষী মুসলমানকে ‘আদিবাসী অসমিয়া মুসলমান’ হিসেবে স্বীকৃতি দেয়—যা তাদের অভিবাসী বাংলাভাষী মুসলমানদের থেকে আলাদা করে তোলে। দুটি গোষ্ঠীর মধ্যে ঐতিহাসিক ও সাংস্কৃতিক পার্থক্য স্পষ্ট করার জন্য এই পার্থক্য করা হয়েছিল।
আসামের মুসলিম জনসংখ্যার বড় অংশই বাংলাভাষী। রাজ্যটির মোট মুসলিম জনসংখ্যার মাত্র ৩৭ শতাংশ হচ্ছে অসমিয়াভাষী আদিবাসী মুসলমান। আর বাকি ৬৩ শতাংশই অভিবাসী বাংলাভাষী মুসলমান।
মন্ত্রিসভা অনুমোদিত ‘আদিবাসী’ অসমিয়া মুসলমানদের মধ্যে পাঁচটি দল রয়েছে—গোরিয়া, মোরিয়া, জোলাহ (শুধুমাত্র চা বাগানে বসবাসকারী), দেশি এবং সৈয়দ (কেবল অসমিয়াভাষী)।
পেহেলাগাম হামলার পর দুই প্রতিবেশী দেশ ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে উত্তপ্ত পরিস্থিতি বিরাজ করছে। ভারত এ হামলার জন্য পাকিস্তানকে দায়ী করে তাদের বিরুদ্ধে একাধিক কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছে। প্রায় সাড়ে ছয় দশকের সিন্ধু জলচুক্তি বাতিল করেছে ভারত। আজ আবার পাকিস্তানও কিছু পাল্টা পদক্ষেপ নিয়েছে। এর মধ্যে একটি রয়েছে...
৪৩ মিনিট আগেচলে যাও! চলে যাও! চলে যাও! টেলিগ্রাম ভিডিওতে উচ্চকিত কণ্ঠে চলছে এই স্লোগান। কখনো বা সুরে সুরে। বার্তা খুবই স্পষ্ট। আর তা হচ্ছে, ‘হামাসের সবাই হটো।’ হামাস, গাজা, ইসরায়েল, বিক্ষোভ, স্লোগান, মধ্যপ্রাচ্য, রয়টার্স, ফিলিস্তিনি,
১ ঘণ্টা আগেরাশিয়া ইউক্রেনের উদ্দেশ্যে ৭০টি ক্ষেপণাস্ত্র এবং ১৪৫টি ড্রোন নিক্ষেপ করেছে। এগুলোর বেশির ভাগই কিয়েভকে লক্ষ্য করে ছোড়া হয়েছিল। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলেনস্কি জানান, যুক্তরাষ্ট্রের ওপর চাপ সৃষ্টি করতেই এই হামলা চালানো হয়েছে।
২ ঘণ্টা আগেবাণিজ্যযুদ্ধ সমাধানে আলোচনায় বসতে চাইলে যুক্তরাষ্ট্রকে আগে চীনা পণ্যের ওপর থেকে আরোপিত শুল্ক বাতিল করতে হবে। বিশ্বব্যাপী চলমান বাণিজ্যযুদ্ধ সমাধানে যুক্তরাষ্ট্রকে এমন প্রস্তাব দিয়েছে বেইজিং। চীন বলেছে, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প যদি এ সমস্যার সমাধান করতে চান, তবে অবশ্যই আগে আরোপিত শুল্ক বাতিল করবেন।
২ ঘণ্টা আগে