Ajker Patrika

ডাম্বুর বাঁধ খুলে দেওয়ায় বাংলাদেশে বন্যার দাবিটি সঠিক নয়: ভারত 

আপডেট : ২২ আগস্ট ২০২৪, ১৪: ৩৩
ডাম্বুর বাঁধ খুলে দেওয়ায় বাংলাদেশে বন্যার দাবিটি সঠিক নয়: ভারত 

নয়াদিল্লি দাবি করেছে, ত্রিপুরার ডাম্বুর বাঁধ খুলে দেওয়ার কারণে নয়, বরং বাঁধের ভাটিতে অবস্থিত ভারতীয় অঞ্চলে ব্যাপক বৃষ্টিপাতের কারণেই বাংলাদেশে বন্যার সৃষ্টি হয়েছে। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আজ বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে এই দাবি করেছে।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘ত্রিপুরার গোমতী নদীতে ভারতীয় বাঁধ থেকে পানি ছাড়ার কারণে বাংলাদেশে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়নি। আমরা বাংলাদেশে উদ্বেগ প্রকাশ করতে দেখেছি যে, ত্রিপুরার গোমতী নদীর উজানে ডাম্বুর বাঁধ খুলে দেওয়ায় বাংলাদেশের পূর্ব সীমান্তের জেলাগুলোতে বন্যার বর্তমান পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। বাস্তবে এটি সঠিক নয়।’

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘আমরা উল্লেখ করতে চাই যে, ভারত ও বাংলাদেশের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত গোমতী নদীর ক্যাচমেন্ট (অববাহিকায়) এলাকায় গত কয়েক দিন ধরে এই বছরের সবচেয়ে বেশি বৃষ্টিপাত হয়েছে। বাংলাদেশে এই বন্যা মূলত বাঁধের ভাটির দিকের এই বৃহৎ ক্যাচমেন্টের পানির কারণে ঘটেছে।’

ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়, ‘ডাম্বুর বাঁধটি (বাংলাদেশ) সীমান্ত থেকে বেশ দূরে—বাংলাদেশের ১২০ কিলোমিটারেরও বেশি উজানে অবস্থিত। এটি একটি স্বল্প উচ্চতাবিশিষ্ট (প্রায় ৩০ মিটার) বাঁধ, যা বিদ্যুৎ উৎপন্ন করে একটি গ্রিডে পাঠায় এবং সেখান থেকে বাংলাদেশও ত্রিপুরা থেকে ৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎশক্তি গ্রহণ করে।’

বিবৃতি অনুসারে, ‘প্রায় ১২০ কিলোমিটার দীর্ঘ এই নদীপথে অমরপুর, সোনামুড়া ও সোনামুড়া ২—এ তিনটি স্থানে আমাদের জলস্তর পর্যবেক্ষণ সাইট রয়েছে। সমগ্র ত্রিপুরা ও এর পার্শ্ববর্তী বাংলাদেশের জেলাগুলোতে ২১ আগস্ট থেকে ভারী বর্ষণ অব্যাহত রয়েছে। ভারী প্রবাহের এ ঘটনায় পানির স্বয়ংক্রিয় মুক্তকরণ পরিলক্ষিত হয়েছে। অমরপুর স্টেশন একটি দ্বিপক্ষীয় প্রটোকলের অংশ যার অধীনে আমরা বাংলাদেশে বন্যার তাৎক্ষণিক তথ্য পাঠিয়েছি।’

ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যে ভারী বর্ষণের কারণে বাংলাদেশে গোমতী নদীর অংশে পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ছবি: আজকের পত্রিকাগত ২১ আগস্ট বেলা ৩টা পর্যন্ত বাংলাদেশে সরবরাহকৃত তথ্যে ক্রমবর্ধমান প্রবণতা পরিলক্ষিত হয়েছে উল্লেখ করে বিবৃতিতে বলা হয়, ‘সন্ধ্যা ৬টায় বন্যার কারণে বিদ্যুৎ-বিভ্রাট ঘটার ফলে যোগাযোগের সমস্যা দেখা দেয়। তবু আমরা জরুরি ভিত্তিতে তথ্য পাঠানোর জন্য তৈরি অন্যান্য মাধ্যমে যোগাযোগ বজায় রাখার চেষ্টা করেছি।’

ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে অভিন্ন নদীতে বন্যা একটি যৌথ সমস্যা, যা উভয় পক্ষের জনগণের জন্য দুর্ভোগ সৃষ্টি করে এবং এর সমাধানের জন্য ঘনিষ্ঠ পারস্পরিক সহযোগিতা প্রয়োজন উল্লেখ করে ভারত সরকারের বিবৃতিতে বলা হয়, ‘যেহেতু দুটি দেশের ৫৪টি অভিন্ন আন্তসীমান্ত নদী রয়েছে, তাই নদীর পানি-বিষয়ক সহযোগিতা আমাদের দ্বিপক্ষীয় সম্পৃক্ততার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। আমরা দ্বিপক্ষীয় পরামর্শ ও প্রযুক্তিগত আলোচনার মাধ্যমে পানি সম্পদ ও নদীর পানি ব্যবস্থাপনার সমস্যা ও পারস্পরিক উদ্বেগসমূহের সমাধানে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত