বিজেপির কেন্দ্রীয় সহসভাপতি হলেন মুসলিম নেতা

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ : ২৯ জুলাই ২০২৩, ২২: ১৮
আপডেট : ২৯ জুলাই ২০২৩, ২২: ৪৪

কেন্দ্রীয় কমিটি সম্প্রসারণ করেছে ভারতের ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দল বিজেপি। এবার মুসলিম ভোট টানার চেষ্টায় দলটি কেন্দ্রীয় কমিটিতে এনেছে মুসলিম সম্প্রদায়ের মুখ। তিনি হলেন উত্তর প্রদেশের পসমন্দা মুসলিম সম্প্রদায়ের নেতা এবং আলীগড় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভাইস চ্যান্সেলর তারিক মনসুর। 

তারিক মনসুর বিজেপির ১৩ জন জাতীয় সহসভাপতির একজন। বিজেপির প্রেসিডেন্ট জেপি নাড্ডা তারিক মনসুরকে সম্প্রতি কেন্দ্রীয় কমিটি থেকে বাদ পড়া সঞ্জয় বান্দীর স্থলাভিষিক্ত করেছেন। এ ছাড়া সম্প্রসারিত কমিটিতে মনসুর ছাড়াও নতুন করে স্থান পেয়েছেন কংগ্রেসের বর্ষীয়ান নেতা এ কে অ্যান্টনির ছেলে অনিল অ্যান্টনি। 
 
তারিক মনসুর আলীগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য থাকাকালে ছাত্রসমাজকে বিভিন্ন রাজনৈতিক বিষয়ে ‘সংযত’ রাখার চেষ্টা করেছিলেন। সব সময় চেয়েছেন উগ্র আন্দোলনের পথ পরিত্যাগ করে ছাত্রসমাজকে মধ্যপন্থায় বিশ্বাসী করে তুলতে। হিন্দু-মুসলমান সৌভ্রাত্ববোধ ছড়িয়ে দিতে সব সময় সচেষ্ট ছিলেন তিনি এবং তা করতে গিয়ে তিনি সক্রিয়ভাবে রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সংঘের (আরএসএস) সঙ্গে কাজও করেছেন। 

তারিকের এমন কর্মকাণ্ডের কারণে উপাচার্য পদ থেকে অবসর গ্রহণের পর মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ তাঁকে উত্তর প্রদেশ বিধানসভার সদস্য মনোনীত করেন। এবার তাঁকে দলের সর্বভারতীয় সহসভাপতি নিযুক্ত করা হলো। 

সাংগঠনিক দায়িত্ব থেকে অনেককেই বাদ দেওয়া হয়েছে। তাঁদের অন্যতম পশ্চিমবঙ্গের সাবেক সভাপতি দিলীপ ঘোষ ও কর্ণাটকের নেতা সি টি রবি। দুজনেই সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। 

আগামী লোকসভা নির্বাচনে মুসলমানদের মধ্যে সমর্থন বাড়াতে বিজেপি ‘পসমন্দা’ সম্প্রদায়কে নানাভাবে কাছে টানার চেষ্টা করছে। দরিদ্র ও অনগ্রসর এই সম্প্রদায়ের জন্য মোদি সরকার বেশ কিছু সামাজিক উন্নয়নমূলক প্রকল্প গ্রহণ করেছে। পসমন্দাদের সমর্থনের আশায় আজই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ তামিলনাড়ুর রামেশ্বরমে প্রয়াত সাবেক রাষ্ট্রপতি এ পি জে আবদুল কালামের ওপর লেখা এক বইয়ের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। 

উত্তর প্রদেশের মোট ভোটারের প্রায় ২০ শতাংশ মুসলমান। ৩০টির মতো লোকসভা আসনে মুসলমান সমর্থন জয়-পরাজয়ের ক্ষেত্রে নির্ণায়ক। পসমন্দাদের মন জয়ের মধ্য দিয়ে বিজেপি এই সমর্থন পেতে চায়। তারিক মনসুরকে সহসভাপতি করাও সেই উদ্দেশ্যে। বিজেপির কাছে তিনি ‘জাতীয়তাবাদী মুসলমান’। 

এর আগে বিজেপিতে মুসলমান সহসভাপতি হয়েছিলেন সিকান্দর বখত। অটল বিহারি বাজপেয়ি মন্ত্রিসভার সদস্যও ছিলেন তিনি। পরে ২০০২ সালে তিনি কেরালার রাজ্যপাল নিযুক্ত হন। ২০০৪ সালে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি ওই পদে বহাল ছিলেন। নরেন্দ্র মোদির কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় অবশ্য একজন মুসলমানও নেই। শেষ মন্ত্রী ছিলেন মুক্তার আব্বাস নাকভি। রাজ্যসভায় মনোনয়ন না পাওয়ায় তাঁর মন্ত্রিত্ব শেষ হয়। দেশের ২৯টি রাজ্যের একটিতেও মুসলমান মুখ্যমন্ত্রী নেই। ১৫টি রাজ্যে কোনো মুসলমান মন্ত্রীও নেই।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত