অনলাইন ডেস্ক
সিরিয়ার সাবেক বাশার আল-আসাদ সরকারের ঘনিষ্ঠ মিত্র ছিল ইরান। সিরিয়ায় গৃহযুদ্ধ চলাকালে আসাদকে ক্ষমতায় রাখতে কয়েক বিলিয়ন ডলার ব্যয় করেছিল ইরান। মোতায়েন করেছিল বিপ্লবী গার্ড। বিদ্রোহীদের হাতে আসাদ সরকারের পতনের পর দেশটিতে নতুন প্রশাসন গঠনের কাজ চলছে। এর মধ্যে সিরিয়াতে বিশৃঙ্খলা না ছড়াতে ইরানের প্রতি আহ্বান জানালেন নবনিযুক্ত সিরীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদ হাসান আল-শিবানি।
আজ বুধবার রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে জানা যায়, গতকাল মঙ্গলবার পররাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদ আল-শিবানি বলেন, ইরান যেন সিরিয়ায় অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি না করে এবং সিরিয়ার জনগণের ইচ্ছা ও দেশের সার্বভৌমত্বকে সম্মান করে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্সে এক পোস্টে শিবানি বলেন, ‘ইরানকে অবশ্যই সিরিয়ার জনগণের ইচ্ছা ও দেশের সার্বভৌমত্ব এবং নিরাপত্তাকে সম্মান করতে হবে। আমরা তাদের সিরিয়ায় অস্থিতিশীলতা ছড়ানো থেকে সতর্ক করছি এবং সাম্প্রতিক মন্তব্যের প্রভাবের জন্য দায়ী করছি।’
তবে কোন বিষয়ে এ মন্তব্য তা নির্দিষ্ট করে উল্লেখ করেননি তিনি।
এর আগে গত রোববার এক টেলিভিশন বক্তৃতায় ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি সিরিয়ার যুবকদের প্রতি অস্থিতিশীলতা সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে দৃঢ় সংকল্প নিয়ে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান।
আলী খামেনি বলেন, ‘আমি ভবিষ্যদ্বাণী করছি যে সিরিয়ায়ও একটি শক্তিশালী ও সম্মানিত দেশের কাতারে উঠে আসবে। একজন সিরিয়ান তরুণের হারানোর কিছু নেই—তার বিশ্ববিদ্যালয় অনিরাপদ, তার স্কুল অনিরাপদ, তার বাড়ি অনিরাপদ, তার রাস্তা অনিরাপদ, তার পুরো জীবনই অনিরাপদ। সে কী করবে?’
ইরান-সিরিয়া সম্পর্কের ইতিহাস মূলত ১৯৭৯ সালের ইসলামি বিপ্লবের পর শুরু হয়। সিরিয়ায় বাশার আল-আসাদের বাবা হাফিজ আল-আসাদের শাসনের সময় ইরানের সঙ্গে আঞ্চলিক সহযোগিতা গড়ে তোলে দামেস্ক। বিশেষ করে ইরান-ইরাক যুদ্ধের সময়। ২০০০ সালে বাশার আল-আসাদ প্রেসিডেন্ট হওয়ার পরও সিরিয়া ইরানকে তার মূল কৌশলগত সহযোগী হিসেবে ধরে রাখে। ২০১১ সালে সিরিয়ার গৃহযুদ্ধ শুরু হলে ইরান বাশার আল-আসাদের শাসন রক্ষায় সামরিক সহায়তা প্রদান করে। ইরান শিয়া মিলিশিয়া গঠন এবং ‘প্রতিরোধ অক্ষ’ তৈরি করে, যা এখনো সিরিয়ায় ইরানের প্রভাব বজায় রাখছে।
ইরান এবং মধ্যপ্রাচ্যের রাজনীতির ইতিহাস দীর্ঘ ও জটিল। ১৯৭৯ সালে ইসলামি বিপ্লবের পর ইরান একটি ধর্মীয় শাসনব্যবস্থা গ্রহণ করে এবং একপর্যায়ে বর্তমান সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ খামেনি ক্ষমতায় আসেন। বিপ্লবের মাধ্যমে ইরান রাজতন্ত্রের পরিবর্তে ইসলামি প্রজাতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করে এবং পশ্চিমা শক্তির প্রভাব, বিশেষ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে যায়।
এদিকে, ইরান-ইসরায়েল সম্পর্ক ১৯৭৯ সালের ইসলামি বিপ্লবের পর চরম অবনতি ঘটে। ইরান ইসরায়েলকে বৈধ রাষ্ট্র হিসেবে মেনে নেয়নি এবং ফিলিস্তিনিদের সমর্থন দিতে শুরু করে। ইরান পারমাণবিক কর্মসূচি শুরু করলে ইসরায়েল উদ্বিগ্ন হয়ে ওঠে। কারণ, তারা মনে করে, ইরান পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করতে পারে। ইরান ইসরায়েল বিরোধী গোষ্ঠী যেমন হিজবুল্লাহ, হামাস এবং হুতি বিদ্রোহীদের সমর্থন দিয়ে তার আঞ্চলিক প্রভাব বিস্তার করে। বর্তমানে, ইরান ইসরায়েলের অস্তিত্ব অস্বীকার করে এবং ফিলিস্তিনিদের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য সমর্থন জানায়, ইসরায়েলও ইরানকে তার প্রধান শত্রু হিসেবে দেখে।
সিরিয়ার সাবেক বাশার আল-আসাদ সরকারের ঘনিষ্ঠ মিত্র ছিল ইরান। সিরিয়ায় গৃহযুদ্ধ চলাকালে আসাদকে ক্ষমতায় রাখতে কয়েক বিলিয়ন ডলার ব্যয় করেছিল ইরান। মোতায়েন করেছিল বিপ্লবী গার্ড। বিদ্রোহীদের হাতে আসাদ সরকারের পতনের পর দেশটিতে নতুন প্রশাসন গঠনের কাজ চলছে। এর মধ্যে সিরিয়াতে বিশৃঙ্খলা না ছড়াতে ইরানের প্রতি আহ্বান জানালেন নবনিযুক্ত সিরীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদ হাসান আল-শিবানি।
আজ বুধবার রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে জানা যায়, গতকাল মঙ্গলবার পররাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদ আল-শিবানি বলেন, ইরান যেন সিরিয়ায় অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি না করে এবং সিরিয়ার জনগণের ইচ্ছা ও দেশের সার্বভৌমত্বকে সম্মান করে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্সে এক পোস্টে শিবানি বলেন, ‘ইরানকে অবশ্যই সিরিয়ার জনগণের ইচ্ছা ও দেশের সার্বভৌমত্ব এবং নিরাপত্তাকে সম্মান করতে হবে। আমরা তাদের সিরিয়ায় অস্থিতিশীলতা ছড়ানো থেকে সতর্ক করছি এবং সাম্প্রতিক মন্তব্যের প্রভাবের জন্য দায়ী করছি।’
তবে কোন বিষয়ে এ মন্তব্য তা নির্দিষ্ট করে উল্লেখ করেননি তিনি।
এর আগে গত রোববার এক টেলিভিশন বক্তৃতায় ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি সিরিয়ার যুবকদের প্রতি অস্থিতিশীলতা সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে দৃঢ় সংকল্প নিয়ে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান।
আলী খামেনি বলেন, ‘আমি ভবিষ্যদ্বাণী করছি যে সিরিয়ায়ও একটি শক্তিশালী ও সম্মানিত দেশের কাতারে উঠে আসবে। একজন সিরিয়ান তরুণের হারানোর কিছু নেই—তার বিশ্ববিদ্যালয় অনিরাপদ, তার স্কুল অনিরাপদ, তার বাড়ি অনিরাপদ, তার রাস্তা অনিরাপদ, তার পুরো জীবনই অনিরাপদ। সে কী করবে?’
ইরান-সিরিয়া সম্পর্কের ইতিহাস মূলত ১৯৭৯ সালের ইসলামি বিপ্লবের পর শুরু হয়। সিরিয়ায় বাশার আল-আসাদের বাবা হাফিজ আল-আসাদের শাসনের সময় ইরানের সঙ্গে আঞ্চলিক সহযোগিতা গড়ে তোলে দামেস্ক। বিশেষ করে ইরান-ইরাক যুদ্ধের সময়। ২০০০ সালে বাশার আল-আসাদ প্রেসিডেন্ট হওয়ার পরও সিরিয়া ইরানকে তার মূল কৌশলগত সহযোগী হিসেবে ধরে রাখে। ২০১১ সালে সিরিয়ার গৃহযুদ্ধ শুরু হলে ইরান বাশার আল-আসাদের শাসন রক্ষায় সামরিক সহায়তা প্রদান করে। ইরান শিয়া মিলিশিয়া গঠন এবং ‘প্রতিরোধ অক্ষ’ তৈরি করে, যা এখনো সিরিয়ায় ইরানের প্রভাব বজায় রাখছে।
ইরান এবং মধ্যপ্রাচ্যের রাজনীতির ইতিহাস দীর্ঘ ও জটিল। ১৯৭৯ সালে ইসলামি বিপ্লবের পর ইরান একটি ধর্মীয় শাসনব্যবস্থা গ্রহণ করে এবং একপর্যায়ে বর্তমান সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ খামেনি ক্ষমতায় আসেন। বিপ্লবের মাধ্যমে ইরান রাজতন্ত্রের পরিবর্তে ইসলামি প্রজাতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করে এবং পশ্চিমা শক্তির প্রভাব, বিশেষ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে যায়।
এদিকে, ইরান-ইসরায়েল সম্পর্ক ১৯৭৯ সালের ইসলামি বিপ্লবের পর চরম অবনতি ঘটে। ইরান ইসরায়েলকে বৈধ রাষ্ট্র হিসেবে মেনে নেয়নি এবং ফিলিস্তিনিদের সমর্থন দিতে শুরু করে। ইরান পারমাণবিক কর্মসূচি শুরু করলে ইসরায়েল উদ্বিগ্ন হয়ে ওঠে। কারণ, তারা মনে করে, ইরান পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করতে পারে। ইরান ইসরায়েল বিরোধী গোষ্ঠী যেমন হিজবুল্লাহ, হামাস এবং হুতি বিদ্রোহীদের সমর্থন দিয়ে তার আঞ্চলিক প্রভাব বিস্তার করে। বর্তমানে, ইরান ইসরায়েলের অস্তিত্ব অস্বীকার করে এবং ফিলিস্তিনিদের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য সমর্থন জানায়, ইসরায়েলও ইরানকে তার প্রধান শত্রু হিসেবে দেখে।
পরিবেশবান্ধব জ্বালানি খাতসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিনিয়োগ করে সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই) এখন আফ্রিকায় সবচেয়ে বড় বিদেশি বিনিয়োগকারী। চীন ও পশ্চিমা দেশগুলোর বিনিয়োগ হ্রাসের ফলে ইউএই এই স্থান দখল করেছে। ২০১৯-২০২৩ সালের মধ্যে ১১০ বিলিয়ন ডলারের প্রকল্প ঘোষণা করেছে দেশটি, যার মধ্যে নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে...
১ ঘণ্টা আগেবল্ড ইগল’ এখন আনুষ্ঠানিকভাবে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় পাখি। স্থানীয় সময় বুধবার ক্রিসমাস ইভে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন একটি আইনে স্বাক্ষর করে সাদা মাথা ও হলুদ ঠোঁটযুক্ত শিকারি এই পাখিকে জাতীয় সম্মান দিয়েছেন।
২ ঘণ্টা আগেতুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তৈয়ব এরদোয়ান সতর্ক করে বলেছেন, সিরিয়ায় কুর্দি যোদ্ধারা অস্ত্র ত্যাগ না করলে ‘তাদের কবর রচনা হবে’। বুধবার এই খবর জানিয়েছে আমিরাত-ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা।
৩ ঘণ্টা আগেজীবনের বেশির ভাগ সময় নিজেকে এক হতভাগ্য মানুষ ভেবে এসেছেন ডিক্সন হ্যান্ডশো হাতশা। জন্মের পরপরই তাঁকে দত্তক নেওয়া হয়েছিল, জানতেন না আসল বাবা-মার পরিচয়। সাত দশকেরও বেশি সময় পর সম্প্রতি তিনি জানতে পারেন, তাঁর বেশ কয়েকজন ভাইবোন রয়েছে। বড়দিনের ঠিক আগে ৭৫ বছর বয়সী ডিক্সন তাঁর জীবিত ভাইবোনদের সঙ্গে দেখাও কর
৬ ঘণ্টা আগে