মাকে বাঁচিয়ে সৌদি আরবে সর্বকনিষ্ঠ প্যারামেডিকের স্বীকৃতি পেল সারা

অনলাইন ডেস্ক
Thumbnail image
মাত্র আট বছর বয়সেই মায়ের জীবন বাঁচিয়েছে সারা। ছবি: গালফ নিউজ

সারা আবদুল্লাহ রশিদ মা ৮ বছরে পা রেখেছে। কিন্তু এই বয়সেই মায়ের জীবন বাঁচানোর মতো একটি মহৎ কাজ করেছে সে। সোমবার গালফ নিউজ জানিয়েছে, মায়ের অসুস্থতায় অসাধারণ সাহস ও সংযমের মাধ্যমে সংকট মোকাবিলা করে পরাক্রমশালী এক নায়ক হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে সারা।

জানা গেছে, সারার বাবা সৌদি আরবের দক্ষিণ সীমান্তে কর্মরত আছেন। এ অবস্থায় এক রাতে হঠাৎ তার মা গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং চেতনা হারান। শুরুতে মায়ের এমন অবস্থা দেখে সারা বুঝতে পারছিল না তার কী করা উচিত।

তবে এ ধরনের জরুরি মুহূর্তে কী করতে হবে, সেই বিষয়ে মায়ের কাছ থেকেই অতীতে কিছু ধারণা পেয়েছিল সারা। সেই জ্ঞানকে কাজে লাগিয়েই খুব দ্রুততার সঙ্গে একটি অ্যাম্বুলেন্সকে কল করে মেয়েটি। শুধু তাই নয়, কল করে মায়ের অবস্থার কথা বর্ণনা করে নিজেদের বাড়িতে পৌঁছানোর ঠিকানাও দেয় সে।

সারার মা বলেন, ‘তার (সারা) কলটিকে গুরুত্ব দিয়ে সাহায্য করতে এগিয়ে আসার জন্য জরুরি সেবাদানকারী প্রতি আমি কৃতজ্ঞ। আমাকে হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা দেওয়ার পর সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছিলাম।’

সারার মা আরও বলেন, ‘যখন বুঝতে পারলাম যে, আমার মেয়ে আমাকে বাঁচিয়েছে, সেই মুহূর্তটি অনেক গর্ব অনুভব করেছি।’

এত অল্প বয়সে সারার দ্রুত পদক্ষেপগুলো কর্তৃপক্ষেরও নজর এড়ায়নি। শেষ পর্যন্ত সৌদি আরবের স্বাস্থ্যমন্ত্রী ফাহাদ আল জালাজেল সারাকে দেশটির সর্বকনিষ্ঠ প্যারামেডিকের স্বীকৃতি দিয়েছেন।

মেয়ের এমন কৃতিত্ব সারার পরিবারকেও অনেক গর্বিত করেছে। তার মা বলেন, ‘সারার সাহসকে স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য আমরা স্বাস্থ্যমন্ত্রীর কাছে অবিশ্বাস্যভাবে কৃতজ্ঞ। এই স্বীকৃতি তার আত্মবিশ্বাস বাড়িয়েছে এবং আমাদের চোখে তাকে একজন সত্যিকারের নায়কের মতো মনে হচ্ছে।’

মা জানান, ঘটনার আগে কোনো আনুষ্ঠানিক প্রাথমিক চিকিৎসা প্রশিক্ষণ ছিল না সারার। তবে তার একমাত্র প্রস্তুতি ছিল জরুরি নম্বরগুলো মুখস্থ রাখা।

জরুরি কল করার সময় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সারার কথোপকথনের একটি রেকর্ড করা ক্লিপ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অফিশিয়াল সোশ্যাল মিডিয়া চ্যানেলে ভাইরাল হয়েছে। অডিওতে শান্ত গলায় সারাকে বলতে শোনা যায়—‘মা অসুস্থ। তিনি পড়ে গিয়ে কথা বলছেন না।’

প্যারামেডিকেরা এ অবস্থায় সারাকে হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে তাদের অবস্থান শেয়ার করতে বলেন এবং তাদের বাড়িতে পৌঁছানোর আগ পর্যন্ত লাইনে থাকার নির্দেশ দিয়েছিলেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত