গাজায় এক বছরের বেশি সময় ধরে চলমান ইসরায়েলি আগ্রাসনের ফলে ২০২৪ সালের শেষ নাগাদ দেশটির অর্থনৈতিক ক্ষতি প্রায় ২৫০ বিলিয়ন শেকেল বা ৬৭ দশমিক ৫৭ বিলিয়ন ডলার। ইসরায়েলের বাণিজ্যবিষয়ক সংবাদপত্র ক্যালকালিস্টের বরাত দিয়ে এ তথ্য প্রকাশ করেছে তুরস্কের রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদ সংস্থা আনাদোলু এজেন্সি।
প্রতিবেদন অনুসারে, এই ব্যয়ের বিষয়টি অনুমান করা হয়েছে ইসরায়েলের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্যের ভিত্তিতে। এই পরিসংখ্যানে সরাসরি সামরিক ব্যয়, বেসামরিক ব্যয় ও রাজস্ব ক্ষতি অন্তর্ভুক্ত। তবে এই যুদ্ধের কারণে ইসরায়েলের অর্থনীতিতে সামগ্রিকভাবে কী ধরনের প্রভাব ফেলেছে তা প্রতিফলিত হয়নি।
ক্যালকালিস্টের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই ব্যয় ইসরায়েলের জন্য ‘ভারী বোঝা’। সংবাদমাধ্যমটি ইসরায়েলের যুদ্ধ প্রচেষ্টার ‘ব্যর্থতা’ নিয়ে সমালোচনা করেছে। এতে আগামী দশকে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাজেট উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়ানোর প্রয়োজনীয়তার কথা বলা হয়েছে।
তবে এই বাজেটের চাপ ইসরায়েলের মধ্যে আলোচনার জন্ম দিয়েছে, বিশেষ করে ভূমধ্যসাগরে প্রাকৃতিক গ্যাস-সম্পদ থেকে প্রাপ্ত আয়ের পুনর্বণ্টন নিয়ে। এই আয় মূলত স্বাস্থ্যসেবা ও শিক্ষার জন্য বরাদ্দ ছিল, তবে এখন প্রতিরক্ষা ব্যয়ের জন্য ব্যবহার করা হতে পারে।
প্রতিবেদনটি নাগেল কমিটির সাম্প্রতিক সুপারিশের কথাও উল্লেখ করেছে। যেখানে বলা হয়েছে, পরবর্তী এক দশকে প্রতিরক্ষার জন্য অতিরিক্ত ২৭৫ বিলিয়ন শেকেল (৭৪ বিলিয়ন ডলার) এবং প্রতিবছর ২৭ দশমিক ৫ বিলিয়ন শেকেল বা ৭ বিলিয়ন ডলার বাড়ানোর প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। কমিটি ইসরায়েলের বহুস্তরবিশিষ্ট আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা শক্তিশালী করার প্রস্তাব দিয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে আয়রন ডোম এবং সদ্য কার্যকর হওয়া লেজার ব্যবস্থা, পাশাপাশি জর্দান উপত্যকার সীমান্তকে একটি ভারী সুরক্ষিত ব্যারিয়ার দিয়ে সংহত করার পরিকল্পনা।
এদিকে, গাজায় ইসরায়েলি হামলায় ৪৬ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছে, যাদের বেশির ভাগই নারী ও শিশু। এই আক্রমণে পুরো অঞ্চল ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে এবং দুর্ভিক্ষের ঝুঁকি ব্যাপক। বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করছেন যে, চলমান যুদ্ধ ইসরায়েলের অর্থনীতিকে আরও গভীর সংকটে ফেলতে পারে, যা দেশের সামগ্রিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকিস্বরূপ।
অপরদিকে, ইসরায়েলের অর্থনীতিতে যুদ্ধের এই প্রভাব আরও গভীরভাবে অনুভূত হচ্ছে। দেশটির কেন্দ্রীয় পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালের শেষ প্রান্তিকে ইসরায়েলের অর্থনীতি বার্ষিক ভিত্তিতে ১৯ দশমিক ৪ শতাংশ সংকুচিত হয়েছে, যা প্রত্যাশার দ্বিগুণ। এ ছাড়া, ব্যক্তিগত খরচ ২৬ দশমিক ৯ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে, যা সাধারণ জনগণের জীবনযাত্রার মানের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে।
গাজায় এক বছরের বেশি সময় ধরে চলমান ইসরায়েলি আগ্রাসনের ফলে ২০২৪ সালের শেষ নাগাদ দেশটির অর্থনৈতিক ক্ষতি প্রায় ২৫০ বিলিয়ন শেকেল বা ৬৭ দশমিক ৫৭ বিলিয়ন ডলার। ইসরায়েলের বাণিজ্যবিষয়ক সংবাদপত্র ক্যালকালিস্টের বরাত দিয়ে এ তথ্য প্রকাশ করেছে তুরস্কের রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদ সংস্থা আনাদোলু এজেন্সি।
প্রতিবেদন অনুসারে, এই ব্যয়ের বিষয়টি অনুমান করা হয়েছে ইসরায়েলের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্যের ভিত্তিতে। এই পরিসংখ্যানে সরাসরি সামরিক ব্যয়, বেসামরিক ব্যয় ও রাজস্ব ক্ষতি অন্তর্ভুক্ত। তবে এই যুদ্ধের কারণে ইসরায়েলের অর্থনীতিতে সামগ্রিকভাবে কী ধরনের প্রভাব ফেলেছে তা প্রতিফলিত হয়নি।
ক্যালকালিস্টের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই ব্যয় ইসরায়েলের জন্য ‘ভারী বোঝা’। সংবাদমাধ্যমটি ইসরায়েলের যুদ্ধ প্রচেষ্টার ‘ব্যর্থতা’ নিয়ে সমালোচনা করেছে। এতে আগামী দশকে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাজেট উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়ানোর প্রয়োজনীয়তার কথা বলা হয়েছে।
তবে এই বাজেটের চাপ ইসরায়েলের মধ্যে আলোচনার জন্ম দিয়েছে, বিশেষ করে ভূমধ্যসাগরে প্রাকৃতিক গ্যাস-সম্পদ থেকে প্রাপ্ত আয়ের পুনর্বণ্টন নিয়ে। এই আয় মূলত স্বাস্থ্যসেবা ও শিক্ষার জন্য বরাদ্দ ছিল, তবে এখন প্রতিরক্ষা ব্যয়ের জন্য ব্যবহার করা হতে পারে।
প্রতিবেদনটি নাগেল কমিটির সাম্প্রতিক সুপারিশের কথাও উল্লেখ করেছে। যেখানে বলা হয়েছে, পরবর্তী এক দশকে প্রতিরক্ষার জন্য অতিরিক্ত ২৭৫ বিলিয়ন শেকেল (৭৪ বিলিয়ন ডলার) এবং প্রতিবছর ২৭ দশমিক ৫ বিলিয়ন শেকেল বা ৭ বিলিয়ন ডলার বাড়ানোর প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। কমিটি ইসরায়েলের বহুস্তরবিশিষ্ট আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা শক্তিশালী করার প্রস্তাব দিয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে আয়রন ডোম এবং সদ্য কার্যকর হওয়া লেজার ব্যবস্থা, পাশাপাশি জর্দান উপত্যকার সীমান্তকে একটি ভারী সুরক্ষিত ব্যারিয়ার দিয়ে সংহত করার পরিকল্পনা।
এদিকে, গাজায় ইসরায়েলি হামলায় ৪৬ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছে, যাদের বেশির ভাগই নারী ও শিশু। এই আক্রমণে পুরো অঞ্চল ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে এবং দুর্ভিক্ষের ঝুঁকি ব্যাপক। বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করছেন যে, চলমান যুদ্ধ ইসরায়েলের অর্থনীতিকে আরও গভীর সংকটে ফেলতে পারে, যা দেশের সামগ্রিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকিস্বরূপ।
অপরদিকে, ইসরায়েলের অর্থনীতিতে যুদ্ধের এই প্রভাব আরও গভীরভাবে অনুভূত হচ্ছে। দেশটির কেন্দ্রীয় পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালের শেষ প্রান্তিকে ইসরায়েলের অর্থনীতি বার্ষিক ভিত্তিতে ১৯ দশমিক ৪ শতাংশ সংকুচিত হয়েছে, যা প্রত্যাশার দ্বিগুণ। এ ছাড়া, ব্যক্তিগত খরচ ২৬ দশমিক ৯ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে, যা সাধারণ জনগণের জীবনযাত্রার মানের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে।
২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়ার ইউক্রেন আক্রমণ ভারতের জন্য টার্নিং পয়েন্ট হয়ে ওঠে। অস্ত্র রপ্তানি বাড়ানোর দায়িত্বে কর্মরত এক ভারতীয় কর্মকর্তা বলেন, পশ্চিমা দেশগুলো তাদের অস্ত্রভান্ডার ইউক্রেনে পাঠিয়েছে। রাশিয়ার কারখানাগুলো শুধু তাদের যুদ্ধের জন্যই অস্ত্র তৈরি করছে। ফলে যেসব দেশ ওয়াশিংটন...
৭ ঘণ্টা আগেসম্প্রতি এক ভিডিওতে ভারতের দীর্ঘ পথের ট্রেনযাত্রাকে ‘মানসিকভাবে ভেঙে পড়ার’ মতো অভিজ্ঞতা বলে বর্ণনা করেছেন ফরাসি ইউটিউবার ভিক্টর ব্লাহো। তিনি বিদেশি পর্যটকদের পরামর্শ দিয়েছেন, পর্যাপ্ত প্রস্তুতি বা ভালো বাজেট না থাকলে ভারতের দীর্ঘ দূরত্বের ট্রেনভ্রমণ এড়িয়ে চলা উচিত।
৮ ঘণ্টা আগেবিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা (ডব্লিউটিও) আশঙ্কা প্রকাশ করেছে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আরোপিত শুল্ক নীতির কারণে চলতি বছরই বিশ্বজুড়ে পণ্যবাণিজ্য হ্রাস পাবে। এ ছাড়াও পারস্পরিক শুল্ক আরোপ ও রাজনৈতিক অনিশ্চয়তাসহ বিভিন্ন গভীর নেতিবাচক ঝুঁকি রয়েছে, যা বিশ্ব বাণিজ্যে আরও বড় ধরনের পতন ডেকে আনতে পারে।
৯ ঘণ্টা আগেবর্তমানে ছোট ওষুধ (পিল বা ক্যাপসুল) বাজারে আসার ৯ বছর পর মেডিকেয়ার মূল্য আলোচনার জন্য যোগ্য হয়। ট্রাম্প প্রশাসন এটিকে ১৩ বছর করতে চায়, যা বায়োটেক ওষুধের সমতুল্য। তবে ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানগুলো দাবি করেছিল, বর্তমান নিয়ম নতুন ওষুধ উদ্ভাবনকে বাধাগ্রস্ত করে। আগে এই বিষয় নিয়ে তারা আলোচনা করতে
১০ ঘণ্টা আগে