Ajker Patrika

নতুন সিরিয়ায় নারীদের পোশাক নিয়ে হস্তক্ষেপ কঠোরভাবে নিষিদ্ধ: এইচটিএস

আপডেট : ১১ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯: ২১
২০১৮ সালে দামেস্কে সিরিয়ার স্বাধীনতা দিবস উদ্‌যাপন করছে সিরিয়ান মেয়েরা। ছবি: সংগৃহীত
২০১৮ সালে দামেস্কে সিরিয়ার স্বাধীনতা দিবস উদ্‌যাপন করছে সিরিয়ান মেয়েরা। ছবি: সংগৃহীত

সিরিয়ার রাজধানী দামেস্ক দখলের পর বিদ্রোহী দল হায়াত তাহরির আল-শাম (এইচটিএস) শাসনব্যবস্থার নতুন নীতিমালা ঘোষণা করেছে। গত সোমবার এইচটিএসের শীর্ষ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সিরিয়ায় নতুন শাসনের অধীনে ‘সর্বজনীন ক্ষমা’ ঘোষণা করা হয়েছে, যা দেশটির সমস্ত নিয়োজিত সৈন্যদের জন্য প্রযোজ্য।

একই সঙ্গে তাঁরা স্পষ্টভাবে উল্লেখ করেছে, ‘নারীদের পোশাক নিয়ে হস্তক্ষেপ করা বা তাঁদের পোশাক ও চেহারার বিষয়ে কোনো অনুরোধ করাও কঠোরভাবে নিষিদ্ধ’।

গত মাসের শেষদিক থেকেই বিদ্রোহীরা তীব্র আক্রমণ চালাতে থাকে। এতে সর্বশেষ গত রোববার সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ ক্ষমতাচ্যুত ও দেশত্যাগে বাধ্য হয়েছেন। রাজধানী দখলের পর বিদ্রোহীরা ঘোষণা করে, আসাদ মুক্ত দামেস্ক। ২৪ বছর ধরে ক্ষমতায় থাকা আসাদের শাসনামলে ১৩ বছরের গৃহযুদ্ধ এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ রয়েছে।

সিরিয়ার প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ গাজি আল-জালালি জানিয়েছেন, দ্রুত ও সুশৃঙ্খলোবে ক্ষমতা হস্তান্তরের জন্য তাঁরা বিদ্রোহীদের সঙ্গে সমন্বয় করছেন। বিদ্রোহী নেতা আহমেদ আল-শারা, যিনি আবু মোহাম্মদ আল-জোলানি নামে পরিচিত, তার সঙ্গে বৈঠকে প্রস্তুতির কথাও জানান তিনি।

আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় সিরিয়ার এই নতুন রাজনৈতিক বাস্তবতায় অভিযোজন শুরু করেছে। ইরানের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, তেহরান সিরিয়ার নতুন নেতৃত্বের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ স্থাপন করেছে। তবে আসাদের উত্তরসূরি তেহরানের প্রভাব থেকে সিরিয়াকে দূরে সরিয়ে নিয়ে গেলে তা ইরানের জন্য উদ্বেগের বিষয় হয়ে দাঁড়াবে।

ইসরায়েল এরই মধ্যে গোলান মালভূমির একটি বাফার জোন দখল করেছে এবং সম্ভাব্য রাসায়নিক অস্ত্র ও দীর্ঘ পাল্লার রকেট লক্ষ্য করে বিমান হামলা চালিয়েছে।

মানবিক সাহায্য সরবরাহে বিলম্ব ঘটলেও প্রধানমন্ত্রী জালালি জানিয়েছেন, অধিকাংশ মন্ত্রী এখনো দামেস্কে কাজ করছেন। এদিকে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সিরিয়ার বর্তমান অস্থিতিশীল পরিস্থিতিতে জঙ্গি গোষ্ঠীগুলোর শক্তি পুনর্গঠনের আশঙ্কায় ইসলামিক স্টেটের লক্ষ্যবস্তুতে বেশ কয়েকটি বিমান হামলা চালিয়েছে।

সিরিয়ার নতুন শাসনব্যবস্থার অধীনে ধর্মীয় সহিষ্ণুতা ও প্রতিনিধিত্বমূলক শাসনের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে। তবে দেশের ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত