ইসরায়েলের মাথাব্যথার কারণ হিজবুল্লাহর ‘বিপজ্জনক’ নৌশক্তি

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ : ১৭ অক্টোবর ২০২৪, ১০: ৪০
আপডেট : ১৭ অক্টোবর ২০২৪, ১১: ৪১

লেবাননে হিজবুল্লাহর স্থলশক্তির সামনে তীব্র প্রতিরোধের মুখে পড়েছে ইসরায়েল। তবে ইসরায়েলের নৌবাহিনীর কর্মকর্তারা নতুন আশঙ্কার খবর দিয়েছেন। তাঁরা বলেছেন, হিজবুল্লাহর নৌশক্তি এখনো কার্যকর এবং তাদের হাতে নেভাল ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রও আছে, যা দিয়ে ইসরায়েলে হামলা চালানো সম্ভব। ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম জেরুজালেম পোস্টের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে। 

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আইডিএফ গত এক দশক ধরে হিজবুল্লাহর নৌ সক্ষমতা নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করে আসছে। পর্যবেক্ষণ বলছে, হিজবুল্লাহর নৌ ইউনিটের কাছে রাশিয়ার তৈরি সুপারসনিক ইয়াখন্ট ক্ষেপণাস্ত্র আছে। পশ্চিমা বিশ্ব এই ক্ষেপণাস্ত্রকে ‘পশ্চিমি নৌবহরের দুঃস্বপ্ন’ হিসেবে বিবেচনা করে। ইসরায়েলি বাহিনীর দাবি, এ ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র সিরিয়া রাশিয়ার কাছ থেকে কিনেছিল। পরে তা হিজবুল্লাহর কাছে যায়। 

ইসরায়েলি বাহিনীর দাবি অনুসারে, হিজবুল্লাহ ইরানের সমর্থনে একটি গোপন নৌ ইউনিট তৈরি করেছে। তবে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষাবাহিনী (আইডিএফ) ‘সফলভাবে’ এই ইউনিটের কিছু সক্ষমতা ধ্বংস করেছে। তারপরও এই নৌ ইউনিটের অত্যাধুনিক সক্ষমতা এখনো রয়ে গেছে। হিজবুল্লাহর কাছে উপকূলে অভিযান ও জাহাজে আক্রমণ করার মতো অস্ত্র আছে। এ ছাড়া, হিজবুল্লাহর কাছে আরও উন্নত ক্ষেপণাস্ত্র ও রাডার আছে। 
 
ইসরায়েলি নৌবাহিনীর কর্মকর্তাদের অনুমান, লেবাননের জলসীমার কাছে আইডিএফ সতর্ক অবস্থানে থাকার কারণে হিজবুল্লাহ নৌপথে আক্রমণ করে ইসরায়েলকে চমকে দেবে এমন সম্ভাবনা কম। এর আগে, ২০০৬ সালে হিজবুল্লাহ-ইসরায়েল যুদ্ধের সময় হিজবুল্লাহ সি-৮০২ ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে ইসরায়েলি নৌবাহিনীর জাহাজ আইএনএস হানিতে আঘাত করেছিল। তারপর থেকে হিজবুল্লাহ ক্রমেই তাদের নৌশক্তি উন্নত করেছে। 

আইডিএফের অনুমান, ইরান বর্তমান যুদ্ধের আগে ও এখনো যুদ্ধ চলাকালে হিজবুল্লাহর কাছে বিভিন্ন ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহ করেছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন ইসরায়েলি কর্মকর্তা বলেছেন, ‘হুতিরা এমন এক ধরনের নৌ ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করেছে, যা অনেক পশ্চিমা গোয়েন্দা সংস্থাকে অবাক করেছে। এই ক্ষেপণাস্ত্রের নির্দিষ্ট লক্ষ্যে আঘাত হানার জন্য একটি ইলেকট্রো-অপটিক্যাল ক্ষমতা রয়েছে। এটি একটি বিপজ্জনক অস্ত্র। এটি ব্যাপক উচ্চতা থেকে তীক্ষ্ণ কোণে জাহাজের ওপর নেমে আসে। নেভাল আয়রন ডোম হয়তো এটি মোকাবিলা করতে পারবে, কিন্তু তার পরও এটি একটি নতুন চ্যালেঞ্জ।’ 

ওই বিশেষজ্ঞ আরও বলেন, ‘আমরা জানতাম যে, চীনাদের কাছেও একই রকম ক্ষেপণাস্ত্র আছে। কিন্তু ইরানিরা সেই ক্ষেপণাস্ত্রকে আরও উন্নত করেছে। পরে তা হুতিদের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এক বছর আগে বেশ কয়েকটি জাহাজ মিস করেছিল সেই ক্ষেপণাস্ত্র। এরপর সেই ক্ষেপণাস্ত্র ক্রমেই উন্নতি করতে শুরু করে। তাদের ক্ষেপণাস্ত্র একটি জাহাজে ৪০ ডিগ্রি কোণে আঘাত হেনেছে এমন প্রমাণও আছে। একটি ক্ষেপণাস্ত্র যত তীক্ষ্ণ কোণে নেমে আসে, তা আটকানো ততটাই কঠিন হয়ে ওঠে।’

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

টাঙ্গাইলে দুই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধান র‍্যাবের হাতে গ্রেপ্তার

পুলিশ ফাঁড়ি দখল করে অফিস বানিয়েছেন সন্ত্রাসী নুরু

ঢাকার রাস্তায় ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চালকদের বিক্ষোভ, জনদুর্ভোগ চরমে

শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ সুরক্ষায় নতুন উদ্যোগ

জাতিকে ফ্রি, ফেয়ার অ্যান্ড ক্রেডিবল নির্বাচন উপহার দিতে চাই: নতুন সিইসি

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত