হিজাব ইস্যু: ইরানে বিক্ষোভে নিহত অন্তত ৩১, দাবি মানবাধিকার সংগঠনের

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ : ২২ সেপ্টেম্বর ২০২২, ২১: ৩০
আপডেট : ২২ সেপ্টেম্বর ২০২২, ২২: ০১

ইরানে নৈতিকতা পুলিশের হেফাজতে তরুণী মাশা আমিনির (২২) মৃত্যুর প্রতিবাদে বিক্ষোভের ষষ্ঠ দিনেও উত্তাল ইরান। বিক্ষোভ নিয়ন্ত্রণে দেশজুড়ে ইন্টারনেট সেবা বন্ধ রেখেছে দেশটির সরকার। ক্রমবর্ধমান বিক্ষোভে এখনো পর্যন্ত অন্তত ৩১ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি করেছে ইরানের মানবাধিকার সংগঠন ইরান হিউম্যান রাইটস। বার্তা সংস্থা এএফপির এক প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা গেছে।

এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইরানের মানবাধিকার সংগঠন ইরান হিউম্যান রাইটসের (আইএইচআর) পরিচালক মোহাম্মদ আমিরি–মোগাদ্দাম স্থানীয় সময় আজ বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘ইরানের জনগণ তাদের মৌলিক অধিকার এবং মানবিক মর্যাদার দাবি আদায়ে রাস্তায় নেমে এসেছে এবং সরকার তাদের শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদের জবাব দিচ্ছে বুলেট দিয়ে।’

আইএইচআর জানিয়েছে, তাঁরা দেশের অন্তত ৩০টি শহর, একাধিক গ্রামীণ এলাকায় বিক্ষোভ–প্রতিবাদ ছড়িয়ে পড়েছে। একই সঙ্গে বিক্ষোভ দমনে সাধারণ মানুষের পাশাপাশি নাগরিক অধিকারকর্মীদের ব্যাপক হারে গ্রেপ্তার করছে।

আইএইচআর জানিয়েছে, ইরানের নৈতিকতা পুলিশের হেফাজতে মাশা আমিনির মৃত্যুর পর তাঁর জন্মস্থান কুর্দিস্তান থেকেই বিক্ষোভের সূত্রপাত হয়। কিন্তু এখন তা কেবল কুর্দিস্তানে সীমাবদ্ধ নেই, ছড়িয়ে পড়েছে সারা দেশে। প্রতিষ্ঠানটি আরও জানিয়েছে, নিহতদের মধ্যে গত বুধবার রাতেই ১১ জন মারা যান। দেশের উত্তরাঞ্চলের মাজান্দারান প্রদেশের আমল শহরে তাদের মৃত্যু হয়। একই দিনে একই প্রদেশের বাবল শহরে মারা যান আরও ৬ জন। 

মোহাম্মদ আমিরি–মোগাদ্দাম বলেন, ‘এই বিষয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের নিন্দা কিংবা উদ্বেগই যথেষ্ট নয়।’ 

এর আগে, নরওয়েভিত্তিক কুর্দি মানবাধিকার সংগঠন হেনাও অর্গানাইজেশন ফর হিউম্যান রাইটস এর আগে জানিয়েছিল, কুর্দিস্তানে অন্তত ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে গত বুধবার রাতেই মৃত্যু হয়েছে অন্তত ৮ জনের।

উল্লেখ্য, গত সপ্তাহে ইরানের নৈতিকতা পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হওয়ার পর তেহরানে মারা যাওয়া ২২ বছরের তরুণী মাশা আমিনির মৃত্যুর পরে দেশটিতে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। দেশটির কর্মকর্তারা জানিয়েছিলেন, গত সপ্তাহের মঙ্গলবার গ্রেপ্তার হওয়ার পর মাশা আমিনি ‘হৃদ্রোগে’ আক্রান্ত হয়ে কোমায় চলে যান এবং পরে গত শুক্রবার মারা যান। তবে মাশা আমিনির পরিবার বলেছে, তাঁর আগে থেকে হৃদ্রোগ ছিল না।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত