ইরানের ইসরায়েলবিরোধী গোয়েন্দা ইউনিটের প্রধানই মোসাদ এজেন্ট: আহমাদিনেজাদ 

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ : ০২ অক্টোবর ২০২৪, ১২: ১২
আপডেট : ০২ অক্টোবর ২০২৪, ১২: ৩৩

ইরানের গোয়েন্দা সংস্থার যে ইউনিট ইসরায়েলবিরোধী কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে, তার প্রধানই মোসাদের এজেন্ট—এমনটাই দাবি করেছেন ইরানের সাবেক প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আহমাদিনেজাদ। মার্কিন সম্প্রচারমাধ্যম সিএনএনের তুর্কি ভাষার ইউনিটকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি এই দাবি করেন

লন্ডন থেকে প্রকাশিত মিডল ইস্ট মনিটরের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইরানের কাউন্টার ইন্টেলিজেন্সের যে ইউনিট গোপন ইসরায়েলি এজেন্ট শনাক্ত করে, সেই ইউনিটের প্রধান নিজেই একজন মোসাদ অপারেটিভ ছিলেন। 

সিএনএন তুর্ককে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ইরানের সাবেক প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আহমাদিনেজাদ জানান, ইরানের গোয়েন্দা সংস্থার যে ইউনিট মোসাদ এজেন্টদের শনাক্ত করার জন্য বিশেষভাবে নিযুক্ত ছিল, সেই ইউনিটের প্রধান ২০২১ সালেই নিজেকে ডাবল এজেন্ট হিসেবে প্রকাশ করেছিলেন। তিনি সব মিলিয়ে আরও ২০ জন মোসাদ এজেন্ট পরিচালনা করতেন। 

আহমাদিনেজাদের মতে, এই ডাবল এজেন্টরা কয়েক বছর ধরে ইরানের পক্ষ থেকে গোয়েন্দা তথ্য ফাঁস করেছে এবং ইরানের সামরিক ও গোয়েন্দা সংস্থার ধারাবাহিক ব্যর্থতার কারণ ছিল। এসব এজেন্ট ইসরায়েলকে ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচির মতো বিষয়গুলোর সংবেদনশীল তথ্য সরবরাহ করেছিল। 

ইরানের সাবেক এই প্রেসিডেন্ট জানান, এ ধরনের একটি অপারেশনের আওতায় ২০১৮ সালে ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচির নথি চুরি করে ইসরায়েলে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। পরে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু গণমাধ্যমে প্রকাশও করেছিলেন এবং এর ওপর ভিত্তি করেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইরানের সঙ্গে থাকা পারমাণবিক চুক্তি থেকে বেরিয়ে আসেন। এসব অভিযুক্ত মোসাদ এজেন্ট তাদের অপারেশন শেষ করে বর্তমানে ইসরায়েলে বসবাস করছে। 

আহমাদিনেজাদের এই অভিযোগ এমন এক সময়ে এল, যার কয়েক ঘণ্টা পরই ইরান ইসরায়েলে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে। তবে তার আগে মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে ইরানের প্রক্সি গোষ্ঠীগুলো ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে ইসরায়েলি হামলার কারণে। 

কিছুদিন আগে ইরানের রাজধানী তেহরানে ইরানে প্রক্সি গোষ্ঠী, ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের শীর্ষ নেতা ইসমাইল হানিয়া গুপ্তহত্যার শিকার হন। তার আগে, সিরিয়ায় ইরানের কনস্যুলেটে হামলা চালিয়ে দুই শীর্ষ ইরানি কমান্ডারকে হত্যা করে ইসরায়েল। সর্বশেষ, ইসরায়েল বৈরুতে হামলা চালিয়ে আরেক প্রক্সি গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর শীর্ষ নেতা হাসান নাসরুল্লাহকে হত্যা করে। এসব হত্যাকাণ্ড মূলত ইরানসহ এর প্রক্সি গোষ্ঠীগুলোর অভ্যন্তরে ইসরায়েলের অনুপ্রবেশের বিষয়টির পক্ষেই ইঙ্গিত দেয়।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত