অনলাইন ডেস্ক
আগামী ছয় মাসের মধ্যে অর্থাৎ ২০২৫ সালের মার্চ মাসের শেষ নাগাদ কমপক্ষে ২০ লাখ অনথিভুক্ত অভিবাসীকে দেশ থেকে বের করে দেওয়ার প্রচেষ্টা জোরদার করেছে ইরান। দেশটির আইনপ্রয়োগকারী বাহিনীর কমান্ডার আহমদ রেজা রাদান এই পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন।
গত শনিবার ইরানের সরকারি নিউজ ওয়েবসাইট আইআরএনএয়ের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে রাদান বলেছেন, ‘আমাদের লক্ষ্য হলো, অন্তত ২০ লাখ অবৈধ বিদেশি নাগরিককে তাদের দেশে ফেরত পাঠানো কিংবা দেশ থেকে বের করে দেওয়া।’
অবৈধ অভিবাসী কারা এবং তাদের জাতীয়তা কী—এই বিষয়ে রাদান তাঁর বক্তব্যে সুনির্দিষ্ট করে কিছু না বললেও ‘বিদেশি’ শব্দটি দিয়ে ইরানি গণমাধ্যম এবং কর্তৃপক্ষ প্রায় সময়ই আফগান নাগরিকদের বর্ণনা করে। জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা ইউএনএইচসিআরের তথ্য অনুযায়ী, আনুমানিক ৪৫ লাখ আফগান নাগরিক বর্তমানে ইরানে বসবাস করছে। তবে ইরানি গণমাধ্যমগুলো অনুমান করে, দেশটিতে বর্তমানে ১ কোটি আফগান বসবাস করছে, যা ইরানের মোট জনসংখ্যার ১০ শতাংশেরও বেশি।
রাদানের বক্তব্যের বরাত দিয়ে সোমবার ইরান ইন্টারন্যাশনাল জানিয়েছে, পাঁচ লাখের অভিবাসীকে ইতিমধ্যেই গ্রেপ্তার করেছে ইরানের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এবং আড়াই লাখের বেশি অভিবাসী স্বেচ্ছায় আত্মসমর্পণ করেছে। সব মিলিয়ে দেশটি থেকে এখন পর্যন্ত সাড়ে সাত লাখের বেশি অভিবাসীকে নির্বাসিত করা হয়েছে।
রাদান বলেছেন, ‘আমরা কিছু মানুষকে অবৈধভাবে দেশে প্রবেশ, বসবাস ও কাজ করার অনুমতি দিতে পারি না। দেশের নাগরিক এবং ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের মালিকদের জানা উচিত, এ মানুষদের নিয়োগ করা এবং অবৈধ বিদেশি নাগরিকদের বাসস্থানের ব্যবস্থা করা একটি অপরাধ।’
সাম্প্রতিক সময়ে ইরান একটি বৃহত্তর ক্র্যাকডাউনের অংশ হিসেবে অভিবাসীদের বসবাসের ওপর কঠোর নিয়মকানুন চালু করেছে।
ইরানে আফগানদের অনুপ্রবেশ নতুন ঘটনা নয়। গত এক দশকে দেশটিতে প্রায় ২৫ লাখ মানুষ অনুপ্রবেশ করেছে। বিশেষ করে তালেবান বাহিনী আফগানিস্তানের ক্ষমতা দখল করার পর অনুপ্রবেশকারীদের সংখ্যা বেড়েছে এবং সীমান্ত পাড়ি দিয়ে লাখ লাখ আফগান ইরানে ঢুকে পড়েছে। এ ধরনের পরিস্থিতি সৃষ্টির জন্য ইরানের অসংখ্য মানুষ দেশটির ইসলামিক সরকারকে সীমান্ত বন্ধ না করার জন্য দোষারোপ করছে। অনেকেই সন্দেহ করেন, মধ্যপ্রাচ্যের যুদ্ধে আফগানদের সম্মুখ যুদ্ধে ব্যবহার করার জন্য ইরানের সরকার এমনটি করছে।
গত আগস্টে ইরানের পার্লামেন্টের প্রেসিডিয়াম সদস্য মোহাম্মদ রশিদি দেশটিতে বিদেশি নাগরিকদের প্রবেশ ও বাসস্থান নিয়ন্ত্রণকারী আইন সংশোধন করার জন্য একটি বিল উত্থাপন করেন। এই বিলের লক্ষ্য ছিল—বার্ষিক ১০ শতাংশ হারে বিদেশি নাগরিকদের হ্রাস করা।
গত রোববার পার্লামেন্টের অভ্যন্তরীণ বিষয়ক কমিশনের মুখপাত্র ভ্যালিওল্লাহ বায়াতি জানিয়েছেন, প্রস্তাবিত পরিকল্পনার অধীনে ইরানে বিদেশি নাগরিকদের জন্য স্থায়ীভাবে বসবাসের ব্যবস্থা আর থাকবে না। এ ক্ষেত্রে শুধু এক বছর বা তিন বছর মেয়াদে অস্থায়ীভাবে বসবাসের অনুমতি দেওয়া হবে। কিছু ক্ষেত্রে এই অনুমতি সাত বছর পর্যন্ত হতে পারে।
গত বছর ১৩ লাখ আফগানকে ইরান থেকে বিতাড়িত করা হয়েছিল। এদের মধ্যে ২০ হাজারের বেশি শিশু ছিল এবং অনেকেরই কোনো সঙ্গী ছিল না।
আগামী ছয় মাসের মধ্যে অর্থাৎ ২০২৫ সালের মার্চ মাসের শেষ নাগাদ কমপক্ষে ২০ লাখ অনথিভুক্ত অভিবাসীকে দেশ থেকে বের করে দেওয়ার প্রচেষ্টা জোরদার করেছে ইরান। দেশটির আইনপ্রয়োগকারী বাহিনীর কমান্ডার আহমদ রেজা রাদান এই পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন।
গত শনিবার ইরানের সরকারি নিউজ ওয়েবসাইট আইআরএনএয়ের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে রাদান বলেছেন, ‘আমাদের লক্ষ্য হলো, অন্তত ২০ লাখ অবৈধ বিদেশি নাগরিককে তাদের দেশে ফেরত পাঠানো কিংবা দেশ থেকে বের করে দেওয়া।’
অবৈধ অভিবাসী কারা এবং তাদের জাতীয়তা কী—এই বিষয়ে রাদান তাঁর বক্তব্যে সুনির্দিষ্ট করে কিছু না বললেও ‘বিদেশি’ শব্দটি দিয়ে ইরানি গণমাধ্যম এবং কর্তৃপক্ষ প্রায় সময়ই আফগান নাগরিকদের বর্ণনা করে। জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা ইউএনএইচসিআরের তথ্য অনুযায়ী, আনুমানিক ৪৫ লাখ আফগান নাগরিক বর্তমানে ইরানে বসবাস করছে। তবে ইরানি গণমাধ্যমগুলো অনুমান করে, দেশটিতে বর্তমানে ১ কোটি আফগান বসবাস করছে, যা ইরানের মোট জনসংখ্যার ১০ শতাংশেরও বেশি।
রাদানের বক্তব্যের বরাত দিয়ে সোমবার ইরান ইন্টারন্যাশনাল জানিয়েছে, পাঁচ লাখের অভিবাসীকে ইতিমধ্যেই গ্রেপ্তার করেছে ইরানের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এবং আড়াই লাখের বেশি অভিবাসী স্বেচ্ছায় আত্মসমর্পণ করেছে। সব মিলিয়ে দেশটি থেকে এখন পর্যন্ত সাড়ে সাত লাখের বেশি অভিবাসীকে নির্বাসিত করা হয়েছে।
রাদান বলেছেন, ‘আমরা কিছু মানুষকে অবৈধভাবে দেশে প্রবেশ, বসবাস ও কাজ করার অনুমতি দিতে পারি না। দেশের নাগরিক এবং ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের মালিকদের জানা উচিত, এ মানুষদের নিয়োগ করা এবং অবৈধ বিদেশি নাগরিকদের বাসস্থানের ব্যবস্থা করা একটি অপরাধ।’
সাম্প্রতিক সময়ে ইরান একটি বৃহত্তর ক্র্যাকডাউনের অংশ হিসেবে অভিবাসীদের বসবাসের ওপর কঠোর নিয়মকানুন চালু করেছে।
ইরানে আফগানদের অনুপ্রবেশ নতুন ঘটনা নয়। গত এক দশকে দেশটিতে প্রায় ২৫ লাখ মানুষ অনুপ্রবেশ করেছে। বিশেষ করে তালেবান বাহিনী আফগানিস্তানের ক্ষমতা দখল করার পর অনুপ্রবেশকারীদের সংখ্যা বেড়েছে এবং সীমান্ত পাড়ি দিয়ে লাখ লাখ আফগান ইরানে ঢুকে পড়েছে। এ ধরনের পরিস্থিতি সৃষ্টির জন্য ইরানের অসংখ্য মানুষ দেশটির ইসলামিক সরকারকে সীমান্ত বন্ধ না করার জন্য দোষারোপ করছে। অনেকেই সন্দেহ করেন, মধ্যপ্রাচ্যের যুদ্ধে আফগানদের সম্মুখ যুদ্ধে ব্যবহার করার জন্য ইরানের সরকার এমনটি করছে।
গত আগস্টে ইরানের পার্লামেন্টের প্রেসিডিয়াম সদস্য মোহাম্মদ রশিদি দেশটিতে বিদেশি নাগরিকদের প্রবেশ ও বাসস্থান নিয়ন্ত্রণকারী আইন সংশোধন করার জন্য একটি বিল উত্থাপন করেন। এই বিলের লক্ষ্য ছিল—বার্ষিক ১০ শতাংশ হারে বিদেশি নাগরিকদের হ্রাস করা।
গত রোববার পার্লামেন্টের অভ্যন্তরীণ বিষয়ক কমিশনের মুখপাত্র ভ্যালিওল্লাহ বায়াতি জানিয়েছেন, প্রস্তাবিত পরিকল্পনার অধীনে ইরানে বিদেশি নাগরিকদের জন্য স্থায়ীভাবে বসবাসের ব্যবস্থা আর থাকবে না। এ ক্ষেত্রে শুধু এক বছর বা তিন বছর মেয়াদে অস্থায়ীভাবে বসবাসের অনুমতি দেওয়া হবে। কিছু ক্ষেত্রে এই অনুমতি সাত বছর পর্যন্ত হতে পারে।
গত বছর ১৩ লাখ আফগানকে ইরান থেকে বিতাড়িত করা হয়েছিল। এদের মধ্যে ২০ হাজারের বেশি শিশু ছিল এবং অনেকেরই কোনো সঙ্গী ছিল না।
ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড গাজা কেন্দ্রিক স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাসের শীর্ষ নেতারা কাতার ত্যাগ করেছেন। তবে দেশটির রাজধানী দোহায় অবস্থিত হামাসের রাজনৈতিক কার্যালয় এখনো বন্ধ হয়নি। গোষ্ঠীটির শীর্ষ নেতারা কাতার ত্যাগ করে তুরস্কে গিয়েছেন এমন গুঞ্জন শোনা গেলেও বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তাই, এই অবস্থায় প্রশ্ন উঠে
৫ মিনিট আগেপ্রায় এক ট্রিলিয়ন ডলারের সার্বভৌম সম্পদ তহবিল সৌদি আরবের পাবলিক ইনভেস্টমেন্ট ফান্ড (পিআইএফ)। যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের (এমবিএস) সরাসরি নিয়ন্ত্রণে পরিচালিত এই তহবিলের বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলেছে মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস ওয়াচ (এইচআরডব্লিউ)।
৩৬ মিনিট আগেইপসোসের সমীক্ষায় ভারতে ডাক্তার, সেনাবাহিনীর সদস্য এবং শিক্ষক সবচেয়ে বিশ্বস্ত পেশাজীবী হিসেবে বিবেচিত। বিপরীতে, রাজনীতিবিদ, মন্ত্রী ও পুরোহিতরা আস্থার তালিকার তলানিতে।
১ ঘণ্টা আগেদেয়ালে স্কচটেপ দিয়ে আটকানো একটি সাধারণ কলা হলেও এটি আসলে একটি শিল্পকর্ম। ইতালিয়ান শিল্পী মরিজিও ক্যাটালান এই শিল্পের স্রষ্টা। ধারণা করা হয়েছিল, চলতি সপ্তাহেই সথোবির নিলামে এই কলাটি বাংলাদেশি মুদ্রায় মান অনুযায়ী প্রায় ১২ কোটি টাকায় বিক্রি হতে পারে। তবে শেষ পর্যন্ত এটি প্রত্যাশার চেয়ে ছয় গুণেরও বেশি
১ ঘণ্টা আগে