অনলাইন ডেস্ক
পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) প্রতিষ্ঠাতা ইমরান খান এবার মহাসমাবেশের ডাক দিয়েছেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে শেয়ার করা এক পোস্টে তিনি এই ডাক দেন। তাঁর ঘোষণা অনুসারে, আগামী ১৩ ডিসেম্বর পেশোয়ারে এই মহাসমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম দ্য ডনের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই সমাবেশের উদ্দেশ্য গত নভেম্বরের শেষ দিকে ইসলামাবাদে পিটিআইয়ের ডাকা ‘চূড়ান্ত ডাকে’ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর গুলিতে নিহত ও আহত সমর্থকদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করা। গত নভেম্বরের শেষের দিকে পাকিস্তানে পিটিআইয়ে সেই ‘ফাইনাল কল বা চূড়ান্ত ডাক’ আন্দোলনের পর থেকে দেশটির রাজনৈতিক পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠেছে।
ইমরান খান তাঁর পোস্টে লিখেন, ‘দেশে একনায়কত্ব প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের ফলস্বরূপ নিরপরাধ রাজনৈতিক কর্মীদের গুলি করা হয়েছে এবং শান্তিপূর্ণ রাজনৈতিক কর্মীরা শহীদ হয়েছেন। আমাদের শত শত কর্মী নিখোঁজ রয়েছে। এখন সুপ্রিম কোর্টকে এই বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে হবে এবং তার সাংবিধানিক ভূমিকা পালন করতে হবে। আমরা মানবাধিকার লঙ্ঘনের গুরুতর অভিযোগে সুপ্রিম কোর্ট, লাহোর হাইকোর্ট এবং ইসলামাবাদ হাইকোর্টে আবেদন জানিয়েছিলাম, কিন্তু আদালতের তরফ থেকে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি এবং দেশের অবস্থা এই পর্যায়ে পৌঁছেছে!’
মহাসমাবেশের ডাক দিয়ে ইমরান খান লিখেন, ‘আমরা ১৩ ডিসেম্বর পেশোয়ারে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করার জন্য একটি মহাসমাবেশ আয়োজন করব—এতে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোকে আমন্ত্রণ জানানো হবে।’
তিনি আরও লিখেন, ‘আমি দুটি বিষয়ের ওপর একটি পাঁচ সদস্যের আলোচনা কমিটি গঠন করছি—১. বিচারাধীন রাজনৈতিক বন্দীদের মুক্তি ও ২.৯ মে এবং ২৬ নভেম্বরের ঘটনা তদন্তের জন্য একটি স্বচ্ছ তদন্ত কমিশন প্রতিষ্ঠা। আমাদের আলোচনা কমিটিতে থাকবেন—উমর আইয়ুব খান, আলী আমিন গান্দাপুর, সাহিবজাদা হামিদ রাজা, সালমান আকরাম রাজা এবং আসাদ কায়সার এবং তাঁরা সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোর সঙ্গে আলোচনা করবেন।’
ইমরান খান এ সময় কঠোর আন্দোলনের হুমকি দিয়ে আরও লিখেন, ‘যদি এই দুটি দাবি মেনে নেওয়া না হয়, তবে ১৪ ডিসেম্বর থেকে একটি অসহযোগ আন্দোলন শুরু হবে। এই আন্দোলনের ফলস্বরূপ সরকারই দায়ী থাকবে। অসহযোগ আন্দোলনের অংশ হিসেবে, আমরা দেশের বাইরে বসবাসকারী পাকিস্তানিদের কাছে রেমিট্যান্স সীমিত করার এবং একটি বয়কট আন্দোলন চালানোর আহ্বান জানাব। এই আন্দোলনের দ্বিতীয় পর্যায়ে, আমরা আরও কঠোর পদক্ষেপ নেব!!’
ইমরান খান পিটিআই কর্মীদের হত্যাকে ‘রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস’ হিসেবে অভিহিত করেছেন। গত ২৪ নভেম্বরের আন্দোলনের সময় ইসলামাবাদে নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে ১২ জন পিটিআই সমর্থক নিহত হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন তিনি। তবে, পাকিস্তান সরকার বারবার এই অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছে যে, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ‘তাজা গোলাবারুদ’ ছাড়াই মোতায়েন করা হয়েছিল এবং গুলির ঘটনা নির্ধারিত নিরাপত্তা বিধির আওতায় ঘটেনি।
ইমরান খান আরও দাবি করেছেন, এই হত্যাকাণ্ডগুলোর পর শত শত পিটিআই কর্মী নিখোঁজ রয়েছেন এবং এর বিরুদ্ধে পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্ট, লাহোর হাইকোর্ট ও ইসলামাবাদ হাইকোর্টে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ নিয়ে আবেদন করা হয়েছে। তবে, আদালতগুলো তেমন কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি বলে অভিযোগ করেছেন তিনি। তার মতে, এসব কারণে পাকিস্তানে পরিস্থিতি এখন একাধিক রাজনৈতিক সংকটে পরিণত হয়েছে।
ইমরান খানের এই উদ্যোগের পেছনে পাকিস্তানের রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং পিটিআই-এর প্রতি জনগণের সমর্থনের প্রশ্ন রয়েছে। গত কয়েক মাসে, পিটিআই বিভিন্ন কর্মসূচি এবং বিক্ষোভের মাধ্যমে সরকার বিরোধী অবস্থান নিয়েছে, যার মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য ছিল ২৪ নভেম্বরের ‘ফাইনাল কল’ আন্দোলন। এই আন্দোলনটি ইসলামাবাদে একাধিক সহিংস ঘটনায় পরিণত হয়, যেখানে পিটিআই দাবি করেছে যে, পুলিশের গুলিতে তাদের বেশ কয়েকজন কর্মী নিহত হয়েছেন। পাকিস্তান সরকার এই দাবি অস্বীকার করে বলেছে, তারা জনবিরোধী ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি এবং নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা আইন অনুযায়ী তাদের দায়িত্ব পালন করেছে।
পিটিআইয়ের এই আন্দোলন এবং তাদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে পাকিস্তানের রাজনীতি এখন আরও উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। ইমরান খান এবং তার দলের জন্য একটি কঠিন রাজনৈতিক লড়াইয়ের সূচনা হতে পারে, যা আগামীদিনে দেশটির রাজনৈতিক ভবিষ্যৎকে প্রভাবিত করবে। অন্যদিকে, পাকিস্তান সরকারও কঠোর অবস্থান গ্রহণ করছে, যা রাজনৈতিক অস্থিরতার সৃষ্টি করতে পারে।
পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) প্রতিষ্ঠাতা ইমরান খান এবার মহাসমাবেশের ডাক দিয়েছেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে শেয়ার করা এক পোস্টে তিনি এই ডাক দেন। তাঁর ঘোষণা অনুসারে, আগামী ১৩ ডিসেম্বর পেশোয়ারে এই মহাসমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম দ্য ডনের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই সমাবেশের উদ্দেশ্য গত নভেম্বরের শেষ দিকে ইসলামাবাদে পিটিআইয়ের ডাকা ‘চূড়ান্ত ডাকে’ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর গুলিতে নিহত ও আহত সমর্থকদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করা। গত নভেম্বরের শেষের দিকে পাকিস্তানে পিটিআইয়ে সেই ‘ফাইনাল কল বা চূড়ান্ত ডাক’ আন্দোলনের পর থেকে দেশটির রাজনৈতিক পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠেছে।
ইমরান খান তাঁর পোস্টে লিখেন, ‘দেশে একনায়কত্ব প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের ফলস্বরূপ নিরপরাধ রাজনৈতিক কর্মীদের গুলি করা হয়েছে এবং শান্তিপূর্ণ রাজনৈতিক কর্মীরা শহীদ হয়েছেন। আমাদের শত শত কর্মী নিখোঁজ রয়েছে। এখন সুপ্রিম কোর্টকে এই বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে হবে এবং তার সাংবিধানিক ভূমিকা পালন করতে হবে। আমরা মানবাধিকার লঙ্ঘনের গুরুতর অভিযোগে সুপ্রিম কোর্ট, লাহোর হাইকোর্ট এবং ইসলামাবাদ হাইকোর্টে আবেদন জানিয়েছিলাম, কিন্তু আদালতের তরফ থেকে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি এবং দেশের অবস্থা এই পর্যায়ে পৌঁছেছে!’
মহাসমাবেশের ডাক দিয়ে ইমরান খান লিখেন, ‘আমরা ১৩ ডিসেম্বর পেশোয়ারে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করার জন্য একটি মহাসমাবেশ আয়োজন করব—এতে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোকে আমন্ত্রণ জানানো হবে।’
তিনি আরও লিখেন, ‘আমি দুটি বিষয়ের ওপর একটি পাঁচ সদস্যের আলোচনা কমিটি গঠন করছি—১. বিচারাধীন রাজনৈতিক বন্দীদের মুক্তি ও ২.৯ মে এবং ২৬ নভেম্বরের ঘটনা তদন্তের জন্য একটি স্বচ্ছ তদন্ত কমিশন প্রতিষ্ঠা। আমাদের আলোচনা কমিটিতে থাকবেন—উমর আইয়ুব খান, আলী আমিন গান্দাপুর, সাহিবজাদা হামিদ রাজা, সালমান আকরাম রাজা এবং আসাদ কায়সার এবং তাঁরা সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোর সঙ্গে আলোচনা করবেন।’
ইমরান খান এ সময় কঠোর আন্দোলনের হুমকি দিয়ে আরও লিখেন, ‘যদি এই দুটি দাবি মেনে নেওয়া না হয়, তবে ১৪ ডিসেম্বর থেকে একটি অসহযোগ আন্দোলন শুরু হবে। এই আন্দোলনের ফলস্বরূপ সরকারই দায়ী থাকবে। অসহযোগ আন্দোলনের অংশ হিসেবে, আমরা দেশের বাইরে বসবাসকারী পাকিস্তানিদের কাছে রেমিট্যান্স সীমিত করার এবং একটি বয়কট আন্দোলন চালানোর আহ্বান জানাব। এই আন্দোলনের দ্বিতীয় পর্যায়ে, আমরা আরও কঠোর পদক্ষেপ নেব!!’
ইমরান খান পিটিআই কর্মীদের হত্যাকে ‘রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস’ হিসেবে অভিহিত করেছেন। গত ২৪ নভেম্বরের আন্দোলনের সময় ইসলামাবাদে নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে ১২ জন পিটিআই সমর্থক নিহত হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন তিনি। তবে, পাকিস্তান সরকার বারবার এই অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছে যে, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ‘তাজা গোলাবারুদ’ ছাড়াই মোতায়েন করা হয়েছিল এবং গুলির ঘটনা নির্ধারিত নিরাপত্তা বিধির আওতায় ঘটেনি।
ইমরান খান আরও দাবি করেছেন, এই হত্যাকাণ্ডগুলোর পর শত শত পিটিআই কর্মী নিখোঁজ রয়েছেন এবং এর বিরুদ্ধে পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্ট, লাহোর হাইকোর্ট ও ইসলামাবাদ হাইকোর্টে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ নিয়ে আবেদন করা হয়েছে। তবে, আদালতগুলো তেমন কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি বলে অভিযোগ করেছেন তিনি। তার মতে, এসব কারণে পাকিস্তানে পরিস্থিতি এখন একাধিক রাজনৈতিক সংকটে পরিণত হয়েছে।
ইমরান খানের এই উদ্যোগের পেছনে পাকিস্তানের রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং পিটিআই-এর প্রতি জনগণের সমর্থনের প্রশ্ন রয়েছে। গত কয়েক মাসে, পিটিআই বিভিন্ন কর্মসূচি এবং বিক্ষোভের মাধ্যমে সরকার বিরোধী অবস্থান নিয়েছে, যার মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য ছিল ২৪ নভেম্বরের ‘ফাইনাল কল’ আন্দোলন। এই আন্দোলনটি ইসলামাবাদে একাধিক সহিংস ঘটনায় পরিণত হয়, যেখানে পিটিআই দাবি করেছে যে, পুলিশের গুলিতে তাদের বেশ কয়েকজন কর্মী নিহত হয়েছেন। পাকিস্তান সরকার এই দাবি অস্বীকার করে বলেছে, তারা জনবিরোধী ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি এবং নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা আইন অনুযায়ী তাদের দায়িত্ব পালন করেছে।
পিটিআইয়ের এই আন্দোলন এবং তাদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে পাকিস্তানের রাজনীতি এখন আরও উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। ইমরান খান এবং তার দলের জন্য একটি কঠিন রাজনৈতিক লড়াইয়ের সূচনা হতে পারে, যা আগামীদিনে দেশটির রাজনৈতিক ভবিষ্যৎকে প্রভাবিত করবে। অন্যদিকে, পাকিস্তান সরকারও কঠোর অবস্থান গ্রহণ করছে, যা রাজনৈতিক অস্থিরতার সৃষ্টি করতে পারে।
থাইল্যান্ডের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ঘোষণা করেছে, ২০২৫ সালের ১ জানুয়ারি থেকে তারা নতুন ই-ভিসা সিস্টেমে যাচ্ছে। ৯৪টি রয়্যাল থাই দূতাবাস ও কনস্যুলেট জেনারেল অফিস একসঙ্গে এই সেবা দেবে।
১৮ মিনিট আগেমার্কিন কংগ্রেস শুক্রবার মধ্যরাতে শাটডাউন ঠেকাতে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিল পাস করেছে। দীর্ঘ আলোচনার পর পাস হওয়া এই বিলটি ফেডারেল সংস্থাগুলোর অর্থায়ন আগামী বছরের মার্চ মাস পর্যন্ত নিশ্চিত করেছে। মধ্যরাতের সময়সীমা পেরিয়ে যাওয়ার কয়েক মিনিটের মধ্যেই সিনেটররা প্রথাগত নিয়ম এড়িয়ে দ্রুত ভোট দেন।
২ ঘণ্টা আগে‘অবৈধ বাংলাদেশি’দের জন্য ভারতে ডিটেনশন সেন্টার বা বন্দিশালা তৈরির ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। দেশটির পশ্চিমাঞ্চলীয় রাজ্য মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিস এই ঘোষণা দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, অবৈধ বাংলাদেশিদের জন্য মুম্বাইয়ে ভালো ডিটেনশন সেন্টার তৈরি করা হবে।
৩ ঘণ্টা আগেভারতীয় পুলিশের হাতে আটক আনসার-আল-ইসলাম বাংলাদেশের আট সন্দেহভাজন সদস্য ‘চিকেন নেক’ বা সিলিগুরি করিডরে হামলার পরিকল্পনা করেছিল বলে জানিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের একজন শীর্ষ কর্মকর্তা। পশ্চিমবঙ্গের সঙ্গে উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় সাত রাজ্য বা সেভেন সিস্টার্সের সংযোগকারী একমাত্র অংশ এই সিলিগুড়ি করিডর।
৩ ঘণ্টা আগে