ফের মানুষের ঢল মার্কিন সীমান্তে, চ্যালেঞ্জের মুখে বাইডেন

আজকের পত্রিকা ডেস্ক
আপডেট : ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৯: ৫৭
Thumbnail image

ক্যালিফোর্নিয়া ও টেক্সাসের সীমান্ত এলাকা দিয়ে সম্প্রতি সহস্রাধিক অভিবাসনপ্রত্যাশী যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করেছে। রেকর্ডসংখ্যক অভিবাসনপ্রবাহের ফলে এখনো অনেকে বাস ও কার্গো ট্রেনে চেপে প্রতিবেশী দেশ মেক্সিকোর সীমান্ত শহরে ভিড় করছেন। সান দিয়েগো, ক্যালিফোর্নিয়া এবং টেক্সাসের শহর এল পাসো ও ইগল পাসে এই প্রবণতা বেশি। ধারণা করা হচ্ছে, নির্বাচন মৌসুমে অভিবাসনপ্রত্যাশীদের এমন ঢল প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে নতুন করে চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি করবে।

গতকাল শুক্রবার বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অবৈধভাবে সীমান্ত পাড়ি দেওয়া বন্ধে গত মে মাসে নতুন নীতি গ্রহণ করে বাইডেন প্রশাসন। মানব ঢল নিয়ন্ত্রণে বাইডেন প্রশাসন অভিবাসনপ্রত্যাশীদের বাছাই ও পুনরায় প্রবেশে পাঁচ বছরের নিষেধাজ্ঞা দেয়। এমন কঠোর অবস্থানের ফলে এক মাসের মধ্যেই সীমান্ত পাড়ি দেওয়ার পরিমাণ ৭০ শতাংশ কমে যায়। কিন্তু সম্প্রতি সীমান্তে আবারও মানুষের ভিড় বেড়েছে। তাঁদের অনেকে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মেক্সিকোর ভেতর দিয়ে কার্গো ট্রেনে করে আসছেন। 

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অনুপ্রবেশকারীদের আটক ও একটি প্রক্রিয়ার মধ্যে নিয়ে আসার মতো সক্ষমতা যুক্তরাষ্ট্রের নেই। ফলে গত মে মাসে বাইডেন প্রশাসন যে কঠোর নীতি ঘোষণা করেছিল, তা বাস্তবায়ন করা অসম্ভব হয়ে পড়েছে। এর ফলে অবৈধভাবে প্রবেশের পরও কিছু আশ্রয়প্রার্থীকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। তাঁদের ভাগ্য এখন আদালতের সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করছে।

অভিবাসন নীতিবিষয়ক একটি প্রতিষ্ঠানের প্রধান অ্যান্ড্রু শেলের মতে, ‘বাইডেন প্রশাসন একটি উপযুক্ত কৌশল নিয়েছে। কিন্তু তাদের এটি বাস্তবায়নের মতো জনবল ও সক্ষমতা নেই।’

রয়টার্সের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে জানতে চাইলে যুক্তরাষ্ট্রের কাস্টমস অ্যান্ড বর্ডার প্রোটেকশন (সিবিপি) বলেছে, তারা নিরাপদ ও দক্ষতার সঙ্গে অভিবাসনপ্রত্যাশীদের একটি প্রক্রিয়ায় আনার কাজ বাস্তবায়ন করছে।

মূলত দারিদ্র্যের কারণে বিভিন্ন দেশের নাগরিকেরা যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমাতে চান।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত