অনলাইন ডেস্ক
ডোনাল্ড ট্রাম্পের উপদেষ্টারা প্রকাশ্যে ও গোপনে ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে এমন প্রস্তাব দিচ্ছেন, যেখানে আগামী দিনগুলোতে দেশটির বড় অংশ রাশিয়াকে ছেড়ে দেওয়ার কথা বলা হচ্ছে। রয়টার্সের বিশ্লেষণ ও ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ ব্যক্তিদের সঙ্গে সাক্ষাৎকারের ভিত্তিতে এ তথ্য জানা গেছে। তবে, যুদ্ধ বন্ধে ইউক্রেনকে ভূখণ্ড ছাড়তে বাধ্য করা হলেও দেশটি সামরিক জোট ন্যাটোতে যুক্ত হতে পারবে—এমন কোনো সম্ভাবনা দেখা যায়নি।
ট্রাম্প মনোনীত রাশিয়া-ইউক্রেন বিষয়ক বিশেষ দূত সাবেক লেফটেন্যান্ট জেনারেল কিথ কেলোগ ও ট্রাম্পের তিন শীর্ষ উপদেষ্টার দেওয়া ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের প্রস্তাবগুলোতে বেশ মিল আছে। এর মধ্যে অন্যতম হলো—ইউক্রেনকে ন্যাটো সদস্য হতে না দেওয়া। ট্রাম্পের উপদেষ্টারা মস্কো-কিয়েভকে আলোচনায় বাধ্য করতে ‘ক্যারট অ্যান্ড স্টিক’ বা গাধার সামনে মুলা ঝোলানোর—নীতি অনুসরণ করতে চান। এর মধ্যে—কিয়েভ যদি আলোচনায় বসতে সম্মত না হয় তাহলে সহায়তা বন্ধ করা এবং রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন আলোচনায় না এলে কিয়েভে সহায়তা বাড়ানো।
ট্রাম্প তাঁর নির্বাচনী প্রচারণার সময় বারবার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, ২০ জানুয়ারি দায়িত্ব গ্রহণের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে—এমনকি সম্ভব হলে তার আগেই—তিন বছর ধরে চলা এই সংঘাতের অবসান ঘটাবেন। তবে কীভাবে তা করবেন, তা এখনো পরিষ্কার করেননি।
বিশ্লেষক এবং সাবেক জাতীয় নিরাপত্তা কর্মকর্তারা মনে করছেন, এই জটিল সংঘাতের কারণে ট্রাম্পের পক্ষে এমন প্রতিশ্রুতি পূরণ করা কঠিন। তবে তাঁর উপদেষ্টাদের বক্তব্যগুলো একত্রে বিবেচনা করলে ট্রাম্পের সম্ভাব্য শান্তি পরিকল্পনার কাঠামো সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায়।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি—যিনি জনবলসংকট এবং ক্রমবর্ধমান ভূখণ্ডের ক্ষয়ক্ষতির মুখোমুখি—ইঙ্গিত দিয়েছেন, তিনি আলোচনার জন্য প্রস্তুত। যদিও তিনি এখনো ন্যাটো সদস্যপদ নিয়ে আগ্রহী, তবে এই সপ্তাহে তিনি বলেছেন, দখলকৃত কিছু অঞ্চল ফিরে পাওয়ার জন্য কূটনৈতিক সমাধান খুঁজতে হবে।
তবে বিশ্লেষক এবং সাবেক মার্কিন কর্মকর্তারা বলছেন, ট্রাম্পের জন্য পুতিনকে আলোচনায় রাজি করানো কঠিন হতে পারে। কারণ, পুতিন এরই মধ্যে ইউক্রেনকে চাপের মুখে ফেলেছেন এবং আরও ভূমি দখলের মাধ্যমে লাভবান হতে পারেন—এমন সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।
মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থার রাশিয়া–বিষয়ক সাবেক শীর্ষ বিশ্লেষক এবং বর্তমানে কার্নেগি এন্ডাওমেন্ট ফর ইন্টারন্যাশনাল পিস থিঙ্কট্যাংকের সঙ্গে যুক্ত ইউজিন রুমার বলেন, ‘পুতিনের কোনো তাড়া নেই। যতক্ষণ না ইউক্রেন ন্যাটোতে যোগ দেওয়ার প্রচেষ্টা পরিত্যাগ করে এবং চারটি অঞ্চল রাশিয়ার অংশ হিসেবে মেনে না নেয়—ততক্ষণ পর্যন্ত পুতিন যুদ্ধবিরতি এবং আলোচনা শুরু করতে প্রস্তুত নন।’ রুমার আরও বলেন, ‘পুতিন সম্ভবত সময় নিয়ে আরও ভূখণ্ড দখল করবেন এবং ট্রাম্প কী ধরনের ছাড় দেন, তা দেখার জন্য অপেক্ষা করবেন।’
রয়টার্স মে মাসে জানিয়েছিল, পুতিন একটি সমঝোতার যুদ্ধবিরতিতে যেতে প্রস্তুত, তবে ইউক্রেনকে হারানো ভূখণ্ড ফেরত দেওয়া হবে না। কিয়েভ এবং পশ্চিমা বিশ্ব সাড়া না দিলে তিনি লড়াই চালিয়ে যেতে প্রস্তুত বলেও জানিয়েছিলেন তিনি।
রাশিয়া ২০১৪ সাল থেকেই ইউক্রেনের কাছ থেকে দখলে নিয়ে পুরো ক্রিমিয়ার নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে। এ ছাড়া, দেশটি ইউক্রেনের দনবাসের প্রায় ৮০ শতাংশ—যা দোনেৎস্ক ও লুহানস্ক নিয়ে গঠিত এবং জাপোরিঝিয়া ও খেরসনের ৭০ শতাংশেরও বেশি, পাশাপাশি মাইকোলাইভ ও খারকিভের কিছু অংশ নিয়ন্ত্রণ করছে।
ট্রাম্প এখনো ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ বন্ধে কোনো কার্যকর কমিটি গঠন করেননি। তবে নাম প্রকাশ না করার শর্তে ট্রাম্পের চার উপদেষ্টা জানিয়েছেন, একটি শান্তিচুক্তি অনেকটাই নির্ভর করবে ট্রাম্প, পুতিন ও জেলেনস্কির মধ্যে সরাসরি ব্যক্তিগত সম্পৃক্ততার ওপর।
ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেছেন, ‘পরিকল্পনার সামগ্রিক ধারণা না পেয়ে পৃথক বিবৃতি নিয়ে মন্তব্য করা সম্ভব নয়।’
ট্রাম্পের মুখপাত্র ক্যারোলিন লেভিট উল্লেখ করেছেন, ট্রাম্প বলেছেন, তিনি বিশ্বমঞ্চে শান্তি পুনঃস্থাপন এবং আমেরিকার শক্তি ও প্রতিরোধ ক্ষমতা পুনর্গঠনে যা প্রয়োজন তা করবেন। ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে দেশটির জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদে কাজ করা এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন—বর্তমানে তিনটি প্রধান প্রস্তাব রয়েছে। এর মধ্যে একটি প্রস্তাব কেলোগের, একটি নবনির্বাচিত ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্সের এবং ট্রাম্পের সাবেক ভারপ্রাপ্ত গোয়েন্দা প্রধান রিচার্ড গ্রেনেলের একটি পরিকল্পনা প্রস্তাব।
কেলোগের পরিকল্পনাটি চলতি বছরের শুরুর দিকে ট্রাম্পের কাছে উপস্থাপন করা হয়। এতে যুদ্ধক্ষেত্রের বর্তমান সীমারেখাতেই যুদ্ধ বন্ধ বা স্থগিত রাখার সুপারিশ করা হয়েছে। তবে সবগুলোর প্রস্তাবের সার কথা হলো—কিয়েভ শান্তি আলোচনায় সম্মত হলেই কেবল ট্রাম্প ইউক্রেনকে আরও বেশি মার্কিন অস্ত্র সরবরাহ করবেন। একই সঙ্গে, তিনি মস্কোকে এই বলেও সতর্ক করবেন, রাশিয়া আলোচনা প্রত্যাখ্যান করলে তিনি ইউক্রেনের প্রতি মার্কিন সাহায্য বাড়াবেন। তবে সব প্রস্তাবেই ইউক্রেনের ন্যাটো সদস্যপদ আপাতত স্থগিত রাখার কথা বলা হয়েছে।
প্রস্তাব অনুসারে, চুক্তি স্বাক্ষরের পর ইউক্রেনকে মার্কিন নিরাপত্তার নিশ্চয়তা দেওয়া হতে পারে, যার মধ্যে অস্ত্র সরবরাহ বাড়ানোও অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে। ব্রিটেনের টাইমস রেডিওকে জুন মাসে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ট্রাম্পের নতুন প্রশাসনের উপজাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা সেবাস্তিয়ান গোরকা বলেছিলেন, ট্রাম্প তাঁকে জানিয়েছিলেন যে পুতিনকে আলোচনায় বাধ্য করতে তিনি ইউক্রেনকে নজিরবিহীন অস্ত্র সরবরাহের হুমকি দেবেন।
জেডি ভ্যান্স সেপ্টেম্বরে একটি ভিন্ন প্রস্তাব দেন। মার্কিন পডকাস্টার শন রায়ানকে তিনি বলেন, একটি চুক্তিতে সম্ভবত বর্তমান যুদ্ধক্ষেত্রের সীমারেখায় একটি নিরস্ত্রীকরণ অঞ্চল অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে, যা রাশিয়ার আরও আগ্রাসন প্রতিরোধে ‘শক্তিশালীভাবে সুরক্ষিত’ হবে। তাঁর প্রস্তাবেও ইউক্রেনের ন্যাটো সদস্য হওয়ার বিষয়টি বাতিল করা হয়েছে।
ট্রাম্পের আমলে জার্মানিতে রাষ্ট্রদূতের দায়িত্ব পালন করা রিচার্ড গ্রেনেল জুলাইয়ে ব্লুমবার্গের একটি গোলটেবিল বৈঠকে ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলে ‘স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল’ তৈরির পরামর্শ দিয়েছিলেন, তবে বিস্তারিত বলেননি। তিনি আরও বলেছিলেন, ইউক্রেনের ন্যাটো সদস্যপদ পাওয়া যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়।
ডোনাল্ড ট্রাম্পের উপদেষ্টারা প্রকাশ্যে ও গোপনে ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে এমন প্রস্তাব দিচ্ছেন, যেখানে আগামী দিনগুলোতে দেশটির বড় অংশ রাশিয়াকে ছেড়ে দেওয়ার কথা বলা হচ্ছে। রয়টার্সের বিশ্লেষণ ও ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ ব্যক্তিদের সঙ্গে সাক্ষাৎকারের ভিত্তিতে এ তথ্য জানা গেছে। তবে, যুদ্ধ বন্ধে ইউক্রেনকে ভূখণ্ড ছাড়তে বাধ্য করা হলেও দেশটি সামরিক জোট ন্যাটোতে যুক্ত হতে পারবে—এমন কোনো সম্ভাবনা দেখা যায়নি।
ট্রাম্প মনোনীত রাশিয়া-ইউক্রেন বিষয়ক বিশেষ দূত সাবেক লেফটেন্যান্ট জেনারেল কিথ কেলোগ ও ট্রাম্পের তিন শীর্ষ উপদেষ্টার দেওয়া ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের প্রস্তাবগুলোতে বেশ মিল আছে। এর মধ্যে অন্যতম হলো—ইউক্রেনকে ন্যাটো সদস্য হতে না দেওয়া। ট্রাম্পের উপদেষ্টারা মস্কো-কিয়েভকে আলোচনায় বাধ্য করতে ‘ক্যারট অ্যান্ড স্টিক’ বা গাধার সামনে মুলা ঝোলানোর—নীতি অনুসরণ করতে চান। এর মধ্যে—কিয়েভ যদি আলোচনায় বসতে সম্মত না হয় তাহলে সহায়তা বন্ধ করা এবং রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন আলোচনায় না এলে কিয়েভে সহায়তা বাড়ানো।
ট্রাম্প তাঁর নির্বাচনী প্রচারণার সময় বারবার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, ২০ জানুয়ারি দায়িত্ব গ্রহণের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে—এমনকি সম্ভব হলে তার আগেই—তিন বছর ধরে চলা এই সংঘাতের অবসান ঘটাবেন। তবে কীভাবে তা করবেন, তা এখনো পরিষ্কার করেননি।
বিশ্লেষক এবং সাবেক জাতীয় নিরাপত্তা কর্মকর্তারা মনে করছেন, এই জটিল সংঘাতের কারণে ট্রাম্পের পক্ষে এমন প্রতিশ্রুতি পূরণ করা কঠিন। তবে তাঁর উপদেষ্টাদের বক্তব্যগুলো একত্রে বিবেচনা করলে ট্রাম্পের সম্ভাব্য শান্তি পরিকল্পনার কাঠামো সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায়।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি—যিনি জনবলসংকট এবং ক্রমবর্ধমান ভূখণ্ডের ক্ষয়ক্ষতির মুখোমুখি—ইঙ্গিত দিয়েছেন, তিনি আলোচনার জন্য প্রস্তুত। যদিও তিনি এখনো ন্যাটো সদস্যপদ নিয়ে আগ্রহী, তবে এই সপ্তাহে তিনি বলেছেন, দখলকৃত কিছু অঞ্চল ফিরে পাওয়ার জন্য কূটনৈতিক সমাধান খুঁজতে হবে।
তবে বিশ্লেষক এবং সাবেক মার্কিন কর্মকর্তারা বলছেন, ট্রাম্পের জন্য পুতিনকে আলোচনায় রাজি করানো কঠিন হতে পারে। কারণ, পুতিন এরই মধ্যে ইউক্রেনকে চাপের মুখে ফেলেছেন এবং আরও ভূমি দখলের মাধ্যমে লাভবান হতে পারেন—এমন সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।
মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থার রাশিয়া–বিষয়ক সাবেক শীর্ষ বিশ্লেষক এবং বর্তমানে কার্নেগি এন্ডাওমেন্ট ফর ইন্টারন্যাশনাল পিস থিঙ্কট্যাংকের সঙ্গে যুক্ত ইউজিন রুমার বলেন, ‘পুতিনের কোনো তাড়া নেই। যতক্ষণ না ইউক্রেন ন্যাটোতে যোগ দেওয়ার প্রচেষ্টা পরিত্যাগ করে এবং চারটি অঞ্চল রাশিয়ার অংশ হিসেবে মেনে না নেয়—ততক্ষণ পর্যন্ত পুতিন যুদ্ধবিরতি এবং আলোচনা শুরু করতে প্রস্তুত নন।’ রুমার আরও বলেন, ‘পুতিন সম্ভবত সময় নিয়ে আরও ভূখণ্ড দখল করবেন এবং ট্রাম্প কী ধরনের ছাড় দেন, তা দেখার জন্য অপেক্ষা করবেন।’
রয়টার্স মে মাসে জানিয়েছিল, পুতিন একটি সমঝোতার যুদ্ধবিরতিতে যেতে প্রস্তুত, তবে ইউক্রেনকে হারানো ভূখণ্ড ফেরত দেওয়া হবে না। কিয়েভ এবং পশ্চিমা বিশ্ব সাড়া না দিলে তিনি লড়াই চালিয়ে যেতে প্রস্তুত বলেও জানিয়েছিলেন তিনি।
রাশিয়া ২০১৪ সাল থেকেই ইউক্রেনের কাছ থেকে দখলে নিয়ে পুরো ক্রিমিয়ার নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে। এ ছাড়া, দেশটি ইউক্রেনের দনবাসের প্রায় ৮০ শতাংশ—যা দোনেৎস্ক ও লুহানস্ক নিয়ে গঠিত এবং জাপোরিঝিয়া ও খেরসনের ৭০ শতাংশেরও বেশি, পাশাপাশি মাইকোলাইভ ও খারকিভের কিছু অংশ নিয়ন্ত্রণ করছে।
ট্রাম্প এখনো ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ বন্ধে কোনো কার্যকর কমিটি গঠন করেননি। তবে নাম প্রকাশ না করার শর্তে ট্রাম্পের চার উপদেষ্টা জানিয়েছেন, একটি শান্তিচুক্তি অনেকটাই নির্ভর করবে ট্রাম্প, পুতিন ও জেলেনস্কির মধ্যে সরাসরি ব্যক্তিগত সম্পৃক্ততার ওপর।
ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেছেন, ‘পরিকল্পনার সামগ্রিক ধারণা না পেয়ে পৃথক বিবৃতি নিয়ে মন্তব্য করা সম্ভব নয়।’
ট্রাম্পের মুখপাত্র ক্যারোলিন লেভিট উল্লেখ করেছেন, ট্রাম্প বলেছেন, তিনি বিশ্বমঞ্চে শান্তি পুনঃস্থাপন এবং আমেরিকার শক্তি ও প্রতিরোধ ক্ষমতা পুনর্গঠনে যা প্রয়োজন তা করবেন। ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে দেশটির জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদে কাজ করা এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন—বর্তমানে তিনটি প্রধান প্রস্তাব রয়েছে। এর মধ্যে একটি প্রস্তাব কেলোগের, একটি নবনির্বাচিত ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্সের এবং ট্রাম্পের সাবেক ভারপ্রাপ্ত গোয়েন্দা প্রধান রিচার্ড গ্রেনেলের একটি পরিকল্পনা প্রস্তাব।
কেলোগের পরিকল্পনাটি চলতি বছরের শুরুর দিকে ট্রাম্পের কাছে উপস্থাপন করা হয়। এতে যুদ্ধক্ষেত্রের বর্তমান সীমারেখাতেই যুদ্ধ বন্ধ বা স্থগিত রাখার সুপারিশ করা হয়েছে। তবে সবগুলোর প্রস্তাবের সার কথা হলো—কিয়েভ শান্তি আলোচনায় সম্মত হলেই কেবল ট্রাম্প ইউক্রেনকে আরও বেশি মার্কিন অস্ত্র সরবরাহ করবেন। একই সঙ্গে, তিনি মস্কোকে এই বলেও সতর্ক করবেন, রাশিয়া আলোচনা প্রত্যাখ্যান করলে তিনি ইউক্রেনের প্রতি মার্কিন সাহায্য বাড়াবেন। তবে সব প্রস্তাবেই ইউক্রেনের ন্যাটো সদস্যপদ আপাতত স্থগিত রাখার কথা বলা হয়েছে।
প্রস্তাব অনুসারে, চুক্তি স্বাক্ষরের পর ইউক্রেনকে মার্কিন নিরাপত্তার নিশ্চয়তা দেওয়া হতে পারে, যার মধ্যে অস্ত্র সরবরাহ বাড়ানোও অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে। ব্রিটেনের টাইমস রেডিওকে জুন মাসে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ট্রাম্পের নতুন প্রশাসনের উপজাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা সেবাস্তিয়ান গোরকা বলেছিলেন, ট্রাম্প তাঁকে জানিয়েছিলেন যে পুতিনকে আলোচনায় বাধ্য করতে তিনি ইউক্রেনকে নজিরবিহীন অস্ত্র সরবরাহের হুমকি দেবেন।
জেডি ভ্যান্স সেপ্টেম্বরে একটি ভিন্ন প্রস্তাব দেন। মার্কিন পডকাস্টার শন রায়ানকে তিনি বলেন, একটি চুক্তিতে সম্ভবত বর্তমান যুদ্ধক্ষেত্রের সীমারেখায় একটি নিরস্ত্রীকরণ অঞ্চল অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে, যা রাশিয়ার আরও আগ্রাসন প্রতিরোধে ‘শক্তিশালীভাবে সুরক্ষিত’ হবে। তাঁর প্রস্তাবেও ইউক্রেনের ন্যাটো সদস্য হওয়ার বিষয়টি বাতিল করা হয়েছে।
ট্রাম্পের আমলে জার্মানিতে রাষ্ট্রদূতের দায়িত্ব পালন করা রিচার্ড গ্রেনেল জুলাইয়ে ব্লুমবার্গের একটি গোলটেবিল বৈঠকে ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলে ‘স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল’ তৈরির পরামর্শ দিয়েছিলেন, তবে বিস্তারিত বলেননি। তিনি আরও বলেছিলেন, ইউক্রেনের ন্যাটো সদস্যপদ পাওয়া যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়।
রাশিয়ার অভ্যন্তরে ইউক্রেন সীমান্ত থেকে প্রায় ১ হাজার কিলোমিটার দূরে অবস্থিত কাজান শহরে ড্রোন হামলা চালিয়েছে কিয়েভ। আর এই হামলার প্রতিক্রিয়ায় রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন আজ রোববার হুমকি দিয়ে বলেছেন, রাশিয়ার কেন্দ্রীয় শহর কাজানে ড্রোন হামলার প্রতিশোধ নিতে ইউক্রেনে আরও ‘ধ্বংসযজ্ঞ’ চালানো হবে।
২ ঘণ্টা আগেসিরিয়ায় বাশার আল-আসাদের পতনে নেতৃত্ব দেওয়া হায়াত তাহরির আল-শাম (এইচটিএস) নতুন পররাষ্ট্র ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রী নিয়োগ দিয়েছে। সিরিয়ার সরকারি সংবাদ সংস্থা সানার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে সম্পর্ক প্রতিষ্ঠা এবং দেশের নিরাপত্তা নিশ্চিতের লক্ষ্যে এই দুই পদে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে
২ ঘণ্টা আগেসম্প্রতি শেষ হলো জনপ্রিয় মার্কিন পপ তারকা টেইলর সুইফটের বিশ্বব্যাপী কনসার্টের ইরাস ট্যুর। বিশ্বসংগীতের ইতিহাসের বৃহত্তম এই কনসার্ট ট্যুরে ১৪৯টি কনসার্টে ১ কোটি ১৬ লাখ ৮ হাজার দর্শক সুইফটের গানের সুরে ভেসেছেন। তবে তাঁর এক ভক্ত এই গানের উন্মাদনায় মাততে জড়িয়েছেন মারাত্মক অপরাধে।
৩ ঘণ্টা আগেবিশ্বের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ও ব্যস্ততম জলপথ পানামা খালের মালিকা পানামা কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে কেড়ে নেওয়ার হুমকি দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি অভিযোগ করেছেন, পানামা কর্তৃপক্ষ মার্কিন বাণিজ্যিক জাহাজগুলোর ওপর অত্যধিক ফি আরোপ করছে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা
৩ ঘণ্টা আগে