Ajker Patrika

ট্রাম্পের ছবি এঁকে ব্যবসা বন্ধ হওয়ার পথে ব্রিটিশ চিত্রশিল্পীর

অনলাইন ডেস্ক
ডেনভার স্টেট ক্যাপিটল গ্যালারি অব প্রেসিডেন্টসে ট্রাম্পের ছবি। ছবি: সংগৃহীত
ডেনভার স্টেট ক্যাপিটল গ্যালারি অব প্রেসিডেন্টসে ট্রাম্পের ছবি। ছবি: সংগৃহীত

যুক্তরাষ্ট্রের কলোরাডো রাজ্যের ডেনভারের একটি গ্যালারিতে রং-তুলিতে আঁকা ডোনাল্ড ট্রাম্পের একটি ছবি শোভা পাচ্ছিল ছয় বছর ধরে। কিন্তু জানুয়ারিতে দ্বিতীয় দফায় প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর ওই ছবিটি সরিয়ে ফেলা হয়। শুধু তাই নয়, ছবির জন্য ট্রাম্পের কঠোর সমালোচনার শিকার হন ব্রিটিশ চিত্রশিল্পী সারাহ এ বোর্ডম্যান। এখন মস্কো থেকে এক রুশ শিল্পীর আঁকা ছবি সেই গ্যালারিতে রাখা হচ্ছে।

শিল্পকর্ম ট্রাম্পের পছন্দ হয় নাই, তাতে শিল্পীর আপত্তি থাকার কথা নয়। কিন্তু প্রেসিডেন্ট হিসেবে ট্রাম্পের সমালোচনার তীর্যক ভাষা ও নির্বিচার অভিযোগের কারণে এই চিত্রশিল্পীর ব্যবসা বন্ধ হওয়ার যোগাড় হয়েছে। ট্রাম্পের সমালোচনার পর ছবি আঁকার জন্য তাঁর কাছে আর কেউ আসছে না। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির কাছে দুঃখ-কষ্টের কথা তুলে ধরেছেন সারাহ।

বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, সারাহর আঁকা ছবিটি ডেনভার স্টেট ক্যাপিটল গ্যালারি অব প্রেসিডেন্টসের দেয়ালে টানানো ছিল। জানুয়ারিতে প্রেসিডেন্ট হয়ে ট্রুথ সোশ্যালে ছবিটির কড়া সমালোচনা করেন ট্রাম্প।

সারাহ জানান, ট্রাম্প তাঁর আঁকা চিত্রকর্মটিকে ‘জঘন্য’ আখ্যা দেন। তিনি বলেন, ‘মিস বোর্ডম্যানের বয়স হয়ে গেছে। হয় তিনি ছবি আঁকার প্রতিভা হারিয়ে ফেলেছেন না হয় ইচ্ছে করেই আমার ছবিটি বিকৃত করেছেন— এক কথায় এটি জঘন্য।’

হতাশাভরা কণ্ঠে এই চিত্রশিল্পী বলেন, ‘অবশ্য পরে পোস্টটি সরিয়ে ফেলেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। কিন্তু ততক্ষণে ক্ষতি যা হওয়ার, তা হয়ে গেছে! সেই ক্ষতি তো আর পূরণ হবে না!’

বিবিসিকে সারাহ আরও বলেন, অন্য যে কারো মতো প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পও নিশ্চয়ই স্বাধীনভাবে মন্তব্য করতে পারেন। কিন্তু তিনি কিছু অভিযোগ তুলেছেন, যেগুলো কাঙ্ক্ষিত নয়। তিনি বলেছেন, ‘আমি ইচ্ছে করে তাঁর ছবি নষ্ট করেছি বা আমার বয়স গেছে বলে আর আগের মতো আঁকতে পারি না— এধরনের মন্তব্য সরাসরি আমার ব্যবসার ক্ষতি করেছে। ৪১ বছর ধরে যে কাজ আমি করে আসছি, তা এখন বন্ধ হওয়ার পথে।’

সারাহ জানান, ডেনভারের কলোরাডো স্টেট ক্যাপিটল অ্যাডভাইজরি কমিটি তাঁকে ছবি আঁকার কাজটি দিয়েছিল। তিনি নিজের সর্বোচ্চ চেষ্টা দিয়ে সুন্দর করে ছবিটি আঁকার চেষ্টা করেছেন।

‘কোনো রাজনৈতিক পক্ষপাত বা অন্যকিছু আমার কাজকে প্রভাবিত করেনি এবং গত ৬ বছর কাজটি অনেক ভালোবাসা এবং প্রশংসা পেয়েছে। কিন্তু প্রেসিডেন্টের বক্তব্যের পর সবকিছু বদলে গেছে। আমি অনেক ক্ষতি হয়ে গেল!’

ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রতিনিধি স্টিভ উইটকফ জানান, ডেনভার স্টেট ক্যাপিটল গ্যালারি অব প্রেসিডেন্টসে টানানোর জন্য রাশিয়ার প্রথম সারির একজন চিত্রশিল্পীর আঁকা ট্রাম্পের ছবি মস্কো থেকে আনা হচ্ছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত