মরিশাসকে চাগোস ফেরত দিতেই যুক্তরাজ্যের কাছে ফকল্যান্ড চাইল আর্জেন্টিনা

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ : ০৪ অক্টোবর ২০২৪, ১৯: ০১

একটি চুক্তির অধীনে দিয়েগো গার্সিয়া দ্বীপ সহ চাগোস দ্বীপপুঞ্জের সার্বভৌমত্ব মরিশাসের কাছে হস্তান্তর করেছে যুক্তরাজ্য। ১৯৬৮ সালে মরিশাস স্বাধীনতা লাভ করার পর থেকেই বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে ছিল চাগোস আইল্যান্ডস। দ্বীপগুলো নিয়ে দীর্ঘদিনের বিরোধ এবং আন্তর্জাতিক চাপের কাছে শেষ পর্যন্ত নতি স্বীকার করেছে ব্রিটিশ কর্তৃপক্ষ। তবে এই যুক্তরাজ্যের এমন সিদ্ধান্ত আরও একটি দেশকে আশাবাদী করে তুলেছে। সেই দেশটি হলো আর্জেন্টিনা। দক্ষিণ আটলান্টিক সাগরে অবস্থিত ফকল্যান্ড আইল্যান্ডস নিয়ে যুক্তরাজ্যের সঙ্গে বহু বছরের বিরোধ রয়েছে দেশটির। 

মরিশাসকে চাগোস ফেরত দেওয়ায় যুক্তরাজ্যের প্রশংসা করেছেন আর্জেন্টিনার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডায়ানা মন্ডিনো। একইভাবে যুক্তরাজ্য যেন ফকল্যান্ড আইল্যান্ডস আর্জেন্টিনাকে ফেরত দেয় সেই আহ্বান জানান মন্ডিনো। এভাবে দ্বীপ দখল করে রাখার বিষয়টিকে তিনি ‘সেকেলে ঔপনিবেশিক আচরণ’ আখ্যা দিয়ে এর অবসান দাবি করেন। 

আর্জেন্টিনায় ফকল্যান্ড দ্বীপসমূহকে মালভিনাস নামে ডাকা হয়। আর্জেন্টাইন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জোর দিয়ে জানিয়েছেন, তাঁর দেশ ফকল্যান্ড পুনরুদ্ধারের জন্য ‘কঠিন পদক্ষেপ’ নেবে। দ্বীপগুলোর ওপর জাতির ঐতিহাসিক দাবিকে পুনরুল্লেখ করে মন্ডিনো বলেন, ‘মালভিনাস আর্জেন্টিনা ছিল, আছে এবং সব সময় থাকবে।’ 

যুক্তরাজ্যের দখলে থাকা ফকল্যান্ড দ্বীপপুঞ্জের বর্তমান গভর্নর অ্যালিসন ব্লেক। মরিশাসকে চাগোস ফেরত দেওয়ার পর গতকাল বৃহস্পতিবার ফকল্যান্ডের বাসিন্দাদের আশ্বস্ত করতে চেয়েছিলেন তিনি। এক বিবৃতিতে দ্বীপপুঞ্জের বাসিন্দাদের জানিয়েছেন, চাগোস ফেরত দিলেও দক্ষিণ আটলান্টিক অঞ্চলে ব্রিটেনের প্রতিশ্রুতি অটলই থাকবে। চাগোস এবং ফকল্যান্ড—এই দুটি অঞ্চলের ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটও ‘খুব আলাদা’ বলে দাবি করেন ব্লেক। 

ফকল্যান্ড দ্বীপপুঞ্জ নিয়ে যুক্তরাজ্য ও আর্জেন্টিনার মধ্যে শত্রুতা বহু পুরোনো। ১৯৮২ সালে এই দ্বীপপুঞ্জ নিয়ে আর্জেন্টিনা এবং যুক্তরাজ্যের মধ্যে যুদ্ধও সংঘটিত হয়েছে।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত