যুক্তরাষ্ট্রে বিড়ালের মাংস খাওয়ায় নারীকে এক বছরের জেল

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ : ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৩: ৩১
আপডেট : ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৪: ৩০
বাড়ির বাইরে ঘুরতে থাকা বিড়ালকে হত্যা করেন অ্যালেক্সিস ফেরেল। ছবি: সংগৃহীত

যুক্তরাষ্ট্রের ওহাইও অঙ্গরাজ্যে বিড়াল হত্যা করে খেয়েছেন ২৭ বছর বয়সী এক নারী। এ ধরনের কর্মকাণ্ড ‘জাতির জন্য লজ্জাজনক’ অভিহিত করে তাঁকে এক বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

নিউইয়র্ক পোস্টের এক প্রতিবেদনে জানা যায়, গত আগস্টে বাড়ির বাইরে ঘুরতে থাকা একটি বিড়ালকে হত্যা করেন অ্যালেক্সিস ফেরেল নামের ওই নারী। বিড়ালটি খাওয়ার সময় দেখে ফেলেন তাঁর প্রতিবেশীরা। পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে ওই নারীকে চার হাত-পায়ে চতুষ্পদের মতো হাঁটতে এবং বিড়াল খেতে দেখেন।

পুলিশ কর্মকর্তার বডি ক্যামেরার ফুটেজে ওই নারীকে প্রশ্ন করতে শোনা যায়, ‘আপনি কী করেছেন? কেন বিড়ালটিকে হত্যা করেছেন?’

গত সোমবার স্টার্ক কাউন্টি কমন প্লিস কোর্টের বিচারক ফ্রাঙ্ক ফোর্চিওনে ফেরেলকে ‘জাতীয় লজ্জা’ হিসেবে অভিহিত করেন। তিনি বলেন, ‘আপনি এই কাউন্টিকে, এই দেশকে লজ্জায় ফেলেছেন। তার চেয়ে বড় কথা, আপনি নিজেকেই ঘৃণিত করেছেন!’

বিচারক আরও বলেন, ‘আপনি সমাজের জন্য বিপজ্জনক। এটি আমার কাছে অত্যন্ত বীভৎস লেগেছে। কেউ কীভাবে একটি প্রাণীর সঙ্গে এমন আচরণ করতে পারে তা আমি কল্পনাও করতে পারি না! প্রাণীরা শিশুর মতো। এটি কতটা হতাশা, বিস্ময় ও ঘৃণার, তা ভাষায় প্রকাশ করার মতো নয়। আমি জানি না কী কারণে কেউ বিড়াল খেতে চাইতে পারে!’

পশু নির্যাতনের গুরুতর অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় ফেরেলকে এক বছরের কারাদণ্ড দেন বিচারক। ফেরেল এর আগেও চুরি এবং শিশু নির্যাতনের মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত ছিলেন। তাঁর ওই দুটি অপরাধের জন্য তাঁকে ১৮ মাসের পৃথক কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল। ওই দণ্ডের সঙ্গে এখন আরও এক বছরের কারাদণ্ড যুক্ত হবে।

ফেরেলের আইনজীবী স্টিফেন কানডেল বলেন, ফেরেল মাদকাসক্তিসহ বেশ কিছু সমস্যায় ভুগছেন। তাঁর মানসিক স্বাস্থ্য পরীক্ষায় সেটি উঠে এসেছে। সাজাভোগের পর তাঁর চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হবে।

বিস্ময়ের ব্যাপার হলো, সাম্প্রতিক মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রচারণায়ও এ ঘটনা প্রভাব ফেলেছিল। এ ঘটনা উল্লেখ করে ডোনাল্ড ট্রাম্প ও জেডি ভ্যান্স (ভাইস প্রেসিডেন্ট মনোনীত) দাবি করেছিলেন, স্প্রিংফিল্ডে হাইতিয়ান অভিবাসীরা স্থানীয় পোষা প্রাণী খেয়ে ফেলছে। পরে তদন্ত কর্মকর্তারা জানান, ফেরেল অভিবাসী নন। এ ঘটনার সঙ্গে ওই দাবির কোনো সম্পর্ক নেই। ফেরেল ওহাইওতে জন্মগ্রহণ করেন এবং ২০১৫ সালে ক্যান্টন ম্যাককিনলে হাইস্কুল থেকে স্নাতক সম্পন্ন করেন।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত