মুক্তি পেয়ে কেন প্রত্যন্ত সাইপান দ্বীপে উড়ে যাচ্ছেন জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ : ২৫ জুন ২০২৪, ১৮: ২৭
আপডেট : ২৫ জুন ২০২৪, ১৮: ৫২

প্রায় দেড় দশকের আইনি লড়াই শেষে সোমবার কারামুক্ত হয়ে যুক্তরাজ্য ছেড়েছেন উইকিলিকসের প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ। বলা হচ্ছে, ফৌজদারি অপরাধের দায় স্বীকার করে মার্কিন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সমঝোতায় পৌঁছানোর জের ধরেই মুক্তি পান তিনি। অস্ট্রেলিয়ায় জন্ম গ্রহণ করা ৫২ বছর বয়সী অ্যাসাঞ্জের বিরুদ্ধে প্রতিরক্ষা–সংক্রান্ত তথ্য ফাঁসের ষড়যন্ত্র করার অভিযোগ ছিল যুক্তরাষ্ট্রের। 

পাঁচ বছর ধরেই যুক্তরাজ্যের কারাগারে ছিলেন অ্যাসাঞ্জ। সেখান থেকেই তিনি যুক্তরাষ্ট্রে প্রত্যর্পণের বিরুদ্ধে আইনি লড়াই চালিয়ে যাচ্ছিলেন। মুক্তির পর বুধবারের মধ্যে প্রশান্ত মহাসাগরে অবস্থিত নর্দার্ন মারিয়ানা আইল্যান্ডসে পৌঁছানোর কথা রয়েছে উইকিলিকস প্রতিষ্ঠাতার। 

মুক্তির শর্ত অনুযায়ী, পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরীয় প্রত্যন্ত মারিয়ানা আইল্যান্ডসের সাইপান দ্বীপে অবস্থিত একটি আদালতে উপস্থিত থাকতে হবে অ্যাসাঞ্জকে। সেখানে তাঁকে মার্কিন বিচারের মুখোমুখি হতে হবে। 

গুয়াম দ্বীপ থেকে প্রায় ৭০ কিলোমিটার উত্তরে অবস্থিত ১৪টি দ্বীপ নিয়ে মারিয়ানা দ্বীপপুঞ্জ গঠিত। এর মধ্যে সাইপান দ্বীপ ওই দ্বীপপুঞ্জের রাজধানী। 

গুয়াম বা পুয়ের্তো রিকোর মতো, উত্তর মারিয়ানা দ্বীপপুঞ্জও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিয়ন্ত্রণাধীন। এর ফলে সেখানকার অধিবাসীরা মার্কিন নাগরিক বলে বিবেচিত হন। তবে তাঁরা মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ভোট দিতে পারেন না। 

চুক্তি অনুযায়ী, বুধবার স্থানীয় সময় সকাল ৯টায় সাইপানে অবস্থিত একটি মার্কিন আদালতে হাজির হবেন অ্যাসাঞ্জ। মার্কিন কৌঁসুলিরা জানিয়েছেন, অ্যাসাঞ্জ অস্ট্রেলিয়ায় তাঁর বাড়ির কাছাকাছি একটি আদালতে যেতে চেয়েছিলেন। এই হিসেবে অস্ট্রেলিয়ায় অবস্থিত নিজের বাড়ি থেকে প্রায় তিন হাজার কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থিত সাইপানের আদালতই সবচেয়ে উপযুক্ত স্থান বলে নির্ধারণ করা হয়েছে। 

ইউনিভার্সিটি অব সিডনির আইন স্কুলের অধ্যাপক এমিলি ক্রফোর্ড বলেছেন, ‘সাইপানে যুক্তরাষ্ট্রের আইনের আওতায় আনা অভিযোগের মুখোমুখি হতে হবে অ্যাসাঞ্জকে।’ 

একসময় স্পেন, জার্মানি এবং পরে জাপানের দখলে থাকা সাইপান দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় থেকেই মার্কিন নিয়ন্ত্রণে ছিল। পরে ১৯৭৫ সালে দ্বীপের বাসিন্দারা একটি অঞ্চল হিসেবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে যুক্ত হওয়ার পক্ষে ভোট দেন। 

শুনানি শেষে অ্যাসাঞ্জ অস্ট্রেলিয়ায় ফিরে যাবেন বলে আশা করা হচ্ছে। ধারণা করা হচ্ছে, বিচারে তাঁর ৬২ মাসের কারাদণ্ড হতে পারে। তবে যুক্তরাজ্যে তিনি যে পাঁচ বছর কারাগারে ছিলেন, সেটিও এই সাজার অন্তর্ভুক্ত হবে। যুক্তরাজ্যের বেলমার্শ কারাগারের একটি ছোট্ট কুঠুরিতে ১ হাজার ৯০১ দিন আটক ছিলেন তিনি।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

টাঙ্গাইলে দুই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধান র‍্যাবের হাতে গ্রেপ্তার

পুলিশ ফাঁড়ি দখল করে অফিস বানিয়েছেন সন্ত্রাসী নুরু

ঢাকার রাস্তায় ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চালকদের বিক্ষোভ, জনদুর্ভোগ চরমে

শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ সুরক্ষায় নতুন উদ্যোগ

জাতিকে ফ্রি, ফেয়ার অ্যান্ড ক্রেডিবল নির্বাচন উপহার দিতে চাই: নতুন সিইসি

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত