অনলাইন ডেস্ক
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সম্ভাব্য শুল্কনীতির আশঙ্কায় ব্যবসায়ীরা নিউইয়র্কে বিপুল স্বর্ণ মজুত করছেন। ফলে লন্ডনে স্বর্ণের সরবরাহ সংকট দেখা দিয়েছে। ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের (বিওই) ভল্ট থেকে স্বর্ণ উত্তোলনের জন্য চার থেকে আট সপ্তাহ পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হচ্ছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, লন্ডন ও নিউইয়র্কের বাজারমূল্যে তফাতের কারণেও স্বর্ণের এই স্থানান্তর ত্বরান্বিত হয়েছে।
ফাইন্যান্সিয়াল টাইমস এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, নিউইয়র্কে স্বর্ণ মজুতের উল্লম্ফনের কারণে লন্ডনে স্বর্ণের সরবরাহ সংকট দেখা দিয়েছে। এরই মধ্যে ব্যবসায়ীরা সম্ভাব্য আমদানি শুল্ক আরোপের আশঙ্কায় নিউইয়র্কে ৮২ বিলিয়ন ডলার সমমূল্যের স্বর্ণ সংরক্ষণ করেছেন।
ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের (বিওই) ভল্ট থেকে স্বর্ণ উত্তোলনের অপেক্ষার সময় কয়েক দিনের পরিবর্তে চার থেকে আট সপ্তাহে দাঁড়িয়েছে। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, ব্যাংকটি চাহিদা মেটাতে হিমশিম খাচ্ছে।
ব্যাংক অব ইংল্যান্ড এ বিষয়ে মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। একজন শিল্প নির্বাহী জানান, ‘নিউইয়র্কে বিপুল স্বর্ণ পাঠানো হয়েছে, আর বাকিটা লন্ডনে অপেক্ষারত অবস্থায় রয়েছে। এর ফলে লন্ডনের বাজারে তারল্য কমে গেছে।’
নভেম্বরের মার্কিন নির্বাচন পর ব্যবসায়ী ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো নিউইয়র্কের কমেক্স পণ্যবাজারে ৩৯৩ টন স্বর্ণ আমদানি করেছে। ফলে ভল্টের মজুত ৭৫ শতাংশ বেড়ে ৯২৬ টনে পৌঁছেছে। এটি ২০২২ সালের আগস্ট মাসের পর সর্বোচ্চ।
বাজার বিশেষজ্ঞদের মতে, এই হিসাবের বাইরেও নিউইয়র্কে আরও স্বর্ণ ঢুকেছে। সেগুলো এইচএসবিসি ও জেপিমর্গানের মতো ব্যক্তিগত ভল্টে সংরক্ষিত হয়ে থাকতে পারে। তবে উভয় ব্যাংক এ বিষয়ে মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে।
সোসিয়েতে জনারেলের কমোডিটি গবেষণাপ্রধান মাইকেল হেইগ বলেন, ‘অনেকে ধারণা করছেন, ট্রাম্প প্রশাসন যেকোনো ধরনের কাঁচামালের ওপর শুল্ক আরোপ করতে পারে। এর মধ্যে স্বর্ণও থাকতে পারে। ফলে বিনিয়োগকারীরা ঝুঁকি এড়াতে আগেভাগে ব্যবস্থা নিচ্ছেন।’
নিউইয়র্কের ফিউচার বাজারে স্বর্ণের দাম লন্ডনের স্পট মার্কেটের তুলনায় বেশি হওয়ায় ব্যবসায়ীরা আটলান্টিকের ওপার (ইংল্যান্ড) থেকে স্বর্ণ সংগ্রহ করছেন। লন্ডন ও নিউইয়র্ক বিশ্বব্যাপী বাণিজ্যের দুটি প্রধান বাজার। যেখানে অধিকাংশ ফিজিক্যাল ট্রেডিং যুক্তরাজ্যে হয়, আর ফিউচার মার্কেট যুক্তরাষ্ট্রে।
স্বর্ণের দাম চলতি বছরে ৫ শতাংশ বেড়ে বর্তমানে প্রতি ট্রয় আউন্স ২ হাজার ৭৯০ ডলারের কাছাকাছি রয়েছে, যা সর্বোচ্চ রেকর্ডের মাত্র ৩০ ডলার কম।
বর্তমান মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে স্বর্ণের চাহিদাকে অনেক বাজার বিশেষজ্ঞ কোভিড মহামারির সময়কার পরিস্থিতির সঙ্গে তুলনা করছেন। সে সময় লকডাউন ও স্বর্ণের সরবরাহ নিয়ে অনিশ্চয়তার কারণে কমেক্সে স্বর্ণ মজুত ব্যাপকভাবে বেড়েছিল।
ব্যাংক অব ইংল্যান্ড (বিওই) অন্যান্য আর্থিক প্রতিষ্ঠান, অন্যান্য কেন্দ্রীয় ব্যাংক এবং যুক্তরাজ্যের ট্রেজারির মতো তৃতীয় পক্ষের জন্য স্বর্ণ সংরক্ষণ করে।
এ মাসে কমেক্সে স্বর্ণের মজুত ৩৬ শতাংশ বেড়ে ২৪৪ টনে পৌঁছেছে। এটি ২০২০ সালের মে মাসে কোভিড মহামারির চরম সময়ের পর সবচেয়ে বড় মাসিক প্রবাহ। ট্রেডাররা জানিয়েছেন, নির্দিষ্ট ফিউচার চুক্তি পূরণের জন্য স্বর্ণের তাঁদের স্বর্ণের সরবরাহ প্রয়োজন। এতে তাঁরা স্বর্ণের ফিজিক্যাল ডেলিভারি দিতে সক্ষম হবেন।
বিশ্ব স্বর্ণ পরিষদের বাজার কৌশলবিদ জো কাভাতোনি বলেছেন, নিউইয়র্কে স্বর্ণের ব্যাপক চালানই মূলত এই ‘মজুত সৃষ্টির’ কারণ। এটি অনেককে আগেভাগে পদক্ষেপ নিতে উৎসাহিত করছে। এতে ফিউচার মার্কেটে প্রিমিয়াম সৃষ্টি হচ্ছে।
তবে কাভাতোনি সতর্কভাবে আশাবাদী যে ট্রাম্প প্রশাসনের শুল্ক আরোপ স্বর্ণের ওপর প্রভাব ফেলবে না। প্রশাসনের বক্তব্য থেকে এমন কিছু ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে না।
গত সপ্তাহে কমেক্সে জুনের ফিজিক্যাল স্বর্ণের চুক্তি লন্ডনের মূল্য থেকে প্রতি ট্রয় আউন্সে ৬০ ডলার পর্যন্ত বেশি দামে কেনাবেচা হয়েছে। তবে সেই পার্থক্য এখন প্রতি ট্রয় আউন্সে ১০ ডলার কমে এসেছে। কারণ, ট্রেডাররা স্বর্ণ নিউইয়র্কে স্থানান্তর করেছেন।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সম্ভাব্য শুল্কনীতির আশঙ্কায় ব্যবসায়ীরা নিউইয়র্কে বিপুল স্বর্ণ মজুত করছেন। ফলে লন্ডনে স্বর্ণের সরবরাহ সংকট দেখা দিয়েছে। ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের (বিওই) ভল্ট থেকে স্বর্ণ উত্তোলনের জন্য চার থেকে আট সপ্তাহ পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হচ্ছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, লন্ডন ও নিউইয়র্কের বাজারমূল্যে তফাতের কারণেও স্বর্ণের এই স্থানান্তর ত্বরান্বিত হয়েছে।
ফাইন্যান্সিয়াল টাইমস এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, নিউইয়র্কে স্বর্ণ মজুতের উল্লম্ফনের কারণে লন্ডনে স্বর্ণের সরবরাহ সংকট দেখা দিয়েছে। এরই মধ্যে ব্যবসায়ীরা সম্ভাব্য আমদানি শুল্ক আরোপের আশঙ্কায় নিউইয়র্কে ৮২ বিলিয়ন ডলার সমমূল্যের স্বর্ণ সংরক্ষণ করেছেন।
ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের (বিওই) ভল্ট থেকে স্বর্ণ উত্তোলনের অপেক্ষার সময় কয়েক দিনের পরিবর্তে চার থেকে আট সপ্তাহে দাঁড়িয়েছে। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, ব্যাংকটি চাহিদা মেটাতে হিমশিম খাচ্ছে।
ব্যাংক অব ইংল্যান্ড এ বিষয়ে মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। একজন শিল্প নির্বাহী জানান, ‘নিউইয়র্কে বিপুল স্বর্ণ পাঠানো হয়েছে, আর বাকিটা লন্ডনে অপেক্ষারত অবস্থায় রয়েছে। এর ফলে লন্ডনের বাজারে তারল্য কমে গেছে।’
নভেম্বরের মার্কিন নির্বাচন পর ব্যবসায়ী ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো নিউইয়র্কের কমেক্স পণ্যবাজারে ৩৯৩ টন স্বর্ণ আমদানি করেছে। ফলে ভল্টের মজুত ৭৫ শতাংশ বেড়ে ৯২৬ টনে পৌঁছেছে। এটি ২০২২ সালের আগস্ট মাসের পর সর্বোচ্চ।
বাজার বিশেষজ্ঞদের মতে, এই হিসাবের বাইরেও নিউইয়র্কে আরও স্বর্ণ ঢুকেছে। সেগুলো এইচএসবিসি ও জেপিমর্গানের মতো ব্যক্তিগত ভল্টে সংরক্ষিত হয়ে থাকতে পারে। তবে উভয় ব্যাংক এ বিষয়ে মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে।
সোসিয়েতে জনারেলের কমোডিটি গবেষণাপ্রধান মাইকেল হেইগ বলেন, ‘অনেকে ধারণা করছেন, ট্রাম্প প্রশাসন যেকোনো ধরনের কাঁচামালের ওপর শুল্ক আরোপ করতে পারে। এর মধ্যে স্বর্ণও থাকতে পারে। ফলে বিনিয়োগকারীরা ঝুঁকি এড়াতে আগেভাগে ব্যবস্থা নিচ্ছেন।’
নিউইয়র্কের ফিউচার বাজারে স্বর্ণের দাম লন্ডনের স্পট মার্কেটের তুলনায় বেশি হওয়ায় ব্যবসায়ীরা আটলান্টিকের ওপার (ইংল্যান্ড) থেকে স্বর্ণ সংগ্রহ করছেন। লন্ডন ও নিউইয়র্ক বিশ্বব্যাপী বাণিজ্যের দুটি প্রধান বাজার। যেখানে অধিকাংশ ফিজিক্যাল ট্রেডিং যুক্তরাজ্যে হয়, আর ফিউচার মার্কেট যুক্তরাষ্ট্রে।
স্বর্ণের দাম চলতি বছরে ৫ শতাংশ বেড়ে বর্তমানে প্রতি ট্রয় আউন্স ২ হাজার ৭৯০ ডলারের কাছাকাছি রয়েছে, যা সর্বোচ্চ রেকর্ডের মাত্র ৩০ ডলার কম।
বর্তমান মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে স্বর্ণের চাহিদাকে অনেক বাজার বিশেষজ্ঞ কোভিড মহামারির সময়কার পরিস্থিতির সঙ্গে তুলনা করছেন। সে সময় লকডাউন ও স্বর্ণের সরবরাহ নিয়ে অনিশ্চয়তার কারণে কমেক্সে স্বর্ণ মজুত ব্যাপকভাবে বেড়েছিল।
ব্যাংক অব ইংল্যান্ড (বিওই) অন্যান্য আর্থিক প্রতিষ্ঠান, অন্যান্য কেন্দ্রীয় ব্যাংক এবং যুক্তরাজ্যের ট্রেজারির মতো তৃতীয় পক্ষের জন্য স্বর্ণ সংরক্ষণ করে।
এ মাসে কমেক্সে স্বর্ণের মজুত ৩৬ শতাংশ বেড়ে ২৪৪ টনে পৌঁছেছে। এটি ২০২০ সালের মে মাসে কোভিড মহামারির চরম সময়ের পর সবচেয়ে বড় মাসিক প্রবাহ। ট্রেডাররা জানিয়েছেন, নির্দিষ্ট ফিউচার চুক্তি পূরণের জন্য স্বর্ণের তাঁদের স্বর্ণের সরবরাহ প্রয়োজন। এতে তাঁরা স্বর্ণের ফিজিক্যাল ডেলিভারি দিতে সক্ষম হবেন।
বিশ্ব স্বর্ণ পরিষদের বাজার কৌশলবিদ জো কাভাতোনি বলেছেন, নিউইয়র্কে স্বর্ণের ব্যাপক চালানই মূলত এই ‘মজুত সৃষ্টির’ কারণ। এটি অনেককে আগেভাগে পদক্ষেপ নিতে উৎসাহিত করছে। এতে ফিউচার মার্কেটে প্রিমিয়াম সৃষ্টি হচ্ছে।
তবে কাভাতোনি সতর্কভাবে আশাবাদী যে ট্রাম্প প্রশাসনের শুল্ক আরোপ স্বর্ণের ওপর প্রভাব ফেলবে না। প্রশাসনের বক্তব্য থেকে এমন কিছু ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে না।
গত সপ্তাহে কমেক্সে জুনের ফিজিক্যাল স্বর্ণের চুক্তি লন্ডনের মূল্য থেকে প্রতি ট্রয় আউন্সে ৬০ ডলার পর্যন্ত বেশি দামে কেনাবেচা হয়েছে। তবে সেই পার্থক্য এখন প্রতি ট্রয় আউন্সে ১০ ডলার কমে এসেছে। কারণ, ট্রেডাররা স্বর্ণ নিউইয়র্কে স্থানান্তর করেছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসিতে মার্কিন সামরিক হেলিকপ্টার ও যাত্রীবাহী উড়োজাহাজের সংঘর্ষের ঘটনায় কেউ বেঁচে নেই বলে ধারণা করছেন উদ্ধারকারীরা। তবে এখন পর্যন্ত দুর্ঘটনাস্থল থেকে ২৮ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ওয়াশিংটন ডিসির ফায়ার সার্ভিসের প্রধান জন এ ডনেলি এই তথ্য জানিয়েছেন
১ ঘণ্টা আগেপাকিস্তানের কোয়েটা শহরে নিজের কিশোরী কন্যাকে গুলি করে হত্যার অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়েছেন এক বাবা। আজ বৃহস্পতিবার বিবিসি জানিয়েছে, গত মঙ্গলবার হিরা নামের ১৩-১৪ বছর বয়সী সেই কিশোরীকে হত্যার বিষয়টি পুলিশের কাছে স্বীকার...
১ ঘণ্টা আগেগাজায় জিম্মি থাইল্যান্ডের ৫ নাগরিক এবং ইসরায়েলের ৩ নাগরিককে মুক্তি দিয়েছে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাস। আজ বৃহস্পতিবার তাদের মুক্তি দেওয়া হয়েছে। ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা
২ ঘণ্টা আগেগতকাল বুধবার হোয়াইট হাউসে দেওয়া এক ভাষণে ট্রাম্প বলেছেন, ‘মার্কিন জনগণের জন্য বিপজ্জনক অভিবাসীদের রাখার জন্য এই কারাগার ব্যবহার করা হবে। কিছু অভিবাসী এতই বিপজ্জনক যে, তাঁদেরকে নিজ দেশে রাখাও আমরা নিরাপদ মনে করি না। তাই তাঁদের গুয়ানতানামো বে কারাগারে রাখব।’
২ ঘণ্টা আগে