অ্যালিসা ওগলেট্রি হলেন যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসে বসবাস করা এক সহৃদয় মা। বুকের দুধ দান করে অকাল (প্রিম্যাচিওর) শিশুদের জীবন বাঁচানোই তাঁর নেশা। দ্য গার্ডিয়ানসহ একাধিক গণমাধ্যম জানিয়েছে, অ্যালিসা ওগলেট্রির সমান বুকের দুধ পৃথিবীর আর কেউ দান করেননি। এখন পর্যন্ত তিনি ২ হাজার ৬৪৫ লিটারের বেশি স্তন্য দুগ্ধ দান বিশ্ব রেকর্ড গড়েছেন।
গার্ডিয়ানের তথ্যমতে, ৩৬ বছর বয়সী মিসেস ওগলেট্রি এর আগে ২০১৪ সালেও ১ হাজার ৫৬৯ লিটার দুগ্ধ দান করে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে নাম লিখিয়েছিলেন। এবার তিনি নিজের কৃতিত্বকেই ছাড়িয়ে গেছেন।
ওগলেট্রির অবিশ্বাস্য অবদানকে স্বীকৃতি দিয়েছে অনেক নামীদামি সংস্থা। যে প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে তিনি দুধ দান করেন, নর্থ টেক্সাসের সেই ‘মাতৃদুগ্ধ ব্যাংকের’ তথ্য অনুযায়ী—এক লিটার বুকের দুধ অন্তত ১১টি অকাল শিশুকে বাঁচিয়ে রাখতে পারে। এই গণনার ওপর ভিত্তি করে অনুমান করা হচ্ছে, সংস্থাটিতে এখন পর্যন্ত ওগলেট্রি যে পরিমাণ দুধ দান করেছেন, তা সাড়ে তিন লাখ শিশুকে টিকে থাকতে সাহায্য করেছে।
এখন পর্যন্ত ৩৭ হাজারের বেশি শিশুকে সরবরাহ করা হয়েছে ওগলেট্রির বুকের দুধ। এমন নিঃস্বার্থভাবে মাতৃদুগ্ধ বিলানোর বিষয়ে সম্প্রতি গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত একটি সাক্ষাৎকারে ওগলেট্রি বলেছিলেন, ‘আমার একটি বড় হৃদয় আছে, কিন্তু এত বেশি অর্থ নেই। ভালো কাজের জন্য তাই টাকা খরচ করতে পারি না। আমার একটি পরিবারও আছে। তবে দুগ্ধদানের মাধ্যমেই আমি প্রতিদান দিতে পারি।’
২০১০ সালে ছেলে কাইলকে জন্ম দিয়েছিলেন ওগলেট্রি। সেই সময় থেকেই তিনি বুকের দুধ দান করা শুরু করেছিলেন। কাইলের বয়স এখন ১৪ বছর। কাইলের জন্ম দেওয়ার পরই ওগলেট্রি বুঝতে পেরেছিলেন তাঁর বুকে অস্বাভাবিক মাত্রায় বুকের দুধ তৈরি হচ্ছে। এ অবস্থায় এক নার্স তাঁকে নবজাতকদের খাওয়ানোর জন্য সংগ্রামরত মায়েদের সাহায্য করার পরামর্শ দেন।
নার্সের পরামর্শটি খুব মনে ধরেছিল ওগলেট্রির। অকাল শিশুদের সাহায্য করার প্রতি উদ্দীপনা শেষ পর্যন্ত তাঁর বিশ্ব রেকর্ড গড়ার পথকে প্রশস্ত করেছে।
কাইলের পর কেজ (১২) ও কোরি (৭) নামে আরও দুই ছেলের জন্ম দিয়েছেন ওগলেট্রি। সারোগেট মা হিসেবে চতুর্থ আরেক সন্তানকেও গর্ভে ধারণ করেছিলেন তিনি। প্রতিবারই তাঁর মা হওয়া আকাল শিশুদের জন্য আশীর্বাদ হয়েছে।
ওগলেট্রির সন্তানেরা মায়ের দুগ্ধপান বন্ধ করার পরও ওগলেট্রির বুকে দুধ উৎপন্ন হচ্ছে। এ অবস্থায় দিন-রাত প্রতি ৩ ঘণ্টা পরপর ১০ থেকে ১৫ মিনিট পাম্প করে দুধ বের করেন ফ্রিজে সংরক্ষণ করেন তিনি। পরে এই দুধ মিল্ক ব্যাংকে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।
বুকে প্রচুর দুধ উৎপন্ন হওয়ার বিষয়ে ওগলেট্রি জানান, প্রকৃত কারণটিকে এখনো শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। তবে এটা ঠিক যে, তিনি প্রচুর পানি পান করেন। তিনি বলেন, ‘আমি সব সময় প্রচুর পানি পান করেছি। দুধ বের করার জন্য নির্দিষ্ট সময়সূচি মেনে চলেছি। স্বাস্থ্যকর খাবার খেয়েছি। আমি আমার মতো করে সবচেয়ে বেশি পরিমাণ দুধ সংগ্রহ করার জন্য পরিশ্রম করছি। কারণ আমি জানতে চাই, ঠিক কতগুলো শিশু আমার দ্বারা উপকৃত হবে।’
অ্যালিসা ওগলেট্রি হলেন যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসে বসবাস করা এক সহৃদয় মা। বুকের দুধ দান করে অকাল (প্রিম্যাচিওর) শিশুদের জীবন বাঁচানোই তাঁর নেশা। দ্য গার্ডিয়ানসহ একাধিক গণমাধ্যম জানিয়েছে, অ্যালিসা ওগলেট্রির সমান বুকের দুধ পৃথিবীর আর কেউ দান করেননি। এখন পর্যন্ত তিনি ২ হাজার ৬৪৫ লিটারের বেশি স্তন্য দুগ্ধ দান বিশ্ব রেকর্ড গড়েছেন।
গার্ডিয়ানের তথ্যমতে, ৩৬ বছর বয়সী মিসেস ওগলেট্রি এর আগে ২০১৪ সালেও ১ হাজার ৫৬৯ লিটার দুগ্ধ দান করে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে নাম লিখিয়েছিলেন। এবার তিনি নিজের কৃতিত্বকেই ছাড়িয়ে গেছেন।
ওগলেট্রির অবিশ্বাস্য অবদানকে স্বীকৃতি দিয়েছে অনেক নামীদামি সংস্থা। যে প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে তিনি দুধ দান করেন, নর্থ টেক্সাসের সেই ‘মাতৃদুগ্ধ ব্যাংকের’ তথ্য অনুযায়ী—এক লিটার বুকের দুধ অন্তত ১১টি অকাল শিশুকে বাঁচিয়ে রাখতে পারে। এই গণনার ওপর ভিত্তি করে অনুমান করা হচ্ছে, সংস্থাটিতে এখন পর্যন্ত ওগলেট্রি যে পরিমাণ দুধ দান করেছেন, তা সাড়ে তিন লাখ শিশুকে টিকে থাকতে সাহায্য করেছে।
এখন পর্যন্ত ৩৭ হাজারের বেশি শিশুকে সরবরাহ করা হয়েছে ওগলেট্রির বুকের দুধ। এমন নিঃস্বার্থভাবে মাতৃদুগ্ধ বিলানোর বিষয়ে সম্প্রতি গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত একটি সাক্ষাৎকারে ওগলেট্রি বলেছিলেন, ‘আমার একটি বড় হৃদয় আছে, কিন্তু এত বেশি অর্থ নেই। ভালো কাজের জন্য তাই টাকা খরচ করতে পারি না। আমার একটি পরিবারও আছে। তবে দুগ্ধদানের মাধ্যমেই আমি প্রতিদান দিতে পারি।’
২০১০ সালে ছেলে কাইলকে জন্ম দিয়েছিলেন ওগলেট্রি। সেই সময় থেকেই তিনি বুকের দুধ দান করা শুরু করেছিলেন। কাইলের বয়স এখন ১৪ বছর। কাইলের জন্ম দেওয়ার পরই ওগলেট্রি বুঝতে পেরেছিলেন তাঁর বুকে অস্বাভাবিক মাত্রায় বুকের দুধ তৈরি হচ্ছে। এ অবস্থায় এক নার্স তাঁকে নবজাতকদের খাওয়ানোর জন্য সংগ্রামরত মায়েদের সাহায্য করার পরামর্শ দেন।
নার্সের পরামর্শটি খুব মনে ধরেছিল ওগলেট্রির। অকাল শিশুদের সাহায্য করার প্রতি উদ্দীপনা শেষ পর্যন্ত তাঁর বিশ্ব রেকর্ড গড়ার পথকে প্রশস্ত করেছে।
কাইলের পর কেজ (১২) ও কোরি (৭) নামে আরও দুই ছেলের জন্ম দিয়েছেন ওগলেট্রি। সারোগেট মা হিসেবে চতুর্থ আরেক সন্তানকেও গর্ভে ধারণ করেছিলেন তিনি। প্রতিবারই তাঁর মা হওয়া আকাল শিশুদের জন্য আশীর্বাদ হয়েছে।
ওগলেট্রির সন্তানেরা মায়ের দুগ্ধপান বন্ধ করার পরও ওগলেট্রির বুকে দুধ উৎপন্ন হচ্ছে। এ অবস্থায় দিন-রাত প্রতি ৩ ঘণ্টা পরপর ১০ থেকে ১৫ মিনিট পাম্প করে দুধ বের করেন ফ্রিজে সংরক্ষণ করেন তিনি। পরে এই দুধ মিল্ক ব্যাংকে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।
বুকে প্রচুর দুধ উৎপন্ন হওয়ার বিষয়ে ওগলেট্রি জানান, প্রকৃত কারণটিকে এখনো শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। তবে এটা ঠিক যে, তিনি প্রচুর পানি পান করেন। তিনি বলেন, ‘আমি সব সময় প্রচুর পানি পান করেছি। দুধ বের করার জন্য নির্দিষ্ট সময়সূচি মেনে চলেছি। স্বাস্থ্যকর খাবার খেয়েছি। আমি আমার মতো করে সবচেয়ে বেশি পরিমাণ দুধ সংগ্রহ করার জন্য পরিশ্রম করছি। কারণ আমি জানতে চাই, ঠিক কতগুলো শিশু আমার দ্বারা উপকৃত হবে।’
২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়ার ইউক্রেন আক্রমণ ভারতের জন্য টার্নিং পয়েন্ট হয়ে ওঠে। অস্ত্র রপ্তানি বাড়ানোর দায়িত্বে কর্মরত এক ভারতীয় কর্মকর্তা বলেন, পশ্চিমা দেশগুলো তাদের অস্ত্রভান্ডার ইউক্রেনে পাঠিয়েছে। রাশিয়ার কারখানাগুলো শুধু তাদের যুদ্ধের জন্যই অস্ত্র তৈরি করছে। ফলে যেসব দেশ ওয়াশিংটন...
৪ ঘণ্টা আগেসম্প্রতি এক ভিডিওতে ভারতের দীর্ঘ পথের ট্রেনযাত্রাকে ‘মানসিকভাবে ভেঙে পড়ার’ মতো অভিজ্ঞতা বলে বর্ণনা করেছেন ফরাসি ইউটিউবার ভিক্টর ব্লাহো। তিনি বিদেশি পর্যটকদের পরামর্শ দিয়েছেন, পর্যাপ্ত প্রস্তুতি বা ভালো বাজেট না থাকলে ভারতের দীর্ঘ দূরত্বের ট্রেনভ্রমণ এড়িয়ে চলা উচিত।
৬ ঘণ্টা আগেবিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা (ডব্লিউটিও) আশঙ্কা প্রকাশ করেছে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আরোপিত শুল্ক নীতির কারণে চলতি বছরই বিশ্বজুড়ে পণ্যবাণিজ্য হ্রাস পাবে। এ ছাড়াও পারস্পরিক শুল্ক আরোপ ও রাজনৈতিক অনিশ্চয়তাসহ বিভিন্ন গভীর নেতিবাচক ঝুঁকি রয়েছে, যা বিশ্ব বাণিজ্যে আরও বড় ধরনের পতন ডেকে আনতে পারে।
৭ ঘণ্টা আগেবর্তমানে ছোট ওষুধ (পিল বা ক্যাপসুল) বাজারে আসার ৯ বছর পর মেডিকেয়ার মূল্য আলোচনার জন্য যোগ্য হয়। ট্রাম্প প্রশাসন এটিকে ১৩ বছর করতে চায়, যা বায়োটেক ওষুধের সমতুল্য। তবে ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানগুলো দাবি করেছিল, বর্তমান নিয়ম নতুন ওষুধ উদ্ভাবনকে বাধাগ্রস্ত করে। আগে এই বিষয় নিয়ে তারা আলোচনা করতে
৮ ঘণ্টা আগে