ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী জাতীয় সংসদের প্রথম নারী স্পিকার। ২০১৩ সালের ৩০ এপ্রিল নবম সংসদে প্রথমবারের মতো স্পিকার নির্বাচিত হয়েছিলেন। টানা চতুর্থবারের মতো স্পিকার নির্বাচিত হওয়ার পর সম্প্রতি তিনি নিজ কার্যালয়ে আজকের পত্রিকার সঙ্গে কথা বলেছেন। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন তানিম আহমেদ।
প্রশ্ন: টানা চতুর্থবারের মতো স্পিকার নির্বাচিত হয়েছেন, আপনার অনুভূতি কী?
শিরীন শারমিন চৌধুরী: অনেকেই বলেছেন, কেবল বাংলাদেশ নয়, বিষয়টা বিশ্বে বিরল। অনেক সদস্য সংসদের ফ্লোরেও উদাহরণ দিয়েছেন। হয়তো আমাদের সংসদ নেতার একটা বিবেচনা ছিল, একটু তরুণ-নবীনকে আনতে হবে। সবচেয়ে বড় বিষয়, ভারত ও পাকিস্তানে নারী স্পিকার ছিল, কিন্তু বাংলাদেশে তখন পর্যন্ত এ পদটাতে ছিল না। অথচ আমাদের প্রধানমন্ত্রী, বিরোধী দলের নেতা, উপনেতারা নারী। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার খুব ইচ্ছা ছিল, এ পদে একজন নারীকে আনবেন। এ জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যে আস্থা, প্রত্যাশা নিয়ে আমাকে দায়িত্ব দিয়েছেন, সেটার মর্যাদা রক্ষা করতে পারার বিষয়ে আমাকে সব সময় সচেতন থাকতে হয়েছে।
প্রশ্ন: বর্তমান সংসদে বিরোধীদলীয় সদস্যসংখ্যা খুব কম। এ অবস্থায় সরকারের জবাবদিহি নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে বিরোধী দল যথেষ্ট ও কার্যকর ভূমিকা যাতে রাখতে পারে, সে ক্ষেত্রে কীভাবে সহায়তা করতে পারেন?
শিরীন শারমিন চৌধুরী: অবশ্যই, এখানে স্পিকারের অনেক বড় ভূমিকা আছে। এবারের সংসদে বিরোধী দলের সদস্য কম। কিন্তু তাঁদের যদি আপনি সুযোগ না দেন, তাঁরা ফ্লোর চাইলে ফ্লোর না দেন, তাহলে তো আপনি তাঁদের ভূমিকা অনেক সংকুচিত করছেন। আপনি লক্ষ করবেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বুধবারের যে প্রশ্নোত্তর, সেখানে আমরা কিন্তু সব সময় বিরোধী দলকেই দিই।
প্রশ্ন: এমপিরা যথেষ্ট প্রস্তুতি নিয়ে সংসদে আসেন বলে মনে করেন কি?
শিরীন শারমিন চৌধুরী: এমপিদের যেখানে কথা বলার সুযোগ থাকে সেখানে তাঁরা প্রস্তুতি নিয়েই আসেন। যেমন: রাষ্ট্রপতির ভাষণ, বাজেটের ওপর বক্তৃতা। বাজেট অধিবেশনকে আমরা গুরুত্ব দিয়ে থাকি। এমপিরা যাতে নিজেদের সমৃদ্ধ করতে পারেন আর্থিক বিধি-বিধান নিয়ে, সে জন্য বাজেট অধিবেশনের সময় সংসদ সচিবালয় ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের সমন্বয়ে তথ্য-উপাত্ত সরবরাহ এবং নানা বিষয়ে পরামর্শ দেওয়া হয়। আমরা একটা সাপোর্ট সিস্টেম করেছি।
প্রশ্ন: সংসদ কতটা কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারবে বলে মনে করেন?
শিরীন শারমিন চৌধুরী: আমাদের অনেক পরিকল্পনা রয়েছে। আমরা স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার দিকে এগিয়ে যাচ্ছি। এটা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভিশন। সেটা নিয়ে জাতীয় সংসদেও কাজ করতে হবে।
প্রশ্ন: বর্তমান সংসদের সদস্যরা শপথ নেওয়ার পর এমপি ৬০০ জন কি না, সে প্রশ্ন উঠেছিল। এ বিতর্ক দূর করতে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হবে কি না?
শিরীন শারমিন চৌধুরী: কখনোই ৬০০ এমপি না। ৬০০ এমপিকে বেতন-ভাতাও দেওয়া হয় না। একটা সংসদ নির্বাচনে চলে গেছে, আর তো আমরা অধিবেশন বসাইনি। কিন্তু যুদ্ধাবস্থা, জরুরি অবস্থা হলে কিন্তু ওই এমপিদের ডেকে আনা হয়। কাজেই তাঁরা যে এমপি থাকেন না, সেটাও আপনি বলতে পারছেন না।
প্রশ্ন: আইনের ব্যত্যয় আছে কি না?
শিরীন শারমিন চৌধুরী: আমাদের নির্বাচনটা পূর্ববর্তী ৯০ দিনের মধ্যে করতে হয়। সংসদের মেয়াদ পাঁচ বছর। মেয়াদ শেষে নির্বাচনটা হচ্ছে না। নির্বাচন করে সেই তারিখটা একেবারে মেয়াদান্তে পাঁচ বছরের সঙ্গে মিল করে আনা বাস্তবে কখনো সম্ভব নয়। যাঁরা নির্বাচিত হয়ে আসছেন, তার গেজেট হলে তিন দিনের মধ্যে শপথ নিতে হবে। তাই গেজেট হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে শপথ দিতে হচ্ছে। এ বিষয়ে সুপ্রিম কোর্ট থেকে রায় দিয়ে পরিষ্কার করা হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, কার্যভারটা গ্রহণ হয় যখন অধিবেশনটা বসে।
প্রশ্ন: সংসদীয় কমিটিতে স্বার্থের দ্বন্দ্ব কীভাবে এড়ানো যেত?
শিরীন শারমিন চৌধুরী: এখানে কোনো স্বার্থের দ্বন্দ্ব নেই। স্বার্থের দ্বন্দ্ব তখনই হয়, মন্ত্রী যদি ব্যক্তিগত সুবিধা গ্রহণ করতেন। এখন একজন মন্ত্রীর যদি হাসপাতাল থাকে এবং তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত কমিটির সদস্য হন, তখন স্বার্থের সংঘাত হতে পারে। হবেই যে, তা নয়।
প্রশ্ন: ব্যবসায়ীদের বড় একটি অংশ সংসদে। বিষয়টি কীভাবে দেখছেন?
শিরীন শারমিন চৌধুরী: ব্যবসায়ীদের নির্বাচিত হতে সংবিধানে তো কোনো বাধা নেই। কোনো ব্যক্তি নির্বাচিত হওয়ার যোগ্যতা পূরণ করলে, মানুষ ভোট দিলে, তিনি কোথা থেকে এসেছেন, সেটা বড় কথা নয়।
প্রশ্ন: এমপিদের কাছে আপনার প্রত্যাশা কী?
শিরীন শারমিন চৌধুরী: সংসদে সব সময় উপস্থিত থাকবেন, সব কার্যক্রমে অংশ নেবেন। তাঁদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে সংসদ আরও বেশি প্রাণবন্ত ও কার্যকর হবে।
প্রশ্ন: টানা চতুর্থবারের মতো স্পিকার নির্বাচিত হয়েছেন, আপনার অনুভূতি কী?
শিরীন শারমিন চৌধুরী: অনেকেই বলেছেন, কেবল বাংলাদেশ নয়, বিষয়টা বিশ্বে বিরল। অনেক সদস্য সংসদের ফ্লোরেও উদাহরণ দিয়েছেন। হয়তো আমাদের সংসদ নেতার একটা বিবেচনা ছিল, একটু তরুণ-নবীনকে আনতে হবে। সবচেয়ে বড় বিষয়, ভারত ও পাকিস্তানে নারী স্পিকার ছিল, কিন্তু বাংলাদেশে তখন পর্যন্ত এ পদটাতে ছিল না। অথচ আমাদের প্রধানমন্ত্রী, বিরোধী দলের নেতা, উপনেতারা নারী। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার খুব ইচ্ছা ছিল, এ পদে একজন নারীকে আনবেন। এ জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যে আস্থা, প্রত্যাশা নিয়ে আমাকে দায়িত্ব দিয়েছেন, সেটার মর্যাদা রক্ষা করতে পারার বিষয়ে আমাকে সব সময় সচেতন থাকতে হয়েছে।
প্রশ্ন: বর্তমান সংসদে বিরোধীদলীয় সদস্যসংখ্যা খুব কম। এ অবস্থায় সরকারের জবাবদিহি নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে বিরোধী দল যথেষ্ট ও কার্যকর ভূমিকা যাতে রাখতে পারে, সে ক্ষেত্রে কীভাবে সহায়তা করতে পারেন?
শিরীন শারমিন চৌধুরী: অবশ্যই, এখানে স্পিকারের অনেক বড় ভূমিকা আছে। এবারের সংসদে বিরোধী দলের সদস্য কম। কিন্তু তাঁদের যদি আপনি সুযোগ না দেন, তাঁরা ফ্লোর চাইলে ফ্লোর না দেন, তাহলে তো আপনি তাঁদের ভূমিকা অনেক সংকুচিত করছেন। আপনি লক্ষ করবেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বুধবারের যে প্রশ্নোত্তর, সেখানে আমরা কিন্তু সব সময় বিরোধী দলকেই দিই।
প্রশ্ন: এমপিরা যথেষ্ট প্রস্তুতি নিয়ে সংসদে আসেন বলে মনে করেন কি?
শিরীন শারমিন চৌধুরী: এমপিদের যেখানে কথা বলার সুযোগ থাকে সেখানে তাঁরা প্রস্তুতি নিয়েই আসেন। যেমন: রাষ্ট্রপতির ভাষণ, বাজেটের ওপর বক্তৃতা। বাজেট অধিবেশনকে আমরা গুরুত্ব দিয়ে থাকি। এমপিরা যাতে নিজেদের সমৃদ্ধ করতে পারেন আর্থিক বিধি-বিধান নিয়ে, সে জন্য বাজেট অধিবেশনের সময় সংসদ সচিবালয় ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের সমন্বয়ে তথ্য-উপাত্ত সরবরাহ এবং নানা বিষয়ে পরামর্শ দেওয়া হয়। আমরা একটা সাপোর্ট সিস্টেম করেছি।
প্রশ্ন: সংসদ কতটা কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারবে বলে মনে করেন?
শিরীন শারমিন চৌধুরী: আমাদের অনেক পরিকল্পনা রয়েছে। আমরা স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার দিকে এগিয়ে যাচ্ছি। এটা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভিশন। সেটা নিয়ে জাতীয় সংসদেও কাজ করতে হবে।
প্রশ্ন: বর্তমান সংসদের সদস্যরা শপথ নেওয়ার পর এমপি ৬০০ জন কি না, সে প্রশ্ন উঠেছিল। এ বিতর্ক দূর করতে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হবে কি না?
শিরীন শারমিন চৌধুরী: কখনোই ৬০০ এমপি না। ৬০০ এমপিকে বেতন-ভাতাও দেওয়া হয় না। একটা সংসদ নির্বাচনে চলে গেছে, আর তো আমরা অধিবেশন বসাইনি। কিন্তু যুদ্ধাবস্থা, জরুরি অবস্থা হলে কিন্তু ওই এমপিদের ডেকে আনা হয়। কাজেই তাঁরা যে এমপি থাকেন না, সেটাও আপনি বলতে পারছেন না।
প্রশ্ন: আইনের ব্যত্যয় আছে কি না?
শিরীন শারমিন চৌধুরী: আমাদের নির্বাচনটা পূর্ববর্তী ৯০ দিনের মধ্যে করতে হয়। সংসদের মেয়াদ পাঁচ বছর। মেয়াদ শেষে নির্বাচনটা হচ্ছে না। নির্বাচন করে সেই তারিখটা একেবারে মেয়াদান্তে পাঁচ বছরের সঙ্গে মিল করে আনা বাস্তবে কখনো সম্ভব নয়। যাঁরা নির্বাচিত হয়ে আসছেন, তার গেজেট হলে তিন দিনের মধ্যে শপথ নিতে হবে। তাই গেজেট হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে শপথ দিতে হচ্ছে। এ বিষয়ে সুপ্রিম কোর্ট থেকে রায় দিয়ে পরিষ্কার করা হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, কার্যভারটা গ্রহণ হয় যখন অধিবেশনটা বসে।
প্রশ্ন: সংসদীয় কমিটিতে স্বার্থের দ্বন্দ্ব কীভাবে এড়ানো যেত?
শিরীন শারমিন চৌধুরী: এখানে কোনো স্বার্থের দ্বন্দ্ব নেই। স্বার্থের দ্বন্দ্ব তখনই হয়, মন্ত্রী যদি ব্যক্তিগত সুবিধা গ্রহণ করতেন। এখন একজন মন্ত্রীর যদি হাসপাতাল থাকে এবং তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত কমিটির সদস্য হন, তখন স্বার্থের সংঘাত হতে পারে। হবেই যে, তা নয়।
প্রশ্ন: ব্যবসায়ীদের বড় একটি অংশ সংসদে। বিষয়টি কীভাবে দেখছেন?
শিরীন শারমিন চৌধুরী: ব্যবসায়ীদের নির্বাচিত হতে সংবিধানে তো কোনো বাধা নেই। কোনো ব্যক্তি নির্বাচিত হওয়ার যোগ্যতা পূরণ করলে, মানুষ ভোট দিলে, তিনি কোথা থেকে এসেছেন, সেটা বড় কথা নয়।
প্রশ্ন: এমপিদের কাছে আপনার প্রত্যাশা কী?
শিরীন শারমিন চৌধুরী: সংসদে সব সময় উপস্থিত থাকবেন, সব কার্যক্রমে অংশ নেবেন। তাঁদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে সংসদ আরও বেশি প্রাণবন্ত ও কার্যকর হবে।
ইউনিক গ্রুপের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শাখাওয়াত হোসেন। পর্যটনের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে তাঁর সঙ্গে কথা বলেছেন আজকের পত্রিকার বিশেষ প্রতিনিধি মনজুরুল ইসলাম।
০৩ অক্টোবর ২০২৪বাংলাদেশের হিন্দু, বৌদ্ধ, সুফি এবং অন্যান্য সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে কোনো বিভাজনমূলক এজেন্ডায় রাজনীতির দাবার গুটি হিসেবে ব্যবহৃত না হওয়ার জন্য দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। আমরা দৃঢ়ভাবে কোনো সাম্প্রদায়িক ফাঁদে আটকা পড়তে দৃঢ়ভাবে অস্বীকার করি। কোনোভাবেই তা হতে দেওয়া যাবে না।
০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪‘আমি এটাকে ঠিক রাজনৈতিক ভাবাদর্শ বলব না। আমি এটাকে বলব, অন্যায়ের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়া, সেটা আমার পারিবারিক শিক্ষা। আমাদের ঘরের ডাইনিং টেবিল থেকে শুরু করে যেকোনো ক্ষেত্রে প্রয়োজনে পরিবারের বড়দের সাথে আমরা দ্বিমত পোষণ করতে পেরেছি। ছোট থেকে বড়, কারও কোনো কথা বা কাজ ভুল মনে হলে সেটাকে আমরা তার প্রতি স
৩১ আগস্ট ২০২৪একেক মানুষ বেছে নেন একেক পেশা। তাঁদের মধ্যে কারও কারও পেশা একটু ভিন্ন ধরনের। যেমন—মো. মুনসুর আলী ওরফে মন্টু খলিফা। বাপ-দাদার পেশাকে ভালোবেসে শিশুদের খতনা করানো বা হাজামের কাজ বেছে নিয়েছেন পেশা হিসেবে। জীবনে পার করেছেন প্রায় ৮৫ বছর। জানিয়েছেন গত ৬০ বছরে ২ লাখের বেশি শিশুর মুসলমানি বা সুন্নতে খতনা দিয়
৩০ মার্চ ২০২৪