মাহমুদ হাসান ফাহিম
হজের আনুষ্ঠানিকতা মোট পাঁচ দিনের। ৮ থেকে ১২ জিলহজ পর্যন্ত। এদিনগুলোতে হাজিদের ধারাবাহিক কিছু আমল করতে হয়। পাঁচ দিনের কর্মপদ্ধতি ও সংশ্লিষ্ট জরুরি বিষয় তুলে ধরা হচ্ছে—
প্রথম দিন ৮ জিলহজ
জিলহজ মাসের ৮ তারিখে হাজিদের ইহরাম অবস্থায় মিনায় যেতে হয় এবং জোহরের আগেই সেখানে পৌঁছাতে হয়। মিনায় সেদিনের জোহরসহ ৯ জিলহজ ফজর পর্যন্ত পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করতে হয়। আর রাতে মিনায় অবস্থান করা সুন্নত।
দ্বিতীয় দিন ৯ জিলহজ
এদিনটি আরাফাতের দিন হিসেবে পরিচিত। আরাফাতের ময়দানে অবস্থান করা থেকে শুরু হয় হজের মূল কার্যক্রম। এদিন চারটি কাজ করতে হয়। যথা:
—ফজরের পর মিনায় গোসল বা অজু করে সকাল সকাল আরাফাতের ময়দানের উদ্দেশে রওনা করা এবং রওনার সময় তাকবির বলা, আল্লাহু আকবার আল্লাহু আকবার, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু আল্লাহু আকবার, ওয়া লিল্লাহিল হামদ।
—জোহরের আগেই আরাফাতের ময়দানে উপস্থিত হওয়া এবং সন্ধ্যা পর্যন্ত অবস্থান করা। এটি হজের ফরজ বিধান।
—আরাফাতের ময়দানে অবস্থান করে হজের খুতবা শোনা এবং জোহর ও আসরের নামাজ নির্দিষ্ট সময়ে আলাদাভাবে আদায় করা। তওবা–ইসতেগফার, তাকবির, তাসবিহ, তাহলিল ও রোনাজারিতে আত্মনিয়োগ করা।
—সন্ধ্যায় মাগরিব না পড়ে মুজদালিফার উদ্দেশে রওনা করা। মুজদালিফায় গিয়ে মাগরিব ও এশার নামাজ এক আজানে আলাদা আলাদা ইকামতে একসঙ্গে ধারাবাহিকভাবে আদায় করা।
তৃতীয় দিন ১০ জিলহজ
১০ জিলহজ হজের প্রধান কর্মব্যস্ত দিন। এদিনে হাজিদের পাঁচটি কাজে ব্যস্ত থাকতে হয়। যথা:
—মুজদালিফায় অবস্থান: সারা রাত মুজদালিফার খোলা আকাশের নিচে, মরুর বালুর ওপর অবস্থান করতে হয় এবং ফজরের নামাজ আদায় করে সূর্য ওঠার আগেই মিনার উদ্দেশে রওনা হতে হয়।
—পাথর সংগ্রহ: মিনায় জামরায় (শয়তানকে পাথর মারার জন্য) মুজদালিফায় অবস্থানের সময় রাতে কিংবা সকালে তা সংগ্রহ করে রাখা। জামরার নিকট ব্যতীত অন্য যেকোনো স্থান থেকে তা সংগ্রহ করা যায়।
—পাথর নিক্ষেপ: ১০ তারিখ সকালে মুজদালিফা থেকে মিনায় এসে বড় জামরায় সাতটি পাথর নিক্ষেপ করতে হয়। আর তা জোহরের আগেই সম্পন্ন করতে হয়।
—কোরবানি করা: বড় জামরায় পাথর নিক্ষেপ করেই মিনায় কোরবানির পশু জবাই করতে হয়।
—মাথা মুণ্ডন করা: কোরবানির পরপরই মাথা ন্যাড়া করার মাধ্যমে হজের ইহরাম থেকে হালাল হতে হয়। এরপর হাজিরা ইহরামের কাপড় পরিবর্তন করাসহ সব সাধারণ কাজ করতে পারবে। তবে স্ত্রী সহবাস থেকে বিরত থাকতে হবে।
চতুর্থ ও পঞ্চম দিন ১১-১২ জিলহজ
জিলহজের ১১ ও ১২ তারিখে মোট তিনটি কাজ করতে হয়। যথা:
—তাওয়াফে জিয়ারত: হজের সর্বশেষ রোকন হলো তাওয়াফে জিয়ারত। ১১–১২ জিলহজ সূর্য ডোবার আগ পর্যন্ত সময়ের মধ্যে এটি সম্পন্ন করতে হবে। ১২ জিলহজ সূর্য ডোবার আগে তাওয়াফে জিয়ারত না করতে পারলে দম বা কোরবানি কাফফারা আদায় করতে হবে।
—পাথর নিক্ষেপ করা: ১১ ও ১২ জিলহজ প্রতিদিন মিনায় অবস্থান করা এবং ধারাবাহিকভাবে ছোট, মধ্যম ও বড় জামরায় ৭টি করে ২১টি পাথর নিক্ষেপ করতে হয়।
—মিনায় রাতযাপন ও ত্যাগ: ১২ তারিখ সূর্য ডোবার আগেই মিনা ত্যাগ করতে হয়। সূর্য ডোবার আগে মিনা ত্যাগ করতে না পারলে সে রাত (১৩ জিলহজ) মিনায় অবস্থান করতে হয়। উল্লেখ্য, যদি কেউ ১২ জিলহজ সূর্য ডোবার আগে মিনা ত্যাগ করতে না পারে, তাহলে তাকে ১৩ জিলহজ ৭টি করে আরও ২১টি পাথর নিক্ষেপ করতে হবে।
বিদায়ী তাওয়াফ
সারা বিশ্বে থেকে আগত সব হজ পালনকারীর জন্য দেশে রওনা হওয়ার আগে পবিত্র কাবা ত্যাগের আগে বিদায়ী তাওয়াফ করা আবশ্যক। তবে জিলহজ মাসের ১২ তারিখের পর যেকোনো নফল তাওয়াফই বিদায়ী তাওয়াফ হিসেবে আদায় হয়ে যায়।
সূত্র: মানাসিক, গুনিয়াতুন্নাসিক, আদ দূররুল মুখতার, আহকামে হজ ইত্যাদি
হজের আনুষ্ঠানিকতা মোট পাঁচ দিনের। ৮ থেকে ১২ জিলহজ পর্যন্ত। এদিনগুলোতে হাজিদের ধারাবাহিক কিছু আমল করতে হয়। পাঁচ দিনের কর্মপদ্ধতি ও সংশ্লিষ্ট জরুরি বিষয় তুলে ধরা হচ্ছে—
প্রথম দিন ৮ জিলহজ
জিলহজ মাসের ৮ তারিখে হাজিদের ইহরাম অবস্থায় মিনায় যেতে হয় এবং জোহরের আগেই সেখানে পৌঁছাতে হয়। মিনায় সেদিনের জোহরসহ ৯ জিলহজ ফজর পর্যন্ত পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করতে হয়। আর রাতে মিনায় অবস্থান করা সুন্নত।
দ্বিতীয় দিন ৯ জিলহজ
এদিনটি আরাফাতের দিন হিসেবে পরিচিত। আরাফাতের ময়দানে অবস্থান করা থেকে শুরু হয় হজের মূল কার্যক্রম। এদিন চারটি কাজ করতে হয়। যথা:
—ফজরের পর মিনায় গোসল বা অজু করে সকাল সকাল আরাফাতের ময়দানের উদ্দেশে রওনা করা এবং রওনার সময় তাকবির বলা, আল্লাহু আকবার আল্লাহু আকবার, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু আল্লাহু আকবার, ওয়া লিল্লাহিল হামদ।
—জোহরের আগেই আরাফাতের ময়দানে উপস্থিত হওয়া এবং সন্ধ্যা পর্যন্ত অবস্থান করা। এটি হজের ফরজ বিধান।
—আরাফাতের ময়দানে অবস্থান করে হজের খুতবা শোনা এবং জোহর ও আসরের নামাজ নির্দিষ্ট সময়ে আলাদাভাবে আদায় করা। তওবা–ইসতেগফার, তাকবির, তাসবিহ, তাহলিল ও রোনাজারিতে আত্মনিয়োগ করা।
—সন্ধ্যায় মাগরিব না পড়ে মুজদালিফার উদ্দেশে রওনা করা। মুজদালিফায় গিয়ে মাগরিব ও এশার নামাজ এক আজানে আলাদা আলাদা ইকামতে একসঙ্গে ধারাবাহিকভাবে আদায় করা।
তৃতীয় দিন ১০ জিলহজ
১০ জিলহজ হজের প্রধান কর্মব্যস্ত দিন। এদিনে হাজিদের পাঁচটি কাজে ব্যস্ত থাকতে হয়। যথা:
—মুজদালিফায় অবস্থান: সারা রাত মুজদালিফার খোলা আকাশের নিচে, মরুর বালুর ওপর অবস্থান করতে হয় এবং ফজরের নামাজ আদায় করে সূর্য ওঠার আগেই মিনার উদ্দেশে রওনা হতে হয়।
—পাথর সংগ্রহ: মিনায় জামরায় (শয়তানকে পাথর মারার জন্য) মুজদালিফায় অবস্থানের সময় রাতে কিংবা সকালে তা সংগ্রহ করে রাখা। জামরার নিকট ব্যতীত অন্য যেকোনো স্থান থেকে তা সংগ্রহ করা যায়।
—পাথর নিক্ষেপ: ১০ তারিখ সকালে মুজদালিফা থেকে মিনায় এসে বড় জামরায় সাতটি পাথর নিক্ষেপ করতে হয়। আর তা জোহরের আগেই সম্পন্ন করতে হয়।
—কোরবানি করা: বড় জামরায় পাথর নিক্ষেপ করেই মিনায় কোরবানির পশু জবাই করতে হয়।
—মাথা মুণ্ডন করা: কোরবানির পরপরই মাথা ন্যাড়া করার মাধ্যমে হজের ইহরাম থেকে হালাল হতে হয়। এরপর হাজিরা ইহরামের কাপড় পরিবর্তন করাসহ সব সাধারণ কাজ করতে পারবে। তবে স্ত্রী সহবাস থেকে বিরত থাকতে হবে।
চতুর্থ ও পঞ্চম দিন ১১-১২ জিলহজ
জিলহজের ১১ ও ১২ তারিখে মোট তিনটি কাজ করতে হয়। যথা:
—তাওয়াফে জিয়ারত: হজের সর্বশেষ রোকন হলো তাওয়াফে জিয়ারত। ১১–১২ জিলহজ সূর্য ডোবার আগ পর্যন্ত সময়ের মধ্যে এটি সম্পন্ন করতে হবে। ১২ জিলহজ সূর্য ডোবার আগে তাওয়াফে জিয়ারত না করতে পারলে দম বা কোরবানি কাফফারা আদায় করতে হবে।
—পাথর নিক্ষেপ করা: ১১ ও ১২ জিলহজ প্রতিদিন মিনায় অবস্থান করা এবং ধারাবাহিকভাবে ছোট, মধ্যম ও বড় জামরায় ৭টি করে ২১টি পাথর নিক্ষেপ করতে হয়।
—মিনায় রাতযাপন ও ত্যাগ: ১২ তারিখ সূর্য ডোবার আগেই মিনা ত্যাগ করতে হয়। সূর্য ডোবার আগে মিনা ত্যাগ করতে না পারলে সে রাত (১৩ জিলহজ) মিনায় অবস্থান করতে হয়। উল্লেখ্য, যদি কেউ ১২ জিলহজ সূর্য ডোবার আগে মিনা ত্যাগ করতে না পারে, তাহলে তাকে ১৩ জিলহজ ৭টি করে আরও ২১টি পাথর নিক্ষেপ করতে হবে।
বিদায়ী তাওয়াফ
সারা বিশ্বে থেকে আগত সব হজ পালনকারীর জন্য দেশে রওনা হওয়ার আগে পবিত্র কাবা ত্যাগের আগে বিদায়ী তাওয়াফ করা আবশ্যক। তবে জিলহজ মাসের ১২ তারিখের পর যেকোনো নফল তাওয়াফই বিদায়ী তাওয়াফ হিসেবে আদায় হয়ে যায়।
সূত্র: মানাসিক, গুনিয়াতুন্নাসিক, আদ দূররুল মুখতার, আহকামে হজ ইত্যাদি
জুবাইদা বিনতে জাফর ইবনে মানসুর পঞ্চম আব্বাসি খলিফা হারুনুর রশিদের স্ত্রী ও জাফর ইবনুল মানসুরের কন্যা। তাঁর মা ছিলেন আল-খায়জুরানের বড় বোন সালসাল ইবনে আত্তা। জুবাইদার আসল নাম আমাতুল আজিজ। দাদা আল-মানসুর তাঁকে আদর করে জুবাইদা (ছোট মাখনের টুকরা) নামে ডাকতেন এবং এ নামেই তিনি ইতিহাসে বিখ্যাত।
৪ ঘণ্টা আগেকুয়েতে অনুষ্ঠিত ১৩তম আন্তর্জাতিক হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অর্জন করেছেন বাংলাদেশের হাফেজ আনাস মাহফুজ। বিশ্বের ৭৪টি দেশের প্রতিযোগীদের পেছনে ফেলে দেশের জন্য এ গৌরব বয়ে আনেন তিনি।
৫ ঘণ্টা আগেবিয়ে ইসলামি জীবনব্যবস্থার একটি মৌলিক অংশ। এটি ব্যক্তিগত, পারিবারিক ও সামাজিক জীবনে শান্তি ও স্থিতি নিয়ে আসে। তবে বিয়ের আগে আর্থিক সচ্ছলতা অর্জন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এটি বিয়ে-পরবর্তী জীবনে দায়িত্ব পালনের জন্য ব্যক্তিকে সক্ষম করে।
৫ ঘণ্টা আগে