রায়হান রাশেদ
আজ খতমে তারাবিহতে পবিত্র কোরআনের সপ্তম পারা এবং অষ্টম পারার প্রথমার্ধ; মোট দেড় পারা তিলাওয়াত করা হবে। সুরা মায়িদার ৮৩ থেকে সুরা আরাফের ১১ নম্বর আয়াত পর্যন্ত—এই অংশে হালাল খাবারের গুরুত্ব, শপথ ভাঙার কাফফারা, ভ্রমণ, অসিয়ত, পৃথিবী সৃষ্টি ও ইসা (আ.)-এর অলৌকিক ঘটনাসহ নানা বিষয় আলোচিত হয়েছে। এখানে সংক্ষেপে গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি বিষয় তুলে ধরা হলো—
হালাল খাবার গ্রহণে ইমান সতেজ হয়
আজকের তারাবিহর অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো হালাল খাবার গ্রহণের নির্দেশনা। এ নির্দেশনা আজকের তিলাওয়াতে ছয়বার পড়া হবে। হালাল খাবার গ্রহণ আর হারাম খাবার বর্জন ইসলামের নির্দেশ। যদি কেউ হালাল খাবারকে হারাম বিশ্বাস করে, তার ইমান থাকবে না। আর যদি কেউ হালাল খাবার বর্জনের শপথ করে, তার জন্য শপথ ভেঙে সে খাবার খাওয়া ওয়াজিব। তবে শপথ ভাঙার কাফফারা দিতে হবে।
একজন মুমিনের পবিত্র জীবনযাপনের জন্য হালাল খাবার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। হালাল খাবার গ্রহণে ইমানে সজীবতা আসে। ইবাদতে মন একনিষ্ঠ হয়। জীবনযাপন আনন্দময় হয়। আল্লাহ বলেন, ‘আল্লাহ তোমাদের যে রিজিক দিয়েছেন, তা থেকে হালাল, উৎকৃষ্ট বস্তু খাও এবং যে আল্লাহর প্রতি তোমরা ইমান রাখো, তাঁকে ভয় করে চলো।’ (সুরা মায়িদা: ৮৮)
অসিয়ত করা সচেতন মুমিনের বৈশিষ্ট্য
ইসলামের গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত হলো অসিয়ত। মৃত্যুর পর পালনীয় ও করণীয় সম্পর্কে জীবিত থাকা অবস্থায় উত্তরসূরিদের প্রতি নির্দেশনা দিয়ে যাওয়াকে বলে ‘অসিয়ত’। সবারই উচিত, সব সময় অধীনস্থদের অসিয়ত করা। অসিয়তের বিষয় ডায়েরিতে লিখে রাখা। নবীজি (সা.) বলেন, ‘যে মুসলিমের অসিয়ত করার মতো কোনো বিষয় রয়েছে, অসিয়ত অলিখিত অবস্থায় দুই রাতও অতিবাহিত করা তার উচিত নয়।’ (বুখারি: ২৭৩৮)
অসিয়ত স্বেচ্ছায় হতে হবে। এর জন্য বলপ্রয়োগ করা যাবে না। অসিয়ত হতে হবে ব্যক্তির পার্থিব উপার্জন থেকে। কাউকে ঠকানো বা ওয়ারিশদের হক কম দেওয়া কিংবা তাদের বঞ্চিত করার জন্য অসিয়ত করা কবিরা গুনাহ।
সম্পদের এক-তৃতীয়াংশ পরিমাণ অসিয়ত করা যাবে। এর চেয়ে বেশি করা জায়েজ নয়। মৃত্যুর পর ঋণ পরিশোধ, দাফন-কাফন, জানাজার নামাজ পড়ানো, সম্পত্তির বাঁটোয়ারা, মসজিদ-মাদ্রাসা নির্মাণ ও জনকল্যাণমূলক যেকোনো কাজের বিষয়ে অসিয়ত হতে পারে। অসিয়ত করার সময় দুজন সাক্ষী রাখা জরুরি। যেন পরে এ নিয়ে কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা ও মতানৈক্য সৃষ্টি না হয়। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘হে মুমিনেরা, যখন তোমাদের কারও কাছে মৃত্যু উপস্থিত হয়, তখন অসিয়তকালে তোমাদের মধ্য থেকে দুজন (ন্যায়পরায়ণ) ব্যক্তি সাক্ষী হবে।’ (সুরা মায়িদা: ১০৬)
নামাজ, রোজা, জাকাত ও হজসহ আল্লাহ ও বান্দার যেসব হক অনাদায় থেকে যায়, সে সম্পর্কে অসিয়ত করে যাওয়া ওয়াজিব। ধনী ব্যক্তির সম্পদ সম্পর্কে অসিয়ত করা মুবাহ বা বৈধ। পাপাচারীর জন্য অসিয়ত করা মাকরুহ। এ ছাড়া অন্য সব ক্ষেত্রে অসিয়ত করা মুস্তাহাব। (দুররুল মুখতার ও রদ্দুল মুহতার: ৫ / ৩১৫)
সুরা আনআম—জীবজন্তু সম্পর্কিত সুরা
সুরা আনআম মক্কায় অবতীর্ণ। এ সুরার আয়াত সংখ্যা ১৬৫। কোরআনের ষষ্ঠ সুরা এটি। আনআম অর্থ জীবজন্তু। এ সুরায় মুহাম্মদ (সা.)-এর উম্মতের জন্য কোন প্রাণী হারাম আর বনি ইসরাইলের জন্য কোন প্রাণী হারাম করা হয়েছিল, সে সম্পর্কে আলোচনা হয়েছে বলে এর নাম রাখা হয়েছে সুরা আনআম।
ভ্রমণে আল্লাহর শ্রেষ্ঠত্বের দেখা মেলে
সুরা আনআমের ১১ নম্বর আয়াতে আল্লাহ মানুষকে ভ্রমণের নির্দেশ দিয়েছেন। পবিত্র কোরআনে ১৩ বারের বেশি ভ্রমণের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। পৃথিবীর দিক-দিগন্তে কত দেশ, নগর, সভ্যতা ও কত রং বেরঙের মানুষ আছে—তা বলার অপেক্ষা রাখে না। কত বৈচিত্র্য, কত সৌন্দর্য ছড়িয়ে আছে বিশ্বের অলি-গলি আর পাড়া-মহল্লায়, তা দেখে বিমোহিত হয় না এমন মানুষ মেলা ভার। দুনিয়ায় আল্লাহর এই সৃষ্টি, সৌন্দর্যের বিপুল আয়োজন, ভাঙা-গড়ার খেলা; এসব থেকে জীবনের জন্য শিক্ষা নিতে হবে।
ভ্রমণ মানুষের চোখ খুলে দেয়। মন পরিতৃপ্ত করে। জ্ঞান বৃদ্ধি করে। ভ্রাতৃত্বের বন্ধন সুদৃঢ় করে। বন্ধুকে চিনতে সহযোগিতা করে। আল্লাহর শ্রেষ্ঠত্বের পরিচয় মেলে। সৃষ্টিজীবের বৈচিত্র্য আর পৃথিবীর আশ্চর্য সুনিপুণ সৌন্দর্য দেখে মাথা নত হয়ে যায় প্রভুর কাছে। আল্লাহর প্রতি অবিশ্বাসী শক্তিশালী মানুষ ও সভ্যতার ধ্বংস দেখে ইমান সতেজ সবুজ হয়।
১০ পাপকাজ থেকে বিরত থাকার আদেশ
সুরা আনআমের ১৫১ থেকে ১৫৩ নম্বর আয়াতে আল্লাহ মানুষকে ১০টি কাজ থেকে বিরত থাকার আদেশ করেছেন। যথা—
১. আল্লাহর সঙ্গে শিরক
২. মা-বাবার সঙ্গে অসদ্ব্যবহার
৩. দারিদ্র্যের ভয়ে সন্তান হত্যা
৪. অশ্লীল কাজ
৫. কাউকে অন্যায়ভাবে হত্যা করা
৬. এতিমের সম্পদ আত্মসাৎ করা
৭. ওজনে কম দেওয়া
৮. সাক্ষ্য ও বিচারকাজে অন্যায়/অবিচার করা
৯. আল্লাহর সঙ্গে কৃত ইমানের ওয়াদা পূর্ণ না করা
১০. আল্লাহর দেখানো পথ ছেড়ে ভিন্ন পথ বেছে নেওয়া
জীবন-মরণ আল্লাহর জন্য
আল্লাহ তাআলা নবী ইবরাহিম (আ.)-কে জীবনের উদ্দেশ্য শিক্ষা দিতে গিয়ে বলেন, ‘বলো, আমার নামাজ, আমার যাবতীয় ইবাদত, আমার জীবন, আমার মরণ (সবকিছুই) বিশ্বজগতের প্রতিপালক আল্লাহর জন্যই (নিবেদিত)।’ (সুরা আনআম: ১৬২)
তাই মুসলমানদের মনে রাখতে হবে, আমি আল্লাহর জন্য। আমার সবকিছু আল্লাহর জন্য নিবেদিত। আমার হাঁটা-চলা, খাবার গ্রহণ, নির্জনতা, সংসার—সবকিছু আল্লাহর জন্য। প্রতিটি কাজ করার সময় খেয়াল রাখতে হবে, এই কাজ আল্লাহর জন্য কি না। এই কাজের উদ্দেশ্য আল্লাহকে সন্তুষ্ট করা কি না। এই কাজ আমাকে আল্লাহর সঙ্গে সম্পর্ক তৈরিতে সাহায্য করবে কি না।
এ ছাড়াও সত্যানুরাগীদের প্রশংসা, অহেতুক প্রশ্ন করা থেকে বিরত থাকার নির্দেশ, দুনিয়া-আখিরাতের জীবন, কোরআন নাজিলের প্রয়োজনীয়তা, কাফেরদের শাস্তি, মানুষ সৃষ্টির ইতিহাস ইত্যাদি বিষয়ের আলোচনা রয়েছে কোরআনের এই অংশে।
লেখক: ইসলামবিষয়ক গবেষক ও সাংবাদিক
আজ খতমে তারাবিহতে পবিত্র কোরআনের সপ্তম পারা এবং অষ্টম পারার প্রথমার্ধ; মোট দেড় পারা তিলাওয়াত করা হবে। সুরা মায়িদার ৮৩ থেকে সুরা আরাফের ১১ নম্বর আয়াত পর্যন্ত—এই অংশে হালাল খাবারের গুরুত্ব, শপথ ভাঙার কাফফারা, ভ্রমণ, অসিয়ত, পৃথিবী সৃষ্টি ও ইসা (আ.)-এর অলৌকিক ঘটনাসহ নানা বিষয় আলোচিত হয়েছে। এখানে সংক্ষেপে গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি বিষয় তুলে ধরা হলো—
হালাল খাবার গ্রহণে ইমান সতেজ হয়
আজকের তারাবিহর অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো হালাল খাবার গ্রহণের নির্দেশনা। এ নির্দেশনা আজকের তিলাওয়াতে ছয়বার পড়া হবে। হালাল খাবার গ্রহণ আর হারাম খাবার বর্জন ইসলামের নির্দেশ। যদি কেউ হালাল খাবারকে হারাম বিশ্বাস করে, তার ইমান থাকবে না। আর যদি কেউ হালাল খাবার বর্জনের শপথ করে, তার জন্য শপথ ভেঙে সে খাবার খাওয়া ওয়াজিব। তবে শপথ ভাঙার কাফফারা দিতে হবে।
একজন মুমিনের পবিত্র জীবনযাপনের জন্য হালাল খাবার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। হালাল খাবার গ্রহণে ইমানে সজীবতা আসে। ইবাদতে মন একনিষ্ঠ হয়। জীবনযাপন আনন্দময় হয়। আল্লাহ বলেন, ‘আল্লাহ তোমাদের যে রিজিক দিয়েছেন, তা থেকে হালাল, উৎকৃষ্ট বস্তু খাও এবং যে আল্লাহর প্রতি তোমরা ইমান রাখো, তাঁকে ভয় করে চলো।’ (সুরা মায়িদা: ৮৮)
অসিয়ত করা সচেতন মুমিনের বৈশিষ্ট্য
ইসলামের গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত হলো অসিয়ত। মৃত্যুর পর পালনীয় ও করণীয় সম্পর্কে জীবিত থাকা অবস্থায় উত্তরসূরিদের প্রতি নির্দেশনা দিয়ে যাওয়াকে বলে ‘অসিয়ত’। সবারই উচিত, সব সময় অধীনস্থদের অসিয়ত করা। অসিয়তের বিষয় ডায়েরিতে লিখে রাখা। নবীজি (সা.) বলেন, ‘যে মুসলিমের অসিয়ত করার মতো কোনো বিষয় রয়েছে, অসিয়ত অলিখিত অবস্থায় দুই রাতও অতিবাহিত করা তার উচিত নয়।’ (বুখারি: ২৭৩৮)
অসিয়ত স্বেচ্ছায় হতে হবে। এর জন্য বলপ্রয়োগ করা যাবে না। অসিয়ত হতে হবে ব্যক্তির পার্থিব উপার্জন থেকে। কাউকে ঠকানো বা ওয়ারিশদের হক কম দেওয়া কিংবা তাদের বঞ্চিত করার জন্য অসিয়ত করা কবিরা গুনাহ।
সম্পদের এক-তৃতীয়াংশ পরিমাণ অসিয়ত করা যাবে। এর চেয়ে বেশি করা জায়েজ নয়। মৃত্যুর পর ঋণ পরিশোধ, দাফন-কাফন, জানাজার নামাজ পড়ানো, সম্পত্তির বাঁটোয়ারা, মসজিদ-মাদ্রাসা নির্মাণ ও জনকল্যাণমূলক যেকোনো কাজের বিষয়ে অসিয়ত হতে পারে। অসিয়ত করার সময় দুজন সাক্ষী রাখা জরুরি। যেন পরে এ নিয়ে কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা ও মতানৈক্য সৃষ্টি না হয়। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘হে মুমিনেরা, যখন তোমাদের কারও কাছে মৃত্যু উপস্থিত হয়, তখন অসিয়তকালে তোমাদের মধ্য থেকে দুজন (ন্যায়পরায়ণ) ব্যক্তি সাক্ষী হবে।’ (সুরা মায়িদা: ১০৬)
নামাজ, রোজা, জাকাত ও হজসহ আল্লাহ ও বান্দার যেসব হক অনাদায় থেকে যায়, সে সম্পর্কে অসিয়ত করে যাওয়া ওয়াজিব। ধনী ব্যক্তির সম্পদ সম্পর্কে অসিয়ত করা মুবাহ বা বৈধ। পাপাচারীর জন্য অসিয়ত করা মাকরুহ। এ ছাড়া অন্য সব ক্ষেত্রে অসিয়ত করা মুস্তাহাব। (দুররুল মুখতার ও রদ্দুল মুহতার: ৫ / ৩১৫)
সুরা আনআম—জীবজন্তু সম্পর্কিত সুরা
সুরা আনআম মক্কায় অবতীর্ণ। এ সুরার আয়াত সংখ্যা ১৬৫। কোরআনের ষষ্ঠ সুরা এটি। আনআম অর্থ জীবজন্তু। এ সুরায় মুহাম্মদ (সা.)-এর উম্মতের জন্য কোন প্রাণী হারাম আর বনি ইসরাইলের জন্য কোন প্রাণী হারাম করা হয়েছিল, সে সম্পর্কে আলোচনা হয়েছে বলে এর নাম রাখা হয়েছে সুরা আনআম।
ভ্রমণে আল্লাহর শ্রেষ্ঠত্বের দেখা মেলে
সুরা আনআমের ১১ নম্বর আয়াতে আল্লাহ মানুষকে ভ্রমণের নির্দেশ দিয়েছেন। পবিত্র কোরআনে ১৩ বারের বেশি ভ্রমণের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। পৃথিবীর দিক-দিগন্তে কত দেশ, নগর, সভ্যতা ও কত রং বেরঙের মানুষ আছে—তা বলার অপেক্ষা রাখে না। কত বৈচিত্র্য, কত সৌন্দর্য ছড়িয়ে আছে বিশ্বের অলি-গলি আর পাড়া-মহল্লায়, তা দেখে বিমোহিত হয় না এমন মানুষ মেলা ভার। দুনিয়ায় আল্লাহর এই সৃষ্টি, সৌন্দর্যের বিপুল আয়োজন, ভাঙা-গড়ার খেলা; এসব থেকে জীবনের জন্য শিক্ষা নিতে হবে।
ভ্রমণ মানুষের চোখ খুলে দেয়। মন পরিতৃপ্ত করে। জ্ঞান বৃদ্ধি করে। ভ্রাতৃত্বের বন্ধন সুদৃঢ় করে। বন্ধুকে চিনতে সহযোগিতা করে। আল্লাহর শ্রেষ্ঠত্বের পরিচয় মেলে। সৃষ্টিজীবের বৈচিত্র্য আর পৃথিবীর আশ্চর্য সুনিপুণ সৌন্দর্য দেখে মাথা নত হয়ে যায় প্রভুর কাছে। আল্লাহর প্রতি অবিশ্বাসী শক্তিশালী মানুষ ও সভ্যতার ধ্বংস দেখে ইমান সতেজ সবুজ হয়।
১০ পাপকাজ থেকে বিরত থাকার আদেশ
সুরা আনআমের ১৫১ থেকে ১৫৩ নম্বর আয়াতে আল্লাহ মানুষকে ১০টি কাজ থেকে বিরত থাকার আদেশ করেছেন। যথা—
১. আল্লাহর সঙ্গে শিরক
২. মা-বাবার সঙ্গে অসদ্ব্যবহার
৩. দারিদ্র্যের ভয়ে সন্তান হত্যা
৪. অশ্লীল কাজ
৫. কাউকে অন্যায়ভাবে হত্যা করা
৬. এতিমের সম্পদ আত্মসাৎ করা
৭. ওজনে কম দেওয়া
৮. সাক্ষ্য ও বিচারকাজে অন্যায়/অবিচার করা
৯. আল্লাহর সঙ্গে কৃত ইমানের ওয়াদা পূর্ণ না করা
১০. আল্লাহর দেখানো পথ ছেড়ে ভিন্ন পথ বেছে নেওয়া
জীবন-মরণ আল্লাহর জন্য
আল্লাহ তাআলা নবী ইবরাহিম (আ.)-কে জীবনের উদ্দেশ্য শিক্ষা দিতে গিয়ে বলেন, ‘বলো, আমার নামাজ, আমার যাবতীয় ইবাদত, আমার জীবন, আমার মরণ (সবকিছুই) বিশ্বজগতের প্রতিপালক আল্লাহর জন্যই (নিবেদিত)।’ (সুরা আনআম: ১৬২)
তাই মুসলমানদের মনে রাখতে হবে, আমি আল্লাহর জন্য। আমার সবকিছু আল্লাহর জন্য নিবেদিত। আমার হাঁটা-চলা, খাবার গ্রহণ, নির্জনতা, সংসার—সবকিছু আল্লাহর জন্য। প্রতিটি কাজ করার সময় খেয়াল রাখতে হবে, এই কাজ আল্লাহর জন্য কি না। এই কাজের উদ্দেশ্য আল্লাহকে সন্তুষ্ট করা কি না। এই কাজ আমাকে আল্লাহর সঙ্গে সম্পর্ক তৈরিতে সাহায্য করবে কি না।
এ ছাড়াও সত্যানুরাগীদের প্রশংসা, অহেতুক প্রশ্ন করা থেকে বিরত থাকার নির্দেশ, দুনিয়া-আখিরাতের জীবন, কোরআন নাজিলের প্রয়োজনীয়তা, কাফেরদের শাস্তি, মানুষ সৃষ্টির ইতিহাস ইত্যাদি বিষয়ের আলোচনা রয়েছে কোরআনের এই অংশে।
লেখক: ইসলামবিষয়ক গবেষক ও সাংবাদিক
জুবাইদা বিনতে জাফর ইবনে মানসুর পঞ্চম আব্বাসি খলিফা হারুনুর রশিদের স্ত্রী ও জাফর ইবনুল মানসুরের কন্যা। তাঁর মা ছিলেন আল-খায়জুরানের বড় বোন সালসাল ইবনে আত্তা। জুবাইদার আসল নাম আমাতুল আজিজ। দাদা আল-মানসুর তাঁকে আদর করে জুবাইদা (ছোট মাখনের টুকরা) নামে ডাকতেন এবং এ নামেই তিনি ইতিহাসে বিখ্যাত।
১৭ ঘণ্টা আগেকুয়েতে অনুষ্ঠিত ১৩তম আন্তর্জাতিক হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অর্জন করেছেন বাংলাদেশের হাফেজ আনাস মাহফুজ। বিশ্বের ৭৪টি দেশের প্রতিযোগীদের পেছনে ফেলে দেশের জন্য এ গৌরব বয়ে আনেন তিনি।
১৮ ঘণ্টা আগেবিয়ে ইসলামি জীবনব্যবস্থার একটি মৌলিক অংশ। এটি ব্যক্তিগত, পারিবারিক ও সামাজিক জীবনে শান্তি ও স্থিতি নিয়ে আসে। তবে বিয়ের আগে আর্থিক সচ্ছলতা অর্জন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এটি বিয়ে-পরবর্তী জীবনে দায়িত্ব পালনের জন্য ব্যক্তিকে সক্ষম করে।
১৮ ঘণ্টা আগে