হুমায়ুন কবীর
আমরা যখন আমাদের অধিকার কারও থেকে বুঝে নিই, তখন খুব সচেতনভাবে নিই। কিন্তু কারও অধিকার যখন আমাদের কাছে থাকে, তখন সেটা তাকে সঠিকভাবে বুঝিয়ে দিতে গড়িমসি করি। যখন কারও থেকে ওজন করে দ্রব্য নিই, তখন সচেতনভাবে নিলেও অন্যকে ওজনে ঠকাতে আমরা বেশ পারদর্শী। ওজনে কম দেওয়ার পরকালীন শাস্তি তো আছে, দুনিয়ার শাস্তিও ভয়াবহ। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘বহু দুর্ভোগ আছে তাদের, যারা ওজনে কম দেয়। যারা মানুষের কাছ থেকে যখন ওজন করে নেয়, পূর্ণমাত্রায় নেয়। আর যখন অন্যকে ওজন করে দেয়, তখন কমিয়ে দেয়।’ (সুরা মুতাফফিফিন: ১-৩)
পবিত্র কোরআনে আরও এরশাদ হয়েছে, ‘সুতরাং ওজন ঠিকভাবে করবে এবং মানুষের মালিকানাধীন বস্তুসমূহে তাদের অধিকার খর্ব করবে না; আর দুনিয়ায় শান্তি স্থাপনের পর অশান্তি বিস্তার করবে না।’ (সুরা আরাফ: ৮৫) অন্য আয়াতে এরশাদ হয়েছে, ‘তোমরা পরিমাণ ও ওজন ন্যায়সংগতভাবে পূর্ণ করবে।
মানুষকে তাদের দ্রব্যাদি কম দেবে না এবং পৃথিবীতে অশান্তি বিস্তার করে বেড়াবে না।’ (সুরা হুদ: ৮৫) আয়াত দুটি সম্পর্কে মুফাসসিরগণ বলেছেন, যে সমাজে মানুষ একে অপরকে ঠকায় এবং ওজনে কম দেয়, তাদের দুনিয়ার প্রাথমিক শাস্তি হলো, সেই সমাজে শান্তিশৃঙ্খলা থাকে না। সর্বত্র অশান্তি বিরাজ করে।
ওজনে কম দেওয়ার আরেকটি দুনিয়াবি শাস্তি হলো, তার জীবনে অভাব নেমে আসে। হাদিসে এসেছে, ‘যে সম্প্রদায় ওজনে কম দেয়, তাদের আল্লাহ তাআলা দুর্ভিক্ষে ফেলে দেন।’ (ইবনে মাজাহ: ৪০১৯)
এ ছাড়া আখিরাতের ভয়াবহ শাস্তি তো আছেই। গুনাহের দুনিয়াবি শাস্তি হয় ছোট আর আখিরাতের শাস্তি হয় কঠিন। আল্লাহ তাআলা বলেছেন, ‘সেই বড় শাস্তির আগে আমি তাদের অবশ্যই লঘু শাস্তির স্বাদও গ্রহণ করাব।’ (সুরা সাজদাহ: ২১)
হুমায়ুন কবীর
শিক্ষক, মাদ্রাসাতুল হেরা, ঢাকা
আমরা যখন আমাদের অধিকার কারও থেকে বুঝে নিই, তখন খুব সচেতনভাবে নিই। কিন্তু কারও অধিকার যখন আমাদের কাছে থাকে, তখন সেটা তাকে সঠিকভাবে বুঝিয়ে দিতে গড়িমসি করি। যখন কারও থেকে ওজন করে দ্রব্য নিই, তখন সচেতনভাবে নিলেও অন্যকে ওজনে ঠকাতে আমরা বেশ পারদর্শী। ওজনে কম দেওয়ার পরকালীন শাস্তি তো আছে, দুনিয়ার শাস্তিও ভয়াবহ। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘বহু দুর্ভোগ আছে তাদের, যারা ওজনে কম দেয়। যারা মানুষের কাছ থেকে যখন ওজন করে নেয়, পূর্ণমাত্রায় নেয়। আর যখন অন্যকে ওজন করে দেয়, তখন কমিয়ে দেয়।’ (সুরা মুতাফফিফিন: ১-৩)
পবিত্র কোরআনে আরও এরশাদ হয়েছে, ‘সুতরাং ওজন ঠিকভাবে করবে এবং মানুষের মালিকানাধীন বস্তুসমূহে তাদের অধিকার খর্ব করবে না; আর দুনিয়ায় শান্তি স্থাপনের পর অশান্তি বিস্তার করবে না।’ (সুরা আরাফ: ৮৫) অন্য আয়াতে এরশাদ হয়েছে, ‘তোমরা পরিমাণ ও ওজন ন্যায়সংগতভাবে পূর্ণ করবে।
মানুষকে তাদের দ্রব্যাদি কম দেবে না এবং পৃথিবীতে অশান্তি বিস্তার করে বেড়াবে না।’ (সুরা হুদ: ৮৫) আয়াত দুটি সম্পর্কে মুফাসসিরগণ বলেছেন, যে সমাজে মানুষ একে অপরকে ঠকায় এবং ওজনে কম দেয়, তাদের দুনিয়ার প্রাথমিক শাস্তি হলো, সেই সমাজে শান্তিশৃঙ্খলা থাকে না। সর্বত্র অশান্তি বিরাজ করে।
ওজনে কম দেওয়ার আরেকটি দুনিয়াবি শাস্তি হলো, তার জীবনে অভাব নেমে আসে। হাদিসে এসেছে, ‘যে সম্প্রদায় ওজনে কম দেয়, তাদের আল্লাহ তাআলা দুর্ভিক্ষে ফেলে দেন।’ (ইবনে মাজাহ: ৪০১৯)
এ ছাড়া আখিরাতের ভয়াবহ শাস্তি তো আছেই। গুনাহের দুনিয়াবি শাস্তি হয় ছোট আর আখিরাতের শাস্তি হয় কঠিন। আল্লাহ তাআলা বলেছেন, ‘সেই বড় শাস্তির আগে আমি তাদের অবশ্যই লঘু শাস্তির স্বাদও গ্রহণ করাব।’ (সুরা সাজদাহ: ২১)
হুমায়ুন কবীর
শিক্ষক, মাদ্রাসাতুল হেরা, ঢাকা
আমরা আল্লাহ তাআলার দয়ায় বাঁচি। তাঁর দয়াতেই হাঁটি-চলি, সুখের ভেলায় জীবন ভাসাই। তাঁর দয়া ছাড়া এক মুহূর্তও বেঁচে থাকা সম্ভব নয়। কিন্তু আমরা যদি আল্লাহর দয়া পেতে চাই, তাহলে তাঁর সৃষ্টির প্রতি দয়ার নজর দিতে হবে। যারা অসহায় তাদের পাশে দাঁড়াতে হবে। যারা অনাহারী তাদের মুখে খাদ্য তুলে দিতে হবে। দয়ার নবী...
১ ঘণ্টা আগেমসজিদুল আকসা ছিল মুসলমানদের একসময়ের কিবলা। ইসলামের প্রাথমিক যুগে আল্লাহর আদেশে মসজিদুল আকসার দিকে ফিরে নামাজ আদায় করা হতো। কিন্তু হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর ইচ্ছা ও আকাঙ্ক্ষা ছিল কাবার দিকে ফিরে নামাজ আদায়ের। তাই তিনি মক্কায় থাকাকালীন এমন সমান্তরালভাবে নামাজে দাঁড়াতেন—যেন কাবা ও মসজিদুল আকসা সামনে থাকে।
১ দিন আগেপ্রতিটি নতুন বছর নতুন আশা, নতুন সম্ভাবনা ও নতুন কর্মপ্রেরণা নিয়ে আসে। ক্যালেন্ডারের পাতায় নতুন সংখ্যা যুক্ত হওয়া কেবল সময়ের পরিবর্তন নয়; এটি যেন আত্মশুদ্ধি, জীবন সংশোধন ও নতুনভাবে পথ চলার আহ্বান। একজন মুসলিম হিসেবে আমাদের প্রত্যাশা হওয়া উচিত—নতুন বছরের সূচনা হোক ইমানের আলোয়, তাকওয়ার ছায়ায় এবং নেক
১ দিন আগেকাবাঘরের ৪০ বছর পর নির্মিত হয় মসজিদুল আকসা। প্রতিষ্ঠার পর থেকে সব নবীর যুগেই এই মসজিদের গুরুত্ব ছিল অপরিসীম। আল্লাহর নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর মাধ্যমে পৃথিবীতে ইসলামের আগমন ঘটে। ইসলামেও মসজিদুল আকসাকে রাখা হয় অনন্য উচ্চতায়। একসময় মুসলমানদের কিবলাও ছিল এই মসজিদ। ইসলামের ইতিহাসে দ্বিতীয় খলিফা হজরত
১ দিন আগে