ধর্ম ও জীবন ডেস্ক
আমার ১২ বছরের ছেলের কী রোজা রাখতে হবে, তাকে কীভাবে রোজা রাখায় অভ্যস্ত করব?
কামরুন নাহার, ঢাকা
ইসলামের বিধান মতে, সাবালক হওয়ার আগ পর্যন্ত শিশুদের জন্য রোজা রাখা ফরজ নয়। কেননা রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘তিন শ্রেণির মানুষ থেকে ইসলামের বিধান পালনের আবশ্যকতা উঠিয়ে নেওয়া হয়েছে। এক. ঘুমন্ত ব্যক্তি, যতক্ষণ না সে জাগ্রত হয়, ২. শিশু, যতক্ষণ না সে সাবালক হয় এবং ৩. পাগল, যতক্ষণ না সে সুস্থ হয়।’ (আবু দাউদ) তা সত্ত্বেও শিশুদের রোজা রাখার প্রতি উৎসাহিত করা উচিত, যেন তারা প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার আগেই রোজায় অভ্যস্ত হয়ে যায় এবং রোজা ফরজ হওয়ার পর একটি রোজাও ছুটে না যায়। সাহাবি ও তাবেয়িগণ এমনটাই করতেন।
সহিহ বুখারিতে এসেছে, হজরত ওমর (রা.) রমজান মাসে দিনের বেলা এক মাতাল ব্যক্তিকে দেখে বললেন, ‘আফসোস তোমার জন্য, তুমি মাতাল হয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছ, অথচ এখন আমাদের শিশুরাও রোজা পালন করছে।’ এ কথা বলে তিনি তাকে প্রহার করলেন।
রুবাইয়ি বিনতে মুআওয়িজ (রা.) বলেন, আশুরার দিন সকালে রাসুল (সা.) আনসারি সাহাবিদের গ্রামে সংবাদ পাঠালেন, যারা ইতিমধ্যে পানাহার করে ফেলেছে, তারা দিনের বাকি অংশ পানাহার থেকে বিরত থাকবে, আর যারা এখনো পানাহার করেনি, তারা রোজা রাখবে। রুবাইয়ি (রা.) বলেন, এর পর থেকে আশুরার দিন আমরা রোজা রাখতাম এবং আমাদের শিশুরাও রোজা রাখত। শিশুদের জন্য আমরা রং মাখা পশম দিয়ে খেলনা তৈরি করে রাখতাম। কেউ খাবারের জন্য কান্না করলে তার হাতে খেলনা তুলে দিতাম। এভাবে ইফতারের সময় পর্যন্ত তাদের ভুলিয়ে রাখতাম। (বুখারি)
হিশাম ইবনে উরওয়া বর্ণনা করেন, তাঁর বাবা উরওয়া (রহ.) নিজ সন্তানসন্ততিদের মোটামুটি রোজা রাখার মতো সামর্থ্য হলেই রোজা রাখার নির্দেশ দিতেন। (কিতাবুল ইয়াল)
ঠিক কত বছর থেকে শিশুদের রোজা রাখায় অভ্যস্ত করতে হবে, এ নিয়ে আলেমগণের বিভিন্ন মত রয়েছে। কেউ সাত বছর, কেউ দশ বছরের কথা বলেছেন। তবে ইবনে সিরিন, জুহরি, আতা, হাসান, কাতাদাহ (রহ.)-সহ অনেক ফকিহ বলেছেন, এ ক্ষেত্রে শিশুদের শারীরিক গঠন ও শক্তিমত্তা দেখে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। মোটকথা, শিশুর যখন ভালো-মন্দ পার্থক্য করার যোগ্যতা এবং রোজা রাখার শক্তি-সামর্থ্য অর্জিত হবে, তখন থেকে তাকে রোজায় অভ্যস্ত করে তোলা বাঞ্ছনীয়। সন্তানের কষ্ট হবে, ওজন কমে যাবে, পড়াশোনার ক্ষতি হবে ইত্যাদি
সাধারণ অজুহাতে রোজা রাখতে সক্ষম শিশুদের রোজা রাখতে বাধা দেওয়া বা নিরুৎসাহিত করা উচিত নয়। (আল মুগনি, আল মাজমু, আল-ফাতাওয়া) তবে শিশুদের রোজায় অভ্যস্ত করার প্রক্রিয়া ধাপে ধাপে বাস্তবায়ন করতে হবে, যেন তারা কোনোরকম চাপ অনুভব না করে। এর জন্য নিচের পদ্ধতি অনুসরণ করা যেতে পারে।
উত্তর দিয়েছেন, মুফতি আবু আবদুল্লাহ আহমদশিক্ষক ও ইসলামবিষয়ক গবেষক
আমার ১২ বছরের ছেলের কী রোজা রাখতে হবে, তাকে কীভাবে রোজা রাখায় অভ্যস্ত করব?
কামরুন নাহার, ঢাকা
ইসলামের বিধান মতে, সাবালক হওয়ার আগ পর্যন্ত শিশুদের জন্য রোজা রাখা ফরজ নয়। কেননা রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘তিন শ্রেণির মানুষ থেকে ইসলামের বিধান পালনের আবশ্যকতা উঠিয়ে নেওয়া হয়েছে। এক. ঘুমন্ত ব্যক্তি, যতক্ষণ না সে জাগ্রত হয়, ২. শিশু, যতক্ষণ না সে সাবালক হয় এবং ৩. পাগল, যতক্ষণ না সে সুস্থ হয়।’ (আবু দাউদ) তা সত্ত্বেও শিশুদের রোজা রাখার প্রতি উৎসাহিত করা উচিত, যেন তারা প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার আগেই রোজায় অভ্যস্ত হয়ে যায় এবং রোজা ফরজ হওয়ার পর একটি রোজাও ছুটে না যায়। সাহাবি ও তাবেয়িগণ এমনটাই করতেন।
সহিহ বুখারিতে এসেছে, হজরত ওমর (রা.) রমজান মাসে দিনের বেলা এক মাতাল ব্যক্তিকে দেখে বললেন, ‘আফসোস তোমার জন্য, তুমি মাতাল হয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছ, অথচ এখন আমাদের শিশুরাও রোজা পালন করছে।’ এ কথা বলে তিনি তাকে প্রহার করলেন।
রুবাইয়ি বিনতে মুআওয়িজ (রা.) বলেন, আশুরার দিন সকালে রাসুল (সা.) আনসারি সাহাবিদের গ্রামে সংবাদ পাঠালেন, যারা ইতিমধ্যে পানাহার করে ফেলেছে, তারা দিনের বাকি অংশ পানাহার থেকে বিরত থাকবে, আর যারা এখনো পানাহার করেনি, তারা রোজা রাখবে। রুবাইয়ি (রা.) বলেন, এর পর থেকে আশুরার দিন আমরা রোজা রাখতাম এবং আমাদের শিশুরাও রোজা রাখত। শিশুদের জন্য আমরা রং মাখা পশম দিয়ে খেলনা তৈরি করে রাখতাম। কেউ খাবারের জন্য কান্না করলে তার হাতে খেলনা তুলে দিতাম। এভাবে ইফতারের সময় পর্যন্ত তাদের ভুলিয়ে রাখতাম। (বুখারি)
হিশাম ইবনে উরওয়া বর্ণনা করেন, তাঁর বাবা উরওয়া (রহ.) নিজ সন্তানসন্ততিদের মোটামুটি রোজা রাখার মতো সামর্থ্য হলেই রোজা রাখার নির্দেশ দিতেন। (কিতাবুল ইয়াল)
ঠিক কত বছর থেকে শিশুদের রোজা রাখায় অভ্যস্ত করতে হবে, এ নিয়ে আলেমগণের বিভিন্ন মত রয়েছে। কেউ সাত বছর, কেউ দশ বছরের কথা বলেছেন। তবে ইবনে সিরিন, জুহরি, আতা, হাসান, কাতাদাহ (রহ.)-সহ অনেক ফকিহ বলেছেন, এ ক্ষেত্রে শিশুদের শারীরিক গঠন ও শক্তিমত্তা দেখে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। মোটকথা, শিশুর যখন ভালো-মন্দ পার্থক্য করার যোগ্যতা এবং রোজা রাখার শক্তি-সামর্থ্য অর্জিত হবে, তখন থেকে তাকে রোজায় অভ্যস্ত করে তোলা বাঞ্ছনীয়। সন্তানের কষ্ট হবে, ওজন কমে যাবে, পড়াশোনার ক্ষতি হবে ইত্যাদি
সাধারণ অজুহাতে রোজা রাখতে সক্ষম শিশুদের রোজা রাখতে বাধা দেওয়া বা নিরুৎসাহিত করা উচিত নয়। (আল মুগনি, আল মাজমু, আল-ফাতাওয়া) তবে শিশুদের রোজায় অভ্যস্ত করার প্রক্রিয়া ধাপে ধাপে বাস্তবায়ন করতে হবে, যেন তারা কোনোরকম চাপ অনুভব না করে। এর জন্য নিচের পদ্ধতি অনুসরণ করা যেতে পারে।
উত্তর দিয়েছেন, মুফতি আবু আবদুল্লাহ আহমদশিক্ষক ও ইসলামবিষয়ক গবেষক
মুজাদ্দিদে আলফে সানি নামে পরিচিত শায়খ আহমদ সিরহিন্দি (রহ.) (১৫৬৪–১৬২৪) হলেন ইসলামের ইতিহাসে একজন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব। মোগল আমলে ভারতীয় উপমহাদেশে ইসলামি পুনর্জাগরণের অন্যতম প্রধান নেতা। তাঁর উপাধি ‘মুজাদ্দিদে আলফে সানি’–এর অর্থ হলো ‘দ্বিতীয় সহস্রাব্দের পুনর্জাগরণকারী’।
২ ঘণ্টা আগেসম্ভব হলে হাফেজ ইমামের পেছনে খতম তারাবি পড়া উত্তম। সাহাবিগণ তাই করতেন। সাহাবি সালাবা ইবনে আবু মালেক (রা.) বলেন, রমজানের এক রাতে রাসুল (সা.) বাইরে এলেন। তিনি মসজিদের এক পাশে কিছু লোককে জামাতের সঙ্গে নামাজ আদায় করতে দেখলেন।
৪ ঘণ্টা আগেপ্রত্যেক প্রাপ্তবয়স্ক, সুস্থ, সবল ও মানসিকভাবে সুস্থ মুমিনের জন্য রমজানের রোজা রাখা আবশ্যক করেছে ইসলাম। তবে বিশেষ কারণে, একান্ত প্রয়োজনের মুহূর্তে রোজা না রাখা বা ভেঙে দেওয়ার অবকাশ রয়েছে।
১১ ঘণ্টা আগেপ্রাচীন ইরাকের বিখ্যাত শহর কুফায় জন্মগ্রহণ করেন যুগশ্রেষ্ঠ মুহাদ্দিস ও ফকিহ ইমাম সুফিয়ান বিন সাঈদ সাওরি (রহ.)। তাঁর সমকালীনদের মধ্যে এবং পরবর্তীতেও অনেক বড় বড় মুহাদ্দিস তাঁকে আমিরুল মোমেনিন ফিল হাদিস (হাদিস শাস্ত্রে মুমিনদের নেতা) আখ্যা দিয়েছেন।
১ দিন আগে