আবদুল আযীয কাসেমি
কোরবানি একটি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। প্রতিটি ইবাদতের মতো এখানেও রয়েছে কিছু নিজস্ব শিষ্টাচার ও সৌন্দর্যবোধ। একটি হাদিসে মহানবী (সা) বলেন, ‘যখন পশু জবাই করবে, তখন উত্তমভাবে জবাই করবে। চুরি ভালোভাবে ধার করে নাও, যাতে পশুর কষ্ট কম হয়।’ (আবু দাউদ: ২৮১৫)
এখানে আমরা কোরবানির পশু জবাইয়ের কিছু গুরুত্ব শিষ্টাচার সম্পর্কে জানব।
১. ভালোভাবে নিশ্চিত হোন, আপনার জবাই করার পশুটি সুস্থ কি-না। যদি অসুস্থ হয়, তাহলে তো সেটা দিয়ে কোরবানি শুদ্ধ হবে না।
২. জবাইয়ের সময় কেবলামুখী হয়ে দাঁড়ান।
৩. পশুকে তার পার্শ্বদেশের ওপর শুইয়ে দিন।
৪. বিসমিল্লাহ বলে তাকবির বলুন।
৫. জবাই কোমলভাবে করুন।
৬. এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় টেনে হেঁচড়ে নিয়ে যাবেন না।
৭. দা-ছুরি কোরবানির পশুর সামনে আনবেন না।
৮. এক পশুর সামনে অন্য পশু জবাই করবেন না।
৯. পশুর দেহ থেকে চামড়া খসানোর আগে ভালো করে দেখে নিন, পশুটি প্রাণ চলে গেছে কিনা। শ্বাস বাকি থাকতে চামড়া খসানো সম্পূর্ণ নিষেধ।
১০. জবাইয়ের নির্ধারিত স্থানেই আপনার কোরবানির পশুটি জবাই করুন। যদি কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে নির্ধারিত জায়গা না থাকে, তবে পরামর্শ সাপেক্ষে উপযুক্ত জায়গা নির্বাচন করে সেখানে জবাইয়ের কাজ করুন।
১১. কসাইয়ের পারিশ্রমিক কোরবানির গোশত থেকে দেবেন না।
১২. কোনোভাবেই কোরবানির পশুর বর্জ্য রাস্তায় ফেলবেন না। এটি পথচারীদের জন্য অত্যন্ত কষ্টদায়ক ব্যাপার। এর ফলে আপনি কবিরা গুনাহকারী হিসেবে সাব্যস্ত হবেন।
১৩. জবাইয়ের সময় আপনার শরীর ও কাপড়কে পশুর রক্ত লাগিয়ে ময়লা করবেন না। যথাসম্ভব পরিষ্কার থাকার চেষ্টা করুন।
লেখক: শিক্ষক ও হাদিস গবেষক
কোরবানি একটি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। প্রতিটি ইবাদতের মতো এখানেও রয়েছে কিছু নিজস্ব শিষ্টাচার ও সৌন্দর্যবোধ। একটি হাদিসে মহানবী (সা) বলেন, ‘যখন পশু জবাই করবে, তখন উত্তমভাবে জবাই করবে। চুরি ভালোভাবে ধার করে নাও, যাতে পশুর কষ্ট কম হয়।’ (আবু দাউদ: ২৮১৫)
এখানে আমরা কোরবানির পশু জবাইয়ের কিছু গুরুত্ব শিষ্টাচার সম্পর্কে জানব।
১. ভালোভাবে নিশ্চিত হোন, আপনার জবাই করার পশুটি সুস্থ কি-না। যদি অসুস্থ হয়, তাহলে তো সেটা দিয়ে কোরবানি শুদ্ধ হবে না।
২. জবাইয়ের সময় কেবলামুখী হয়ে দাঁড়ান।
৩. পশুকে তার পার্শ্বদেশের ওপর শুইয়ে দিন।
৪. বিসমিল্লাহ বলে তাকবির বলুন।
৫. জবাই কোমলভাবে করুন।
৬. এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় টেনে হেঁচড়ে নিয়ে যাবেন না।
৭. দা-ছুরি কোরবানির পশুর সামনে আনবেন না।
৮. এক পশুর সামনে অন্য পশু জবাই করবেন না।
৯. পশুর দেহ থেকে চামড়া খসানোর আগে ভালো করে দেখে নিন, পশুটি প্রাণ চলে গেছে কিনা। শ্বাস বাকি থাকতে চামড়া খসানো সম্পূর্ণ নিষেধ।
১০. জবাইয়ের নির্ধারিত স্থানেই আপনার কোরবানির পশুটি জবাই করুন। যদি কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে নির্ধারিত জায়গা না থাকে, তবে পরামর্শ সাপেক্ষে উপযুক্ত জায়গা নির্বাচন করে সেখানে জবাইয়ের কাজ করুন।
১১. কসাইয়ের পারিশ্রমিক কোরবানির গোশত থেকে দেবেন না।
১২. কোনোভাবেই কোরবানির পশুর বর্জ্য রাস্তায় ফেলবেন না। এটি পথচারীদের জন্য অত্যন্ত কষ্টদায়ক ব্যাপার। এর ফলে আপনি কবিরা গুনাহকারী হিসেবে সাব্যস্ত হবেন।
১৩. জবাইয়ের সময় আপনার শরীর ও কাপড়কে পশুর রক্ত লাগিয়ে ময়লা করবেন না। যথাসম্ভব পরিষ্কার থাকার চেষ্টা করুন।
লেখক: শিক্ষক ও হাদিস গবেষক
আল্লাহ তাআলা মানুষকে বিচিত্ররূপে সৃষ্টি করেছেন। গায়ের রঙে যেমন রয়েছে ভিন্নতা, তেমনই মন-মেজাজেও বিচিত্রতা স্পষ্ট।
১০ ঘণ্টা আগেপ্রত্যেক মুসলমানের চূড়ান্ত লক্ষ্য-উদ্দেশ্য ও একান্ত আশা-আকাঙ্ক্ষা হচ্ছে জান্নাতের মেহমান হওয়া। কেননা জান্নাত অনন্ত সুখ, শান্তি ও অসংখ্য নিয়ামতের জায়গা। আল্লাহ তাআলা নিজেই জান্নাতের দিকে বান্দাদের ডেকেছেন। কোরআনে এরশাদ হয়েছে, ‘আল্লাহ শান্তির ঘরের দিকে ডাকছেন।’ (সুরা ইউনুস: ২৫)
১ দিন আগেসংযুক্ত আরব আমিরাতের (ইউএই) অ্যাস্ট্রোনমি সোসাইটির বরাত দিয়ে গালফ নিউজ জানিয়েছে, ইসলামি বর্ষপঞ্জির পঞ্চম মাস জমাদিউল আউয়ালের চাঁদ দেখা যাবে আগামী ৩ নভেম্বর। এই চাঁদ দেখার সঙ্গে রমজান শুরুর ব্যাপারে পূর্বাভাস পান জ্যোতির্বিদেরা।
২ দিন আগেপ্রাকৃতিক দুর্যোগ মানুষের জন্য মহান আল্লাহর পরীক্ষা। দুর্যোগের সময় মুমিনের বিভিন্ন করণীয় সম্পর্কে কোরআন-হাদিসে এসেছে। এখানে কয়েকটি করণীয় বিষয় তুলে ধরা হলো—
২ দিন আগে